āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

675 {2}

<3 #অবুঝ_ভালোবাসা <3 ২য় পর্ব

এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। সত্যিই কি আমার সামনে বসে থাকা অপরুপ সুন্দরী মেয়েটা সেদিনের সেই নাক বোচা পিচ্চি নিলাদ্রী? :o :D

বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও জানি এটাই সত্যি। কারন পর্দার আড়ালের চোখ জোড়ার সাথে এই মেয়েটার চোখের শতভাগ মিল রয়েছে.....

-আমি তাহলে আজ যাই

নিলার কাছ থেকে বিদায় নেয়ার জন্য উঠে দাড়ালাম....

-না বসুন, কথা বলবো
-না মানে কাজ ছিলো তো তাই যেতে চাচ্ছি....
-উফ বসতে বলেছি বসুন! >_< :/

আমি বাধ্য ছেলের মতো বসে পড়লাম।

-কেমন আছেন? :)

-এইতো ভালো আছি! তুমি?

-ভালো তো থাকার ই কথা, এখন তো আপনাকে আর কেউ ডির্স্টাব করে না, লাভ লেটার লিখে না! :)

ওর কথা শুনে আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। মেয়ে টা এখনো সব কিছু মনে রেখেছে.....

-তা কি করছেন ইদানিং?
-এই তো একটা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে জব করছি, তুমি কি পড়শোনা করছো?
-হ্যা, বিবিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছি
-ও আচ্ছা
-কিছু মনে না করলে একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করি?
-অবশ্যই!
-শুনলাম এখনো নাকি বিয়ে সাদি করেন নাই, তাহলে নিশ্চই জিএফ টিএফ আছে? :)
-ধুর! এসব কখনো ছিলোও না আর এখনো নাই!
-মিথ্যে বলবেন না! :(
-আরে মিথ্যে বলবো কেনো?
-সত্যি? :D
-হ্যা সত্যি! কিন্তু তুমি এতো খুশি কেনো? :/

আমার কথা শুনে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেলো মেয়েটার.....

-ইস! আমি খুশি হতে যাবো কেন শুধু শুধু?
- তা তুমি নিশ্চই প্রেম করো নিলা? এতো সুন্দরী মেয়ের তো সিংগেল থাকার কথা নয়! ;)
-সত্যি বলছেন আমি সুন্দরী?
-নিঃসন্দেহে!

নিলা কে একটু খুশি খুশি লাগছে

-যাক আপনার চোখে আমি সুন্দরী হতে পেরেছি তাহলে! আপনি তো শুধু আমাকে পিচ্চী বলতেন। কখনো এরকম ভাবে আমাকে দেখেন ই নাই.... :'(

আরও টুকটাক কিছু কথা হলো তার সাথে। কিছুক্ষন পর মাগরিবের আজান দিলো। পশ্চিম আকাশে আগুন লাগিয়ে অস্ত যাচ্ছে সূর্যটা। অসাধারন একটা দৃশ্য। আমরা ছাদের রেলিং এর পাশে দাড়িয়ে উপভোগ করতে লাগলাম। মৃদু হাওয়ায় নীলার চুল গুলো উড়ছে। সে দৃশ্য টা আরো বেশি সুন্দর!

সন্ধ্যা সাত টার দিকে বাসায় আসলাম। টিভিতে কিছুই হচ্ছে না, চ্যানেল ঘুরাচ্ছি একের পর এক। অবশেষে স্টার মুভিজে দেখলাম আমার পছন্দের সিনেমা টাইটানিক চলছে। একা একা বসে দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর কলিং বেলের আওয়াজ কানে আসলো। দরজা খুলে দেখি নীলা দাড়িয়ে আছে। হাতে একটা প্লেট।

-নীলা তুমি?
-হ্যা আমি, ভেতরে আসতে বলবেন না?
-হ্যা...হ্যা আসো!

নীলা ভেতরে ঢুকলো। আমার কিছু টা অস্বস্তি হচ্ছে। যত যাই  হোক একটা ব্যাচেলর ছেলের বাসায় রাতের বেলা একা একটা মেয়ের আসা টা ভালো দেখায় না!

-নীলা তুমি যে এখানে এসেছো আন্টি জানলে মাইন্ড করবে না?
-আপনার আন্টিই তো আমাকে পাঠিয়েছে!
-ও আচ্ছা তাহলে সমস্যা নাই... তোমার হাতে ওটা কি?

-বিরিয়ানী, আম্মু রেধেছিলো বললো আপনার জন্য নিয়ে যেতে। (পরবর্তীতে জানতে পারি বিরিয়ানী টা সে নিজের হাতে রান্না করেছে তাও আবার আমার জন্য! :p )

বিরিয়ানী টা বেশ হয়েছে। অনেকদিন এমন রান্না খাই না। নীলা বসে বসে আমার খাওয়া দেখছে। আর আমি দেখছি মুভি টা। একটু পর সেই রোমান্টিক দৃশ্য টা আসলো রোজ আর জ্যাক হাত ছড়িয়ে জাহাজের কিনারে দাড়িয়েছে তারপর কিস..... :p

আমি তড়িঘড়ি করে চ্যানেল টা পাল্টে ফেললাম। তবে দৃশ্য টা কিন্তু আসলেই অনেক সুন্দর, আমার পছন্দের। একা হলে নাহয় দেখা যেতো। কিন্তু আমার পাশে এখন জলজ্যান্ত একটা মেয়ে বসে আছে। আমার কান্ড দেখে নীলা হাসতে লাগলো।

-কি হলো পাল্টে ফেললেন যে? ^_^
-ধুর! আমি ভালো ছেলে, এসব দেখি না! :p
-আহারে..... তাই বুঝি?
-হ্যা তাই, অনেক রাত তো হয়ে গেলো। বাসায় যাবে না?
-না, ভাবছি আজকে রাত টা এখানেই থেকে যাবো! ;)
-কিইইই??? :o
-আরে আমি তো মজা করলাম, যাচ্ছি...যাচ্ছি :/

একটু পর নীলা চলে গেলো। কেমন যেনো একা একা লাগছে। এতক্ষন বেশ ভালোই লাগছিলো। ঘুমানোর সময় ও নীলার কথা মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো। এই অনুভূতির নাম কি? আমার জানা নেই......

*****

সকালে ঘুম ভাঙলো বাবার ফোনে। উদ্বিগ্ন কন্ঠে বাবা জানালেন মায়ের নাকি শরীর খুব খারাপ, বুকে প্রচন্ড ব্যাথা। হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আমি কোনো রকম হাত-মুখ ধুয়ে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে। এজন্যই বাবা-মা কে ছেড়ে দুরে থাকতে মন চায় না, কিন্তু চাকরির খাতিরে থাকতে হয়! শান্তিনগর থেকে মিরপুর ১০ এর রাস্তা মিনিট চল্লিশের বেশি লাগার কথা না। কিন্তু জ্যামের কারনে দেড় ঘন্টা লেগে গেল......

বাসায় গিয়ে দেখি মা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আমি তার পাশে বসে মাথায় হাত রাখলাম। চোখ খুলে আমাকে দেখে মায়ের ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটে উঠলো। আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলাম। কিন্তু তিনি কিছুতেই যাবেন না আমি পাশে থাকলেই নাকি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। টানা সাত দিন আমি মায়ের পাশে থেকে তার সেবা করলাম। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি। আমার ও বিদায় নেয়ার সময় হয়ে এলো।

আমি ফিরে এলাম আমার শান্তি নগরের বাসায়। বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখি এলাহি কারবার! লাল নীল বাতি দিয়ে মোড়ানো হয়েছে পুরো বিল্ডিং, বিশাল বড় বড় পাতিলে বসানো হয়েছে রান্না! রমনীরা রংবেরং এর শাড়ী পরে এদিক সেদিক হাটা-হাটি করছে। ঘটনা কি? ভাবতে গিয়ে আমার মাথা হ্যাং করলো.....

আমি একটা মেয়েকে দাড় করিয়ে জানতে চাইলাম এখানে কি হচ্ছে? সে আপাদমস্তক আমাকে দেখলো। তারপর মুখ-চোখ গম্ভীর করে বললো-'এখানে চল্লিশা হচ্ছে' বলেই ফিক করে হেসে দৌড় দিলো!

এজন্যই অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে আমি কথা বলতে চাই না। তারা কথার গুরুত্ব স্থান, কাল,পাত্র না বুঝেই সব জায়গায় সস্তা রসিকতা করে আর নিজেকে বোকা প্রমান করে।

স্যুট-প্যান্ট পরা একজন ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাইলাম যে এখানে কি হচ্ছে? সে আমাকে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিলো......

-আপনি কে?
-জ্বি...আমি এই বাসায় ই ভাড়া থাকি
-আপনি কিছু জানেন না?
-জ্বি না!
-আজ তো নিলাদ্রীর......

আমি তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বললাম

-নিলাদ্রীর মানে? আজ নিলাদ্রীর কী????? :o

(৩য় পর্বে সমাপ্য)

লেখকঃ Saiful Shamim (হিমুর জোছনা রাত) ★

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ