āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{4}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -4
.
দুপুরের চমৎকার খিচুড়ি তৈরির জন্য মেয়েটি সবার মন-ই জুগিয়ে নিয়েছে।একটা মেয়ে যদি তার পরিবার ছেড়ে আপন রক্তের সম্পর্ককে বিসর্জন দিয়ে স্বামীর সংসার করতে পারে তবে সে কি এই বাচ্চা মেয়েটাকে তার নিজের মতো করে ভালোবাসতে পারবে না!লক্ষী একটা মেয়ে পুতুল কন্যা তার ঘরে বউ হয়ে এসেছে এই সৌভাগ্য তো আর সবার কপালেই জুটে না।
.
প্রবন্ধ উপমাকে নিয়ে শপিং মল এ গেলো।রিকশায় উঠে চারিদিক সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছিল।আশে পাশে রেস্তোরা, ফাস্টফুড সবই চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখেছে।প্রবন্ধ ওকে বিভিন্ন ডিজাইনের ড্রেসের দোকানে নিয়ে গেল।কাপড়ের চয়েজ বলতে মেয়েটির কোনো ধারনা-ই নেই।
প্রবন্ধ নিজেই পছন্দ মতো উপমাকে কিছু নতুন কালেকশন এর ড্রেস কিনে দিলো।কিন্তু মেয়েটির পছন্দ হলো কি না সে কোনো হ্যা বা না উত্তর-ই দেয় না।কেনাকাটা শেষে প্রবন্ধ ওকে একটি ফাস্টফুডের দোকানে নিয়ে গেল। বার্গার,চিকেন শর্মা,পিজ্জা,হট ডক এইসব কিছুই উপমার পছন্দ নয়।উপমার শুধু ফুচকা খাওয়ারই ইচ্ছে প্রকাশ করলো।আর প্রবন্ধ নিজের জন্য অর্ডার করলো কোল্ড কফি।
প্রবন্ধর ফোনটা হঠাৎ বেজে উঠলো।প্রবন্ধ ফোন হাতে নিয়ে দেখলো ওর এক ফ্রেন্ডের কল এসেছে।বাহিরে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় বলে প্রবন্ধ ফাস্টফুড স্টলের বাহিরে ফোন হাতে নিয়ে যাওয়ার সময় উপমাকে বলল-
-তুমি এইখানে বসো।আমি বাহিরে ফোনে কথা বলে এখনি চলে আসছি।
মেয়েটি প্রবন্ধর কথা মতো বসে রইলো আর প্রবন্ধ ফোন নিয়ে বাহিরে গেল কথা বলতে।ওর এক কাছের বন্ধু ফোন করেছে।প্রবন্ধ ফোন ধরলো-
-হ্যালো..
-কি রে বিয়ে করে আমাদের কে ভুলে গিয়েছিস!
-না।তা ভুলবো কেন?
-তোকে তো এখন আর দেখাই যায় না।তোর বিয়ের দিনটায়ও আসতে পারলাম না।ভাবি কোথায়? তার সাথে তো দেখা-ই হলো না।
-বাসায় চলে আয় একদিন। তোর ভাবিকে দেখতে পারবি।
-হুম আসবো।ভাবির একটা ছবিও দেখা হলো না আমাদের।তার সাথে আমাদের কথা বলিয়ে দিলে কিছু হাসি ঠাট্টা করে নিতাম।
বন্ধুদের অভিমানী অভিযোগটা দেওয়াও জায়েজ।কিন্তু কি করেই বা তাদের বোঝানো যায় যে মেয়েটা লাজুক।নিজের বরের সাথে মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না,দশ ইঞ্চি ঘোমটা টেনে রাখে।সে আবার অন্য কারো সাথে হাসি ঠাট্টা করবে কি করে!কিন্তু ফোনে তো আর এতো কথা খুলে বলা যায় না।
প্রবন্ধ বলল-
-সময় করে একদিন বাসায় চলে আসিস। তখন সব কথা হবে।
-ভাবির কাছে ট্রিটও চাই।ভিডিও কল দিলে রিসিভ করিস।
প্রবন্ধ কথা দীর্ঘ না করে বলল-
-ঠিকাছে করবো।এখন রাখি তাহলে।
ফোনে কথা বলতে বলতে অনেকটা সময় ফোনেই কেটে গেল।কিন্তু উপমা একা একা বসে আছে!মেয়েটা ঠিকাছে তো!
উপমার কথা হঠাৎ মাথায় আসতেই প্রবন্ধ স্টলে গিয়ে দেখলো উপমা বসে বসে কাঁদছে।আশেপাশের লোকজন ওর কান্না দেখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। প্রবন্ধ ওকে দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল-
-আরে..তুমি কাঁদছ কেন!কি হয়েছে!বলো আমাকে..
এতোক্ষনে একটা সিন ক্রিয়েট হয়ে গিয়েছে সবার সামনে।
প্রবন্ধর সাথে মেয়েটিকে কান্নারত অবস্থায় দেখে কেউ প্রবন্ধকে আবার মেয়েটির কিডন্যাপার ভাবছে না তো..
মেয়েটি কাঁদছে!আর প্রবন্ধ ওর সামনে যেতেই সবাই আরও আগ্রহ নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে।
প্রবন্ধ আসা মাত্রই মেয়েটি যেন সস্থি পেল।
প্রবন্ধ বলল-
-কাঁদছ কেন তুমি?
উপমা বলল-
-আপনে কোথায় গেসিলেন?
-তুমি তো দেখলেই যে আমি বাহিরে গিয়েছি ফোন নিয়ে।এইখানে নেটওয়ার্ক ছিল না তাই আমাকে বাহিরে যেতে হলো।
উপমা কেঁদে কেঁদে বলল-
-আপনে আর যাইবেন না।আমাকে একা রাইখা।
এই প্রথম হয়তো দুইটি লাইনের একটি বাক্য বলল সে প্রবন্ধকে।
সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।এমন অবস্থায় এক মিনিটও এইখানে থাকা সম্ভব না প্রবন্ধ।প্রবন্ধ উঠে গিয়ে বলল-
-ঠিকাছে।চলো এখন বাড়ি যাই।
প্রবন্ধ উপমাকে নিয়ে রিকশাতে করে বাড়ি যেতে লাগলো।ভয় পেয়ে কেঁদে ফেলেছে।এই এলাকার কিছুই চেনেনা সে। মেয়েটি হয়তো ভেবেছিল প্রবন্ধ ওকে একা ফেলেই চলে গিয়েছে।প্রবন্ধ রিকশায় বসে বসে ওর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে।চোখ ফুলে গিয়েছে।ভয়ে কান্না করতে করতে এই দশা হয়েছে।প্রবন্ধ বলল-
-কেঁদেছিলে কেন তুমি! বলো তো!তোমার কি মনে হয়েছিল যে আমি তোমাকে সেইখানে একা রেখে চলে গিয়েছি।তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্ব। আমাকে বন্ধু ভাববে সব সময়।আমি তোমার কোনো শত্রু নই।আমার নিশ্বাস যতোদিন চলতে থাকবে আমি তোমাকে ততোদিনই খেয়াল রেখে যাবো।তোমাকে বিয়ে করেছি,তোমার বর আমি।অন্য কেউ নই।বুঝেছো?
মেয়েটি একবার শুধু তাকালো প্রবন্ধর দিকে।কিন্তু কিছু বলল না।
প্রবন্ধ বলল-
-আমি থাকতে কেন কাঁদো তুমি?নিজেকে একা কেন করে রাখো?তোমার সব সুবিধা-অসুবিধায় আমারও ভাগ আছে।তাহলে আমি কেন তোমার দু:খের অংশীদার হতে পারবো না।বলো।
প্রবন্ধ কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবারও বলল-
-তোমাকে যেই কাজলটা কিনে দিলাম।ওইটা প্রতিদিন চোখে লাগিয়ে রাখবে।তোমাকে খুব ভালো লাগবে।
কোনো কথাতেই উপমার কোনো অভিব্যক্তি নেই।প্রশ্ন করলেই কেবল স্বল্প বাক্যের উত্তর পাওয়া যায় ওর কাছ থেকে।এর আগে পরে আর কিছুই বলে না।
.
ওরা বাসায় পৌঁছে গেল।তানহা মানহাও স্কুল থেকে এসে গেছে।ওরা উপমা থেকে বয়সের দিক দিয়ে তেমন ছোট হবে না।ওদেরকে এক সাথে দেখলে উপমার ওদের সাথে কথা বলার ইচ্ছে জাগে।কিন্তু পারে না সে।মন থেকে কেমন যেন একটা বাধা চলে আসে।
.
ছন্দা আপুর মেয়ে দুলির ভাঙা গলায় যখন উপমা  'মামী' ডাক শুনতে পায় তখন উপমার কাছে অদ্ভুত লাগে।গ্রামে তো এই বয়সী বাচ্চারা ওকে 'আপা' বলে ডাকতো তাহলে 'দুলি' কেন 'মামী' বলবে!মাঝেমাঝে সব কিছুকেই ওলট পালট মনে হয় ওর কাছে।
.
আজ প্রবন্ধ হঠাৎ খেয়াল করলো উপমার বাবার বাড়ি থেকে সুটকেসে আনা কাপড়চোপড়গুলো এখনও সুটকেসেই পরে আছে।প্রবন্ধর আলমারিতে সে এখনও কাপড় রাখার জন্য কোনো ব্যবস্থা করে নি।ভারি অদ্ভুত। এইটাও কি বলে দিতে হবে প্রবন্ধকে!এতোটা লজ্জা নিয়ে চললে কি করে হয়!
উপমা সুটকেসের কাপড় ভাজ করে সুটকেসেই ভরে রাখছিলো প্রবন্ধ বলল-
-কাপড়গুলো কেন রাখো নি আলমারি তে!রুমের অর্ধেকটা ভাগসহ সব কিছুতেই তোমার ভাগ আছে।এখন থেকে কাপড়গুলো সব আলমারিতে গুছিয়ে রাখবে।
প্রবন্ধর কথা অনুযায়ী উপমা নিজের কাপড়গুলো সুটকেস থেকে নামিয়ে নিলো।আর একে একে করে আলমারিতে খুব কম জায়গা জুড়ে নিজের কাপড়গুলো রেখে নিলো।
সুটকেসে সে কাপড়সহ খুঁটিনাটি আরও অনেক কিছু এনেছে তার মধ্যে একটি জিনিস হচ্ছে সুই সুতো দিয়ে হাতে অর্ধেকটা সেলাই করে নকশা করা একটি কাপড়। কাপড়টি ভাজে ভাজে খুব যত্ন করে এনেছে সে। প্রবন্ধ কাপড়টি হাতে নিয়ে বলল-
-এই নকশা কি তোমার সেলাই করা?
উপমা মাথা নেড়ে বোঝালো যে এইটা তার-ই সেলাই করা।
প্রবন্ধ বলল-
-বাহ..চমৎকার।
প্রবন্ধ আরও দেখলো উপমা একটি কাপড়ের পুটলিতে করে পুতি,সুই সুতো,লেস সব এনেছে।
প্রবন্ধ বলল-
-তোমার কিছু লাগলে আমাকে বলবে আমি এনে দেবো।সেলাইয়ের সুতো শেষ হলে,সুই ভেঙে গেলে,কাপড় লাগলে আমাকেই বলবে।
মেয়েটার হয়তো এইসবে প্রতিভা আছে,আগ্রহও আছে।ওকে সব কিছুইতে উৎসাহ করা উচিৎ যা সে করতে জানে।এতে ওর অবসর সময়ও কেটে যাবে।এই মেয়েকে পড়ালেখা বাদে অন্যান্য সব কাজে বাসা থেকে খুব ভালোভাবে পি.এইচ.ডি. করে পাঠানো হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।কোনো কাজে ক্লান্ত হয় না বরং অতি আগ্রহ দেখিয়ে সেই কাজটা সম্পূর্ণ করে নেয়।পুতুলটা শুধু তার রুপেই নয় গুনেও সর্বেসর্বা।
.
সারাক্ষণ নিজেকে শাড়ির নিচে লুকিয়ে থাকা শুধু মেয়েটার পক্ষেই সম্ভব।
রাতে খুব দেরীতে প্রবন্ধর ঘুম আসে।রাতে মোবাইল নিয়ে পরে থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ওর আর অন্যদিকে উপমা রাত নয়টা বাজতেই ঘুমে ঢলে পরে।নয়টার বেশী জেগে থাকা ওর পক্ষে সম্ভব নয় কখনও কখনও না খেয়েই শুয়ে পরে। রাতে ঘুমায়ও ঠিক বাচ্চাদের মতো।কম্বলে মুখ গুঁজে শোয় হয়তো অন্ধকারকে খুব ভয় পায় কিন্তু প্রবন্ধ থেকে এখনও অনেক দূরত্ব বজায় রাখে মেয়েটি। কি এমন আতঙ্ক ওর মধ্যে কে জানে!
নিজের ইচ্ছে সত্তেও প্রবন্ধ এখনো মেয়েটির ভয়, জড়তা কাটিয়ে তুলতে পারে নি।চেষ্টা করেও সর্বদা  ব্যর্থ-ই হতে হয়েছে ওকে।
চলবে...

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ