###____আবেগময়_ভালবাসা____###
-- ডাক্তার, আমার কিডনি নিয়ে নিন
প্লিজ..!!
-- আপনি বুঝতে চেষ্টা করুন, আপনার রক্তের
গ্রুপের সাথে না মিললে কিডনি নেওয়া
সম্ভব না।
রায়হান যেন পাগলের মত হয়ে গেছে। ওর
প্রিয়তমা স্ত্রী লামিয়া হসপিটালের
বেডে শুয়ে
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। লামিয়ার জন্য
সবাই
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে। লামিয়ার
মা-বাবা,
ভাই, শ্বশুর-শ্বাশুড়ী সবার চোখেই অশ্রুর
বন্যা
বয়ে যাচ্ছে।
.
লামিয়ার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
অনেক
খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও কিডনি পাওয়া
যাচ্ছেনা। সব আশা ছেড়ে দিয়ে সবাই শুধু
আল্লাহকে ডাকতে লাগলো। প্রিয়তমা
স্ত্রীর
জন্য স্বামী রায়হান সারারাত
জায়নামাজের উপর
বসে আল্লাহকে ডেকেছে।
.
পরেরদিন সকাল দশটার দিকে হঠাৎ
ডাক্তার এসে
সবাইকে জানায়... আল্লাহ্ আপনাদের
দিকে মুখ
তুলে তাকিয়েছেন। একটি কিডনির ব্যবস্থা
হয়ে
গেছে। একজন অপরিচিত লোক একটি কিডনি
দান
করেছেন। কিন্তু তার পরিচয় তিনি দেননি।
এবং
আপনারাও কেউ জানতে চাইবেননা, কে
সেই
ব্যক্তি।
একথা শুনার পর সবার চোখেই যেন আনন্দ
অশ্রু
বইতে লাগলো।
.
অপারেশন শেষে লামিয়ার জ্ঞান
ফিরলো। লামিয়া
দেখলো সবাই তার বেডের পাশে দাড়িয়ে
আছে।
সবার চোখেই অশ্রু। সত্যিই এ যেন আনন্দ
অশ্রু। স্বামী রায়হান স্ত্রীর পাশে বসলো।
তারপর বললো..
-- সত্যিই পৃথিবীতে এখনো মহৎ মানুষ আছে।
তানা হলে তোমাকে বাচাঁনো সম্ভব
হতোনা।
-- কার কথা বলছো..!?
-- যে তোমাকে কিডনিটি দান করেছেন।
-- কে সে..!?
-- জানিনা...! তিনি তার পরিচয় দেয়নি। শুধু
কিডনিটি
গোপনে দিয়ে গেছেন।
লামিয়া ভাবতে থাকে..., কে হতে পারে..!
তবেকি...!
.
একসপ্তাহ হয়ে গেছে। লামিয়া এখন
মোটামুটি
সুস্থ্য। সেদিন ডাকপিয়ন এসে লামিয়ার
হাতে
একটি চিঠি দিয়ে গেল। প্রেরকের কোনো
নাম
ঠিকানা নেই।
লামিয়া কাপা কাপা হাতে খাম থেকে
চিঠিটা বের
করলো..। প্রথমেই চিঠির হাতের লেখা
দেখে
বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো লামিয়ার।
তার
পরিচিত হাতের লেখা এটি। চিনতে একটুও
কষ্ট
হলোনা। এটা যে তার একসময়ের প্রিয় মানুষ
নাইম হাতের লেখা...!
.
লামিয়া চিঠিটি পড়তে লাগলো...
লামিয়া, আমি তোমাকে বলেছিলামনা
যে, আমি
তোমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে না পেলেও
তোমার
প্রতি আমার ভালবাসার একটুও কমতি
থাকবেনা।
তোমার যেদিন বিয়ে হয়ে গেলো, সেদিন
ভীষণ
কষ্ট কেঁদেছিলাম।
আমি বেকার বলে তোমার বাবা তোমাকে
আমার
সাথে বিয়ে দিতে রাজি হলেননা। অথচ
তোমার
বিয়ের একমাস পরেই আমার চাকরিটা হয়ে
যায়।
মনের দুঃখে সেই চাকরিতে জয়েন্টও
করিনি আমি।
যে চাকরির জন্য তোমাকেই পেলামনা, কি
হবে সে
চাকরি দিয়ে.!
পরে আবার ভাবলাম... লামিয়া নামটা
হয়তো
আমার জীবনের ডায়েরিতে উপরওয়ালা
লিখে
রাখেননি। তাই একবুক কষ্ট নিয়ে দেশের
বাইরে
চলে গিয়েছিলাম। পাঁচ বছর পর দেশে
এসেছিলাম
ছোট ভাইকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি তো
বিয়ে করিনি, হয়তো আর করবোওনা।
তোমার খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তুমি
অসুস্থ্য। তোমার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে
গেছে।
আমি ভাবলাম আল্লাহ্ সম্ভবত এজন্যই
আমাকে
দেশে এনেছেন। আমার একটি কিডনি
তোমাকে
দিয়ে গেলাম। আমি অনেক হ্যাপি, আমি
তোমার
জীবনে সামান্য উপকারে আসতে পেরেছি।
সেদিন দূর থেকে তোমার স্বামীর কান্না
দেখে
আমি অবাক হয়েছিলাম। মানুষটা তোমাকে
সত্যিই
পাগলের মত ভালবাসে। হয়তো আমার
চেয়েও
অনেক বেশি। আর বাসবেও বা-না কেন,
বলো!
তোমার মত মেয়েকে শুধু ভালবাসাই যায়।
চিঠিটি যখন তুমি পড়বে, আমি তখন অনেক
দূরে।
আমি আবার দেশ ছেড়ে চলে এসেছি অনেক
দূরে।
দোয়া করি সবসময় ভাল থাকো, সুখে
থাকো।
--নাইম
.
চিঠিটি পড়তে পড়তে লামিয়ার দুচোখ
বেয়ে অশ্রু
গড়িয়ে চিঠির উপর পড়ছে। এমন সময়
লামিয়ার
স্বামী রায়হান এলো। লামিয়া চিঠিটি
রায়হানের
হাতে দিলো। রায়হান পুরো চিঠিটি পড়ে
বললো... "তোমার মুখে শুনেছিলাম নাইম
একজন
মহৎ মানুষ। আজ নিজ চোখে প্রমাণ পেলাম,
নাইম আসলেই একজন মহৎ মনের মানুষ। নাইম
তোমার জীবনের জন্য আশির্বাদ।"
COLLECTED
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ