আজ তাড়াতাড়ি ভার্সিটি যেতে
হবে। গেলামও অনেক তাড়াতাড়ি।
ভার্সিটি ঢুকতেই দেখি
মোটামুটি
মানুষ নেই বললেই চলে। ক্লাসে ঢুকে
দেখি কয়েকজন মেয়ে আসছে আর
আমার জানি দোস্ত অন্তর। যাক
এখনো
মেঘা আসেনি। এই ফাকে
মেয়েদের
সাথে একটু টাংকি মারি। বহুদিন
হয়ে গেল মেয়েদের সাথে
টাংকি
মারি না। কিন্তু অন্তর তো
মেঘাকে
সব বলে দিবে। ওরে বাইরে
পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ওর
কাছে গেলাম---
.
- হাই দোস্ত। (আমি)
- ভাব নিস না। কি দরকার বল।
{অন্তর} এ আমার খুব ভালো বন্ধু।
- দোস্ত আমি না নাস্তা করিনি।
পায়ে ব্যাথা তাই যেতেও পারছি
না। একটু এখানে এনে দিবি??
- পায়ে ব্যাথা তো কলেজে আসলি
কেমনে??
- আরে বাবা নামিয়ে দিয়ে
গেছে।
- দুররর শান্তি দিবি না তুই আমারে।
- ঐটা আশাও করিস না।
.
অতঃপর অন্তর চলে গেল নাস্তা
আনতে। আমি এই ফাকে মেয়েদের
সাথে কথা বলব। মেয়েদের কাছে
গেলাম।
.
- হাই স্নেহা। (আমি)
- আরে তুমি। তুমিত মেয়েদের সাথে
কথাই বলনা প্রায় দুইমাস ধরে।
(স্নেহা)
- আরে এমনি বলিনা।(আমি)
- আমরা কিন্তু শুনেছি যে মেঘা
নাকি কথা বলতে না করেছে।
(নিহা)
- আরে তা না। (আমি)
- আচ্ছা বল কেমন আছ???(রুষা)
- ভাল। তোমরা সবাই কেমন?? (আমি)
- সবাই খুব ভাল। (স্নেহা)
- তা প্রেম কেমন চলছে?? (অরিন)
- কিসের প্রেম?? কার প্রেম?? (আমি)
- মেঘার সাথে তোমার প্রেম।
(নিহা)
- আরে না না। আমরা যাস্ট বন্ধু।
(আমি)
- কি যে বলনা। বিকেল বেলা
হাতে
হাত রেখে ঘুর আর বন্ধু। (স্নেহা)
- আরে ওইটাতো ফইনি মাইয়া।
তোমরাই তো আমার সব। (আমি)
- বাহ্বা!! সাহেবের কথা শুনছস??
(অরিন)
- আসলেই। ও তো তোমাদের মতই বন্ধু।
(আমি)
.
কখন যে মেঘা এসে দাড়িয়েছে
তা
দেখতেই পাইনি। আমার কলারে
ধরল।
মেয়েরা দেখি হা করে তাকিয়ে
আছে। আমার তো পুরা প্রেসটিজ
পানিতে ডুইবা গেল।
.
- আমি তোর বন্ধু?? (মেঘা)
- আরে তুমি কখন এলে??(আমি)
- আমি ফইনি???
- না তো।
- ঠাসসসসস!!!
- এত্ত জোরে চড় জীবনে আমার
বাপেও মারে নাই।
- তোরে মেরে ফেলা উচিত।
- কি অন্যায় আমার??
- তুই ওদের কাছে কি বলতেছিস??
- কি বলতেছি??
- আমি ফইনি না?? আমি তোর বন্ধু??
আজকে তোর একদিন কি আমার
একদিন।
- সরি জান। তুমিই তো আমার সব। এই
গুলা সব ফইনি মাইয়া।(মেয়েদের
চোখ
টিপ দিয়ে)
- এতক্ষন ওরা সব। এখন আমি সব??
- আরে ওরা ক্ষনস্থায়ী। তুমি তো
দীর্ঘস্থায়ী।
- তোর মত ছেলের দরকার নাই আমার।
কথা বলবি না আমার সাথে।
- আরে শোন শোন।
- ব্রেকাপ ব্রেকাপ ব্রেকাপ।
- মেকআপ না ব্রেকাপ কোনটা??
- ওফফফ!!!! অসহ্য।
.
বলেই মেঘা বের হয়ে গেল।
আমাকেও বের হয়ে মেডামের রাগ
ভাঙ্গাতে হবে। যাওয়ার আগে
মেয়েদের দিকে তাকাইলাম।
এমনভাবে আমাকে দেখছে যেন আমি
জোকার। মেয়েদের কাছ থেকে
বের
হয়ে দেখি মেঘা নেই। এইটা কি
পেত্নি নাকি যে এখন দেখলাম
আবার এখন নেই।
.
সারা ভার্সিটি খুজেও পেলাম
না।
মেয়েটা গেল কই। দুরররর!!! এমন কেন
আমি। কেন যে মেঘাকে ফইনি
বলতে
গেলাম। এখন কই পাই। সেদিন সারা
ভার্সিটি খুজলাম মেঘা নেই।
ফোন
দেই মোবাইল অফ। এ কি যন্ত্রনা।
.
আজ চার দিন হয়ে গেল মেঘা
ভার্সিটি আসেনা । কোন
যোগাযোগও নেই। পাগল হয়ে
যাচ্ছি
আমি। কিন্তু কোন ভাবেই ওর সাথে
যোগাযোগ করতে পারিনি।
.
আজ ওর বাসায় যাব বলে সিদ্ধান্ত
নিলাম। বাসায় গিয়ে দেখি
তালা
মারা। দাড়োয়ানকে জিজ্ঞেস
করতেই বলল ওরা নাকি গ্রামে
গেছে। কি করব কি করব। ঠিক করলাম
গ্রামেই যাব। তবু ওর সাথে দেখা
করতে হবে।
. অন্তরকে সাথে নিয়ে রওনা
দিলাম।
গ্রামে স্টেশনে নামতেই দেখি
বিরাট ডাকঢোলের শব্দ। ব্যাপার
কি।
ওরা কি আমাদের রিসিভ করতে
আসছে নাকি।
.
- দোস্ত দেখছস ওরা কত ভাল আমাদের
রিসিভ করতে আসছে। (আমি)
- নাইমা দেখ। রিসিভ করে না
মিসকল
দেয়
.
হঠাৎ ভাবলাম আমাদের তো
চিনেই
না। তবু যদি আমাদের রিসিভ করতে
আসে। ভাবসাব নিয়ে সামনে
গেলাম।
.
- সরেন মিয়া সরেন। (একজন) <বলেই
ধাক্কা মারল>
- এমন ভাবে কেউ ধাক্কা মারে এমন
বাচ্ছারে। (আমি)
- আপনি বাচ্চা??? হা হা হা। (মনে
হয়
একবছর ধরে দাত মাজেনা)
- তো কি??
- ধামরা পুলা। সরেন এইখান থেকে।
- দুরর এখানে আসাই ভুল হইছে।
- আমাদের কেউ দাওয়াত দিছিল??
- না।
- তো আসছেন কেরে?? ঐ যে গাড়ি
আবার যানগা।
- কি মানুষ রে ভাই। (মনে মনে)
.
মেজাজ খারাপ নিয়ে হাটতে
থাকলাম। মেঘাদের বাসার
সামনে
আসলাম। ভেতরে ঢুকি কিভাবে।
একটা বাচ্চাকে ডাক দিলাম--
.
- এই যে পিচ্ছি। (আমি)
- অই সাবধান আমারে পিচ্ছি কইবেন
না। (চিৎকার করে)
- আচ্ছে আচ্ছা সরি।
- বাড়ি কই?? (ফইনি ছোট পুলারও কি
ভাব)
- ঢাকা।
- এখানে কেন আইছেন??
- ঘুরতে।
- ভালা ঘুরেন।
- একটা কাজ করে দিবে??
- কি কাজ??
- মেঘা আপুরে চিন??
- হ্যা চিনি।
- ওকে একটু ডেকে দাওনা।
- পারব না।
- এই যে এটা দিব। (একটা ডেইরি
মিল্ক দেখিয়ে)
- আরে দাড়ান এখনই ডাকছি।
.
কিছুক্ষন পর মেঘা আসল। আমাকে
দেখেই হতবাক। টানতে টানতে একটু
দুরে নিয়ে গেল। দোস্তকে ওখানে
দাড়া করিয়ে রেখে আসছে।
.
- তুমি এখানে কেন??(মেঘা)
- তোমার জন্য। (আমি)
- আমার জন্য মানে??
- মানে তুমি ভার্সিটি যাও না।
ফোন বন্ধ। তাই চলে আসলাম।
- কে বলছে আমি এখানে??
- তোমার বাসার দাড়োয়ান।
- ওর চাকরি খায়ছি।
- ওমা কেন??
- তোমাকে না করছিনা আমার
সাথে কথা না বলতে এখানে কেন
আসছ??
- সরি তো । আসলে ঐদিন মেয়েরা
আমার সাথে কথা বলা শুরু করছে। সব
ছ্যাচড়া তো। স্মার্ট পুলা দেখলেই
ক্রাশ খায়।
- ও তাই?? তুমি স্মার্ট??
- তাইলে কি মনে হয়। (বুক ফুলাইয়া
বললাম)
- ক্ষেত জানি কোনহানকার। (বুকটা
এমনি নিচে নাইমা গেল)
- এইটা একটা কথা বললা??
- তোমারে এর থেকে ভাল আর কি
বলব।
- সরি তো। আর জীবনেও কোন
মেয়ের
সাথে কথা বলব না।
- সত্যি তো??
- তিন সত্যি।
- এইতো গুড বয়।
-....
- এই
-....
- কি হল কিছু বলনা কেন??
- তুমিই তো বললা কোন মেয়ের
সাথে কথা না বলতে। তুমি কি
ছেলে নাকি।
- এই গাধাটাকে নিয়ে যে কি
করি।
- ঘাস খাওয়াও। খুব খুদা লাগছে।
- চল বাসায়।
- আরে না না। তোমার আব্বু আম্মু
দেখলে আমাকে উপরে টাঙিয়ে
পেটাবে।
- আরে চল তো।
.
টানতে টানতে নিয়ে গেল। সাথে
অন্তর ও আসল। গেট দিয়ে ঢুকছি আর
দৌড় দেয়ার জন্য রেডি হচ্ছি।
আমাকে দেখেই মেঘার বাবা
বলল---
.
- কি খবর জামাই?(মেঘার বাবা)
- (মেঘার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে
তাকালাম)
- বাবা তুমি না। (মেঘা)
- হা হা যাও বাবা। ফ্রেশ হয়ে
নাও।
(মেঘার বাবা)
.
আমি তো পুরা ছাগলের তিন নম্বর
ছানা সাজলাম। কি হচ্ছে এসব।
মেঘার বাবা আমাকে জামাই
ডাকছে। হঠাৎ মেঘার মা সামনে।
.
- আরে প্রিয়াস তুমি এখানে??
(মেঘার মা)
- ঘুরতে আসলাম।(আমি)
- ঘুরতে আসছ না তোমার জানকে
দেখতে আসছ।
- না না আন্টি।
- আন্টি না মা বল।
- আচ্ছা আন্টি না মানে মা।
.
আমি হতবাক। কি হচ্ছে আমার সাথে
এসব। মেঘার বাবা মা তো আমাকে
চেনারই কথা না। মেঘার কাছে
গেলাম--
.
- একটু এদিকে আসবে??(আমি)
- দেখছ না কাজ করছি। (এহহহ!!! বসে
বসে গিলছে আর কাজ করছে)
- না মানে খুব দরকার।
- কি দরকার বল। (এদিকে এসে)
- না মানে আমি কিছুই বুঝতে
পারছি
না।
- এসব কি অংক যে বুঝাতে হবে??
- না মানে অংক থেকেও কঠিন।
তোমার বাবা -মা আমাকে চিনে
কিভাবে??
- তোমার মত বাবার সামনে আমার
হাটু কাপে না। সব বলছি ওদের।
- ওহহহ!!! কি সুপারফাস্ট মাইয়া
তুমি।
- পাম না দিয়ে ফ্রেস হয়ে খেতে
আস।
- আসছি।
- আর এখানে আমার মা-বাবা ছাড়া
সবাই কিন্তু জানে তুমি আমার
জামাই।
- কি??
- হ্যা।
- কেমনে সম্ভব??
- অসম্ভবের কি হইল??
- না মানে আমরা জামাই-বউ
কেমনে
হইলাম??
- আমি বলছি তাই হইছে।
- কি ফইনি.... সরি বাটপার তুমি।
- অই প্রথমে কি বলছ??
- আরে কিছু না। এই আরকি।
- আচ্ছা জামাইয়ের মত আচরণ করবা।
কিন্তু ভুলেও এর বেশি আশা করবা
না।
- কিসের বেশি??
- এই যে তুমি নামে আমার জামাই।
- আচ্ছা আমার কিউট বউ।
- যাও ফ্রেস হয়ে আস।
- ওখে।
.
কি অপদার্থ ছেলে আমি। মেঘা
মেয়ে হয়ে ওর বাবার কাছে আমার
কথা বলে দিছে আর আমি ছেলে হয়ে
বলতে পারলাম না। জলে ডুবে মরা
উচিত আমার। এখান থেকে গিয়েই
বলব-" বাবা আমি বিয়ে করব মে মে
মেঘাকে"। এখনই হাটু কাপছে।
বাবার
সামনে গেলে জানি কি হয়।
COLLECTED
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ