āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{8}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-8
.
উপমা শরবত নিয়ে এসে দেখলো প্রবন্ধ শুয়ে ঘুমোচ্ছে।ডাকতে আর ইচ্ছে করলো না ওকে।সারাক্ষণ জার্নি করে ক্লান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছে।উপমা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রবন্ধকে দেখতে লাগলো।এতোদিন এই চেহারাটা উপমার অগোচরেই রয়ে গিয়েছিল।তাকাতে  লজ্জা করেছে, ভয় করেছে ওর।কিন্তু এখন আর ভয় করছে না।কিন্তু লজ্জা কাটে নি।
চোখ দুটো মেলে উপমার দিকে তাকালে হয়তো আবারও লজ্জা লাগবে উপমার।উপমা ওর এক পাশে বসলো।ঘুমিয়ে থাকা মানুষটার পাশে বসতে কোনো ইতস্তত বোধ করলো না।বসে বসে প্রবন্ধর দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ।ঘোমটা টা মাথা থেকে কখন যে পরে গেল তা আর খেয়াল হলো না ওর।চোখ জোরা তার কাজলে চক চক করছে।
বেলা এখন একটু পরেছে।সূর্যের হাল্কা রশ্নি প্রবন্ধর মুখের সামনে এসে পরেছে।ঘুমটা যদি কাচা অবস্থাতেই ভেঙে যায়! উপমা জানালার পর্দা টেনে দিলো।কখনো এতো কাছ থেকে প্রবন্ধকে দেখা হয়ে উঠে নি ওর।আজ যতোটা কাছে থেকে মনোযোগ দিয়ে দেখছে।
হঠাৎ পিউলি রুমে এসে উপমাকে 'বড়পা' 'বড়পা' বলে ডাকতে লাগলো।উপমা পিউলির কোনো জবাব না দিয়ে ওকে হাত ইশারা করে চুপ করতে বলল।চিৎকার করলে প্রবন্ধর ঘুম ভেঙে যেতে পারে।উপমা এইবার উঠে পরলো প্রবন্ধর কাছ থেকে।রুমে এখন কেউ নেই।সবাই সবার সাক্ষাৎকার প্রবন্ধকে দিয়ে যে যার কাজে চলে গিয়েছে।
উপমাও এইবার উঠে পরলো প্রবন্ধর কাছ থেকে। ঘুমোচ্ছে ঘুমাক।ক্লান্তির ঘুম নিয়ে উঠলে শরীরটা ভালো লাগবে।
.
উপমার মা রসুইঘরে।তিনি তার সাধ্যমত জামাই আদরে কোনো কিছুর কমতি রাখছেন না।উপমা গিয়ে বলল-
-মা..
মা উপমার দিকে তাকিয়ে আদুরে স্বরে বলল-
-এইহানে আয় মা.. আমার উপমা।তর লগে এহনো একটা কতাও কইতে পারলাম না।এইদিকে আইসা বস।কথা বলমু।
তিনি মাটির চুলায় চিতই পিঠা বানাচ্ছেন।উপমা একটি পিড়ি নিয়ে তার পাশে বসলো।বলল-
-কেমন আসো মা!
-তোরে সারা ভাল্লাগে না রে।এহন তর কথা কঅ..মানুষগুলা ক্যামন?
-অনেক ভালা।
-সবাইরে দেইখা রাখবি।সবার কথা শুনবি।সবার কাম কইরা দিবি।
উপমা নিচের দিকে তাকিয়ে ছোট একটি কাঠি দিয়ে মাটিতে আঁকাবাঁকা দাগ বসিয়ে চুপচাপ মায়ের কথা শুনে যাচ্ছিল।কিছুক্ষণ পর বলল-
-মা..একটা কথা কই?
-হুম।কঅ..
-আমার না..হের(প্রবন্ধ)  সামনে গেলে শরম লাগে
-ধুর..এইসব কয় না...জামাই সাব যা যা বলবো তা তা করবি আর শুনবি। আমার বিয়ার সময় আমি আরও ছোড সিলাম।সব কিসুই সামলাইসি।
উপমা মায়ের কথা বুঝলো কি বুঝলো না কে জানে!উপমা আগের মতো করেই হাতের কাঠিটা নিয়ে মাটিতে আঁকাবাঁকা দাগ ফেলে যাচ্ছে।
.
.
প্রবন্ধ ঘুম থেকে উঠে পরলো।কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে টেরই পায় নি।একটু পরই সন্ধ্যে গড়িয়ে আসবে।
উপমা হাতে একটি কুপি নিয়ে এলো সাথে মায়ের বানানো পিঠাও এনেছে।উপমা কুপিটা টেবিলে রেখে পিঠাটা প্রবন্ধর সামনে দিয়ে বলল-
-মা বানাইসে..খান।
প্রবন্ধ বলল-
-হুম।খাচ্ছি।তুমিও বসো।এক সাথেই খাই।
উপমাও বসলো।ঘোমটা মাথায় বড় করে টানা।হাত এইদিক ওদিক করলে ওর হাতের একগুচ্ছ চুরি ছনছন করে ধ্বনি তোলে।এই আওয়াজটা প্রবন্ধর খুব পছন্দের।প্রবন্ধ একটি পিঠা নিয়ে খাওয়া শুরু করলো।কিন্তু উপমা ওর মতো করেই বসে আছে।প্রবন্ধ ওকে দেখে বলল-
-আমি কি একাই খাবো!তুমিও একটা নেও।
-না আপনে খান।মায় আপনার জন্যই বানাইসে।
-তা..তে কি।আমি আর তুমি তো একই কথা।তুমি যা আমিও তা।
উপমা চোখ টিপ টিপ করে প্রবন্ধর দিকে তাকালো আর নিচু গলায় মাথা ঝুকে বলল-
-আমি খামু না।আপনে খান।
কিন্তু প্রবন্ধ ওর কথা বিন্দু মাত্র শুনলো।একটি পিঠার কিছু অংশ ছিঁড়ে উপমার মুখের সামনে নিয়ে বলল-
-এই নাও।খাও।
উপমা নিচে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো।সে খাবে না।
প্রবন্ধ জোর করে বলল -
-তোমাকে খেতেই হবে।খাও তো।
উপমা প্রবন্ধর হাত থেকে খাবার মুখে নিলো।
প্রবন্ধ ওর লজ্জাবতী মায়াবী চেহারাটা দেখে যাচ্ছে।উপমার জড়তা কিছুটা কেটেছে মনে হচ্ছে।ওইদিনগুলোর মতো ভয় পেলে আজ হয়তো কাছে এসেও বসতো না,কথাও বলতো না।আজ থেকে মেয়েটার মুখে একটু একটু করে কথা ফুটে উঠছে।
প্রবন্ধ বলল-
-তোমাদের গ্রামটা একবার ঘুরে দেখতে চাই।কাল আমাকে গ্রামটা ঘুরিয়ে দেখাতে পারবে।
উপমা মাথা নাড়ালো।সে পারবে।
প্রবন্ধ খেয়াল করলো উপমার দুই বোন ঘরের জানালা দিয়ে উকি মেরে ওদেরকে দেখছে।বাচ্চাগুলো এখনো কাছে এসে কথা বলে নি প্রবন্ধর সাথে।উপমাকে দেখলে যতোটা কিশোরী মনে হয় ওর থেকেও কিশোরী মেয়ে হচ্ছে ওরা।তবে ওদের বয়সের পার্থক্য আন্দাজ করলে দুই তিন বছরের ছোট বড় হতে পারে।
প্রবন্ধ ওদেরকে দেখে উপমাকে বলল-
-জানালার দিকে তাকিয়ে দেখো উপমা।
উপমা পিছনে ফিরে জানালার দিকে তাকিয়ে দেখলো পিউলি আর তোড়া চুপটি মেরে আছে।উপমা চোখে ইশারা করে ওদেরকে এইখান থেকে যাওয়ার জন্য বলল।কিন্তু ওরা এর এক অংশও বুঝলো কি না সন্দেহ। দাঁড়িয়েই আছে।প্রবন্ধ হাতে ইশারা করে ওদেরকে বলল-
-এইখানে এসো তোমরা।
পিউলি আর তোড়া অবুঝের মতো ছানাবড়া মুখ করে প্রবন্ধর সামনে এসে একজন আরেকজনের দিকে দাড়িয়ে চোখাচোখি করতে লাগলো।
প্রবন্ধ উপমাকে বলল-
-এরা-ই কি তোমার ছোট বোন?
উপমা ওদের দিকে কড়া নজরে তাকিয়ে প্রবন্ধকে মৃদু স্বরে জবাব দিলো-
-জী।
প্রবন্ধ ওদের দিকে তাকিয়ে বলল-
-নাম কি তোমাদের?
পিউলি বলল-
-আমার নাম পিউলি।
পিউলি তোড়াকে দেখিয়ে বলল-
-অর নাম তোড়া।
প্রবন্ধ বলল-
-কোন ক্লাসে পড়ো তোমরা?
পিউলি বলল-
-আমি ক্লাশ ফাইভে আর তোড়া থিরি তে।বড় আপায় ক্লাশ নাইনে পড়তো। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাবায় অরে বিয়া দিয়া দিসে।
মেয়েটা নিজের উত্তরের সাথে উপমার ক্লাসের কথাও যুক্ত করে বলল।প্রবন্ধ সন্তুষ্টচিত্তে বলল-
-ওহ..বুঝেছি।বড় আপাকে খুব মনে পরে তোমাদের তাই না!
তোড়া পটাপট বলে উঠলো-
-বড়আপারে এইহানে আমাগো কাসে রাইখা আপনে বাড়ি চইলা যান।
তোড়ার কথাতে উপমা তোড়ার দিকে তাকালো।তোড়া কোনো কথাই পেটে জমিয়ে রাখতে পারে না।যা মুখে আসে তা-ই বলে যায়।
প্রবন্ধ তোড়ার কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল-
-পারলে হয়তো তা-ই করতাম।।
মেয়ে দুইটা আর কিছু না বলে দৌড়ে চলে গেল।পাকা পাকা কথা জানে।উপমা তো ওদেরই বোন তাহলে উপমা কেন পাকামো করে না।উপমা এইরকম পাকামো কথা বলতে পারলে প্রবন্ধ তো শুধু ওর কথা শুনেই দিন-রাত পার করতো।উপমা হয়তো কথা জানে কিন্তু লজ্জায় বলে না।এইটাই আসল ঘটনা তাহলে।কিন্তু উপমা মন থেকেও অনেক নরম আর একেবারেই সাদামাটা মেয়ে।চোখে কাজল রাখতে বলাতে মেয়েটি চোখ থেকে কাজল সরায় না।আর এই কাজল কালো চোখেই যেন একটা জাদুর মন্ত্র আছে যেই জাদু শুধু উপমা-ই জানে।যেই জাদুতে মগ্ন হয়ে প্রবন্ধ শুধু ওকেই খুঁজে যায়।ওর সাথেই কথা বলতে মনে চায়,ভালোবাসার সাগরে ডুবে থাকতে মনে চায়,আকাশের উপর মেঘ হয়ে ভাসতে মনে চায়।তারার মতো শুধু জ্বল জ্বল করে ভেতরটা।আর উপমা যেন সেই তারা ভরা আকাশেই চাঁদ হয়ে জোৎস্না ঢেলে প্রবন্ধর মনে আলো ছড়িয়ে রাখে। চারিদিক তখন নীরব হয়ে ভালো লাগার গান শোনায়।কিন্তু প্রশ্ন শুধু একটা প্রবন্ধর মতো কি উপমাও সেই গানের সুর মনোযোগ দিয়ে শুনতে পায় নাকি অবুঝ মেয়েটা সেই সুরকে কানে স্পর্শ করে শুনে যায় ঠিকই কিন্তু সেই গান শুনতে গিয়ে সে লজ্জা পায়!!!কারন পুতুল কন্যাটা যে অনেক লজ্জাবতী।লজ্জার মহিমায় তার ঘোমটায় ঢেকে রাখা মুখটুকু দেখে হাত বুলিয়ে আদর করারও সৌভাগ্য হয়ে উঠে না প্রবন্ধর।জাদুকরী জাদুর মন্ত্র জানে কিন্তু কাছে ধরা দেয় না।লজ্জাবতী গাছের মতো কুঁচকে যায়।মনটা এখন সামাল দেয়াও কঠিন।বউটা যে তার পুতুল।ঘোমটার আড়ালে কপালে যখন ছোট ছোট চুলগুলো এসে বাতাসে বাতাসে নেচে যায় তখন মনে চায় চুলগুলো ওর কপাল থেকে সরিয়ে নিয়ে কপালে আদরের চিত্র অঙ্কন করে দিতে।
.
.
রাত হয়ে এসেছে।গ্রামে তখন রাত না গভীর রাত তা ঘড়ির কাটা না দেখলে বোঝার উপায় থাকে না।এইখানে নেটওয়ার্কও তেমন থাকে না।যে মোবাইলটা নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটানো যায়।প্রবন্ধ গেমস খেলতে লাগলো।
প্রবন্ধ খেয়াল করলো  উপমা হাতে কুপি নিয়ে এসেছে।
উপমা বলল-
-খাইতে আসেন।মা ডাকে।
-এক্ষুনি আসছি।
এই বলে প্রবন্ধ উঠে উপমার সাথে গেল।
মেঝেতে পাটি বিছিয়ে খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে।সাথে উপমার বাবাও বসে আছেন।জামাইকে নিয়ে একসাথে রাতের খাবার সেরে নিবেন।
প্রবন্ধও খুশি মনে শ্বশুরের সাথে খেতে বসে পরলো।ভ্রদ্রতার দোষ খুঁজে পাওয়া যাবে না কখনোই। এইটা চোখ বুঝেই বিশ্বাস করার মতো।
উপমা আর ওর মা দুজন মিলে প্রবন্ধ আর বাবার পাতে খাবার তুলে দিলো।এরা চমৎকারভাবে আপ্যায়ন করতে জানে।অভিযোগ তুলে ধরার প্রশ্নই আসে না।তবে ছেলে হিসেবেও প্রবন্ধ নম্র-ভদ্র যুবক।এইটা তারাও নিশ্চয়ই বুঝেছে।
.
খাবারের পর্বটা শেষ করে নিয়ে উপমাও চলে এলো।রাত হয়েছে অনেক।প্রবন্ধ জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বাহিরের প্রাঙ্গণটার দিকে তাকিয়ে দেখছিল।হঠাৎ উপমা ঘরে প্রবেশ করায় উপমার দিকে চোখ পরতেই মনে হচ্ছে যেন কুপির আলোতে জোনাকির মতো জ্বল জ্বল করছে ওর পুতুলের ন্যায়  রুপটি।এই রুপের রহস্য আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করে নিতে পারে নি প্রবন্ধ।পুতুলটি তার কোমল হাত জোড়া দিয়ে বিছানা গুছিয়ে ঘুমোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর প্রবন্ধ জানালার সামনে দাড়িয়ে ওর এই উপচে পরা সৌন্দর্য চোখ মেলে তাকিয়ে দেখছে।জাদুকরী নিশ্চয়ই তার মন্ত্র পরে যাচ্ছে।নয়তো জাদুর এই নেশা আসেই বা কোত্থেকে!
জানালা থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস যেন শরীরে শিহরন জাগাচ্ছে।বাহিরের কোন দিক থেকে যেন মিষ্টি ফুলের ঘ্রান ভেসে আসছে ঘরের ভেতর।উপমার কানে একটা ফুল পরিয়ে দিলে হয়তো সেই ফুলের ঘ্রাণ নেওয়া যেতো সারারাত।
উপমা ওর মিষ্টি আওয়াজ মুখে এনে প্রবন্ধকে বলল-
-বিছানা গুছাইয়া ফেলসি।এখন ঘুমাইয়া পরেন।
কিন্তু উপমাকে যে বোঝানোটা কঠিন।এখন কি আর ঘুম আসবে!ঘুমের নেশায় মাতাল থাকতে এখন কার ইচ্ছে হবে।বাচ্চা মেয়েটা শুধু মন্ত্র পরে জাদু করতেই জানে।কেন সে কাছে এসে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার গীত শোনায় না!!!!!
তবে মনে মনে প্রশ্নটা করে এইখানেই থেমে যেতে হয় প্রবন্ধকে কারন মেয়েটার মন জয় করে নিতে ঢের বাকি।এখন নিজের অবুঝ মনটাকে শান্ত করে নিতে পারলেই হলো..
উপমা বিছানা করা মাত্রই শুয়ে নিদ্রায় বিভোর হয়ে গেল।আর প্রবন্ধ জেগে থেকে উপমার ঘুমন্ত মুখটির দিকে তাকিয়ে তাকিয়েই নিজের কল্পনাকে ভাসিয়ে রাখলো।
চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ