<3 #অবুঝ_ভালোবাসা <3 ৬ষ্ঠ পর্ব
আমি জানি ও এখন কি ভাববে! আমি রিয়ার সাথে রাত কাটিয়েছি....
নীলা ভুত দেখার মতো চমকে উঠেছে! এমন কিছু দেখবে সে হয়তো কল্পনা ও করেনি। তার হাতে একটা খাবার প্লেট। শরীরে জ্বর নিয়েও আমার জন্য কি যেনো রান্না করে এনেছে মেয়েটা।
আস্তে করে মাথা নিচু করে চলে গেলো সে। আমি জানি ও এখন বাসায় গিয়ে বালিশ জড়িয়ে কাঁদবে।
-মেয়েটা কে? রিয়ার প্রশ্ন...
-আমাদের বাড়িওয়ালার মেয়ে।
-এভাবে চলে গেলো কেন?
-বলতে পারবো না, আচ্ছা এখন কি তুমি সরাসরি অফিস যাবে?
-হ্যা...
-আচ্ছা তুমি যাও, আমি আসছি।
-ঠিকাছে...
রিয়া চলে গেলো। আমার এখন কি করা উচিৎ বুঝতে পারছি না। কি বলে নীলা কে বুঝ দিবো? অফিসে যাওয়ার পথে নীলার বাসার কলিংবেল অনেকবার টেপা সত্বেও কেউ দরজা খুললো না। আমি মন খারাপ করে
চলে গেলাম.....
অফিসে গিয়ে দেখি বাবা বসে আছেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম....
-বাবা তুমি এখানে?
-হ্যা, জরুরী একটা কাজে এসেছি। আমার হাজার দশেক টাকা লাগবে। তোর মায়ের শরীর আবার অসুস্থ হয়ে গেছে, হাসপাতালে নিয়ে কিছু টেস্ট করাতে হবে।
অফিসে আমার কয়েকমাসের বেতন জমা আছে। একা মানুষ তেমন খরচ লাগে না বলে রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে টাকা উঠিয়ে বাবার হাতে দিলাম। বাবা চলে যাবে এমন সময় রিয়া এসে উপস্থিত। বাবার সঙ্গে রিয়াকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আমি আমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কিন্তু পুরোপুরি মন বসছে না। বারবার নীলার কথা মনে হচ্ছে! কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি মেয়েটা গাল-মুখ ফুলিয়ে একা একা বসে আছে!
অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে ওর জন্য একটা ফুলের তোড়া আর বেশ কিছু ডেইরি মিল্ক চকলেট নিলাম। মেয়েদের রাগ ভাঙাতে এগুলোর জুড়ি মেলা ভার!
এবার একবার কলিংবেল টিপতেই সামিহা গেট খুলে দিলো....
-এই! সকালে গেট খুললে না কেন?
-আমি কি করবো? নীলা ই তো খুলতে দেয় নি! তুমি দাড়িয়ে থাকলে আমার ও কি ভালো লাগে বলো?
সর্বনাশ! ওর কথা-বার্তার ধরন মোটেও সুবিধার নয়। অনেকটা স্ত্রী স্বামীর কাছে কোনো কিছুর বায়না ধরলে যেমন করে অনেকটা সেরকম। আমার মনে হয় নীলা যদি আমার সাথে প্রেম না করতো তাহলে ও একটা চান্স নিতো..... :p
যা ভেবেছি তাই, মেয়েটা একা একা মন খারাপ করে বসে আছে....
-নীলা? এই নীলা?
নীলা কোনো কথা কথা বললো না....
-রাগ করেছো? তুমি যা ভাবছো ভুল!
-আমার চোখ ও কি ভুল?
এই প্রথম ও মুখ খুললো....
-হ্যা, চোখও অনেক সময় ভুল করে নীলা! :)
-রাতে ওই মেয়ের জন্যই আমাকে ঘুমে রেখে চলে গিয়েছিলে তাই না?
-উফ নীলা! মোটেই না....
আমি সব ঘটনা ওকে খুলে বললাম। ওর ভুল ভেঙে গেলো, আমার কাছে লজ্জিত হলো সে। যাক! অবশেষে বোঝাতে তো পেরেছি? এই ই শান্তি.....
-নীলা তোমার জন্য গিফট এনেছি! ;)
-কই দেখি দেখি? :D
-এই যে নাও....
গিফট পেয়ে বাচ্চা মেয়েদের মতো খুশি হয়ে উঠলো পাগলি টা।
অফিসের কাজের ব্যস্ততা, নীলার সাথে খুনসুটি ভালোই কেটে যাচ্ছিলো দিনগুলি!
একদিন রাতে বাবা ফোন দিলো....
-হ্যালো?
-হ্যা বাবা বলো....
-কাল সকালে বাড়ি চলে আয় তো বাবা।
-কিন্তু কেন?
-তোর মা জানে জানে, তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়....
ফোনটা কেটে গেলো। মা যেহেতু বলেছে সেহেতু যেতেই হবে। কিন্তু কারনটা জানতে মন খচখচ করছে!
সকাল ৯ টা নাগাদ আমি বাসায় এসে উপস্থিত। আমাকে হঠাৎ আসতে বলার কারন টা মায়ের কাছে জানতে চাইলাম। মা কিছু বললো না। শুধু বললো- 'আমার সাথে আয়।'
আমি মায়ের পিছু পিছু গাড়িতে উঠলাম। বাবাও উঠলো। আমার মনে হচ্ছে আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। অন্য কেউ হলে হয়তো সত্যি ভেবে নিতাম। কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছি আমার পাশে আমার বাবা-মা বসে আছে।
'সিকদার ভিলা' নামের একটা বাড়ির পাশে গাড়ি টা থামলো। বাড়ি টা বেশ বড়, চারপাশে ফুলের বাগান। এক মধ্য বয়সী ভদ্র মহিলা দরজা খুলে দাড়িয়েই ছিলো, সাথে এক বয়স্ক ভদ্রলোক। সম্ভবত মহিলার হাজবেন্ড। আমরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতর টা বেশ পরিচ্ছন্ন আর গোছানো। ডুপ্লেক্স স্টাইলের বাড়ি।
-কই আপা আপনাদের মেয়ে কে নিয়ে আসুন! আমার তো দেখার জন্য তর সইছে নাহ....! :D
মায়ের কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম! 'আপনাদের মেয়ে কে নিয়ে আসুন' আজব! এর মানে কি? এসব কি হচ্ছে এখানে? এতক্ষনে সব মাথায় ঢুকলো আমার। আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে আসা হয়েছে এখানে। অথচ আমিই জানি না! যেন বিয়ে টা আমি না, আমার বাবা-মা ই করছে.....
একটু পর ঘোমটা দেয়া এক রমনীর আবির্ভাব ঘটলো। আমাদের নাক বরাবর বসানো হয়েছে তাকে।
-মা ঘোমটা সরাও? তোমার চাঁদ মুখ টা একটু দেখি? মা বললো....
তারপরের ঘটনা আরো ভয়াবহ! এই অকাজের মুলে যে আমার বাবা রয়েছে তা আর বুঝতে বাকি রইলো না।
মেয়ের মুখ দেখে মা খুশি হলেও আমি খুশি হতে পারলাম না বরং আতকে উঠলাম কারন ওই 'চাঁদ মুখ' টা আমার খুব চেনা.....
ঘোমটা দেয়া মেয়েটা আর কেউ না, আমার অফিস কলিগ 'রিয়া'..... :)
কেমন লাগলো জানালে খুশি হবো..... :)
লেখকঃ Saiful shamim (হিমুর জোছনা রাত)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ