āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

634

গল্প: ভাল থাকিস পাগলী।
লিখা: Hriday Banik (সমানুপাতিক ধ্রুবক)
.
আজ অনেক দিন পর আবারো দেখা হবে অনুর সাথে। প্রায় ছয় মাস হবে দেখা বা কথা কোন টাই হয় না। ছয় মাস আগে ওর সাথে আমার ব্রেকাপ হয়েছিল, কি একটা ঝগড়া করে যেন.....। ও হ্যা, ঝগড়া টা ছিল আমার এত মেয়ে ফ্রেন্ড কেন? আমি ফোনে বেশি কথা বলি কেন?, আমার ছাত্রী আমাকে আপনি না বলে তুমি বলে কেনো? আমি ওকে সময় দেই না এই হেনতেন এগুলাই ছিল ঝগড়ার মূল প্রতিপাদ্য। ওর সাথে দেড় বছরের রিলেশনে ১ বছর বোধ হয় ঝগড়া দিয়েই গেছে। এই মাইয়ার স্বভাব হলো গায়ে পড়ে ঝগড়া করা আর খালি চিল্লাইয়া চিলাইয়া বলা কি দেইখা যে তোমার মত একটা ফাউলের লগে প্রেম করছি ঈশ্বর জানে। শেষ বারের ব্রেকাপের ঘটনাটা ছিল এরকম...
.
ভোর বেলা সেই লেভেলের ঘুম দিছিলাম। সারারাত পিসিতে বইসা আউটসোর্সিং করি আর সকালে ঘুমাই। গতকাল রাতেও ৪ টার দিকে ঘুমাইছি। আর সকাল ৬ টায় ফোনটা বেজে উঠলো। মেজাজ টা পুরাই ৪২০ হইয়া গেছে ইচ্ছা করতাছে ফোন টারে জানালা দিয়া ফালাইয়া দি। তয় তা করবার পারমু না, কজ মোবাইল টা আমার বউ এর চেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট। যদিও বউ নাই। যাই হোক ঘুম ঘুম চোখে ফোন টা ধরলাম, অই কোন অমানুষ রে?
_আমি তোর যম হারামজাদা। তুই কই মরছস?(অনু)
_(লাফ দিয়া উইঠা বসলাম) ও জান তুমি। কেমন আছো জান?(আমি)
_তোর জানের খেতা পুরি হারামী। তুই এখন পার্কে আয় আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন।(অনু)
_জান, কি হইছে? তুমি রাগ করতাছো কেন? আমি কি করলাম বেবি?(আমি)
_নাটক করবি না লুচ্চা। তোর সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। তুই পার্কে আয়। আমি পার্কে আসতেছি। যদি ১০ মিনিটের মধ্যে না আসস তাইলে ১১ মিনিটের সময় তর বাসায় আইসা উঠমু। (অনু)
_জান, দেখো মাত্র ৬ টা বাজে। এখন কিভাবে সোনা? প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো....।(আমি)
_তোর এইসব কুয়ারা বন্ধ কর। আমি মেয়ে হইয়া আসতে পারি তুই পারবি না কেন? তুই আয় না হয় তোর খবর আছে বলে দিলাম।(অনু)
ফোনটা কেটে দিলো। লাফ দিয়ে উঠে লুঙ্গি চেঞ্জ করে শার্ট পড়তে পড়তে বের হলাম। বাসা থেকে পার্ক অল্প একটু। রাস্তায় একটা কুত্তাও নাই আর এই মাইয়া আমারে এই সাদ সকালে বের কইরা আনছে। ঈশ্বর জানে কি কুকীর্তি করছি। হাটতেছি আর ভাবতেছি এই কয়েকদিনে কি কি কুকাম করলাম।।। পরশু দিন সিগারেট খাইছি সাকিব এর সাথে। এটা জানছে নাকি? না এটা না মেবি। আর কিতা করলাম... নিহার সাথে একটু ইটিশ পিটিশ মারছিলাম। এটা জানলো নাকি? না! এটা জানবে কোথা থেকে। ধুর কচু মাথায় আসতেছে না। এই টাইমে পার্কে মানুষ ও নাই, আমারে একলা পাইয়া কাচা খাইয়া ফেলবো অই দজ্জাল মাইয়া। এগুলা ভাবতে ভাবতে পার্কে ঢুকলাম। আমি জানি কই আছে ও। আস্তে আস্তে ওর সামনে গেলাম। আমি ওর সামনে আসলেই রিলাক্সেবল হয়ে যাই। হাটতে হাটতে ওর দিকে এগোচ্ছি। এমন একটা ভাব যেন কিছুই হয়নি। আমাকে দেখেই উঠে দাঁড়ালো। কাছে আসতেই আমার শার্ট এর কলারে ধরে বললো তুই একটা বদমাইশ, ইতর, লুইচ্চা। বাবু কি করছি আমি? এমন করছো কেনো? প্লিজ সোনা বলো। (আমি)
_তোর নাটক মার্কা কথা বন্ধ কর। কয়জনরে বলস এই জান, বেবি এগুলা?(অনু)
_জান কি বলো এগুলা? প্লিজ জান শান্ত হও। (আমি)
_ এবার কলার ছেড়ে দিয়ে পাশে বসলো। কান্না শুরু হইছে। চোখ দিয়ে অশ্রু বিসর্জন হচ্ছে আর বলতেছে, তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালবাসতাম। তোমাকে আমি আমার নিজের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করতাম। কিন্তু তুমি আমার বিশ্বাস ভেঙেছো। তুমি এটা করতে পারলা? ছি!! (অনু)
_কি করছি এটা তো বলো? আমি কিচ্ছু বুঝছি না।
_তুমি কিছু বুঝনা না? নিহার সাথে কি করছো তুমি? ছি! এতটুকু একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে... ছিঃ। কেউ নিজের ছাত্রীর সাথে এগুলা করে? আমার অনেক দিন ধরে সন্দেহ হচ্ছিল। কাল সব দেখলাম, আর সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আমি তোমাকে কি ভাবতাম আর তুমি একটা....। ছি ছি!! (অনু)
_কি করছি এটা তো বলো? আমি কিচ্ছু বুঝছি না।
_তুমি কিছু বুঝনা না? নিহার সাথে কি করছো তুমি? ছি! এতটুকু একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে... ছিঃ। কেউ নিজের ছাত্রীর সাথে এগুলা করে? আমার অনেক দিন ধরে সন্দেহ হচ্ছিল। কাল সব দেখলাম, আর সন্দেহ দূর হয়ে গেল। আমি তোমাকে কি ভাবতাম আর তুমি একটা....। ছি ছি!! (অনু)
_কি বলো তুমি? বিশ্বাস করো আমি এমন কিছু করি নাই।
_রাখো তোমার বিশ্বাস। অনেক বিশ্বাস করছি। এবার আমি যা বলি শুনো। আজকেই তোমার আমার শেষ দেখা। আমি অনেক ভেবে দেখেছি তোমার সাথে রিলেশন রাখা সম্ভব না।(অনু)
_বাবু কি বলো এগুলা? প্লিজ শুনো। আমার কথাটা একবার ঠান্ডা মাথায় শুনো।(আমি)
_না, আমার আর কিছু শুনার নাই। অনেক সহ্য করছি। আমি অনেক ভেবে বলছি। তুমি আজ থেকে আমাকে আর ফোন দিবা না। আর তুমি ফোন দেওই বা কখন? যাই হোক আজ থেকে আর কিছু বলার নাই। (উঠে চলে গেলো)
যাহ! গেল... আরে আরে কথাটা শুনে গেলে তো পারতা। অই অই..।
(একটু গিয়েই আবার ফিরে আসলো) কান্না করতেছে আর বললো, শুনো আর তো বলবো না। একটা রিকোয়েস্ট রাখবা?
_হুম বলো।
_ প্লিজ সিগারেট টা ছেড়ে দিও। আর নতুন কারো সাথে প্রেম করলে আমাকে বইলো।
_হুম।
(কান্না করতে করতে চলে গেল) আর আমি বলদার মতো বসে আছি। আমি সচরাচর এত টেনশন নেই না। অলয়েজ রিল্যাক্স মুডে থাকি। অনুর সাথে ব্রেকাপ নিয়া আমার তেমন কোন মাথা ব্যাথা নাই। ও আমারে আজ পর্যন্ত যতবার "আই লাভ ইউ" বলছে এর চেয়ে তিন গুন বেশি "আই হেইট ইউ" বলছে। মেয়েটা আমাকে অসম্ভব ভালবাসে। আমি জানি ও আবার ফিরে আসবে। তাই ওরে নিয়া তেমন একটা মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু ব্যাপার টা এমন না যে ও কে আমি ভালবাসি না। আমিও ও কে ভালবাসি তবে ওর মতো করে না। আবেগ, প্রেম ভালবাসা জিনিস গুলার প্রতি আমার বরাবরই এলারজি। যাই হোক আবারো হাটা শুরু করলাম বাসার দিকে। রাস্তায় হাটতে হাটতে একটা স্পীড এর বোতল টাকে লাথি দিচ্ছি আর সামনে নিচ্ছি। বাসায় আইসা আবার একটা ঘুম দিলাম। লম্বা ঘুম হইলো। দুপর ২টায় উঠলাম। উঠেই বালিশের পাশে মোবাইল টা হাতরে বের করলাম। ওমা দেখি কোন মেসেজ বা কল নাই। এতক্ষনে তো অন্তত সেঞ্চুরি হওয়ার কথা। অনু তো আমাকে কল দিয়া ডেইলি উঠায় দেয় আজকে কিতা হইলো। ওরে আজকে সকালে তো ব্রেকাপ হইছিল। আহা! নয়া একটা সূত্র আবিষ্কার করলাম ব্রেকাপ=শান্তির ঘুম। হি হা হা। যাই হোক আমার দেবদাস হবার কোন ইচ্ছা নাই। স্বাভাবিক ভাবেই চলতে লাগলাম। ভেবেছিলাম ও আবার ফিরে আসবে কিন্তু আসলো না। ভাবলাম ও কে গিয়ে একবার সরি বলি। কিন্তু এটাও করতে পারলাম না। কারণ আমার ইগো। আমার ইগো সেই লেভেলের। ছোট থেকে সরি বলা, কোন কিছু নিয়ে কান্না করা এই ব্যাপার গুলা আমার মাঝে নাই। তাই ও কে গিয়ে বলতে পারলাম না। মাঝে মাঝে খুব মিস করতাম ও কে। ও আসলে অনেক কেয়ার করতো তো তাই। ও কে যখন খুব বেশি মিস করতাম তখন ওর সাথের মেসেজ গুলা দেখতাম যদিও সেগুলা কালো হয়ে গিয়েছিল। একদিন আরেকটা আইডিতে ঢুকে দেখলাম ও ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়েছে। স্ট্যাটাস টা আজই দিয়েছে। এটা দেখে বুকের বাম পাশে কেমন যেন একটা কষ্ট অনুভূত হলো। কিন্তু আবার মনে হলো এটাই স্বাভাবিক। মেয়েরা সাপোর্ট ছাড়া চলতে পারে না এটা আর নতুন কি। ফোন টা বের করে ও কে একটা মেসেজ দিলাম " কনগ্রেটস"। ওদিক থেকে কোন রিপ্লাই এল না। ভাবলাম ব্যস্ত আছে নিউ বিএফ নিয়ে। আমার তেমন একটা কষ্ট হতো না। জাস্ট একটু খারাপ লাগতো। ও আমাকে কথা দিয়েছিল কখনো অন্য কাউকে ভালবাসবে না। ও এটা কিভাবে করতে পারলো? তখন নিজেই নিজেকে বলি আরে ম্যান তুমি তো জানো, সবাই কথা রাখে না। বিশেষত মেয়েরা। এন্ড ইউ আর দ্যা পারফেক্ট পারসন। আর তোমার মত মানুষ এর সাথে দেবদাস রোল টা যায় না। নিজেকে সামলানোর ক্ষমতা আমার যথেষ্ট ছিল। আর সামলেও নিয়েছিলাম। আমার কোন কিছুই চেঞ্জ হয় নি ও চলে যাওয়ার পর। জাস্ট হাল্কা কিছু চেঞ্জ ছিল, সিগারেট টা একটু বেশি খেতাম। তা ওর জন্য না, নিজের টেনশন এর জন্য। সবেমাত্র অনার্স শেষ করলাম। মাস্টার্স এ ভর্তি হলাম + জব এর জন্য দৌড়াচ্ছি। না দৌড়িয়ে উপায় নেই। ঘরে বাবা মা দুইজনই অসুস্থ। ছোট ভাইয়ের পড়ার খরচ, ঘরের খরচ আরো কত কি? সিভির পর সিভি জমা দিচ্ছি বাট চাকরি হচ্ছে না। এদেশে যে মেধার সাথে সাথে মামার ফোন না থাকলে যে চাকরি হয় না তা খুব ভাল ভাবেই টের পাচ্ছিলাম। এইতো কিছুদিন আগে একটা কোম্পানীর কম্পিউটার অপারেটর এর জব পেলাম। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হয় কেন যে পড়ালেখা করলাম। অনার্সে ফাস্ট ক্লাস নিয়ে ১২০০০ টাকা বেতনের চাকরি। আফসোস লাগে.. পড়ালেখা না কইরা ব্যবসা করতাম বা বিদেশ চলে যাইতাম এতদিনে কয়েক লাখ টাকার মালিক থাকতাম। যাই হোক কি আর করা, কিছু না থাকার চেয়ে অল্প থাকাও ভাল। চাকরিতে জয়েন করলাম। সকাল ৯ টা -৫টা অফিস করি এর পর একটা টিউশন রাতে আবার আউটসোর্সিং। এত কাজের ভিড়ে অনুর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। ওর কথা হয়তো মনেই পড়তো না যদিনা আজ আমাকে ফোন করে দেখা করার কথা বলতো। আমি বলেছিলাম দেখা করবো না বাট অনেক রিকোয়েস্ট করলো তাই আসলাম। সেই পুরানো জায়গায় তেই দেখা করবো। পার্ক এর শেষের দিকে বকুল গাছের নিচের বেঞ্চি টাতে। আমি একটু আগেই আসলাম। বসে আছি একা একা। ভাল লাগছে না... পাশের দোকান থেকে একটা স্টার সিগারেট কিনলাম। আগে বেনসন ছাড়া অন্য কিছু খেতাম না। বাপের টাকায় কিনতাম তো তাই গায়ে লাগতো না আর এখন নিজের টাকায় কিনতে হয় তো তাই খুব গায়ে লাগে। কয়েকদিন পর হয়তো স্টার থেকে পাইলটে নেমে আসতে হবে। যাই হোক চোখ বন্ধ করে বেঞ্চে হেলান দিয়ে সিগারেট টানছিলাম আর ভাবছিলাম কেন দেখা করতে বললো? মে বি নিউ বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে বা বিয়ের দাওয়াত দিবে। ভাবতে ভাবতে হঠাত কে যেন ঘাড়ে হাত রাখলো। হকচকিয়ে চোখ টা খুলে দেখলাম অনু দাঁড়িয়ে আছে। অনেক সুন্দর লাগছে ও কে। কালো একটা শাড়ী, ম্যাচিং কালো টিপ। এক কথায় জাস্ট ওয়াও। সেই প্রথম যখন ওকে দেখে প্রেমে পড়েছিলাম তখন এর মতো লাগছে। না! তখনকার চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছে। অপলক তাকিয়ে আছি ওর দিকে। আমার মুখ থেকে সিগারেট টা টান দিয়ে ফেলে দিল। আমার মোহ কেটে গেল আর লজ্জা পেয়ে মাথা টা নিচের দিকে দিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে আছি। আস্তে করে চুপ করে পাশে বসে পড়লো। দুজনই চুপ করে আছি। নীরবতা ভেঙে বলে উঠলো, কথাটা তাহলে রাখলে না?
_সবাই কথা রাখে না। তুমিও রাখো নি আমিও না।(আমি)
_আমি তোমার কোন কথাটা রাখিনি? (অনু)
_বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না। কেন ডেকেছো সেটা বলো?
_কেন ডাকতে পারি বলো তো?
_আমি তো ভাবলাম তোমার নিউ বিএফ এর সাথে পরিচয় করাবা কিংবা বিয়ের দাওয়াত দিবা। তা তোমার বিএফ যে আসলো না নাকি পরে আসবে?
_আচ্ছা হৃদয় তুমি কি ভাবো আমাকে? সবাইকে নিজের মতই ভাবো তাই না?
_আরে আজব যা সত্যি তাই তো বললাম।
_আমার বিএফ হইছে এটা তোমাকে কে বলেছে?
_কেন.. এফবিতে দেখলাম।
_ও... জানো আমি তোমাকে অনেক চালাক+বুদ্ধিমান ভাবতাম বাট এতটা তারছেড়া ভাবতেই পারি নাই।
_মানে?
_মানে আমার মাথা। ভাবছিলাম তুমি এটা দেখে জ্বলবা? আমাকে ফোন করে বকা দিবা। কিন্তু তা না আমাকে মেসেজ দিলা "কনগ্রেটস"। ওয়াও!
_হুম। বুঝলাম।
_আচ্ছা তুমি প্রেম করো নতুন কারো সাথে?
_হ্যা করি তো।
_কার সাথে?
_তুমি জেনে কি করবা?
_আরে এমনি
দেখবো কে সেই ভাগ্যবতী?
_ও। আচ্ছা বাদ দেও এগুলা। কেন ডেকেছো সেটা বলো।
_ও হ্যা বলছি। তার আগে আরো কিছু কথা বলি?
_বলো।
_জানো, হৃদয় এই ছয়টা মাস, প্রতিটা দিন আমি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। ভেবেছিলাম তুমি একটা বার হলেও আসবে। কিন্তু...
_আমি আসলাম না।
_হুম। আচ্ছা তোমার এত ভাব কেন?
_হা হা। এটা নতুন কি। ভাব আমার শরীরের শিরায় শিরায় বয়।
_আচ্ছা এই কয়েক মাসে আমার কথা তোমার মনে পড়েনি?
_বোধ হয় না।
_ওও.. তুমি খুব সেলফিস টাইপের একটা মানুষ।
_ধন্যবাদ। দেড় বছর প্রেম করলে তাও বুঝতে পারলে না?
_না! সেটাই ভুল ছিল। এতদিনেও তোমাকে বুঝতেই পারলাম না।
_ও। ভাল তো।
_ আচ্ছা তুমি কি সেই মানুষ টা যে আমাকে পাগলের মত ভালবাসতো? তুমি কি সেই যাকে ঘিরে আমার হাজারো স্বপ্ন ছিলো। কেন এত বদলে গেলে তুমি?
_সময় অনেক কিছুই বদলে দেয়।
_আমি তো বদলে যাই নি। আমি তো আগের মতই ভালবাসি তোমাকে।
_কিন্তু আমি বদলে গেছি। সবাই কথা রাখে না। কি বলবা বলো? আমার কাজ আছে।
_ও। আসলেই বদলে গেছো তুমি। ও হ্যা যেটা বলতে এসেছিলাম এই নাও আমার বিয়ের কার্ড।
_ওয়াও! নাইস। কি করে তোমার হাব্বি?
_ইঞ্জিনিয়ার
_ওয়াও! মাসে ১০০০০০ টাকা ইনকাম। অনেক ভাল থাকবা তুমি। আচ্ছা আমি বিয়েতে যাবো। ডোন্ট ওরি। সেই মজা হবে।
_(মেয়েটা অসহায় এর মতো তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে)
_অই বিয়ে কবে গো? আচ্ছা সবাই আসবে ত? ফ্রেন্ডরা? সেই মজা হবে।
_(চোখ থেকে টুপ টুপ জল পড়ছে ওর) আচ্ছা তুমি নাকি এখন জব করো?
_হ্যা করি তো। বার হাজার টাকা স্যালারি।
_ও। (মুখে একটু হাসি) একটা কথা রাখবা?
_কি?
_আমাকে নিয়ে যাও না। প্লিজ। আমি তোমার সাথে পালিয়ে যাবো। আমার বড় লোক স্বামী লাগবে না। আমার এই মানুষ টাকে লাগবে। (কান্না করতেছে)
_পাগল হয়ে গেছো? আর দুদিন পর তোমার বিয়ে। আংকেল আন্টির কি হবে?
_আমি জানি না। তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালবাসো না?
_হ্যা বাসি তো।
_তাহলে? আমি আজই চলে আসবো।
_চুপ।। চুপ করে আমার কথা শুনো। তোমার সাথে আমার রিলেশন কত দিন? মাত্র দেড় বছর। হ্যা আমি তোমাকে ভালবাসি। অনেক বেশী ভালবাসি। কিন্তু ওনারা? সেই ছোট্টটি থেকে তিল তিল করে বড় করে তুলেছেন তাদের এক মাত্র আদরের মেয়েকে। আজ আমি তোমাকে নিয়ে চলে গেলে ওদের কি অবস্থা হবে ভাবো।
_কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
_চুপ! কোন কিন্তু নাই। অনেক ভাল থাকবা তুমি। তোমার জামাই তোমাকে অনেক সুখে রাখবে। তুমি আমাকে ভালবাসো না?
_হুম।
_তাহলে আমি যা বলছি শুনো। ভাল মেয়ের মতো বাবা মা যা বলবে করবে। আর ভুলেও আমার জন্য চোখের জল ফেলবে না। আর হ্যা বিয়ের পর জামাই নিয়ে সবার আগে আমার বাসায় আসবে।
_কান্না করতেছে।
_এই পাগলী। চোখের জল মুছো। (নিজে হাতে চোখের জল মুছে দিলাম)
_আচ্ছা শেষবারের মতো একটা রিকোয়েস্ট করি?
_হ্যা বলো।
_তোমাকে একটা বার জড়িয়ে ধরি?
_(হাতটা বাড়িয়ে দিলাম)
মেয়েটা আমাকে জড়িয়ে আছে। অঝোরে কান্না করছে। ওর মুখ টা আমার কানের কাছে এসে পড়েছে। জড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমাকে বললো, জানো এই ছয় মাসে অনেকের সাথেই কথা বলেছি। কিন্তু কারো মাঝে না তুমি নেই। আমি সবার মাঝে তোমাকে খুঁজতাম বাট কেউ তোমার মত নয়। তুমি আসলেই এক্সেপশনাল।
_ওকে সরিয়ে দিলাম। আচ্ছা বাবা হইছে। এবার আমার কথা শুনো। আমি যা বলছি মনে থাকবে তো?
_হুম।
_আর কোন কান্না নয়। অনেক দেরী হয়ে গেছে এবার বাসায় যাও।
ও হাটা শুরু করল। বার বার পিছনের দিকে তাকাচ্ছে। আমি অপলক তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে। আমি জানি ও অপেক্ষা করছে আমার ডাকের। আমি ডাক দিলেই ছুটে চলে আসবে সব কিছু ছেড়ে। কিন্তু আমার হাত পা গুলা বাধা, আমার বিবেক বাধা দিচ্ছে আমার দুই বছরের ভালবাসার জন্য ওর বাবা মার ২০ বছরের ভালবাসাকে কেড়ে নিতে। আর ও সুখী হবে না আমার মত মানুষ এর সাথে। সারা জীবন রানীর মত থাকা মানুষ টাকে আমার সাথে এলে ফকিরনির মত থাকতে হবে। আমি চাইনা কষ্টে থাক আমার ভালবাসার মানুষ টা। ও অনেক ভাল থাকবে ওর হাজবেন্ড এর কাছে। ও গেট থেকে বের হওয়া পর্যন্ত তাকিয়ে ছিলাম। ও চোখের আড়াল হওয়ার পর আবিষ্কার করলাম আমার চোখের কোনে একটু জল জমেছে। অনেক দিন পর আমার চোখ থেকে জল বের হলো। মনে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধতম একটা জিনিস হারালাম। আমি জানিনা ও আমাকে মনে রাখবে কিনা। যাক আমার বাসায় যেতে হবে। মা বলেছিল যাওয়ার সময় বাবার ওষুধ নিয়ে যেতে। মাসের মাত্র অর্ধেক শেষ হলো কিভাবে যে যাবে বাকি দিন গুলা...। বাসায় আসলাম। নিজের রুমে লাইট নিভিয়ে বসে আছি। পাশে মোবাইল টা বাজছে। অনু বার বার কল দিচ্ছে। মোবাইল টা অফ করে দিলাম কারণ আমি যদি ফোন টা ধরি তাহলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না। সেদিন এর রাত টা আর ঘুমাইনি।
.
.
এর পর বাকি সব স্বাভাবিক ভাবেই গেল। মেয়েটা আমার কথা রেখেছিল আমিও আমার কথা রেখেছিলাম। হ্যা আমি গিয়েছিলাম অনুর বিয়েতে। অনেক মজা করেছি ওখানে। ওকে লাল বেনারসি তে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল
একদম দেবী র মতো। যখন সিঁদুর পড়ানো হচ্ছিল আমি তখন ওর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম ও বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর হয়তো অপেক্ষা করছিল সিনেমার মতো কিছু একটা মিরাকল হবে। কিন্তু জীবন টাতো সিনেমা না তাই সেদিন কোন মিরাকল হয় নি। স্বাভাবিক ভাবেই সব শেষ হয়েছিল। আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার দেবী বিসর্জন দেখলাম। আমি সেদিনও কান্না করি না কিন্তু হৃদয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ওকে বরের গাড়িতে তুলে দেওয়ার সময়ও প্রচুর কান্না করেছিল। আর আমি সেখানেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাষানের মত ওর অশ্রু দেখেছিলাম। এই কিছুদিন হয়তো কান্নাকাটি করবে এর পর হয়তো আর মনে থাকবে না আমার কথা।
.
.
ওর বিয়ের পর আমার অনেক কিছুই বদলে গেল। ওর কথা রাখতে গিয়ে সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর ও মাঝে মাঝে কল দিতো আমি ধরতাম না। এর পর সিমটা চেঞ্জ করে ফেললাম। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হতো কিন্তু পরে আর হতো না। জানিনা ও কে ভুলতে পেরেছি কিনা কিন্তু মাঝে মাঝে জ্যোৎস্না রাতে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হয় ইস সেদিন যদি অই ভুল টা করতাম তাহলে হয়ত ভালই হতো। এভাবে আরো ৪ টা বছর কেটে গেল। আমার আর অনুর দেখাই হয়নি এত বছরে। মাস্টার্স শেষ করলাম। এখন ভাল একটা জব ও করি। ৫০০০০ টাকা স্যালারি। মা বিয়ের জন্য অনেক জ্বালাচ্ছিল। শেষমেশ মায়ের জোড়াজুড়িতে রাজি হয়ে গেলাম। এক বোন আর বৌদির সাথে এসেছি মার্কেটিং করতে। মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে হঠাত অনুর সামনে পড়ে গেলাম। অনু আমাকে দেখে ডাক দিল। জিজ্ঞেস করলো-
_কেমন আছো?
_ভাল তুমি?
_খুব ভাল আছি। ওর হাজবেন্ড কে ডাক দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিল। স্মার্ট পারসন ওর হাজবেন্ড।অনেক হাসিখুশীও। অনুর হাবভাব দেখে মনে হলো অনেক ভাল আছে ও। আমি তো এটাই চেয়েছিলাম কিন্তু তাও কেন যেন একটু কষ্ট লাগছিল। অনু তাহলে আমার কথা ভুলে গেছে। হুম এটাই স্বাভাবিক। আমি ওর থেকে বিদায় নিবো এমন সময় খেয়াল করলাম একটা বাচ্চা ওর হাত ধরে টানছে আর মা মা বলে ডাকছে। আমি বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলাম আর জিজ্ঞেস করলাম তোমার ছেলে? ও বললো হুম। এর পর বাচ্চাটাকে জিজ্ঞেস করলাম বাবু তোমার নাম কি? বললো "হৃদয়"। একটু অবাক হলাম। অনুর চোখের দিকে তাকাতেই ও চোখ নামিয়ে ফেললো। আমি একটু মুচকি হাসলাম। মনে কেন যেন একটা প্রশান্তি অনুভব হলো। বাচ্চাটাকে একটা চকলেট কিনে দিয়ে আর ও কে আমার বিয়ের কথা বললাম আর হাজবেন্ড নিয়ে বিয়েতে আসার জন্য বললাম। ও বললো আসবে। এর পর বাবু টাকে রেখে আমি চলে আসলাম। অনু আমার দিকে তাকিয়েছিল কিন্তু আমি আর পিছনে তাকাইনি। তাকালে যে অনু আমার চোখের জল দেখে ফেলবে। আজ আবার চোখ থেকে জল পড়লো তবে এটা কষ্টে না আনন্দে। আনন্দ টা ছিল এই কারনে যে আমি এখনো বেচে আছি, বেচে আছি অনুর মনের মাঝে।আমাদের ভালবাসা টা মরে যায় নি। ভাল থাকুক ভালবাসা গুলো ভাল থাকুক ভালবেসে কাছে না আসতে পারা মানুষ গুলা। ভালবাসা আসলেই অনেক সুন্দর এটার এন্ডিং সব সময় হ্যাপি হতে হয় না।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ