গল্প-"পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -18
.
উপমা বসে পরলো শাশুড়ির মাথায় তেল
ঘষে নিতে।
মরিয়ুম সুলতানার মাথায় সহস্র চিন্তা
ঘুরে।কখনো তার মেয়ে নিয়ে,কখনো
তার ছেলে নিয়ে।
তিনি উপমাকে বললেন -
-কতো দূর যেন পড়াশুনো করেছিলে
তুমি?মেট্রিক তো দেও নি!তাই না?
উপমা ভয়ে ভয়ে জবাব দিলো -
-জী না।
-পড়া শেখা ভালো কিন্তু তা যদি হয়
বিয়ের পর তখন কথাটা শুনতে যেমন
অদ্ভুত লাগে তেমন বলতেও।পড়ালেখা
চালিয়ে সংসারের ভার নিতে
পারবে তো তুমি?
উপমা তার কথা কিছুই বুঝলো না।হঠাৎ
এই প্রসঙ্গ কেন তুলে আনলো তাও উপমার
জানা নেই।
উপমা না বুঝেই জবাব দিলো-
-জী।
-একটা ভালো গ্রেডে পাশ করে
দেখিয়ে দিও।আমার ছেলের
প্রেরণাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিও না।
অনেক আশা নিয়ে তোমাকে ভর্তি
করাচ্ছে।তুমি সেই আশার মানটুকু
রেখো।
এর মানে প্রবন্ধ ওকে ভর্তি করাবে
স্কুলে!বিষয়টা আবছা হয়ে উঠলো
উপমার কাছে।উপমার মন খুশি হলো
নাকি এর বিপরীতটা হলো তা বোঝা
গেল না।তবে প্রবন্ধ এই মহানুভবতায় ওর
মন কেঁদে উঠলো।এই ছেলে
ভালোবাসতেও জানে, আবার
মহানুভবতায় ঘিরে রেখে মন কেড়ে
নিতেও জানে।
কিন্তু সে এইখানে বউ হয়ে এসেছে,এখন
সংসার সামলানোই তার কাছে গুরুতর।
এমনবস্থায় প্রবন্ধ যদি ওকে লেখা পড়া
শেখায় তাহলে এতে পরিবারে
নেতিবাচক প্রভাব পরবে,এইটাই
স্বাভাবিক।কেউ এর পক্ষে হবে কেউ
বা বিপক্ষে তাহলে ঘরের মানুষের
মধ্যে এতো মনমালিন্যতার কি দরকার!!
ভাবতে ভাবতেই উপমার নরম মন কিছুটা
হাপিয়ে উঠলো।
.
.
.
ট্রেনের সময় হওয়া মাত্রই চম্পা রওনা
হলো।চম্পাকে বিদায় দিয়ে যেন খুব
একাকী লাগছে আজ।অবসরে গল্পজুড়ে
দেওয়ার বান্ধুবীটাও চলে গেল।এখন
তো রুমে একা বসে কাঁদতেই ইচ্ছে
হচ্ছে।প্রবন্ধ নেই,সাথে চম্পাটাও চলে
গেল।খাটের কোনে মাথা ঠেকিয়ে
বসে রইলো উপমা।কেন জানি মনটার
মধ্যে একাকীত্বের হাহাকার চলে
আসছে।এই মুহূর্তে যদি প্রবন্ধ পাশে
থাকতো তবে যে কি মজা হতো!!
নেতিয়ে পরা মনটা একেবারে
তরতাজা হয়ে উঠতো।সারাদিন,
সারাবেলা ওর স্পর্শেই যে থাকতে
ইচ্ছে হয়।ওর গল্পের মাঝে দুষ্ট হাসিটা
চোখে যদি ভিডিও করে রাখা
যেতো!তাহলে যখন তখন সেই ভিডিও
টা ওপেন করে বসে থাকতে ভালোই
লাগতো।কেন যে সকাল হতে না হতেই
ওকে কাজে চলে যেতে হয়!!আজ আসুক।
প্রবন্ধকে আর যেতেই দিবে না সে
কোথাও।এই ভয়ের পৃথিবীতে প্রবন্ধকে
কাছে না পেলেই মুখ জোড়া শুকিয়ে
যায় ওর।ঘরের কোনে পরে থাকা
আত্মাটা প্রবন্ধর কাছে চলে যেতে
চায়।
ড্রেসিং টেবিলে রাখা বক্সটা খুলে
চিঠিটা আবারও পড়ে নিলো উপমা।
চিঠিটা পড়ে নিয়ে যত্ন করে ভাজ
করে রেখে দিলো সে।ড্রেসিং
টেবিলের সামনে থেকে উঠে
যেতেই হঠাৎ প্রবন্ধর সানগ্লাসটার
দিকে চোখ পরলো ওর।সানগ্লাসটা
হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
দেখলো উপমা।এই তো সেই সানগ্লাস
যা চোখে পরে প্রবন্ধ কখনো নায়ক
সাজে আবার কখনো সাজে ভিলেন।
প্রবন্ধর সানগ্লাসটা দেখেই মুখে একটা
মিষ্টি হাসি চলে এলো ওর।প্রবন্ধর
ভিলেনের মতো সেই বেশটা ওর
চোখে ভেসে আসছে।উপমা
সানগ্লাসটা নিজের চোখে পরে
আয়নার দিকে তাকালো।আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে সানগ্লাস চোখে
নিজেকে নিজে দেখা মাত্রই হাসি
চলে আসছে ওর।প্রবন্ধর হাত ঘড়িটাও
ড্রেসিং টেবিলে পরে আছে।হাতের
চুড়িগুলো খুলে নিয়ে ঘড়িটা নিজের
হাতে পরে নিলো উপমা।আবার
আয়নার দিকে এক নজর তাকালো।
এইবার আরও হাসি পাচ্ছে ওর।আয়নার
সামনে তাকিয়ে তাকিয়ে উপমা
প্রবন্ধর মতো করে হাটতে চেষ্টা
করলো।প্রবন্ধর মতো হাটতে গিয়ে
আয়নায় নিজের দৃশ্যটা দেখে হাসি
এইবার উপচে পরছে।
তবে প্রবন্ধর মতো করে সেজে দেখলে
কেমন হয়!নিশ্চয়ই খুব হাস্যকর লাগবে
ওকে।উপমা আলমারি থেকে প্রবন্ধর
একটি জ্যাকেট বের করে নিলো।
শাড়ির উপর দিয়েই জ্যাকেটটা পরে
নিলো সে।মাথার চুলগুলো খোপা
বেধে নিয়ে মাথায় প্রবন্ধর একটি
হ্যাট পরে নিলো আর সানগ্লাস তো
চোখে আছেই।এইবার উপমা আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে একবার
দেখে নিলো।নিজেকে দেখে
আবারও হাসি পাচ্ছে।নিজেকে
নিজে দেখেই লেডি গুণ্ডা মনে
হচ্ছে।
তবে এই বেশে প্রবন্ধকে কল্পনা করলে
ওকে যে দারুন লাগবে।উপমা এইবার
হ্যাট আর জ্যাকেটটা খুলে ফেলল।
আলমারি থেকে প্রবন্ধর একটি শার্ট
বের করে নিলো।একটি কালো শার্ট।
এইবার এই শার্টটিও আগের মতো করেই
শাড়ির উপর দিয়ে পরে নিলো উপমা।
কলারের সামনে দুটি বোতাম খোলা
রেখে দিলো আর লম্বা হাতাটা কনুই
পর্যন্ত গুজে নিলো। ঠিক প্রবন্ধর মতো
করেই।এইবার আয়নায় তাকালো সে।এখন
হঠাৎ করেই প্রবন্ধকে অনেক মনে পরে
যাচ্ছে ওর।এখন আর হাসি পাচ্ছে না।
আয়নায় দাঁড়িয়ে প্রবন্ধর বেশে নিজের
চেহারাটার দিকেই কিছুক্ষণ
তাকিয়ে রইলো।প্রবন্ধর চিঠির
প্রতিটা লাইন মনে পরে যাচ্ছে এখন।
উপমা আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই
নিজের প্রতিবিম্বককে চিঠির
লাইনগুলো বিড় বিড় করে বলে গেল-
"হে আমার ঝলমলে আলোকিত
ভালোবাসা...আমার
ভালোবাসার কোনো পরিমাপ
পরিধি কিছুই নেই।কেউ চাইলেও তা
নির্ণয় করতে পারবে না...কারন এইটা
আকাশের বিশালতা পরিমাপ করার
মতোই অসম্ভব....হয়তো এই আকাশের
বিশালত্বও আমার ভালোবাসার
কাছে হার মানবে..."
মনে হচ্ছে যেন প্রবন্ধ ওর দিকে
তাকিয়েই নিজের রচনায় রচিত
চিঠির প্রতিটা অংশ পাঠ করে
যাচ্ছে। আসলেই তুমি একটা চমৎকার
মানুষ প্রবন্ধ। তোমাকে ভুলে থাকার
বিন্দু মাত্র সুযোগও দেও না উপমাকে।
এখনো ওর মন গলে পরছে প্রবন্ধর জন্য।
প্রবন্ধর আদর পেতে খুব ইচ্ছে করছে।কে
জানে কখন বাড়ি ফিরবে সে!উপমা
গা থেকে শার্ট আর খুললো
না,সানগ্লাসটাও চোখেই।এইরকমভাবে
ই রুমের এদিকওদিক কিছুক্ষণ হেটে গেল
সে।আজ ওই প্রথম রাতটির কথা মনে
পরছে।যখন ওই রাতটাকে মনে হচ্ছিল
গভীর রাত,এই ঘরটাকে মনে হয়েছিল
একটি গভীর বন।আর প্রবন্ধ ঘরে ঢুকতেই
মনে হয়েছিল যেন একটা হিংস্র
প্রাণী।কাছে এসেই যেন ওকে ঘায়েল
করে যাবে।কিন্তু না।ওই ভাবনাগুলো
অবাস্তব। বাস্তবে যে প্রবন্ধ একজন
চমৎকার মানুষ,প্রেমময় প্রেমিক,আদর্শ পুরুষ।
উপমা আবারও আয়নার সামনে গিয়ে
দাঁড়ালো।আবারও তাকালো নিজের
দিকে, এইবার মিটিমিটি হাসলো।
হঠাৎ রুমে দরজা খুলে কে যেন ঢুকলো।
দরজার আওয়াজ কানে যেতেই উপমা
আয়নার দিকে মুখ ঘুরিয়ে দরজার দিকে
তাকিয়ে দেখলো প্রবন্ধ এসেছে।উপমা
আতকে উঠলো।উপমা তো এখনো প্রবন্ধ
সেজেই বসে আছে।শার্ট,সানগ্
লাস,ঘড়ি পরে আছে।
প্রবন্ধ উপনার দিকে তাকিয়ে অবাক
হওয়ার চেয়ে বেশী হাসতে লাগলো।
এই বেশে উপমাকে দেখা মাত্রই প্রবন্ধ
হো হো করে হেসে যাচ্ছে।উপমা
সাথে সাথে পেছনে ঘুরে গেল।প্রবন্ধর
সামনে দাঁড়াতে খুব লজ্জা লাগছে ওর।
হঠাৎ করে এসে পরবে কে জানতো!
উপমা ততোক্ষনে লজ্জায় লাল হয়ে
যাচ্ছে।পেছন দিকে ফিরেই শার্টের
বোতামগুলো খুলে নিতে লাগলো
উপমা।প্রবন্ধ হাসতে হাসতে উপমার
সামনে এলো।উপমা উলটো দিকে ঘুরেই
বলতে লাগলো-
-একটু বাইরে যান না..
প্রবন্ধ হেসে হেসে বলল-
-এতো লজ্জা কিসের?একটু তাকাও।
দেখি তোমাকে।আজ তো তুমি প্রবন্ধ
সেজেছো।তোমার এই রুপটা আমায়
দেখতে দিবে না?
উপমা লজ্জায় লাল হয়ে পেছনের
দিকে ফিরে আবারও বলল-
-আপনে একটু বাইরে না,,,আমি ডাকলে
ভেতরে আইসেন।
প্রবন্ধ হাসতে হাসতে বলল-
-আমি এই প্রবন্ধকে না দেখে যাবোই
না।
উপমা লজ্জায় নিজের হাত দিয়ে মুখ
ঢেকে নিলো।প্রবন্ধ এই মিষ্টি
মেয়েটার ঢং বুঝেছে।প্রবন্ধ উপমার
আরও সামনে গেল।উপমার পেছনে
ফিরিয়ে রাখা মুখটাকে নিজের
দিকে ঘুরিয়ে নিলো।পুতুল কন্যাটা
লজ্জায় মুখ ঢেকে রেখেছে।কিন্তু
সানগ্লাসটা এখনো ওর চোখে।প্রবন্ধ ওর
মুখ থেকে দুই হাত টেনে নিয়ে সড়াতে
চেষ্টা করলো।এক হাত সড়ালে উপমা
আরেক হাত দিয়ে মুখ ঢাকে।আবার ওই
হাতটা সড়ালে অপর হাত দিয়ে মুখ
ঢাকে।প্রবন্ধ এই দুষ্টুমিটা ঠিকই বুঝলো।
প্রবন্ধ এইবার নিজের দুই হাত দিয়ে
উপমার হাতগুলো আলতো করে চেপে
নিয়ে হাত দুটো মুখ থেকে সড়িয়ে
ঢাকা মুখটাকে উন্মুক্ত করলো।প্রবন্ধ
এইবার উপমার ঝুকে রাখা মুখটা হাত
দিয়ে উপরে উঠালো।লজ্জায় ওর টসটসে
গাল গুলো যেন লাল রঙে পুরো মুখে
ছড়িয়ে পরছে।উপমার ফুলে থাকা
গালগুলোতে প্রবন্ধ হাত বুলিয়ে
নিলো।কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো ওর
লজ্জাবতী মুখটির দিকে।মেয়েটা আজ
প্রবন্ধ সেজেছে।সানগ্লাস,শার্ট এমন
কি হাত ঘড়িটাও পরে নিয়েছে।
মায়াবিনী যে কতো রুপের বেশ ধরতে
জানে!!!প্রবন্ধ চোখে চোখেই কিছুক্ষন
পর্যবেক্ষণ করে দেখলো ওকে।
সানগ্লাসের আড়ালে ওর লজ্জাবতী
চোখগুলো ঢাকা পরেছে।প্রবন্ধ
সানগ্লাসটা উপমার চোখ থেকে খুলে
নিলো।উপমা চোখ বন্ধ করে আছে।ঠোট
দুটো কেপে যাচ্ছে।প্রবন্ধ এইবার ওর
চুলের খোপাটা খুলে ওর লম্বা চুলগুলো
ছড়িয়ে দিলো।ওর চুলের সুগন্ধিটা যে
মধুর।খুব মধুর।প্রবন্ধ উপমার চুলে কিছুক্ষণ
হাত বুলিয়ে দিলো।লম্বা চুলগুলোকে
আলতো করে ছুঁয়ে নিলো। উপমার
কপালে এসে
থাকা দুষ্ট চুলগুলোকে ফু দিয়ে সরিয়ে
দিলো।উপমা এইবার ধীরে ধীরে
চোখের পাতা খুলে তাকিয়ে রইলো
প্রবন্ধর দিকে।প্রবন্ধ ওর হাত উপমার
চোখে,গালে,ঠোঁটে আলতো করে
বুলিয়ে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো-
-তুমি কি কোনো সুর শুনতে পাচ্ছ উপমা!!
আমি কিন্তু শুনতে পাচ্ছি।বেহালার
সুর।তোমার কাছে আসলেই আমার মনে
বেহালার সুর বাজে।তুমি হচ্ছ সেই সুর।
যা তোমার মনের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে
আমার মনে বাজিয়ে যাও।
উপমা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো
প্রবন্ধর দিকে।ওর এই দুটো চোখ যেন কথা
বলে যাচ্ছে।চোখের পাতা একটু একটু
করে ঝাপটে নিয়ে উপমা আবারো
তাকায় রহস্যভরা চোখে।এই চোখে
যেন শত শত রহস্য আছে।এই রহস্য উদঘাটন
করাও কঠিন।মেয়েটার শার্ট পরার
স্টাইলটাও প্রবন্ধর মতোই হয়েছে।প্রবন্ধ
নিচ থেকে উপর পর্যন্ত এক নজর তাকিয়ে
নিলো ওর শার্ট পরা রুপটার দিকে।
প্রবন্ধর মতোই কলারের সামনের দুটো
বোতাম খুলে রেখেছে।প্রবন্ধ ওর কোমর
স্পর্শ করে ওকে কাছে জড়িয়ে নিতেই
উপমা প্রবন্ধর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে
প্রবন্ধর চুলগুলো এলোমেলো করে দূরে
সরে দাঁড়ালো। মুখে মিষ্টি একটা
হাসির অাবির্ভাব ঘটিয়ে দৌড়ে
ওয়াশ রুমে ঢুকে পরলো সে।
প্রবন্ধ অবাক হয়ে দেখে গেল ওর দৌড়ে
যাওয়ার ভঙ্গিটার দিকে।
চলবে...
#পলক_হোসেন
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
682{18}
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:⧍⧠AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ