āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

635

গল্প:(পরিবর্তন)

লেখা:Tasfiq Zaman

এই আলিফা দাড়া,

আলিফা:হ্যা বল কি বলবি?

আমি:তেমন আর কি, আমি তোকে ভালোবাসি।

আলিফা:কিন্তু আমি বাসি না যা এখান থেকে।

আমি:ওকে।

ওপরে যাদের কথোপকথন হল তারা হলো.. আলিফা ও আরিফ।
তারা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু একে অপরকে ছাড়া বৈঠা ছাড়া নৌকার মত।যদিও আলিফা, আরিফ এর থেকে অনেক ছোট, আরিফ এাবার অর্নাস শেষ করবে। আর আলিফা এবার inter 2nd এ পড়ছে।
আলিফা ও আরিফ বন্ধু হলেও আরিফ, আলিফাকে খুব ভালোবাসে আলিফা সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে এরপর..........

আজও আলিফাকে ডাক দিলাম...

আলিফা:হ্যা বল।

আমি:আমি তোকে ভালোবাসি।

আলিফা:ঠাসস।

আমি:গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি।

আর ভাবছি যে.... আজকে আলিফার কি হলো?প্রতিদিন ইইই তো বলি কই আগে তো মারেনি.???আমার মন টা খারাপ হয়ে গেলো রাস্তার লোকগুলো আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমি বাসায় এসে পরলাম।শুয়ে আছি এমন সময় রিয়া আমার রুম এ আসলো, রিয়া আমার ছোট বোন আলিফার সাথে পড়ে।

রিয়া:ভাইয়া আলিফা তোকে সরি বলছে আর ও তখন তোকে মারছিল কারন ওর মন খারাপ ছিল কলেজ এর কয়েকটা ছেলে ওকে ডিস্টার্ব করে তাই।

আমি:কি????কোন ছেলে?

রিয়া:আমি তো জানিনা।

আমি:ঠিক আছে তুই যা।
আমি ফোন দিলাম আমার কয়েকটা ফ্রেন্ড কে কাল সকাল এ থাকতে বললাম।যথারিতি ওরা সকাল সকাল চলে আসল..
আলিফা আসছে আর ওর পিছে কয়েকটা ছেলে....হ্যা এগুলাই...
আমার ফ্রেন্ড রা সবাই হাতে লাঠি ছিল সব কয়টাকে ধরে ইচ্ছামত মারল আমিও বাদ থাকলাম না যত রাগ ছিল ওদের ওপর ঝারলাম তারপর একটা ছেলে দৌড়ে গিয়ে আলিফার পায়ে জড়িয়ে ধরে বারবার মাফ চাইতে লাগল।আমি সবাইকে মারামারি বন্ধ করতে বললাম।

আলিফা আমায় ডাক দিয়ে বলল আমি সরি......

আমি:আরেহ না তুই সরি বলবি কেনো তুই আগে বললেই পারতি যে এরা তোকে ডিস্টার্ব করে আর আমায় মাফ করিস তোকে এতদিন অনেক বার এককথা বলে ডিস্টার্ব করছি।

আমি মাথা নিচু করে চলে আসলাম সেখান থেকে।নাহ.... আর আলিফাকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলব না।ও যদি আমায় বন্ধু ভাবতে পারে তবে আমি কেনো পারব না?
আজ থেকে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।পরিক্ষা শেষ একটা প্রইভেট ফার্মে চাকরি করছি।
ওদিকে আলিফা প্রতিটা মহূর্তে আরিফ কে মিস করছে, এখন আর কেউ আলিফাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি বলে বিরক্ত করে না।
আজ ১ বছর পর রিয়ার বার্থডে তাই বাসায় আসছি এমন সময় পেছন থেকে....
ওই আরিফ দাড়া.... দেখি পেছনে আলিফা আমার সামনে এসেই বলতে লাগল কিরে কেমন আছিস?

আমি:ভালো তুই?

আলিফা:আছি..এতদিন কই ছিলি?

আমি:জব করি তো তাই অন্যজায়গায় থাকি।

আলিফা:তোর ফোন ওও অফ।

আমি:মোবাইল ধরা হয় না রে।(মিথ্যে কথা আমি নাম্বার পরিবর্তন করেছি)

আলিফা:ওহ কোথায় যাচ্ছিস?

আমি:বাসায়।

আলিফা:ঘুরতে যাবি?

আমি:সরি রে বাসায় কাজ আছে।বাই।

আলিফা আজ ইস্তম্বিত...... এই কি তার আরিফ?

যে ছেলেটা তাকে সারাদিন জালাত বার বার ভালোবাসি বলত, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে এক পায়ে রাজি থাকত সেই আরিফ কিনা আজ ঘুরতে যাবেনা কাজের দোহাই দিচ্ছে .!!!!!!!!!!!"

আলিফা:রিয়াকে ফোন দিল।

রিয়া:হ্যা বল......

আলিফা:কিরে তর ভাই এর কি হইছে? কোথায় ও? আর ওর নাম্বার বন্ধ কেনো?

রিয়া:কিছু হয়নি তো...আর ভাইয়া তো ঘুমায় রইছে......আর ও তো নতুন নাম্বার ব্যবহার করে।

আলিফা:কি????

রিয়া:হ্যা। আচ্ছা বায়, আর আজকে কিন্তু আমার বার্থডে তারাতারি চলে আসিস.......

ঘুম থেকে উঠলাম সামনে দেখি আলিফা বসে আছে.....নাহ.......আর পারছি না এবার বাসা টা ছাড়তে হবে মনে হয় খালি আলিফা আর আলিফা...... কথা গুলো আস্তে আস্তে বললাম......... হায় হায় এতো দেখি সত্যি আলিফা.......

আলিফা:তুই আমায় মিথ্যে বললি কেনো?

আমি:কি মিথ্যে বললাম।

অালিফা:তুই নতুন নাম্বার নিছিস?

তর না বাসায় অনেক কাজ?

আমি:ওও এই কথা সরি রে আসলে মনে ছিল না এই নে আমার নাম্বার।ওর মোবাইল এ তুলে দিলাম।
আজ আমি অনেক খুশি কারন আজ আমি নিজেকে শুধরাতে পেরেছি।বাস ভরা মেহমান। এর মধ্যেই রিয়া একবার ডাক দিয়ে গেছে।আমি নিচে আসলাম দেখি সবাই রেডী কেক কাটার জন্য।কেক কাটলাম সবাই মজা করছে আমি একটু ছাদে আসলাম ঘুরতে......আজ অনেকদিন পর ছাদে আসলাম এক কোনে দাড়িয়ে আগের দিন গুলোর কথা ভাবছি একটা সিগারেট জলছে..... হঠাৎ কেউ বলে উঠলো কিরে কি করছিস?..... আমি আগের মতই দাড়িয়ে......এইতো একটু ঘুরতে আসলাম।পেছনে না ঘুরেই আগের মত নিকোটিন টা নিজের ভেতর চালান করছি।
আগে আমায় সিগারেট খেতে দেখলে আলিফা বাবা মা কে বলে দেয়ার হুমকি দিত.....

আলিফা:কিরে তুই সিগারেট খাইতেছিস?

আমি:হুমমম। আজ চাইলে মা-বাবা সবাই কে বলতে পারিস.....

আলিফা:না কাউকেই বলব না।

আমি:ধন্যবাদ।
দুজনেই চুপ কারও মুখে কোনো কথা নেই।
আলিফা বলে উঠলো আর কয়দিন আছিস বাসায়?

আমি:এখন থেকে বাসায় ইই থাকব অফিস থেকে ট্রান্সফার নিয়েছি।
আলিফাকে দেখে খুশি মনে হল।
প্রতিদিন আলিফাদের বাসার সামনে দিয়ে অফিস যেতে হত। আমার বাইক ছিল তাই ওদের বাসার সামনে দিয়ে দ্রুত পাস করতাম কারন তা না হলে আবার মায়ায় জড়াতে হবে যেটা আমি চাই না।প্রতিদিন খেয়াল করতাম আলিফাদের বারান্দা থেকে কেউ চেয়ে থাকত।
আজ ছুটির দিন একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠলাম বারন্দায় গেলাম হাতে কফি মগ সকাল টা অনেক সুন্দর লাগছে রোদে চিকচিক করছে ঘাসগুলো।এমন সময় রিয়া আসল ভাইয়া.....

হ্যা বল কি বলবি?

আজকে আমায় একটু ঘুরতে নিয়ে যাবি??মানা করিস না...
আচ্ছা ঠিক আছে।
সকাল সকাল ঘুরতে বের হলাম অনেকদিন হলো ঘুরতে যাই না রিয়া বলল ভাইয়া আলিফা ওও যাবে.....আমি বিরক্তি নিয়ে বললাম আগে বলতি...............

রিয়া:কেনো আগে বললে কি আসতি না?

আমি:না।

রিয়া:কেনো বলত ভাইয়া...?

আমি:দেখ ও আমার খুব ভালো একটা বন্ধু কিন্তু ওকে দেখলে আমি ওর মায়ায় পড়ে যাই যেটা ওও একদমই চায় না তাই আমি ওর থেকে দূরে দূরে থাকি।

রিয়া:সরি ভাইয়া।

আমি:আরেহ না....... ঠিক আছে।

আলিফা:ওই দাড়া দাড়া।বাইকে কিভাবে তিনজন যাবো?

আমি:আচ্ছা একটু ট্রাই কর হ্যা হইছে চল.....।

আমরা একটা পার্কে গেলাম অনেক মজা করলাম....... তিনজন এ বসে আছি রিয়ার ফোন আসায় ও একটু অন্যদিকে গেলো...।

আলিফা:কি ব্যাপার তুই এদিক ওদিক কি দেখছিস?

আমি:কই কিছু না তো?

আলিফা:আগে তোর সাথে থাকলে তো একদৃষ্টি তে আমার দিকে চেয়ে থাকতি।আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলবি?

আমি:হমম।

আলিফা:তুই কি আমায় এখনো ভালোবাসিস?

আমি:হ্যা বাসি তো। আমরা খুব ভালো বন্ধু।

আলিফা:এই কথাটা আগে আমি তোকে বলতাম.........

আমি:দেখ আলিফা আগের ঘটনা গুলো মনে করিয়ে আর লজ্জা দিস না।

আলিফা:আমি তোকে একটা কথা বলতে চাই......

আমি:অন্যদিকে চেয়ে।।।।। বল....

আলিফা:আমি তোকে ভালোবাসি।

আমি:হা হা হা দেখ দোস্ত আর মজা নিস না।

আলিফা:না আমি সত্যি তোকে......
আলিফাকে থামিয়ে দিয়ে দেখ তুই যা চাচ্ছিস সেটা সম্ভব নয়।
রিয়াকে ডাক দিলাম, আলিফাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমরাও বাসায় চলে আসলাম।
আজ আর কিছু ভালো লাগছে না।
তারপরদিন থেকে আবর আগের মত অফিস.....। রিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছিল আমার বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে সামনের শুক্রবার রিয়ার বিয়ে। সবাই খুব খুশি।আজ রিয়ার বিয়ে আলিফা এসেছে অনেক আগেই.....আমার সাথে দেখা হয়ছিল কিন্তু কথা বলেনি।
আজ আবার মেয়েটাকে দেখলাম আগের থেকে শুকিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে।কিন্তু কেনো?
আমি রিয়ার পাশে গিয়ে বসলাম আস্তে করে জিজ্ঞাস করলাম কিরে আলিফার এই অবস্তা কেনো?
উওরে রিয়া যা বলল তা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল।সেদিন আমি মানা করে দেয়ার পর আলিফা বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে অনেক কেদেছে এই কয়েকদিন খাওয়া দাওয়া ঠকমত করেনি ঘর থেকে বের হয়নি।
আমি আর সহ্য করতে পারলাম না ছাদে আসলাম।আজ আর সিগারেট এ কাজ হচ্ছে না। একটু পর আলিফা আসল আলিফা কিরে আজকে সিগারেট টা বাদ কেনো?

আমি:তোকে একটা কথা বলার ছিল!

আলিফা:হ্যা বল....অধীর আগ্রহে..
আমি তোকে ভালবাসি।

না আজ আর ফিরিয়ে দেয় নি দৌড়ে এসে বুকের ওপর মাথা দিয়ে এতদিনের সব কষ্ট চোখের পানির সাথে বের করে দিচ্ছে!! কাদো কাদো সুরে.....এতদিন আমার কত কষ্ট হয়েছে জানো?সেদিন তোমাকে মেরে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল, একবার যদি বলতে ভালোবাসি.. আমি সেদিন আর তোমাকে ফিরিয়ে দিতাম না এই ১ বছর আমার জীবনের সবথেকে কষ্টের মূহর্ত ছিল।

আমি:আগে যদি জানতাম এই পাগলিটা এতো ভালোবাসে তবে কি আর এত কষ্ট করতে হত???

আলিফা:আমি তোমাকে ভালবাসি আরিফ....

আমি:আমি বাসি না।

আলিফা:কি বললি দাড়া বলছি...

আমি:ভৌ দৌড়.....

অতঃপর হালকা ঝগড়ার মাধ্যমে তাদের নতুন ভালবাসার সূচনার দিকে পা বাড়াল।

।।।।।।।।।।।।।।সমাপ্ত।।।।।।।।।।।।।।।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ