āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{2}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -2
.
প্রবন্ধ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পরলো।হুইস্কির নেশায় একেবারে এক ঘুমে রাত পার করেছে।কিন্তু রাতে ঘুম আসার পর ওই মেয়েটার কি হয়েছিল!হঠাৎ উপমার কথা মনে পরতেই প্রবন্ধ পাশে তাকিয়ে দেখলো উপমা ঘুমে মগ্ন হয়ে শুয়ে আছে।লম্বা ঘন চুলগুলো চেহারার দিকে এলোমেলো হয়ে আছে।শাড়ির আচলও শরীরে নেই। গায়ে কম্বলও জড়িয়ে শোয় নি। কম্বল পায়ের নিচে দুমড়ে পরে আছে।হাত পা ছড়িয়ে বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে।প্রবন্ধ কম্বলটা উপমার সারা শরীরে জড়িয়ে দিলো।দারুন সুন্দর লাগছে ওকে।কোনো কবি তার কাব্যিক ভাষায়ও হয়তো এই সৌন্দর্য হয়তো তুলে ধরতে পারবে না।
মানুষকে সবচেয়ে বেশী নিষ্পাপ তখনি লাগে যখন সে ঘুমিয়ে থাকে।উপমাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন নিষ্পাপতাও হার মানবে।কপালে ছোট করে চুম্বন দিলেও কি ওর ঘুম ভেঙে যাবে নাকি ঘুম ভাঙার পরোয়ানা করে কপালে এক ফোটা আদর ঢেলে দিবে।নাহ..থাক।যদি জেগে উঠে যায়।কাল রাতের মতোই প্রবন্ধকে ভয় পেতে শুরু করে!
বোকা মেয়েটা রাতে মুখটা ধুয়েও ঘুমোয় নি।চেহারায় মেকআপ ভেসে উঠছে।কাল রাতে যে ও কেঁদেছিল তার প্রমাণ দিচ্ছে ছড়িয়ে থাকা কাজল মাখানো চোখ দুটো।
প্রবন্ধ ফ্রেশ হয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বসলো।এতোদিন মেয়েদের সাথে জমিয়ে ফোনে আলাপ করেছে।ভার্সিটির যতোগুলো মেয়ে ওর জন্য পাগল ছিল সবার সাথেই ফোনে কথা বলে টাইমপাস করেছিল।কিন্তু ঘরে সুন্দর একটা ছোট পুতুল বউ থাকতে আবার টাইমপাস কিসের!প্রবন্ধ বসে বসে মেয়ে ফ্রেন্ড ছাড়া বাকি সব  মেয়েদের ফোন নাম্বার ডিলিট করে দিলো।
.
.
বাড়ির কাচ্চাবাচ্চাগুলো এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে।প্রবন্ধেরা তিন বোন,এক ভাই।বড় বোন ছন্দার বিয়ে হয়েছিল আগেই কিন্তু স্বামীর ঘর করার ভাগ্য জুটে নি তার।একটা মেয়ে হওয়ার পর তার স্বামী আরেকটা বিয়ে করেছিল।পাঁচ বছরের ছোট মেয়েটাকে নিয়ে  ছন্দা এখন প্রবন্ধদের সাথেই থাকে।আর ছোট দুই বোন তানহা আর মানহা উপমার থেকে দুই-তিন বছরের ছোট হবে।ওরা দুজনেই ক্লাস সেভেনে পড়ে।পরিবারের সদস্য বলতে ওরা সহ মা-বাবা।বাড়িটাও বেশ বড়সড় ওদের।
বাবা-দাদা পাকিস্তানি আমল থেকেই স্বর্নের ব্যাবসা করে আসছে।আর প্রবন্ধও নিজের প্রফেশনাল কাজ হিসেবে সেই ব্যাবসায়ই দেখাশোনা করছে।
.
প্রবন্ধ রুমের দরজা খুলে বাহিরে চলে এলো।ছন্দা ওর মেয়েটাকে ডাল ভাত খাওয়াচ্ছে।প্রবন্ধ আসা মাত্রই সে তার চোখে চোখে উপমাকে খুঁজতে লাগলো।প্রবন্ধের সাথে দেখতে না পেয়ে বলল-
-তোর বউটাকে দেখছি না।
-ঘুমোচ্ছে।
-কেমন লেগেছে তোর কাছে!
বিয়ের আগে প্রবন্ধ মেয়েটির ছবি একবার দেখেছিল।নতুন যুগের মতো মুখ প্রদর্শন করে আলাপ হয় নি।কারন হলো ওদের গ্রাম এলাকায় এইটা গ্রহণযোগ্য নয়।আর মেয়েটা এমনিতেও লজ্জাবতী।
প্রবন্ধ বলল-
-মেয়েটা ভালোই।কথা কম বলে আর কি।
ছন্দা ওর মেয়েটাকে খাওয়াতে খাওয়াতে বলল-
-নতুন পরিবেশে আমাদের সাথে মিশতেও ওর সময় লাগবে।তুই তো জানিস প্রবন্ধ.. মেয়েটা কোন পরিবেশের।মেয়েটার আমাদের সাথে মিশতে অনেকটা সময় লাগবে।
-হয়তো।
.
কিন্তু মেয়েটার লাজুকতা নিয়ে প্রবন্ধর কোনো অভিযোগ নেই।শুধু মেয়েটার ভয় কাটাতে হবে।এইটুকুই এখন আসল কাজের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
উপমা ঘুম থেকে উঠে গেল।বিছানা থেকে নেমে আগোছালো বিছানাটা নিজে নিজেই ঠিক করে রাখলো।প্রবন্ধ কাপড়চোপড়ে চারিদিক আগোছালো করে রেখেছে।উপমা কাপড়গুলো ঠিকভাবে গুছিয়ে নিলো।মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো।
.
প্রবন্ধ ঘরে ঢুকে দেখলো বিছানাটা সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে তার পুতুলবউ।বিছানাপত্র সুন্দরভাবে ঠিকঠাক করে মেয়েটা মাথায় ঘোমটা দিয়ে খাটেই বসে আছে।
রুমে কেউ না ঢুকলে হয়তো জানাই যেতো না যে উপমা ঘুম থেকে উঠে পরেছে।চুপচাপ একাকী বিছানায় নিজের মতো করেই বড় ঘোমটা মাথা দিয়ে বসে আছে।প্রবন্ধ বলল-
-এইখানে একাকী বসে থাকতে ভালো লাগছে তোমার!
মেয়েটি কথা না বলে ঘোমটার আড়ালে প্রবন্ধের দিকে তাকালো।প্রবন্ধ বলল-
-রুমের বাহিরে গিয়ে সবার সাথে কথা বলো,হেটে হেটে চারিদিকটা দেখে আসো,মা আর বড়আপুকে সালাম দিয়ে এসো।এইভাবে বসে থাকলে কি চলবে।তুমি এখন এই বাড়ির নব বধু।তোমার সাথে সবাই এখন আগ্রহের সাথে কথা বলতে চাইবে কিন্তু তুমি যদি কথা না বলে চুপচাপ থাকো তাহলে সবাই তোমাকে ভালোভাবে জানবে কি করে!
প্রবন্ধর কথা মতো উপমা উঠে গেল।ধীরে ধীরে পা ফেলে রুমের বাহিরে গেল।কিন্তু কার সাথে, কি কথা বলবে কিছুই বুঝছে না।রুমের বাহিরে গিয়ে দরজার সামমে বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইলো।প্রবন্ধ খেয়াল করে দেখলো উপমা রুমের বাহিরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।কোথায় যাওয়াটা এখন যুক্তিসংগত হবে হয়তো বুঝছে না।প্রবন্ধ উপমার সামনে গিয়ে বলল-
-এসো আমার সাথে।
প্রবন্ধ উপমাকে ছন্দার রুমে নিয়ে গেল।ছন্দা উপমাকে দেখলো আর বলল-
- বসো উপমা। বাড়িটা কেমন লেগেছে তোমার উপমা?
উপমা ধীরে ধীরে জবাব দিলো-
-ভালো।
-আমাকে চিনেছো!
উপমা মাথা নাড়িয়ে বোঝালো যে সে চিনে না।
ছন্দা বলল-
-আমি হচ্ছি তোমার ননাশ।নাম হচ্ছে ছন্দা।
ছন্দা ওর মেয়েটাকে দেখিয়ে বলল-
-এইটা আমার মেয়ে দুলি।
উপমা ঘোমটার আড়াল থেকে দুলির দিকে তাকালো।ছন্দা খাবার দুলির মুখে তুলে দিচ্ছে আর দুলি খাচ্ছে।দুলিকে দেখে উপমার ভালো লাগছিল।ইচ্ছে করছিল দুলির সাথে একটু খেলা করে নিতে।গ্রামে থাকতে সে দুলির মতো ছোটদের সাথে পাড়ায় গিয়ে খেলা করে সময় কাটাতো।দুলিকে দেখে ওদের কথা মনে পরে গেল উপমার।উপমা কেঁদে দিলো।ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলো।ছন্দা কান্নার আওয়াজ পেয়ে উপমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল-
-আরে..তুমি কাঁদছ কেন!আমার কোনো কথায় কি তুমি কষ্ট পেয়েছো!কিছুই তো বুঝতে পারছি না।কেন কান্না করছো তুমি?
উপমা আচল দিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো।
ছন্দা উপমার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।ছন্দা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো উপমার দিকে।উপমার কান্নার কোনো কারনই বুঝছে না সে। উপমার এই অকারণে কাঁদতে থাকার জন্য ছন্দা কিছুটা ঘাবড়ে গেল।ছন্দা চটজলদি করে প্রবন্ধকে ডেকে নিয়ে এলো।প্রবন্ধও বড় বোনের কথা শুনে উপমার কাছে গিয়ে দেখলো উপমা মুখ চেপে কাঁদছে।প্রবন্ধও ওর কান্নার কারন খুঁজে পেল না শুধু এইটুকুই বুঝলো যে মেয়েটি ভয়ে কাঁদছে নয়তো বাপের বাড়ির কথা মনে পরেছে।কে জানে কোন চাপা দু:খ ওকে কাঁদাচ্ছ।
প্রবন্ধ দাঁড়িয়ে থেকে  কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো উপমার দিকে।চোখের পানিতে ওর মুখ একেবারে উজ্জ্বল হয়ে আছে।নাক লাল হয়ে লাল রঙ ধারন করেছে।চোখের নিচে অ উপরে ছড়িয়ে থাকা কাজলের কালো ছাপ পরে আছে।কি দারুন এই রুপ ওর।
প্রবন্ধ উপমাকে গিয়ে বলল-
-কেন কাঁদছ তুমি? ছন্দা আপুর কোনো কথায় কি কষ্ট লেগেছে তোমার?
উপমা আগের মতোই মাথা নাড়িয়ে বোঝালো যে ছন্দা আপুর কোনো কথায় কষ্ট পায় নি সে।
প্রবন্ধ বলল-
-তাহলে কেন কাঁদছ বলো!তোমার কোনো অসুবিধে হলে আমাদের সবাইকেই বলবে।কথা লুকিয়ে রেখে কান্না করবে না কখনো। মনে থাকবে?
উপমা এইবারও জবাব না দিয়ে মাথা নেড়ে বোঝালো যে তার মনে থাকবে।
এতো কম কথা বলে কিভাবে থাকে উপমা!কিছু কিছু মানুষের তো কথা ছাড়া দম বন্ধ হয়ে আসে।
লজ্জা পাওয়া ভালো।কিন্তু তাই বলে কি এতোটা লজ্জা!আবার কি ভেবে এখন কেঁদে যাচ্ছে কে জানে!
প্রবন্ধ বলল -
-চলো খাবার টেবিলে।আম্মা আমাদের জন্য পিঠা বানিয়েছে।
প্রবন্ধর কথায় উপমা উঠে পরলো।যে যা বলছে উপমা ঠিক তেমনটাই করছে। উঠতে বললে উঠে আর বসতে বললে বসে এর চেয়ে কম বেশী কিছু করে না।এমন কি কথাও বলে না।গলার মিহি স্বরও ছোট কিশোরীদের মতো।তবে প্রবন্ধর কাছে ভালো লাগে।মেয়েটাকে ওর কাছে দারুন লেগেছে।বাচ্চা মেয়েটির চুপচাপ বসে থাকা,নিরবতা,ধীর গতি চালচলন সব কিছুতেই প্রবন্ধকে মুগ্ধ করে।তবে মেয়েটার ভয় কাটাতে হবে।নতুন পরিবেশের সব কিছুই বোঝাতে হবে।প্রবন্ধর প্রতি একটা ভালো লাগা গড়ে তুলতে হবে মেয়েটির মাঝে।মেয়েটিকে ভালো রাখার দায়িত্ব তো এখন প্রবন্ধর নিজের।
মেয়েটির হাসি মুখও তার একবারও দেখা হয় নি।লম্বা একটা ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে উপমা।নিজের বউয়ের পুতুলের মতো মুখটাকেই ঘোমটার নিচ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হয় ওর।আর লুকিয়ে দেখার সময় যখন মেয়েটির চোখে চোখ পরে যায় মেয়েটি তখন সাথে সাথে চোখ নিচে নামিয়ে ঘোমটার আচল আরও দীর্ঘ করে ঢেকে ফেলে।
নিজ বউয়ের মুখ দেখতে গেলে বউ যখন লজ্জায় তার বড় আচলের ঘোমটায় মুখ ঢাকে তখন  সেই লজ্জার মুখটির দিকেই বার বার তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয় ওর আর তখনই এই ঘোমটার আড়ালে সেই লজ্জাবতী মুখটির শোভা আরও বৃদ্ধি পায়।আর প্রবন্ধ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে উপমার লজ্জাবতী চেহারায়।সৌন্দর্যময় রুপটি যেন ওর লজ্জার ভঙ্গিতে ঝলসে পরে আর প্রবন্ধের দৃষ্টি কুড়িয়ে বেড়ানোর জন্য নিরবে সুযোগ খুঁজতে থাকে।
চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ