āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

664

সেদিন হঠাৎ নিউ মার্কেটের সামনে রিপার সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো। একেবারে সামনাসামনি দেখা। মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা ছিলোনা। যে মেয়ে ১ বছরের সন্তান রেখে অন্য কারো সঙ্গে চলে যেতে পারে তার সঙ্গে কথা বলা কতখানি সঠিক বুঝে উঠতে পারতেছিনা।
"বাবু কেমন আছে?" রিপার কথায় চমকে উঠলাম। সেই আগের মতোই কন্ঠটা রয়ে গেছে তবে আগের চেয়ে সুন্দর আর একটু মোটা হয়ে গেছে। আমার বেতনটা খুবই সামান্য ছিল তিন জনের জীবন টানাটানির মধ্যে দিয়েই চলে যেতো।
অভাব দেখা দিলে ভালোবাসা নাকি জানালা দিয়ে পালায় ব্যাপার টা সেরকম-ই ছিলো। রিপা আবেগের বশে আমার কাছে আসছিলো। অবশ্য বলেছিলাম তুমি আমার সঙ্গে থাকতে পারবানা। আবেগ কাটতেই চলে গেছে।
"কথা বলতিছোনা যে" কিছুটা ধমকের সূরেই বলল।
"হ্যাঁ বাবু ভালো আছে"
"বিয়ে করেছো"
"নাহ"
"বাবু কি আমার কথা বলেনা"
"নাহ, বাবুর মা মরে গেছে"
কথাটা বলেই চলে আসলাম। পিছনে ফিরে তাকানোর ইচ্ছে হলোনা।
সেদিন সন্ধ্যায় আকাশ অন্ধকার ছিলো। রুমের দরজা খোলা আর বাবুর কান্নায় তাড়াতাড়ি করে ভিতরে গেয়েই বাবুকে কোলে নিলাম। কান্না কিছুতেই থামাতে পারিনি।
রিপা কে কোথাও খুজে পাইনি। বেডের উপরে টর্চের আলোতে পেপার দেখতে পেলাম। ডিভোর্স পেপার সঙ্গে সাদা কাগজে লিখা " অবশ্যই তুমি অনেক ভালো মানুষ, তবে তোমার সঙ্গে আমার যায়না। বাবা আসছিলো চলে গেলাম। ভালো থেকো"
আমি চুপ করে দাড়িয়ে ছিলাম।
সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। সকালে বাবুকে নিয়েই অফিসে গেলাম। কেবল আম্মু আম্মু বলতে পারে।
অফিসে সবাই আমার বাবুকে আদর করে, অবশ্য রিনি একটু বেশী করে। অফিসে জয়েন করার পর থেকেই রিনি আমার পিছু লেগে ছিলো। আমি বিবাহিত তারপর ও মেয়েটা লেগেই থাকতো। আমি কিছু বলিনি।
মেয়ে হিসেবে যথেষ্ট ভালো। সবার সঙ্গেই ভালো ব্যবহার। অফিসে একমাত্র রিনির নামেই কোন অভিযোগ থাকেনা। আমার বাবুটা রিনির কাছেই সারাক্ষন থাকে। রিনির কাছেই ঘুমায়।
আমার মতো রিনি ও অনাথ ছিলো। চাচির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেস থেকে অফিস করে। বাবু যখন একটু বড় হলো রিনিকেই আম্মু বলে ডাকতো। আমি বাধা দেইনি।
রিপার দেওয়া ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দেওয়া হয়নি। এখনো মনেহয় রিপা আসবে। একই শহরে থাকা। দূরত্ব বাড়লে ও মনে হয় এইতো রাস্তায় মেয়েটার দেখা পাবো বা মেয়েটা কাছে আসে বলবে "আবির আমার ভূল হয়ে গেছে। আমি বাবুর কাছে ফিরতে চাই।" জানি এইটা আমার নিছক কল্পনা মাত্র। রিপা কখনও ফিরবোনা। বাস্তবতা ভালো ভাবেই বুঝে গেছে। তবুও চাই রিপা ফিরে আসুক, আমার জন্য না হয় আমাদের বাবুর জন্য।
আজকে আবার রিপার সঙ্গে দেখা হলো মসজিদ মাকের্টের ভিতরে। মেয়েটাকে আজকেও অপরূপ সুন্দর লাগতিছে। ড্রেসের সঙ্গে হাতের আইফোন যথেষ্ট মানানসই। রিপার বর বেশী বেতনের চাকরী করেন। রিপার মহাত খরচ আমার সারা মাসের ইনকামের সমান। অবশ্য এটাও জানি রিপার বরের ২/৩ টা গার্লফ্রেন্ড আছে পার্ট টাইম হিসেবে। রিপাকে বলেছিলাম এ ব্যাপারে,
"ভদ্রলোকের সমাজে এগুলা কোন ব্যাপার না। ইনজয় করার জন্য ২/৪ টা নাকি থাকেই" রিপার জবাবে আর কোন কথা খুজে না পেয়ে ফোন রেখে দিছিলাম।
আবির সাহেব, বামন কি আর হাত বাড়ালেই চাঁদের দেখা পায়। ব্যাপারটা সত্যি হাস্যকর যে এখনো রিপার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। কোথায় বামন আর কোথায় চাঁদ।
আমি ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিলাম হাত অবশ্য একটু কাপতেছিলো এর বেশী কিছুনা। রিনিকেই সঙ্গিনী করে নিলাম।
সেদিন একটু দেরী করেই অফিসে পৌছালাম। সবাই ততোক্ষনে যে যার কাজে ব্যস্ত। হাটু গেড়ে অফিসে সবার সামনে বললাম "Rini will u marry me?"
সবাই যেনো চমকে উঠলো। রিনি কেমন লজ্জা লজ্জা চেহারায় তাকায় ছিলো। সেদিন-ই রিনিকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। চাঁদ সুন্দর হলেও বামনদের জন্য সৃষ্টি করা। বামন রিনিকে নিয়ে ভালো আছি।
সচারচর বেশী টিভি দেখা হয়না। বেশী হয়না বলতে অফিস থেকে ফিরে আর এনার্জি থাকেনা। টিভির পর্দায় চোখ আটকে গেলো।
আমান উল্লাহ চৌধুরীর তিন গার্লফ্রেন্ড সন্তান সম্ভবা, তিনি পালাতক। কেমন জানি একটু হাসি ভাব আসলো।
আজকে রিনিকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। জয়পুরহাটে থাকলেও মেয়েটা এ শহরের কিছুই দেখেনি। যদি ও এই ছোট শহরে দেখার মতো কিছুনাই। তবু ও ঘুরতে ইচ্ছে হলো।
পৃথিবী কমপ্লেক্স এর সামনে রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি। শাড়িতে মেয়েটাকে অসাধারন লাগতিছে। মেয়েটার হাত ধরে স্পর্শ করার ইচ্ছে হচ্ছে। যদি ও নিজের বিয়ে করা বউ তবু ও সংকোচ লাগতিছে।
"আবির" কন্ঠটা কেমন পরিচিত। পিছনে ফিরতেই রিপা দাড়ায় আছে। বাবুর দিকে হাত বাড়াতেই বাবুকে রিনির কোলে দিলাম।
"আবির আমি তোমার কাছে ফিরতে চাই" রিপার কথায় চমকে উঠলাম। বারবার বারবার বলতে ইচ্ছে করলো, রিপা একথা তোমার অনেক অনেক অাগে বলার দরকার ছিলো।কিন্তু বলতে পারিনি।
"আমি ভদ্র সমাজের মানুষ না। আমাদের সমাজে বউয়ের পরে ইনজয় করার জন্য কোন গার্লফ্রেন্ড থাকেনা। আমার বউ আমার সব।" রিপা কে কথা গুলো বলেই রিনির হাত ধরে রিক্সায় উঠলাম।
এ শহর, এ হাওয়া বিষাক্ত হয়ে গেছে। চাইনা এ হাওয়া রিনির নিঃশ্বাসে ঢুকে যাক। রিনি আমার।আমার এক পবিত্রতম সে...
----------------- সমাপ্ত -----------------
:
:
..........উদ্দেশ্যহীন পথিক

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ