āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{24}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-24 / Last Part
.
"হে আমার স্বপ্নরানী,মেঘপরী, পুতুল কন্যা উপমা।
তোমার শত ছদ্মনাম দেওয়ার পরও আরও কিছু নামযুক্ত
করলাম।তোমার প্রেম,ভালোবাসা,অনুভূতির আরও কিছু
কথা আমার মনে সেই আগের মতোই আছে।আমি
তোমাকে আগেই বলেছিলাম আমার বয়স গড়িয়ে গেলেও
আমার ভালোবাসা ও চিঠিতে লেখা অনুভূতিগুলো চির
যৌবনাই থেকে যাবে।দেখলে উপমা..তোমাকে চিঠি
লেখার সেই পুরোনো প্রথাটা আজও আমি চালিয়ে
গিয়েছি।কি করবো বলো..হাতের কাছে কাগজ আর কলম
দেখলে নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারি না।চট করে এক দুই
লাইনের কোনো বাক্য হলেও তোমায় চিঠি লিখতে বসি
আর চিঠিটা সেই আগের মতো করেই রেখে দেই চিরুনির
নিচে।আর চুরুনির নিচে রাখার সেই একটাই কারন।তুমি
যখন ড্রেসিং টেবিলের সামনে লম্বা চুলগুলোকে
আচড়াতে বসবে তখনই আমার চিঠিটা তোমার চোখে
পরবে।অনেক বছর দেখতে দেখতেই কেটে গেল।কিভাবে
কেটে গেছে জানি না।চোখের সামনেই বছরগুলো চলে
গেল।হাতে ধরে আটকে রাখতে পারলাম না।আর এরই
মাঝে আমাদের মাঝে কতো সুখ দু:খের ঝঞ্ঝাট বয়ে
গেল হিসেব নেই। বাচ্চা না হওয়ার দুর্বলতা নিয়ে যখন
তোমায় কেউ উপহাস করতো,তাবিজ,পানি পরা আরও
কতো জনে যে কতো কিছু নিয়ে আসতো..তখন আমার
খুব রাগ হতো।আমি হাকিয়ে এসে বলতাম আমরা
এইভাবেই সুখি আছি,বিধাতা চাইলে তিনি-ই আমাদের
সন্তান সুখ দিবেন।এইসব কুসংস্কারে আমাদের কিচ্ছু
হবে না।কিন্তু তোমার তো মায়ের মন ছিল।তুমি আমার
কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে কখনো পানি পরা
খেয়েছো,কখনো আবার হাতে তাবিজ পরে রেখেছো।
কিন্তু আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করে গিয়েছি।
আল্লাহ মনে হয় আমার সেই কথায় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
তোমার বয়স যখন আটাশ এর কাছাকাছি তখন আমাদের
সেই প্রথম বাচ্চাটার জন্ম হয়েছিল।বাচ্চাটাকে পেটে
ধরে ব্যথায় সারারাত জেগে থাকতে দেখেছি তোমায়।হাত
ধরে তোমাকে এইঘর, ওই ঘর হাটিয়েছি।দশ মাস পর
তোমার কোলে যখন একটি বাচ্চা মেয়ে পুতুলের জন্ম
হলো তখন নিজের মাঝেই নিজেকে সুখের স্বর্গে হারিয়ে
ফেলেছিলাম। কিন্তু সেই সুখও আমাদেরকে ছেড়ে চলে
গেল।একদিন রাতে তুমি আমায় বললে-
-শুনছো..বাবু চোখ খুলছে না।কাঁদছেও না।
আমি তখন বলেছিলাম-
-ডাক্তার তো বলেছিল আস্তে আস্তে ঠিক হবে।
জ্বরের মাত্রাও আস্তে আস্তে কমে যাবে।
কিন্তু তুমি ক্ষান্ত হলে না।বাবুকে দেখে আতকে উঠলে।
বাবুকে কোলে জড়িয়ে নিয়ে রাতের নিরব আধারে তোমার
যেই চিৎকার শোনা গিয়েছিল।সেই চিৎকারটা আমি
আজও শুনতে পাই।আমার বুকটা কেপে ওঠে।তুমি বাবুকে
কোল থেকে ছাড়তে চাও নি।তোমার কোল থেকে টেনে
এনে বাবুকে কাফনের কাপড়ে জড়িয়ে নিতে আমার যেই
কষ্ট হয়েছিল তা আমি বলে শেষ করতে পারবো না।
আমাদের সুখও সাথে দাফন হয়ে গিয়েছিল ওইদিন।ভরা
কোলের শুণ্যতার হাহাকারে তুমি রাতে ঘুমোতে পারো নি।
সাথে আমিও পারি নি।দুইজনে দুইজনকে জড়িয়ে ধরে
কান্নার রেখা পরা শুকনো চোখে তাকিয়ে থেকেছি।আমরা
কষ্টকে ছেড়েছিলাম কিন্তু কষ্ট আমাদেরকে ছাড়তে
পারে নি। এই দু:খের সীমা কেটে উঠতে না উঠতেই দু:খের
আরেক পর্যায় চলে আসলো।ছন্দাআপুর অকাল মৃত্যু
হলো।মা হারা দুলিকে তখন আমরা সামলে নিলাম।তুমি
তোমার স্নেহে ওকে গড়ে তুললে।আমিও ওকে পিতৃ
আদরে ভরে রাখলাম।দুলিকে পেয়ে সন্তান হারানোর দু:খ
আমরা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।এর কিছু কাল পর
আম্মাও চলে গেল।একবছর পর বাবা।তারা আর নাতি
নাতনির মুখ দর্শন করে যেতে পারলো না।মনে তোমারও
একটা চাপা কষ্ট ছিল যা আমি বুঝতাম।আমাদের
পরিবারে এইভাবে মৃত্যু মৃত্যু খেলা চলতে লাগলো।
আমরা দুইজনেও খুব ভয় পেয়েছিলাম।ভেবে নিয়েছিলাম
কোনো কুনজর লেগেছে আমাদের।
এক কথা বলতে বলতে কতো কথা-ই বলে ফেললাম।
দেখলে উপমা..বয়স হওয়ার সাথে সাথে বাচালতা বৃদ্ধি
পেয়েছে আমার।এখন আর কষ্টের কথা বলবো না।
আমাদের প্রেমময় জীবনের চমৎকার কিছু মুহূর্তগুলো
একটু স্মরণ করিয়ে দিই।
সুই সুতোর কারুকার্য করা তোমার হাতে বানানো সেই
পাঞ্জাবীটার কথা মনে পরে??আজ খুব কৃপনতা নিয়ে
পরলাম।এখনো ভয় হচ্ছে।যদি নষ্ট হয়ে যায়!এই নিয়ে
পাঞ্জাবীটা গুনে তিন/চার দিনের মতো পরেছি।নষ্ট
হবার ভয়ে।তোমার মনে আছে এই পাঞ্জাবিটা একবার
পড়েছিলাম তোমার অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার
খুশিতে।তুমি এই কয় বছরে ভালো শুদ্ধ বলতে
শিখেছিলে।প্রায় অনেক কিছুই বুঝেছো,শিখেছো।আর
এক/দুই লাইনের কবিতা নিজে নিজেই লিখে আবৃতি করে
আমায় শুনাতে।আর আমি যখন তোমায় জড়িয়ে ধরে
আদর করতে থাকতাম তখন তুমি আমায় বলতে-
-আমাকে আদর করতে গিয়ে কি তুমি ক্লান্ত হও না!!
আমি হেসে বলতাম -
-মজা করছো!হাজার হাজার আদরের মাঝে তোমাকে
ডুবিয়ে রাখলেও তোমার এই প্রবন্ধ কখনো ক্লান্ত হবে
না।
-ইশশ..
-কি ভুল বললাম?
-জানি না।
-আবারও 'জানি না'!!!
এরপর দুজনে হাসা শুরু করতাম।
আরেকবার কি হয়েছিল মনে আছে উপমা..
তুমি ওয়াশ রুমে গিয়ে ভয়ে চিৎকার করে উঠলে।
ওয়াশরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসতেই আচল ঝাড়তে
লাগলে।আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম -
-কি হয়েছে উপমা!
আর তুমি বলেছিলে-
-একটা টিকটিকি পরেছে আমার গায়ে।
এই কথা বলেই ভয়ে পাগলের মতো আচল ঝাড়তে
লাগলে আর সেইদিনের পর থেকে আমি তোমায় চেঁচিয়ে
যেতাম।কথায় কথায় বলে উঠতাম-
-ওই দেখো উপমা..তোমার মাথায় ওইটা কি?
তুমি ভয়ে ভয়ে বলতে-
-কি আমার মাথায়?
আর আমি বলতাম-
-একটা টিকটিকি।
আর তুমি লাফিয়ে চুল ঝাড়া শুরু করতে আর আমি হেসে
উঠলে তুমি আমার রসিকতা বুঝে গাল ফুলিয়ে বসে
থাকতে,অভিমান করতে।মনে পরে সেই দিনগুলোর কথা!!
আমি কিন্তু আজও ভুলতে পারি নি।
সে কি ঠাট্টা,হাসাহাসি আর কিছু রোমান্টিক মুহূর্তের
কথা..
এখন বলি বর্তমান কথা।তোমার ছেলে 'হেমন্ত' আর
ছোট মেয়ে 'হাওয়া' আজ কতো বড় হয়েছে।কিন্তু আমি
মাঝে মাঝে অবাক হই।হেমন্তের বউয়ের সাথে কথা বলার
সময় তোমার মাঝে শাশুড়ির ন্যায় কোনো ভাব-ই দেখা
যায় না।একদম বান্ধুবীর মতো কথা বলো আর হাসাহাসি
করো।আমার অবশ্য ভালোই লাগে।বউ- শ্বাশুড়ির
ক্যামিস্ট্রি দেখে।
চিঠির প্রায় অর্ধেকটা শেষ করেছি।আরও কিছু কথা
লেখার বাকি ছিল।হঠাৎ তোমার ছোট নাতিটা 'রৌদ্র'
এসে বলল-
-দাদু ভাইয়া..পাপা তোমায় ডাকছে।
বুঝলাম হেমন্ত আমায় ডাকছে।জানোই তো বিয়ে বাড়ি।
হাওয়া বউ সেজে ষ্টেজে বসে আছে।হয়তো কোনো
দরকারে হেমন্ত আমায় ডেকেছে।যাওয়ার আগে
এইমাত্রই বারান্দা দিয়ে উঠোনে একনজর তাকালাম
হাওয়ার দিকে।তোমার মেয়েকে যে কি চমৎকার দেখাচ্ছে।
আমার কি মনে হচ্ছে জানো..আমি সেই নতুন বধু
লজ্জাবতী উপমাকে দেখছি।যে ঘোমটার মাঝে নিজেকে
আড়াল করে রাখতো। কাজলে ঢাকা সেই চোখ জোড়া
আজও তোমার মাঝে দেখতে পাই।তুমি আগের মতোই
আছো উপমা..আমার হৃদয়ের পুতুলকন্যা..আমার
স্বপ্নেদেখা রাজকন্যা।
আজ সেই পাঞ্জাবিটা পরার সময় তুমি আমাকে বললে-
-এই পাঞ্জাবীটা এখন পরো না তো..পুরোনো দেখাচ্ছে।
মেয়ের বিয়েতে এইটা পরলে কেমন দেখাবে!
আমি তোমাকে কিছু বলি নি কিন্তু এখনো পাঞ্জাবীটা
খুলে রাখি নি।এইটাই পরে আজ আমাদের মেয়েকে বিদায়
দিবো।
সকালে হেমন্তর বউকে জিজ্ঞাসা করলাম-
-তোমার শাশুড়ি কোথায়?
সে বলল-
-মামনি দুলিআপুকে নিয়ে বাহিরে গিয়েছে।
কোথায় গিয়েছো কে জানে!ইদানীং তোমার কাজ বেড়ে
গেছে।সারাক্ষণ এইভাবে ছোটাছুটি করতে থাকো।তবুও
দিন শেষে ভালোবাসায় জড়িয়ে নিতে তুমি একটুও ভুলো
না।
ষ্টেজে হাওয়ার কোলে দুলির বাচ্চা মেয়েটা বসে আছে।
তোমার বোন দুইটাও হাওয়ার সাথেই ষ্টেজে বসা।ওরা
আমার কাছে এসে কতো কথাই না বলছে "দুলাভাই
এইটা..দুলাভাই ওইটা"
বছর যেতে যেতে আজ কতোটা দূর, কতোটা কষ্টের
পাহার ডিঙিয়ে চলে এলাম দুজন।তোমাকে জড়িয়ে না
ধরে আজও যে ঘুম হয় না আমার।কি করবো
বলো..তোমাকে পেয়ে এই অভ্যাসটায় আমার নেশা ধরে
গেছে।
যা-ই হোক..আমি কিন্তু তোমার মেয়ের সাথেই নিচে বসে
আছি।তোমার মেয়েটাকে ঠিক তোমার মতোই দেখাচ্ছে।
চিঠি পরা শেষ হলে চলে এসো।দুইজন মিলে আজ একটা
পুতুল বিয়ে দিবো।"
চিঠিটা পড়া শেষ হলো উপমার।ভাজ করতে করতে সেই
পুরোনো লজ্জালু হাসিটা আজও ঠোঁটের কোনে জমাট
বেধে বসলো।প্রবন্ধ আজও সেই প্রবন্ধই আছে।একটুও
বদলে যায় নি।
.
প্রবন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে উপমাকে দেখছিল
এতোক্ষন।চিঠি পড়ার শেষে উপমার এই মিষ্টি হাসিটা
দেখার জন্যই এইদিকে এসেছিল।দরজায় দুটো টোকা দিয়ে
ডাক দিলো-
-উপমা....
উপমা চিঠি জড়িয়ে চোখ বুঝে দাঁড়িয়ে রয়েছিল
এতোক্ষন।প্রবন্ধর ডাক শোনা মাত্রই চমকে উঠলো।
প্রবন্ধ উপমার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।উপমার গালে হাত
বুলাতে বুলাতে বলল-
-আজও কি লজ্জা পাচ্ছ আমাকে উপমা!!!
উপমা মিষ্টি করে হাসলো।আর চোখ বুঝে অনুভব করে
গেল প্রবন্ধর স্পর্শ।
হঠাৎ বাহির থেকে আওয়াজ শোনা গেল "বরযাত্রী
এসেছে" "বরযাত্রী চলে এসেছে.."
উপমা বলল-
-চলো..পুতুল বিয়ে দিতে যাই।
প্রবন্ধ হাত বাড়িয়ে বলল-
-এসো...
উপমা সেই কাঠের বক্সটায় চিঠিটা রেখে প্রবন্ধর হাত
ধরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল।
কাঠের বক্সটায় আজ শত শত চিঠি জমে আছে।সাথে
আছে ওই শুকনো ফুলটাও।
.
<3 The End <3
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ