āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{1}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -1
.
বাবা মায়ের পছন্দেই বিয়েটা  হলো আজ।কম বয়সী কচি একটা মেয়ে প্রবন্ধর সামনে বউ সেজে বসে আছে।এই মেয়েটার সাথে কি বলে কথা শুরু করা যায়!কোনো কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না প্রবন্ধ।
ওড়না মাথায় মেয়েটা মাথা ঝুকে নিচে তাকিয়ে আছে।যেন একটা টুকটুকে পুতুল বসে আছে।বয়সের দিকটা আন্দাজ করলে পনের বা ষোলোর বেশী হবে না।
.
.
বারান্দা ঘেষে দক্ষিণের জানালাটা দিয়ে বাহিরের চাঁদের জোৎস্না ঘরে এসে পরছে।বাহিরে হাল্কা একটা বাতাসের আমেজ।শীতের সময় এই বাতাসটা গায়ে মোটেও সহ্য হয় না।প্রবন্ধ বিছানা থেকে উঠে জানালা আটকে দিলো।দরজা, জানালা আটকে দেওয়াতে মেয়েটা ঘাবড়ে গেল।নিজেকে সংযত রেখে কুঁকড়ে বসে রইলো।জানালা আটকে এসে প্রবন্ধ যখনি মেয়েটার পাশে বসতে গেল আর ওমনি মেয়েটা একটু দূরে সড়ে বসলো।হয়তো চাপা একটা ভয় মেয়েটার মনে কাজ করছে।প্রবন্ধ তা আন্দাজ করতে পারলো।মেয়েটার ভয় কাটিয়ে তোলার জন্য প্রবন্ধ বলল-
-কোনো ভয় নেই তোমার।ভয় পেয়ো না আমাকে।
মেয়েটার ভয়ের মাত্রা যেন আরেকটু বেড়ে গেল।মেয়েটার হাত পা কাঁপছে আর ঠাণ্ডা হয়ে আসছে।
প্রবন্ধ আবার বলল-
-আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমি তোমার কোনো ক্ষতিই করবো না।
মেয়েটি এইবার একটু একটু করে প্রবন্ধের দিকে চোখ তুলে তাকালো।ভয়ে মায়াবী চোখ দুটো এখনও জ্বল জ্বল করছে।এই মেয়ের চোখে যেন মায়ার বন্যা বইছে। প্রবন্ধ বলল-
-তোমার নাম যেন কি?
মেয়েটি নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো।মুখে কোনো আওয়াজ নেই।এই পুতুলটা কি কথা বলাও শেখে নি!!
প্রবন্ধ নাম জানতে চাওয়ার উত্তরটা দিচ্ছে না।ভেতরে বোধ হয় এখনও ভয়ের ঝড় বইছে ওর আর প্রবন্ধকে সেই ঝড়ের দানব মনে করছে।প্রবন্ধ বুঝতে পারছে না যে কি বললে এই বিড়াল ছানার মতো বউটার ভয় কাটবে নাকি সাড়াজীবন এইভাবে ভয় করেই যাবে সে প্রবন্ধকে।একসময় এই বাসর রাত নিয়ে অনেক কিছুই ভেবে রেখেছিল প্রবন্ধ।এই রাতে নতুন বউকে নিয়ে হাসি,ঠাট্টা করে গল্প করবে কিন্তু এই মেয়ের সাথে তো কোনো কথাই বলা যাচ্ছে না আবার গল্প জুড়ে দেওয়ার সুযোগ কোথায়!
প্রবন্ধ বলল-
-তোমার নামটা কি আমাকে বলা যাবে?
মেয়েটি এইবার মৃদু স্বরে বলল-
-'ইভানা ইলাহি উপমা'
অবশেষে মুখ খুললো তাহলে।নাম জিজ্ঞেস করায় ডাকনামসহ জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের পুরো  নাম একত্রে বলে দিলো সে।একেবারে কাচা মেয়ে। যতোটুকু প্রবন্ধ  জানে,মেয়েটি গ্রাম এলাকা থেকে এসেছে।দশম শ্রেণীতে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার আগেই তাকে বিয়ের পিরিতে বসানো হয়েছে।মেয়েটা এখনও অনেক অবুঝ।
প্রবন্ধ বলে উঠলো-
-সুন্দর নাম।
মেয়েটির টুকটুকে গোলাপি গালে প্রবন্ধর আদর করার ইচ্ছে জাগছিল কিন্তু এখন এক ফোটা স্পর্শ করলেই মেয়েটি ভয়ে আরও দুমড়ে যাবে।
প্রবন্ধ ওর ফোন হাতে নিয়ে বলল-
-তোমার সাথে একটা সেল্ফি তুলবো।আমার যেই ফ্রেন্ডরা আজ বিয়েতে আসতে পারেনি তারা আমাদের দেখার জন্য ছবি চাইছে।ফেসবুকে আপলোড দিবো।
মেয়েটি প্রবন্ধর দিকে তাকালো যেন কিছু বুঝেছে আর কিছু বুঝে নি।
প্রবন্ধর ব্যাপারটা বুঝতে তেমন সময় লাগলো না।প্রবন্ধ কখনোই ভেবে রাখে নি যে ভার্সিটির সেরা স্মার্ট বয়ের কপালে আনস্মার্ট আর ইন্নোসেন্ট একটা বউ জুটবে যে কি না বর্তমান দুনিয়ার কিছুই জানে না।প্রবন্ধ মোবাইলটা ওর মুখ বরাবর এনে কথাটা আরেকটু স্পষ্ট করে উপমাকে বুঝিয়ে বলল-
-মোবাইলের উপরের ক্যামেরাটার দিকে তাকাও।আমাদের এক সাথে একটা সেল্ফি তুলবো।মানে হুচ্ছে দুইজনে এক সাথে একটা ছবি উঠাবো।
উপমা প্রবন্ধের কথা মতো মোবাইলের দিকে মুখ তুলে তাকালো।প্রবন্ধ ক্লিক করলো।
কয়েকটা সেল্ফি তোলার পর প্রবন্ধ ক্লিক করা ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটির মুখে কোনো হাসি নেই। এতোক্ষন যেমনভাবে বসে ছিল ছবিতে তেমনি মনমরা দেখা যাচ্ছে।শুধু চোখ দুটোই ক্যামেরার দিকে আর কোনো এক্সপ্রেশন নেই।প্রবন্ধ ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো, এই ছবি আপলোড দিলে ফ্রেন্ডরা নিশ্চয়ই ওকে উস্কে দিবে।এর চেয়ে না দেওয়াই ভালো।
.
বাসর ঘরের স্বপ্ন প্রবন্ধের ভেতর থেকেই কাচের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।এই মেয়েটিকে এখন  জড়িয়ে ধরতে গেলেও মেয়েটির নজরে সে অপরাধী হয়ে যাবে।তাই না ছোঁয়াই ভালো।
প্রবন্ধ বিছানা থেকে উঠে পরলো।রুমের চারদিকে ফুলের গন্ধে মম করছে।ফুল দিয়ে পুরো রুমটাই সাজিয়ে রেখেছে প্রবন্ধর আপন ছোট দুই বোন।তাদেরকে অবশ্য কাজিনরা কিছুটা সাহায্যও করেছে।তবে রুমের ডেকোরেশনটা মন্দ হয় নি।প্রবন্ধ চারিদিকে ফুল দিয়ে সাজানো রুমটা একটু পর্যবেক্ষণ করে দরজা খুলে রুমের বাহিরে গেল।
সবাই শুয়ে পরেছে।বড়রা,ছোটরা সবাই কড়া ঘুম দিয়েছে।আজ সারাদিনের বিয়ের খাটনি থেকে বরযাত্রী যাওয়ার লম্বা জার্নি ওদেরকে ঘুম ধরিয়ে দিয়েছে।সবার এখন ক্লান্তির ঘুম হওয়াটাই স্বাভাবিক।
প্রবন্ধ ফ্রিজ খুলে হুইস্কির বোতল নিলো।একটি কাচের গ্লাসে হুইস্কি ঢেলে নিয়ে এর ভেতর কিছু বরফের টুকরো ঢেলে গ্লাস হাতে করে রুমে চলে এলো।
মেয়েটি বিছানায় ঠিক আগের মতোই বসে আছে।প্রবন্ধ ভেবেছিল মেয়েটি এতোক্ষনের ঘুমিয়ে পরেছে কিন্তু না।মেয়েটি মাথা ঝুকে নিচে তাকিয়ে নব বধুর মতোই বসে আছে।
প্রবন্ধ রুমে ঢুকে দরজা আটকিয়ে মেয়েটির পাশে বসে বলল-
-ঘুম পায় নি!
মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে বোঝালো তার ঘুম পেয়েছে।প্রবন্ধ বলল-
-এই ভারী শাড়িটা পরে ঘুমোতে অসুবিধে হবে না তোমার!
মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে বোঝালো যে তার অসুবিধে হবে।প্রবন্ধ বলল-
-যাও।ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে আসো।
উপমা খাট থেকে ধীরে ধীরে নামলো।সুটকেসে আনা কাপড়চোপড়গুলো থেকে একটি সুতির শাড়ি বের করলো।আর পা টিপে টিপে রুমের ভেতরের ওয়াশরুমে গেল।
এই ফাঁকে প্রবন্ধও শেরওয়ানিটা চেঞ্জ করে নিলো।আর গ্লাস থেকে বরফ মেশানো হুইস্কিতে এক চুমুক,এক চুমুক করে দুই চুমুক দিলো।এই দুই  চুমুকেই চোখে নেশা ধরে যাচ্ছে।প্রবন্ধ বিছানায় শুয়ে পরলো।
কিছুক্ষণ পর উপমাও ওয়াশরুম থেকে শাড়ি বদলে চলে এলো।এই সুতির শাড়িটাও নতুন একটা খেলনা পুতুল মনে হচ্ছে।শুধু পুতুলবউ-ই নয়।যেন একটা পরী।ডানা কেটে আকাশ থেকে নিচে নেমে এসেছে।প্রবন্ধ নেশায় বুদ হয়ে ঝাপসা চোখে উপমার সৌন্দর্যময় মিষ্টি মুখ দেখছে।কেন যেন মনে চাইছে মেয়েটাকে নিয়ে এখনই একটা সুখের বাসা বুনে নিতে কিন্তু কাছে গেলেই বাচ্চা মেয়েটা যে ওকে ভয় পাবে।চোখ দুটো নেশায় আরও ঘোলাটে হয়ে আসছে।চোখ বুঝতে বুঝতে প্রবন্ধ ঘুমের নেশায় চলে গেল।
উপমা খুলে ফেলা বিয়ের শাড়িটা সুটকেসেই ভরে রাখলো।জোৎস্না রাতকে খুব ভয় পায় ও।মা,ফুফুদের বলা ভূত-প্রেতের কিচ্ছাগুলো ওর মনে পরছে বার বার।
.
প্রবন্ধ ঘুমে জড়িয়ে গেছে।বিছানায় দু পা দুই পাশে ফেলে শুয়ে আছে।বিছানার বেশীর ভাগ অংশ দখল করে নিদ্রায় আছে সে।বিছানার বাকি সামান্য অংশে উপমা গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পরলো।জোৎস্না রাতে ভূতের ভয়ে সে মায়ের আচল ধরে ঘুম দিতো কিন্তু আজ সে শ্বশুর বাড়ি।মা এখানে নেই,মায়ের আচলও নেই।এইখানে ভূতের ভয় আছে। মা পাশে থাকলে নিশ্চয়ই এতোক্ষন মাথায় হাত বুলিয়ে দিতো।কতো কিচ্ছা কাহিনী শুনিয়ে দিতো।উপমার সাথে ছোট বোন নিরুমাও পুরোনো গল্প কিচ্ছা শুনতো।কিন্তু মাকে এখন সে অনেক দূরে রেখে এসেছে।চাইলেই যখন তখন মায়ের কাছে ছুটে যাওয়া যাবে না।পাশে একজন পুরুষ শুয়ে আছে।এই নতুন বাড়িতে ওকে কেউ বকবে না তো!মারধর করবে না তো!বিয়ের আগের দিন ললিতা কাকী শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে ওকে ঠিক এই ধারনা গুলোই দিয়েছিল।ওইসব কথা শুনেই শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে অনেক কুধারনা জন্মেছে ওর।এর মানে এইখানের মানুষগুলোও কি ওইরকমই যেমনটা ললিতা কাকী ওকে বলেছিল!!
ভয়ে উপমার চোখে পানি টলটল করছে।ভয়ে এইভাবে কাঁপতে কাঁপতেই চোখ জোড়া ঘুমে লেগে এলো ওর।
চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ