āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

659

অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন প্রাইভেট পড়া শেষে দুতলা থেকে সিড়ি বেয়ে নামার সময় জুতার ফিতে ছিড়ে গিয়েছিল। পিছনে ছিল চারটি মেয়ে অার দুটো ছেলে। পায়ের দুই অাঙ্গুল দিয়ে জুতার ফিতেটা চেপে ধরে হেটেছি অার পিছন থেকে তারা অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়ছিল। থমকে দাড়ালাম, এত সহজে হেরে যাই কিকরে? জুতা জোড়া ফেলে দিয়ে খালি পায়েই হেটে এসেছি। তবে মনে মনে ঠিকই পরাজয় বরণ করেছিলাম। কারন অাব্বু বেতন না পেলে জুতা কিনে দিবে কিকরে? হয়তো অামার জন্য অাবার টাকা ধার করতে হবে। অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত হেরে যাই। তবুও অাশায় থাকি হয়তো এক সময় ঠিকই জিতে যাব।
.
প্রতিবেশী একজনের বিয়ের বরযাত্রীতে গিয়েছিলাম দাওয়াত কবুল করার জন্য। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হওয়ায় প্রতি মাসে অার জামা কাপড় কিনার ভাগ্য হয়নি। রোজার ঈদের কাপড়টি আয়রন করে আলমারীতে তুলে রেখে কোরবানী ঈদের দিন পড়তাম।
বিয়েতে গিয়েছিলাম তিলা পড়া এক সাদা ফতোয়া পড়ে। সাথের সবাই যখন বিয়ে বাড়িতে অানন্দ করছিল তখন অামি হাত দিয়ে ফতোয়ার তিলা জায়গাটুকু ঢেকে রাখার অাপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। হেরে যাই কিকরে? হয়তো একদিন ঠিকই জিতে যাব।
.
রোল নং সবসময় পাঁচের নীচে থাকত। শুধু দশম শ্রেণীতে রোল নং হয়েছিল সাত। অপ্রত্যাশিত কারনে একজন স্কুল শিক্ষিকার ক্ষীন ও নিম্ন মন-মানষিকতার কারনে মাত্র দশম শ্রেনীতেই লেখাপড়া সমাপ্ত করতে হয়েছিল। যা প্রকাশ করেছি অামার "অাবার অাসিব ফিরে" উপন্যাসে।
লেখাপড়া ছেড়ে দিলেও জিতার তীব্র অাশায় পথ চলেছি। হয়তো জিতব কোনদিন।
.
বাবা মায়ের বোঝা হব কেন? লেখাপড়া ছাড়তেতো বাবা মা বলেনি। তাই তো অসংখ্য কাজ করেছি জীবনে। কাঁধে নিয়ে মোমবাতি বিক্রি করেছি। হয়েছি জুতার দোকানের সেলসম্যান। সমিতির চাঁদা কালেকশন করেছি। রাজমিস্ত্রীর কাজ করেছি। কখনো করেছি মানুষের পুকুর পরিষ্কার। রংয়ের কাজ করতে গিয়ে শরীরে এঁকেছি কতনা অাল্পনা। কখনো মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে উপস্থাপনায় মগ্ন হয়ে বলতাম, " পড়ন্ত বিকেলে এই শিল্পকলা একাডেমীর অনুষ্ঠানে সবাইকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। কখনো ওয়াজ বা বাউলগানের মাইক বাজাতে গভীর রাতে চড়েছি গাছের ডালে ডালে। তবুওযে অামার একটিবার জিততেই হবে।
.
ভালবাসার মানুষটির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। অপরাধ ছিল আমি একই এলাকার বাসিন্দা ও অাত্মীতার সম্পর্ক। সেই ভালবাসার মানুষটি যখন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় তখনো দোষী হয়েছি অামি। প্রতিবেশীদের কাছে প্রতিনিয়ত শুনতে হত আমারই অভিশাপে মারা গিয়েছে অামার ভালবাসার মানুষ।
জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছি। হারবনা অামি, অামার যে একটিবার জিততেই হবে।
.
জীবনের এই প্রান্তে এসে যখন কাছের বন্ধুরা একে একে ভুল বুঝে দূরে সরে যায় তখন অামি খুব করে মুচকি হাসি।
জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিয়ে চলে এসেছি। জীবনের এত কিছু হারিয়ে যখন হেরে যাইনি তাহলে বন্ধুরা হারালেই অামি হারব কেন? অামাকে যে জিততেই হবে। অামি অন্তত একটিবার হলেও জীবনে জিততে চাই।
.
.
লেখনীর শেষ প্রান্তে,,,,,,,,,
,,,,,,,Mohammad Omar Faruq(শ্রাবণ)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ