āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§§ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

687

মিমির ইন্ট্রাগ্রামে একাউন্টে ঢুকেই পড়লাম । আমি যতদুর জানি আমাদের ক্লাসের অনেকেই ওর একাউন্ট ফলো করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল কিন্তু ওর কারো রিকোয়েস্ট গ্রহন করে নি ! আমার টা কেন করলো আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না ।

তবে যা হয় ভালর জন্যই হয় ! আমি প্রতিদিন নিয়ম করে ওর একাউন্টে ঢুকি । যত গুলো ছবি আপলোড সেগুলেতে লাইক দিয়ে বের হয়ে আসি ! আর ছবিও কি একখান । মাশাল্লাহ ! এই জন্যই আমি বলি কেন সে ক্লাসে কাউকে এড করে না !
মিমি হল আমাদএর ক্লাসে সবার ড্রিম গার্ল ! কালো রংয়ের একটা পাজেরো করে প্রতিদিন ক্লাসে আসতো, ক্যাম্পাসে পা দেওয়ার সাথে সাথেই সব কিছুই যেন ওকে ঘিরে ঘটতে থাকতো ! ওকে দেখে মনে হত ও মনে হয় এসব উপভোগ করছে !

অন্য সবার মত আমার মনেও সে ছিল, আসলে মিমি এমন একটা মেয়ে ছিল যে তাকে মন থেকে বের করে অন্য কারো কথা ভাবা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না ! আমার কাছে মিমির সব থেকে আকর্ষনের জায়গা ছিল ওর ঠোঁট । একাবারে গোলাপী জেলির মত । কেন জানি চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে মন চাইতো ! জীবনে তখন কেবল একটা লক্ষ্যই ছিল যে ওর ঠোটে চুমো খাওয়া !
একদিন মিমি এমন একটা ছবি আপলোড দিলো যে আমি কমেন্ট না করে পারলাম না ! সেই ছবি ! দেখলাম সেই কমেন্টের রিপ্লাইতে সে কেবল একটা হাসির ইমোটিন দিল । তাপর থেকেই টুকটাক কমেন্ট করতাম । কিন্তু ক্লাসে কোন দিন কথা মিমি আমার সাথে কথা বলতো না ! তবে ওর চোখ যে আমার দিকে নিবদ্ধ থাকতো মাঝে মাঝে সেইটা বুঝতে কষ্ট হত না !

খাওয়া দাওয়ার ছবি আপলোড করলে আমি নিচে লিখতাম যে খেতে ইচ্ছে করছে পরদিন কিভাবে যেন আমার ব্যাগের ভেতরে কিছু চলে আসতো ! প্যাকেটে করে একটা টুকরো কেক, চকলেট আরও কত কিছু । এই ভাবে আমাদের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে এগুতে লাগলো ! যদিও ওর ফেসবুক একাউন্টে এড ছিলাম তবুও ওখানে খুব বেশি একটিভ দেখতাম না ! কোন স্টাটাস কিংবা ছবি আপলোড করতো না । কালে ভাদ্রে দু একটা ছবি পোস্ট করতো ! আমার কেন জানি মনে হত যে এটা ওর আসল একাউন্ট না ! সত্যি তাই হল । একদিন ওর
আসল একাউন্টের খোজ পেয়ে গেলাম । এডও হয়ে গেলাম !
একদিন তারপর সাহস করে ওকে ইণবক্স করেই ফেললাম !
সাথে সাথেই রিপ্লাই এলো । এরপর চলল ইনবক্সে কথা চালাচালী !

একদিন মিমি আমার কাছে জানতে চাইলো
-তুমি ইনবক্সে এতো কথা বল তাহলে সরাসরি বল না কেন ?
-কারন বাস্তব জীবন টা খুব সহজ না !
-কেন ?
-্তোমার জন্য সহজ কিন্তু আমার জন্য না ! এখানে হয়তো কোন সমস্যা নেই কিন্তু বাস্তবে তোমার আর আমার ক্লাস আলাদা তুমি জানো না ?
-কি রকম ? মানে কি ?
-মানে হল তুমি চল পাজেরোতে আর আমি চলি ৬ নাম্বার বাসে ! এটাই হল পার্থক্য !
-ক্লাস কিন্তু চাইলেই পার করা যায় !
-নাহ ! অত স হজ না ! আমি চাইলেও তোমার লেভেলে উঠতে পারবো না ! তবে তুমি অবশ্য চাইলে আমার লেভেলে নেমে আসতে পারবে ! কিন্তু কতক্ষন থাকতে পারবে সেটাই প্রশ্ন !
তারপরই একদিন প্রথম ওর সাথে কথা হল । আমি বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম । স্যার ছিল না ক্লাসে ! মিমি খুব সহজ ভাবে আমার কাছে এসে একটা বই এগিয়ে বলল
-এই নাও ! কালকে যেটা পড়তে চেয়েছিলে !

আমি একটু অবাক হল এই দেখে যে মিমি নিজ হাতে বইটা আমার কাছে পৌছে দিতে এসেছে ! অন্যান্য দিনে ও কোন এক ফাকে আমার ব্যাগের ভেতরে রেখে দিত ! আজকে সবার সামনেই এল ! আমি কেবল একটু হাসলাম ! আমার হাসি দেখে ও হাসলো !
এদিকে পুরো ক্লাস আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে । কেউ আসলে ভাবতেই পারছে না মিমি আমার সাথে কথা বলছে তাও আবার কেবল কথা না আমার জন্য কিছু নিয়ে এসেছে !

আরেক দিন ইনবক্সে ওর সাথে এটা ওটা কথা বলতে বলতে হঠাৎই সেই ওর ঠোটের কথাটা বলে ফেললাম ! বলেই মনে হল ভুল করলাম ! এইবারই মনে হয় ভুল করে ফেললাম ! এখনই মনে হয় ও আমাকে ব্লক করে দিবে । যদিও ব্লক করলো তবে আর কথাও হল না !

পরদিন বৃষ্টির ভেতরে ক্লাসে গিয়ে দেখি তেমন কেউ আসে নাই কিন্তু মিমি এসেছে । আমার দিকে কেমন চোখে তাকাতে লাগলো !
ছুটির পরে আমি বৃষ্টি হচ্ছি । আমি দাড়িয়ে রইলাম বারান্দায় ! মিমি পাশে এসে বলল
-বৃষ্টি হচ্ছে ! চল তোমাকে পৌছে দেই !
-না, সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো !
-একদিন আমার গাড়িতে উঠলে কি হবে !
-কিছু হবে না ! প্লিজ অনুরোধ কর না !

মিমি কিছু না বলে চলে গেল ! আমি ভেবেছিলাম চলে গেছে কিন্তু যখন বৃষ্টি থামলো আমি গেটের কাছে এসে দেখি ও দাড়িয়ে আছে । আমার জন্যই যে সেটা অবশ্য বলে দিতে হল না !
মিমিকে বলল
-তোমার গাড়ি কোথায় ?
-ছেড়ে দিয়েছি !
-সেকি কেন ? এখন বাসায় যাবে কিভাবে ?
-তুমি যেভাবে যাবে !
আমি হেসে বললাম
-৬ নাম্বার বাসে চড়তে পারবে ?
-পারবো !
ওর বলার ভঙ্গি দেখেই মনে হল ও পারবে !

তবে বাসে উঠলাম না ! রিক্সায় উঠলাম ! বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশের অবস্থা খুব বেশি ভাল ছিল না ! আমরা রিক্সায় উঠে হুড তুলে দিলাম ! মিমির এতো কাছে আমি এর আগে কোন দিন আসি নি, মিমি কেন অন্য কোন মেয়েরও এতো কাছে আমি আসি নি ! অনুভব করলাম বুকের ভেতর কেমন একটা ঢিপঢিপ করছিলো ! একটু পরেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল । আমরা পলি নিয়ে কোন রকম বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিলাম !

মিমির কাছে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম ! ওর মুখে দিকে তাকিয়ে দেখহি ওর ঠোঁট দুটো একটু কাঁপছে । আমার ভেতরে কি হল আমি ঠিক বলতে পারবো না ! অনেক টা ওকে অবাক করে দিয়েই ওর ঠোঁটে গভীর ভাবে চুম খেলাম ! প্রথমে ও অবাক হলেও ও সামলে নিল ! যখন ওর ঠোঁট থেকে নিজের ঠোঁট সরালাম ও আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-ইঙ্গিত তো দিবা !
-তোমার মনে হয় যে বলে কয়ে এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল !
-আমি ভাবতাম তোমার পক্ষে এটা সম্ভবই ছিল না !
-কিই ই ই !

তারপর আরেক দফা চুমু পর্ব চলল ! চারিদিকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এর ভেতরে দুজন ছেমে-মেয়ে রিক্সার ভেতরে একে অপর কে চুম খাচ্ছে ! অন্য কোন দিকে তাদের লক্ষ্য নেই !

তারপর থেকেই আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হয়ে গেল । আস্তে আস্তে সবাই জেনে গেল যে মিমির সাথে আমার কিছু চলছে । ক্লাসে সব ছেলে গুলো আমার দিকে তীব্র ঈর্শার দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো ! আমার অবশ্য এতে ভাল লাগতো ! আমাদের অবশ্য সেদিকে লক্ষ্য কম থাকতো ! আমি তখনও ওর ঠোটে চুমু খেয়েই কূল পাই না !
মাঝে মাঝে মিমি হেসে বলত
-তুমি আসলেই একদিন আমার ঠোঁট টা খেয়েই ফেলবে ! কি আছে এর ভেতর বল তো !
আমি হেসে বলতাম
-সময় থাকতে থাকতে যতটুকু পারা যায় !

আমি হাসলেও মিমি এই কথা শুনে হাসত না ! আমি জানতাম ও ঠিকই বুঝতে পারতো আমি কি বোঝাতে চাইছি ! তবে আমি মানষিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়েই রাখলাম যে কদিন পরেই আমার ব্রেক আপ হয়ে যাবে । হয়তো কদিন পরেই মিমির বাবার পছন্দের কোন আমেরিকা ফেরৎ ছেলের সাথে ওর বিয়ে হয়ে যাবে ! ওর কিছু করার থাকবে না আমারও না !

সেই মানষিক প্রস্তুতি আমি নিয়ে রেখেছিলাম । কিন্তু তেমন টা হল না ! পড়ােলখা শেষে সত্যি সত্যিই মিমির বাবার পছন্দের এক আমেরিকা ফেরৎ ছেলে ওকে দেখতে এল ! মিমি আমাকেও নিয়ে গেল তার সাথে দেখা করতে ! কেন নিয়ে গেল আমি ঠিক জানি না !
ছেলে দেখতে খুব সুদর্শন ! আমি তার কাছে কিছুই না ! ওদের থেকে একটু দুরে টেবিলে বসে ছিলাম । হঠাৎ করেই দেখলাম মিমি
আমাকে হাতের ইশারা করে ডাকছে । ততক্ষনে সুদর্শন পুলার মুখ কেমন কালো হয়ে গেছে !
আমি কাছে যেতেই মিমি আমার হাত ধরে বলল
-একে দেখছেন না ! একে আমি বিয়ে করবো ! যে কোন মূল্যে !

ঠিক তখনই আমি মিমির চেহারার দিকে তাকিয়ে ছিলাম ! ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হল এতো দিন আমি ভুল জেনে এসেছি ! এই মেয়ে নিশ্চয়ই আমাকে বিয়ে করবে । যে কোন মূল্যেই ! কিন্তু ঐদিন যে ও আমাকে বিয়ে করতে চাইবে !
যখন বিয়ে করে কাজী অফিস থেকে বের হলাম তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! এবং অবাক করার বিষয় হচ্ছে আমাদের বিয়ের সাক্ষী হয়েছে মিস্টার সাব্বির, আমেরিকা ফেরৎ ঐ সুদর্শন পুলা !

প্রথম প্রথম মিমির মানিয়ে নিয়ে একটু কষ্ট হত আমি বুঝতাম । কিন্তু বছর খানেকের ভেতরেই আমি বেশ ভাল একটা চাকরী পেয়ে গেলাম ! তবে অবশ্য জানতাম এতে মিমির বাবার হাত ছিল । একটু খারাপ লাগছিল নিজের কাছে তবে মিমির জন্য এতটুকু মেনে নিলাম ! মেয়েটা আমার জন্য এতোকষ্ট করছে এতো ছাড় দিচ্ছে আমিও না নিজের কিছুটা ছাড় দেই ! তবে এতো কিছুর পরেই মিমি ঠোটে চুম খাওয়া বন্ধ হল না ! এমন কি বিয়ের ৫ বছর পা হয়ে গেলেই । প্রতিদিন যেমন ভাত খাই ঠিক তেমনি ভাবে মিমির ঠোঁটে আমার চুম খাওয়া আমার চাই ই চাই ! এমন কি মাঝে মাঝে ও যখন আমার উপর রাগ করে থাকতো তখনও !
রাতের বেলা গম্ভীর মুখ গিয়ে বললাত
-আপাতত যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হোক ! চুমু পর্ব শেষ হলে আবারও রাগ পর্ব শুরু হবে !
-খবরদার না ! তুমি আমার কাছে আসবে না বলে দিলাম !
-আরে মানে কি ! রাগ আছে রাগের জায়গায় ! চুম আছে চুমর জাগায় !

মিমি একটু বাধা দেওয়া চেষ্টা করতো কিন্তু কোন লাভ হত না ! ওকে আমার চুম খাওয়া চাই ই চাই ! চুম খাওয়ার পর অবশ্য ও রাগ ধরে রাখতে পারতো না !

আমি এতোটুকু বলে চুপ করলাম ! আমাকে চুপ থাকতে দেখে মৌ বলল
-তারপর কি হল বাবা ! বল ! আম্মু আর কি কি করতো !
আমি কালো চুল হাত দিয়ে এলোমেলো করে বলতাম
-তারপর তুমি এলে আমাদের জীবনে ! তোমার আম্মু আমার থেকে এখন তোমাকে বেশি আদর কে !

-কি বল এই সব !
তাকিয়ে দেখি মিমি দরজায় দাড়িয়ে আছে । আমার দিকে চোখ গরম করে বলল
-মেয়ের সামনে কি সব গল্প বল না ! লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই !
-ইস ! লজ্জা কিসের ! জীবনের সব থেকে চমৎকার গল্পটা আমার মেয়েকে বলছি ! লজ্জা করবে কেন শুনি !

মৌ মাঝ খান দিয়ে বলল
-তাই তো আম্মু ! আব্বুর কেন লজ্জা করবে ? তুমিও তো আমাকে চুমু দাও !
মৌয়ের কথা শুনে আমরা দুজনই হেসে ফেললাম ! মিমি বলল
-হয়েছে ! এবার অনেক রাত ! বাপ বেটির কথা বন্ধ ! মৌ মামনি এসো ঘুমুতে হবে !
-না আম্মু আমি আরও গল্প শুনবো !
-আজকে না ! কালকে ! কাল ছুটির দিক তোমার বাবার থেকে সারা দিন গল্প শুনো !

মিমি মৌকে নিয়ে যায় ওর ঘরে ! আমি অপেক্ষা করতে থাকি ! একটু পরেই মিমি আসবে । আজকে এখনও চুমু পর্ব শুরু হয় নি !

অপু তানভীর

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ