গল্পের:৪র্থ অংশ
*-*-*-* দিয়া বাড়ি *-*-*-*
# ভালবাসা_দিবসের_
স্পেশাল_গল্প
লেখা:ফ|য়স|ল আহম্মেদ শ|ওন
কাজ শেষে দুইজন এক সাথেই বের হয়ে পরলাম। ধানমন্ডি আমাদের মেইন অফিসে ঢুকেই মেয়েটা আমাকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে বল্লো, এখানে তুমি বসো আমি তাড়াতাড়ি হিসাবটা দিয়েই এসে পড়তেছি।
"আচ্ছা ঠিক আছে যাও।
আমার কথাটা শোনার পর মেয়েটা চলে গেলো। আমার ভাবনা গুলো মেয়েটা একের পর এক ভেঙ্গে দিচ্ছিলো। প্রথমত মেয়েটা কে নিয়ে কি সব ভাবতাম। মেয়েটা খুব মুডি হবে, এই টাইপের মেয়েগুলো চাহিদা অনেক। কিন্তু নাহ! মেয়েটার মাঝে এগুলোর কোনো দিকটাই নেই।
.
প্রায় মিনিট বিশেক পর মেয়েটা এসে বলে উঠলো, চলো।
"কাজ শেষ?
"হুম।
তারপর অফিস থেকে বের হয়ে যেই মেইন রোডের দিকে হাটা ধরবো ঠিক তখনি শাহারিয়ার ভাইয়া এসে সাফাকে বলে উঠলো, এরকমটা ঠিক হচ্ছে না কিন্তু।
.
সাফা উনার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে আমাকে বলে উঠলো,ফায়সাল চলো তাড়াতাড়ি।
শাহারিয়ার ভাইয়া আমাকে দেখেই বলে উঠলো, তুমি এখানে আসছো কেন?
আমিযেই শাহারিয়ার ভাইয়াকে কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনি সাফা একটু কঠোর গলায় তাকে বলে উঠলো, আমি নিয়া আসছি তোমার কোনো সমস্যা?
.
শাহারিয়ার ভাইয়া আর কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর মেয়েটাও আর কিছু না বলে আমার হাত ধরে টান দিয়ে সোজা হাটা শুরু করলো।
.
মেইন রোডে আসার পর আমি ওকে বলে উঠলাম, মার্কেটে যাওয়ার মুড আছে তোমার?
মেয়েটা আমার হাতটা ছেড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, মুড থাকবে না কেন? রোডের ওই পার চলো, ওইখান থেকে নিউমার্কেটের বাস যায়।
.
বাসে উঠার পর আমি ওকে আবার বলে উঠলাম, তোমার সাথে এখানে আসছি বিদায় শাহারিয়ার ভাইয়া খুব রাগ করছে।
"ওর রাগ দিয়ে আমার কি আসে যায়? এখন থেকে প্রতিদিন তুমি আমার সাথে আসবা। বুঝছো!
মেয়েটা কথাটা একটু জোর দিয়েই বল্লো।আমি কিছু না বলে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। মেয়েটা আমাকে আবার বলে উঠলো, কি হলো আসতে পারবা না?
আমি আর চুপ করে না থেকে বলে উঠলাম,হুম! পারবো।
.
মার্কেটে যাওয়ার পর মেয়েটা একটা বাদামি এর মধ্যে পেশ কালারের শাড়ি পছন্দ করলো আমার মায়ের জন্য। সেটা কিনার পর বাবার জন্য পাঞ্জাবি আর একটা লুঙ্গী কিনলাম। পাঞ্জাবিটাও সাফা নিজেই পছন্দ করে দিয়েছিলো। তারপর ওকে নিয়ে একটা বাটিকের থ্রি পিছ এর দোকানে ঢুকলাম। সেইখানে ঢুকার পর মেয়েটা আমাকে বলে উঠলো, থ্রি পিছ কার জন্য নিবা?
"তোমার জন্য!
"ধুর! আমি দুষ্টামি করে বলছিলাম তখন। চলো কিছু নিতে হবেনা।
"চুপ!
.
মেয়েটা আর কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। তারপর আমি বাটিকের ছাপার একটা থ্রি পিছ দেখিয়ে ওকে বলে উঠলাম, ওই থ্রি পিছ গুলোতে মেয়েদের খুব সুন্দর লাগে। জানো আমি বিয়ের পর আমার বউকে এই টাইপের অনেক গুলা থ্রি পিছ কিনে দিবো।
"কিনে দিলে, তারপর কি হবে!
"ওমা! ও পড়লে খুব সুন্দর লাগবে। একেক দিন একেক রঙ্গে সাজবে।
আমার কথাটা শুনে ও একটু আওয়াজ করেই হেসে উঠলো। আমি ওকে আবার বলে উঠলাম, থ্রিপিছটা পছন্দ হইছে?
"হুম হইছে।
তারপর দোকানদারকে বলে থ্রিপিছটা প্যাক করে বিলটা দিয়েই দুইজন বের হয়ে গেলাম।
.
মার্কেট থেকে বের হয়েই বাসায় যাওয়ার জন্য আবার বাসে উঠলাম। বাসে উঠে বসার পর মেয়েটা আমাকে বলে উঠলো, তুমি না প্রতি বৃহস্পতি বার তোমাদের বাসায় যাও আজ যাবে না?
"না একদম কাল সকালে যাবো। জানো মা এসব দেখে খুব খুশি হবে।
"কেন তোমার বাবা খুশি হবেনা?
"হুম! হবে মার থেকে বেশি তবে প্রকাশ করবেনা মায়ের মতো।
"কেন?
"আমার তো ভাই বোন ছিলোনা। ঘরে কার সাথে দুষ্টামি করবো? তাই ছোট থেকেই বাবার সাথেই দুষ্টামি করতাম, বাবাকে খোচা মেরে মেরে কথা বলতাম। তাই আর কি!
"তুমিতো তাহলে খুব লাকি। জানো যেইদিন প্রথম মাসের বেতনটা আমিও পেয়েছিলাম। সেইদিন মা আর বাবার জন্য কিনাকাটা করেছিলাম। রাতের ১২ টা বাজে তারা কাজ থেকে ফিরেছিলো। আমি তাদের কাছে যেয়ে তাদের জন্য কিনে আনা জিনিসগুলো যখন তাদের দিলাম তারা তখন কি বল্লো জানো?
"কি বল্লো?
.
মেয়েটা একটু জড়তে নিশ্বাস ছেড়ে আমাকে বলে উঠলো, তারা বল্লো এগুলো কিনার কি দরকার ছিলো? যাও অনেক রাত হইছে ঘুমিয়ে পড়ো।
আমি বুঝতে পেরেছিলাম মেয়েটার ফিলিংসটা। আমি ওকে আবার বলে উঠলাম, জানো ছোট বেলায় আমার ফ্রেন্ড গুলো প্রতি বন্ধের দিনি আমাদের বাসায় এসে পড়তো। আর বাসায় এসে মাকে কি বলতো জানো?
"কি বলতো?
"আন্টি ফায়সাল বল্লো আপনি নাকি খুব মজা করে সুপ রান্না করতে পারেন? তাহলে আজকে কিন্তু আমাদের রান্না করে খাওয়াতে হবে। আসলে ওদের আমি কিছু বলতাম না। বাহিরে ওদের খাওয়াতে গেলে কিপটেগিরি করতামতো তাই ওরা এরকম ভাবে সুদে আসলে তুলে নিতো। আর মা ও ওই শয়তানগুলোকে নিজের হাতে খাওয়িয়ে দিতো।
.
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো। আমার কথা বলা শেষ হতেই মেয়েটা আমাকে বলে উঠলো, আন্টিকে খুব দেখতে ইচ্ছা করতেছে। কাল তোমার সাথে আমাকে নিয়ে যাবে?
"তুমি যাবে?
"হুম যাবো। কেন কোনো সমস্যা?
"আরে না তা হবে কেন! সকালে রেডি থেকো।
মেয়েটা একটু হেসে আমার মায়ের সম্পর্কে একের পর এক কথা জিজ্ঞাস করতে লাগলো। আর আমিও বলতে লাগলাম।
.
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি সাফা অফিসে এসে বসে আছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৮.১৫ বাজে। আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে ওর সামনে যাওয়াতেই ও আমাকে বলে উঠলো, আমি কিন্তু রেডি।
"হুম আমারো হয়ে গেছে। নাস্তা করছো?
"হুম করছি। তুমি?
"বাসায় যেয়ে পেট ভোরে একবারে করবো।
আমার কথাটা শুনে মেয়েটা একটু হেসে বলে উঠলো, এখন কি আমরা বের হতে পারি?
"হুম।
তারপর মা আর বাবার জন্য কিনে আনা কাপড়গুলো নিয়ে দুইজন বের হয়ে পরলাম।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
671{4}
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ŧ:ā§Ļā§Š AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ