āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{22}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -22
.
ট্রাফিক জ্যামে গাড়িগুলো আটকে
আছে।প্রথমে একটি টেক্সি,টেক্সির পর
বরাবর দুটো বি,আর,টি,সি বাস এরপর
গুড়ো গুড়ো সি,এন,জি,।গাড়ির জটলা
সহজে খুলবার মতো মনে হচ্ছে না।প্রবন্ধ
বাসে বসেই আটকে আছে।চিন্তা হচ্ছে
শুধু উপমার জন্য।স্কুল ছুটির ঘন্ঠাও পরেছে
নিশ্চয়ই।দেরী হলে তানহা মানহার
সাথে তো বাড়ি যাওয়ার কথা।
এতোক্ষনে কি ওরা বাড়ি পৌঁছে যায়
নি!!!চিন্তার মোহ লেগে আছে।
অন্যদিকে রাস্তায় গাড়ির লাইনও জমে
আছে।প্রবন্ধ ফোন দিল বাসায়।ছন্দার
ফোনে।
-হ্যালো..
ছন্দা ফোন তুলে বলল-
-বল..প্রবন্ধ।
-উপমা,তানহা মানহা ওরা কি সবাই
বাসায় এসেছে?
-আমি তো ছাদে।দুলিকে পাখি
দেখিয়ে খাওয়াচ্ছি।ওরা আসলো কি
না..বলতে পারি না।নিচে গিয়ে
এক্ষুনি দেখছি।
-আচ্ছা,আমাকে জানিয়ে দিও।আমি
তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো।
চিন্তা আরও চেপে ধরছে।ঠিক মতো
ঘরে ফিরলো কি না!রাস্তাঘাট কিছুই
তো চেনে না।
.
ছন্দা দুলিকে নিয়ে নিচে নেমে
গেল।তানহা খাচ্ছে।আর মানহা টিভি
দেখছে।ঠিকভাবেই তো ফিরলো ওরা।
ছন্দা ওদেরকে বলল-
-তোদের ভাবী কি রুমে??প্রথম ক্লাস
কেমন লাগলো ওর! তোদেরকে বলেছে
কিছু?
মানহা টিভির দিকে তাকিয়েই
জবাব দিলো-
-আমরা কিভাবে বলবো?প্রবন্ধ ভাইয়ার
সাথেই তো ভাবীর বাড়ি আসার কথা।
প্রবন্ধ ভাইয়া আর ভাবী রুমেই আছে
হয়তো।রুমে গিয়েই ভাবী কে
জিজ্ঞেস করে আসো।
ছন্দা থমকে দাঁড়িয়ে কপাল টান করে
বলল-
-সর্বনাশশশ...
মানহা এইবার টিভির দিকে মুখ
ফিরিয়ে নিয়ে ছন্দার দিকে
তাকিয়ে বলল-
-কি হলো আপু?
ছন্দা কোনো কথা না বলেই ফোন
হাতে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে
প্রবন্ধকে ফোন করলো।প্রবন্ধ ফোন
উঠাতেই এক দমে বলে গেল ছন্দা-
-উপমা,,তানহা,মানহার সাথে বাসায়
আসে নি।ওরা ভেবেছে তুই ওকে স্কুল
থেকে নিয়ে এসেছিস।
-মানে?কি বলছো!আমি জ্যামে পরে
আছি।
একটা হাল্কা ঠান্ডা বাতাস গায়ে
গরম ধরিয়ে দিলো মনে হচ্ছে।মেয়েটা
এখন কোথায়!কি করছে কে জানে?
বিষয়টা হুলস্থূল পর্যায়ে চলে গেল।
চিন্তার সাগরে উপমা ভেসে আসছে।
প্রবন্ধ বলল-
-আপু..তুমি একটু দেখে আসবে?আমি
জ্যামে আটকে আছি।রাস্তার পথটা
সংক্ষিপ্ত হলে তোমাকে বিরক্ত না
করে আমি নিজেই ছুটে যেতাম।
ছন্দা চটপট করে জবাব দিলো-
-কথা বলার সময় নেই।আমি এক্ষুনি
গিয়ে দেখছি।
.
.
.
স্কুলের পাশে যেই চায়ের দোকনটা
রয়েছে।উপমা ওইখানেই দাঁড়িয়ে
আছে।চোখে পানি ঝড়তে ঝড়তে
গালে পানি গড়িয়ে যাওয়ার হাল্কা
একটা রেখা পরেছে।মুখটা ভয়ে
একেবারে চুপসে আছে।যেন সে
হারিয়ে গেছে এই অচেনা শহরে।পথে
হেটে যাওয়া মানুষগুলো একবার
তাকিয়ে গেলে আত্মাটা একেবারে
কেপে ওঠে।কোথায় যাবে! কি করবে!
কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।চোখে
পানি জমে চোখ আবারো ঘোলাটে
হয়ে আসে ওর।
সিগারেটে ধোয়া ওড়ানো দুইটা
লোক চায়ের দোকানটায় এসে বসলো।
একবার সিগারেট ফুঁকে আরেকবার
তাকায় স্কুল ড্রেস পরে থাকা উপমার
দিকে।নিচ থেকে উপর পর্যন্ত
তাকাচ্ছে।দূর থেকেই মুখে আজে
বাজে কথা বলে হেসে যাচ্ছে।আর
উপমা অসহায়ের মুখ তুলে চোখে খুঁজে
যাচ্ছিল প্রবন্ধকে।আশেপাশে চেনাও
কেউ নেই,নেই কোনো ফোন
নাম্বার,বাড়ির ঠিকানা বা পথ।
লোক দুটোর মধ্যে একজন উপমাকে
ইশারা করে মুখে শুকনো হাসি তুলে
উপমাকে বলল-
-এই মেয়ে..এইখানে আসো।
উপমা না শোনার ভান করে দাঁড়িয়ে
রইলো।
লোকটি আবার বলল-
-বাংলা কথা বুঝতে পারো না..!
ডাকলাম তোমারে আসো না কেন?
তার পাশের লোকটি একটি বিচ্ছিরি
হাসি ফুটিয়ে বলল-
-ভাই..তোমার লাইলী লজ্জা
পাইতাসে।
লোকটি আবার উপমার দিকে
তাকিয়ে বলল-
-ওই মাইয়া লজ্জা পাইয়ো না।আমি
আবার লাইলী-মজনু খেলবার পারি না।
এইদিকে আসলে চা খাওয়ামু তুমারে।
পাশের লোকটি বলল-
-ভাই..নিয়া আসমু আপনের লাইলী রে!!
লোকটি মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারা
করলো।
আর পাশের লোকটি উপমার দিকে
এগিয়ে আসতেই উপমা এক পা দুই পা
করে পেছনের দিকে দৌড়ে ছুটে গেল।
উপমা আর পেছনে তাকালো না।ব্যাগ
হাতে নিয়েই ছুটতে ছুটতে রাস্তার
আরও সামনে চলে আসলো।হুট করে পথের
রাস্তা খেয়াল হতেই চারপাশে
তাকিয়ে দেখলো অন্য কোথাও চলে
এসেছে সে।এই পথটা যেন ওই পথের
থেকেও ভয়ের।মানুষজন নেই।আর খুজলেও
গুনে দুই একজন কে পাওয়া যাবে। অতি
ভয়ানক পরিস্থিতি।পেছন থেকে একটা
কুকুরের আওয়াজ পাওয়া গেলেও আবার
দৌড়ে সামনে যায়।মুহূর্তের মধ্যেই
পুরো গ্রহটাকে অন্ধকার মনে হচ্ছিল।এই
অন্ধকারে যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে
উপমা।
.
.
ছন্দা স্কুল গেটের সামনে চলে এলো।
কিন্তু আশেপাশে উপমা নেই।পাশে
চায়ের দোকান আর একটা লম্বা
রাস্তা ছাড়া এলাকাটা পুরাই নীরব।
স্কুল ছুটি হয় চারটায় আর এখন চারটা
বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট।কিন্তু
উপমা???কোথায় সে?ছন্দা এদিকওদিক
কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিলো কিন্তু উপমা
নেই।কোথায় গেল মেয়েটা?এইখানে
দাঁড়িয়ে থাকারই তো কথা।
এতোক্ষনে প্রবন্ধও এসে পরলো।এই
অচেনা শহরে উপমা গেল কোথায়?
প্রবন্ধ পাগলের মতো ছুটতে লাগলো
এদিক ওদিক।যেই পরীটা পাতাল পুরী
থেকে ধরনীতে নেমে এসেছিল সেই
পরীটাই তার ডানা উড়িয়ে কোথায়
চলে গেল!!মেয়েটা আজ আঁকড়ে ধরে
রয়েছিল না আসার জন্য।কতো মর্জি সে
করেছিল..ওর মর্জি ঠেলে দিয়েই ওকে
জোর করে স্কুলে আনা,ওকে নিতে
আসার কথা বলে ওর অপেক্ষাকিত সময়
পেরিয়ে ওকে নিতে আসা।সবই তো
অপরাধের শামিল।কেন যেন
নিজেকেই কারাগারের কয়েদি মনে
হচ্ছে।
প্রবন্ধ হাটতে হাটতে কিছু দূর ছুটে গেল।
খোলা প্রাঙ্গণের দিকে এগিয়ে
যেতেই দেখলো একটি গাছের নিচে
মানুষের ভীড় জমে আছে।একে অপরে
কি যেন কানাঘুষা করে বলে যাচ্ছে।
মানুষ জমতে জমতে জায়গাটায় অনেক
মানুষ গিজগিজ করছে।প্রবন্ধ ধীর পায়ে
হেটে সামনে গেল।ভীড়ের মধ্যে
ঠেলে গিয়ে দেখলো স্কুল ড্রেসে
পরা একটি মেয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে নিচে
পরে আছে।মুখ তার স্কার্ফের নিচে
ঢাকা।
বুঝতে আর দেরি হলো না যে এই
মেয়েটি-ই উপমা।
.
.
.
এই ঘটনায় একটা মানসিক ধাক্কা
খেয়েছে উপমা।এই ঘটনার পর উপমাকে
স্কুলে
দেখেশুনে রাখার একটা কড়া নির্দেশ
দেওয়া হলো তানহা,মানহাকে।উপমার
জ্ঞান
ফিরে আসলো কিন্তু এরপর ওর সাথে আর
কোনো কথা-ই হয়ে উঠলো না প্রবন্ধর।
উপমার পাশে ঘেষে শুতে নিলেও
উপমা মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পরে।কথা বললেও
তাকায় না।ভেতরে ভেতরে একটা
অভিমানী
রাগ চলে এলো উপমার।সারা রাত
ঘুমের মধ্যেই চোখ বুঝে উপমা গোঙানি
দিয়ে কেপে উঠেছে।আর প্রবন্ধ ওর
গোঙানোর আওয়াজ শুনে ওকে যতো
বার জড়িয়ে ধরতে গিয়েছে উপমা
ততোবার-ই প্রবন্ধকে ঠেলে সরিয়ে
দিয়েছে।
.
রাত হয়ে ভোর,ভোর কেটে সকালে
সূর্যিমামার কিরন।উপমা ঘুম থেকে
উঠেছে।এক ফোটা কথা নেই
মুখে,হাসি নেই।আগের মতো করেই
চোখ নিচু করে হেটে যায়।প্রবন্ধ একবার
না অনেকবার-ই ডাকলো ওকে-
-উপমা..তোমার জন্য ফুল এনেছিলাম।
দেখেছো?
উপমা তাকালো না।কথাও বলল না।
কিছুক্ষণ পর প্রবন্ধ আবারও বলল-
-উপমা..আজ আমি কাজে যাচ্ছি না।
তোমাকে নিয়েই বাসায় কাটাবো।
উপমা কোনো সায় দিলো না।
হাটে,রান্নাঘরে যায়,কাজ করে
আবার কিছুক্ষণ টেবিলে বসে পড়ে।
প্রবন্ধর সামনে উপমা আজ নীরব।ওর
কুয়াশা আচ্ছন্ন মনে আজ রোদ্দুর কোনো
রশ্মি নেই।এক বিছানায় বসে থেকেও
মাঝের দেয়ালটা টেনে বসে উপমা।
ইহা রাগ নাকি অভিমান!!তাও তো
জানা নেই।দুইজনে পাশাপাশি বসেই
নীরব হয়ে থাকে উপমা।তবে দুই চোখে
অজস্র অভিমানের ছায়া এনে। প্রবন্ধ
আবার ডাকে-
-উপমা.........
ডাকের শব্দটা ফুরিয়ে আসতে না
আসতেই উপমা উঠে চলে যায়
বেলকুনিতে কখনো আবার রান্নাঘরের
দিকে।কাল রাতে ইচ্ছে মতো নীরব
কান্না কেঁদেছিল।শুকনো বালিশের
তুলো এখনো ভিজে ভারি হয়ে আছে।
রাতে ওর চাপা কান্নার ভারী
নিশ্বাসটা আন্দাজ করতে পেরে কতো
কথাই জেগে উঠেছিল প্রবন্ধর মনে।
বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল "এতো কান্না
দিয়ে কি করবে তুমি উপমা!বরং তুমি
তোমার চোখে ফেটে পরা জল আমার
চোখে ঢালো আমি আমার চোখ
দুটোকে তোমার চোখের জলে ধুয়ে
রাখি।"
কিন্তু কথাগুলোকে আবার নিদ্রায়
চলে যেতে হয়েছে।উপমার সান্নিধ্য
না পেয়ে কথাগুলো মনে অকেজো
হয়ে পরে আছে।
প্রবন্ধ এইবার চিরকুট লিখতে বসলো।
লিখলো-
আমার ভোরের ফুল,রজনীগন্ধা,লাল টুকটুক
কৃঞ্চচূড়া ফুল...তুমি তোমার ছদ্মরূপের
যেমন অভাব রাখো না তেমনি আমি
তোমার ছদ্মনামেরও অভাব রাখতে
দেবো না।আমার ভালোবাসাযুক্ত
পুষ্পরাগমণি উপমা..তোমাকে ছাড়া
তোমার প্রবন্ধর যে কোনো অস্তিত্ব-ই
নেই।তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। তোমার
এক
একটা চোখের পানিতে আমি চাবুক
দিয়েছি।এই অপরাধীর সাজা তুমি কি
রেখেছ উপমা!তোমার সাথে চোখে
চোখ মিলিয়ে কথা বলবার সাহস হয়ে
উঠছে না আমার।মাফ চাইলেও কি এই
ক্ষমার ঠাই হয়ে উঠবে কি না তোমার
হৃদয়ে তাও আমি জানি না।আমার
ইতিহাসে এই দিনটা একটি
ঐতিহাসিক অধ্যায় হয়ে থাকবে।হয়তো
তুমি ভুলতে পারবে কিন্তু আমি না।
মনের কোকিলগুলো কুহু কুহু করতে
চাইছে।কিন্তু আমি বসন্তকে থামিয়ে
রেখেছি।যেই হৃদয়ে তুমি আসতে
চাইছো না সেই হৃদয়ে বসন্ত এনে কি
করবো আমি? তোমার নিশ্বাসটা
একদিন কাছে থেকে না শুনলে আমি
ঘুমোতে পারি না।কাল রাতেও
তোমার ভয়ে আতকে ওঠার আচ পেয়ে
তোমাকে বুকে জড়িয়ে নিতে
চেয়েছিলাম।তোমার নিশ্বাসটাকে
অনেক কাছে থেকে শুনতে
চেয়েছিলাম।তুমি দূরে সড়িয়ে
দিলে।কথা বলতে গিয়েছিলাম তুমি
নীরব হয়ে রইলে,তোমার পায়ের
আওয়াজ শুনতে চেয়েছিলাম তুমি
থমকে দাঁড়ালে,তোমার চোখে
কালজের টানা রেখা একে দিতে
চেয়েছিলাম তুমি মুছে ফেললে।
আমার আকাশের চাঁদ আমি হারিয়ে
ফেলেছি।হারিয়ে ফেলেছি অন্ধকার
আকাশের তারা।তোমাকে না পেয়ে
আমার আকাশের চাঁদ তার চাঁদনী রাত
হারিয়েছে,তারাগুলো হারিয়েছে
উজ্জ্বলতা।তোমার জন্য ফুল এনেছিলাম।
ভেবেছিলাম দিন শেষে তোমাকে
একটু চমকে দেবো।কিন্তু হতভাগা কপাল
আমার,তোমায় চমকে দেওয়ার সুযোগ-ই
পেলাম।তোমার প্রবন্ধ আজ অপরাধীর
কারাগারে বন্দী হয়ে আছে।তোমার
মনের আদালতে তুমি কি রায় দিতে
চলেছো কে জানে!তবে আমি মাথা
পেতে নেব।আমার হৃদয়ের মহারানী
তুমি।এই হৃদয়ের ছোট হেরেমে তো
তুমি-ই পরিচালনা করে যাচ্ছ।আমি
আমার ভালোবাসা কে কসম খেয়ে
বলতে পারবো যে তুমি উচিৎ শিক্ষাটাই আমাকে দেবে।কিন্তু কথা না বলে তোমার
নীরবতার শাস্তি আমায় দিও।তাহলে
কিন্তু আমার আত্মা বেঁচে থেকেও
মরতে বসবে।
তুমি কি জানো উপমা.. তোমার প্রবন্ধ
যতোদিন বেঁচে থাকবে ততোদিন
পর্যন্ত সে তোমাকে এইভাবেই
প্রেমপত্র লিখে যাবে।
হয়তো আমি পুরোনো হতে পারি,আমার
বয়সের রেখা মুখে পরে যেতে
পারে,কালো চুলে সাদা রঙ ধরতে
পারে কিন্তু আমার প্রেম আর প্রেমের
বর্নে ছাপানো চিঠি যুগ যুগ ধরে চির
যৌবনা হয়েই থাকবে।হুইস্কির এক চুমুক
যেমন নেশা ধরিয়ে দেয় তেমনি
তোমার মাঝে প্রেম সাগরে ডুবে ডুবে
জল খেয়ে আমিও সেই নেশায় বুদ হয়ে
আছি।তোমার ভালোবাসায় নেশা
ধরা তোমার এই নেশাখোর প্রবন্ধ
তোমার মাঝেই তার অস্তিত্ব খুঁজে
পায়।তুমি তাকে প্রাণহীন প্রেমে শূণ্য
হাতে ফিরিয়ে দিও না। তোমার এই
প্রবন্ধ তোমার সান্নিধ্য চায়,তোমার
প্রেমময় হাসি চায়,তোমাকে একটু আদর
করতে চায়,তোমাকে ছুয়ে দিতে
চায়,তোমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে
দিতে চায়,তোমাকে নিয়ে প্রেমের
চাদরে মিশে যেতে চায়।তুমি তাকে
প্রেমহীন ক্ষরা,শিলা বৃষ্টির বরফ
কণাতে একাকীত্বের আঘাত দিও না।
তোমাকে কাছে না পেয়ে মনে হচ্ছে
আমার আকাশের চাঁদটা কালো মেঘে
ঢাকা পরেছে।তুমি একটু জ্যোৎস্নার
আলো ছড়িয়ে দেও না..এই রাতের
কালো আকাশের বুকে।
আমার লেখা কিন্তু সমাপ্ত হয় নি
উপমা।হয়তো হবেও না।আমার
উপন্যাসের নায়িকা তুমি।তোমাকে
নিয়ে আমার উপন্যাসের চিঠিটা কম
কথায় আমি কখনোই শেষ করতে পারবো
না।আমি আমার উপন্যাসের প্রতিটা
বাক্যে তোমার নাম লিখে রাখতে
চাই।তুমি আমাদের মাঝের দেওয়ালটা
ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিবে কি?
আমি তোমার হাসির অপেক্ষায় অধীর
হয়ে আছি।আমার দিকে তাকিয়ে তুমি
তোমার হাসির ভাষায় আমার
জবাবটা দিয়ে দিও।
"তোমার উপন্যাসের নায়ক প্রবন্ধ"
প্রবন্ধ চিঠিটা আগের মতো করেই
চিরুনির নিচে রেখে দিলো।লম্বা
চুলগুলো আচড়াতে বসলে নিশ্চয়ই একবার
চোখ পরবে উপমার এই চিঠিটার দিকে।
আর উপমা সকল রাগ বিরহ ঘুচে দিয়ে
প্রবন্ধর চিঠিতে মিশে একাকার হবে।
তাই নয় কি!
চলবে..
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ