āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

662

___***###সুধু_একবার_বল_ভালোবাসি###***___

----দেখ আমি তোকে ভালোবাসিনা তার পরেও কেন কুত্তার মতো পেছনে পড়ে আছিস?
----কুত্তারা তো সবসময় পেছনে পড়ে থাকে।
----তুইতো তার চেয়ে খারাপ।
----সেটা তো জানি?
----এতো বার বলি কানে যায় না?
----কানে যায় কিন্তু মানতে পারি না।
----আর আমাই  কখনো তুই এই সব বলবি না?
----ভালোবাসি কথা ছাড়া যে আর কিছু আসে না রে।
----কেন বুঝিস না তুই?
----ভালোবাসি বলে।
----ভালোবাসি ভালোবাসি ছাড়া আর কিছু নাই কি?
----আমার কাছে এটা ছাড়া আর কিছু নাইরে।
----কি চাস তুই?
----শুধু একবার বল ভালোবাসি?
----মরে গেলেও বলবো না।
----বলিস না তাও মরার কথা মুখে আনিস না রে ?
----তাহলে আমাকে তুই একটু শান্তিতে থাকতে দে প্লিজ?
----আমি তোর অশান্তির কারন?
----হ্যা,মানে না কিন্তু,
আমি সবসময় হাসি খুসি থাকতে চাই প্লিজ হাত জোর করছি তোর কাছে মাফ কর আমার তুই?
----তোর দোহায় লাগে এভাবে বলিস না?
----বলতে হচ্ছে চাচ্ছি না?
----আর কখনো বলবো না রে।
----আচ্ছা তাহলে এখন যেতে পারি আমি?
----ধরে রাখার অধিকার যে নেই আমার।
----তাহলে বাই,, ভালো থাকিস?
----তোকে ছাড়া কি করে?
----জানি না,, বলার কথা বললাম।
----শোন একটু?
----আবার কি?
----তোকে যে গিফ্ট করেছিলাম ওটা দেখেছিলি?
----না, সময় পাইনি।
----ও,, তাহলে একটা অনুরোধ রাখবি প্লিজ?
----রাখার মতো হলে রাখবো?
----ঐ গিফ্ট বস্ক টা এক মাস পরে খুলে দেখবি এর আগে না প্লিজ?
----আচ্ছা ঠিক আছে,, দয়া করে যদি যেতে দেন এবার?
----ওকে।
----বাই।

মিষ্টি চলে যাচ্ছে আর হৃদয় তার চলে যাওয়ার দিকে এক নজরে তাঁকিয়ে আছে।
আর অঝর ধারাই হৃদয়ের দু নয়ন থেকে অশ্রু কনা ঝরে পড়ছে।
মনে মনে ভাবছে একটি বার পিছু ফিরে দেখ না।
এই হৃদয়ের কলিজাটা ছিরে যাচ্ছে কেনো বুঝলি না।
কিন্তু হৃদয়রে দিকে একটিবার ও ফিরে তাকালো না মিস্টি।
হৃদয় আবার বসে পড়লো ঐ জায়গাতে।
নিরব পাথর এর বুক চুয়ে চুয়ে যেমন ঝড়না ধারা বয়ে চলে।
ঠিক তেমনি আজ হৃদয়ের নয়ন থেকে নিয়ে বুকএর পাজড় বয়ে পড়ছে তার অশ্রু।
মিষ্টিও যে অঝর ধারায় নিরবে চোখের জল ফেলছে।
মিষ্টিও আজ ইচ্ছা করে এতো বাজে ভাবে কথা বলেছে হৃদয়ের সাথে।
যাতে মিষ্টির থেকে ওর মনটাই  ভালোবাসা কমে যায়।
তাইতো আজ এতো বাজে ভাবে কথা বললো মিষ্টি।
চোখের জল ফেলা ছাড়া যে আর তার কাছে কিছু নেই।
যাকে জীবন দিয়ে ভালোবাসে তার কাছ থেকে কষ্ট ছাড়া  আর কিছু মেলে না।
কিছু ক্ষন পরে হৃদয় তার অবস্থান ত্যাগ করে বাড়ির দিকে  রওনা হলো।
আজ আর রিকশার প্রয়োজন হয় না হৃদয়ের।
আজ হেঁটে বাড়িতে যাবে বলে ভাবলো ৫ কিলোমিটার এর রাস্তা সে পাড়ি দেবে।
এটা তো কস্টই না।
যাকে হারিয়ে ফেলে যেতে চলেছে তার কাছে এটাতো নিতান্ত অল্প।
হৃদয় হাঁটছে আর পিছনের সেই দিন গুলোর কথা মনে করছে।
যেদিন মিস্টি কে প্রথম একটা বাসস্টপ এ দেখেছিলো।
একটা নীল রংঙ্গের ড্রেস পড়েছিলো।
চুল গুলো খোলা ছিলো।
বসন্তের বাতাসে তার চুল গুলো দোল খাচ্ছিলো।
কানে চিকন করা একটা ড্রেস এর সাথে মিল করে দুল পরে ছিলো।
কপালে কালো টিপ।
হাতে কাচের চুরী।
এতো দেখছি মানুষ নয় গো?
হবে হয়তো নীল পরী।
তার পর হৃদয় ঐ মেয়েটার একটু পাসে গিয়ে দাড়ালো।
বার বার আড় চোখে দেখছে মেয়েটা কে।
একটু পর বাস আসলো মেয়েটা বাসে উঠলো।
হৃদয়ের কোনো প্রয়োজন ছাড়া ও পিছু নিলো মেয়েটার।
বাসে দুইটি সিট  খালি ছিলো,
একটা তে মেয়েটা বসলো আরেকটা খালি পড়ে রইলো।
হৃদয় একটু বুদ্ধি করে খালি সিটের পাসে গিয়ে দারালো যাতে ও ওকে বসতে বলে।
তার ধারনা ঠিক ছিলো, হৃদয়ের দাড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়েটা ওকে বসতে বললো।
হৃদয় একটু ভাব নিয়ে বললো।
না না আমি ঠিক আছি সামনে নেমে যবো সমস্যা হবে না।
ভেবেছিলো আরেক বার বলবে কিন্তু আর বললো না।
তার পর নিজেকে নিজেই যা না তাই গুস্টি উদ্ধার করতে লাগলো।
তার পর আরকি সেচ্ছাই বসে পড়লো।
হৃদয় একটু মনে সাহস করে কথা বলতে চাইলো,

----আপনার নাম টা জানতে পারি?
----হুমম অবশ্যয়,  মিস্টি।
----মানে?মিস্টি খাবেন?
----আরে না আমার নাম মিস্টি, আর আমার সবাই পাগলী বলে ডাকে। আপনার?
----আমি,, হৃদয়। কিন্তু আমার কেও পাগল বলে ডাকে না।
----হি হি হি,, মজা করতে পারেন দেখছি।
----বেশী ন একটু একটু।
----কোন ইয়ার এ পড়েন?
----ইন্টার পরিক্ষা দেবো ৫ মাস পরে।আপনি?
----গুড,, । আমি পরা শোনা করি না।
----কেনো ?
----এমনি ভালো লাগেনা তাই।
----তাহলে কি সারাদিন মেয়েদের পিছনে ঘোরেন নাকি হি হি হি?
----আরে না  না, আমি অতোটা ভালো ছেলে না।
----হুমম, বুঝলাম কোথায় থাকেন?
----এইতো বাজার এর পাসেই আমাদের নিজিস্ব বাড়িতে ।
----আমিও তো ঐ দিকে থাকি?
----তাহলে তো আপনাকে আমি অনেক আগেই দেখতাম?
----আমি এতো দিন নানুর বাড়িতে ছিলাম আর ওখানে পড়াশোনা করতাম দুইদিন হলো বাড়িতে এসেছি।
পরিক্ষার সময় আবার চলে যাবো।
----ওহ্ গুড, তাহলে এখন কোথায় যাচ্ছেন।
----আমার এক খালানির বাড়িতে যাচ্ছি। আপনি ?
----আমি আমি আমি এইতো সামনে  এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।
----আপনার গন্তব্য এসে গেছে,,,বাই দেখা হবে আবার।
----আবশ্যয়। বাই।
হৃদয় বাস থেকে নেমে ইয়াহু্ বলে চিৎকার করে উঠলো।
তার পর আবার রিটার্ন বাস ধরে ফিরে এলো বাড়িতে ।
তার পর থেকে মিস্টির সাথে প্ররতিদিন দেখা হতে থাকলো।
তার পরিবার এর মা বাবার সাথেও তাদের ভালো সম্পর্ক ছিলো।
আর হৃদয় কেও খুব ভালো করে চিন্তো খুব ভালো আর নরম ভদ্র  ছেলে কারো সাথে জ্বামেলা, ও খারাপ ব্যবহার রাগ রাগালি করতো না।
এতে মিষ্টির সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো।
আপনি থেকে একেবার তুই করে বলা শুরু করে ওরা একে অপর কে।
এভাবে এক মাস কেটে গেলো।
একসাথে গোধলি বিকেলে কোথাও হেটে চলা।
রাস্তার পাসের ফুছকা দোকান থেকে এক সাথে খাওয়া।
একে অপর এর মনের ইচ্ছা, আসা, আখাঙ্কা প্রকাশ করা।
মিষ্টিকে যে দিন প্রথম দেখেছিলো সেই দিনি হৃদয় ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো।
আর এতো দিন এক সাথে থেকে তার মনের কথা গুলো শুনে
হৃদয় মিষ্টির প্রেমে পাগল হয়ে গেছে।
তবুও বলতে পারে না সে।
যদি আর কথা না বলে?
আমার সাথে বন্ধুত্ব না রাখে?
এভাবে আরো ১৫ দিন কেটে গেলো।
একদিন হৃদয় ঠিক করলো আজ মিষ্টি কে সব কিছু বলবে।
তাই মিষ্টিকে নিয়ে বিকেলে প্রতিদিন এর মতো হাঁটতে গেলো।
আর তখনি সব বললো জে তাকে কতোটা ভালোবাসে।
মিষ্টি কোনো কথা না বলে চলে আসে বাড়িতে ।
হৃদয়ের মনে ভয় হতে লাগলো ও  মনে মনে বলতে  লাগলো।
তার মা বাবার সাথে যদি বলে দেই?
তাহলে তাদের মাঝে আমাদের যে ভালো সম্পর্ক আছে নস্ট হয়ে যাবে?
আল্লাহ গো কি করলাম আমি এটা?
কেনো করলাম কেনো বলতে গেলাম?
তার পর বাড়িতে এসে ছাদে গিয়ে বসে আছে।

মিস্টি মন খারাপ করে বাড়িতে ঢুকলো আর সাথে সাথে মিষ্টির মাও জিঙ্গাসা করলো?
----কিরে মা কি হয়েছে মন খারাপ কেন?
----ঐযে হৃদয় এর কথা শুনে।
----কি করবি বল মন খারাপ করেওতো লাভ নেই।
----মানে?
----অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে সবাই না বলে দেয়েছে।
----কি বলছো এই সব তুমি?
----সত্যি বলছি রে মা। হৃদয় আর বেশী দিন নেই আর।
বলে চলে গেলো মিষ্টির মা।
কিন্তু মিস্টি ওর মায়য়ের কথা শুনে নিস্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।
মা ওকে কি শুনালো এটা ভেবে পাচ্ছেনা  মিস্টি?
কি বলেগেলো এটা ওকে?
কি হয়েছে হৃদয়ের?
আর এক মুহূর্ত দেরি করলো না।
কি হয়েছে জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো।
সাথে সাথে হৃদয়ের বাড়িতে  চলে গেলো মিষ্টি।
হৃদয়ের মায়ের কাছে।
মিষ্টিকে দেখে হৃদয়ের মা অনেক খুসি হলো।
তাদের ঘরে এনে বসালো মিষ্টিকে, বললো?

----তুমি একটু বসো মা আমি কিছু নিয়ে আসি তেমার জন্য।
----আন্টি এইসব দরকার নেই প্লিজ। তার চাইতে এখানে বসেন কথা বলি?
----কি হয়েছে মা, তোমার এমন লাগছে আজকে কিছু হয়েছে?
----আন্টি হৃদয়ের কি হয়েছে?
----.............? (কোনো কথা নেই)
----কি হলো কথা বলছেন না কেনো?
কি হয়েছে হৃদয়ের আমি জানতে চাই প্লজ বলুন না আন্টি?

তার পর হৃদয়ের মা হাও মাও করে কেঁদে উঠলো হৃদয় বলে।
মিস্টি কি বলবে বুঝতে পারছে না।
মিষ্টি বললো ।
আন্টি কাঁদবেন না প্লিজ।
কি হয়েছে হৃদয়ের আর আপনি এমন করে কেনো কাঁদছেন?
হৃদয়ের মা বললো,
আমার কলিজা,আমার আদরের একমাএ ছেলে হৃদয়।
ওকে নিয়ে আমাদের সব স্বপ্ন আাসা বুনেছিলাম।
কিন্তু আল্লাহর হয়তো স্বপ্ন গুলো পছন্দ হয়নি তাই আর পুরন করতে দিলো  না মা।
আমার হৃদয়ের " ক্যানসার "আছে।
ডাক্তার বলেছে যেকোনো সময় সে আমাদের ছেড়ে চলে যেতে পারে।
আমার এই বুকটা খাঁলি করে ও চলে যাবে।
আমি মা হয়ে কি করে সহ্য করবো।
আমার নয়নের মনি আমার বুকটা শুন্য করে চলে যাবে।
কি নিয়ে বাঁচবো আমি?
কাকে নিয়ে বাঁচবো আমি?
কেনো আমার বুক থেকে আমার নয়ন মনিকে কেঁরে নিতে চাইছো গো আল্লাহ?
কোন পাপের শাস্তিভোগ করাচ্ছো?
হৃদয় মায়ের কান্না শুনে তারাহুড়ো  করে ছাদ থেকে নেমে আসলো।
এসে দেখে ওর মা হাওমাও কোরে  হৃদয় আমার হৃদয় বলে কান্না করছে।
তার সাথে দেখলো মিষ্টিও কান্না করছে।
কিন্তু মিষ্টি তার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে এক মায়ের বুকফাঁটা কাঁন্না দেখে।
মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো ওখান থেকে। হৃদয় তার মায়ের পায়ের কাছে গিয়ে বসে।
মায়ের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো।
হৃদয় চুপচাপ তার চোখের পানি ফেলাচ্ছে আর হৃদয়ের মা ওর মাথায় বিলি কেঁটে দিচ্ছে।
হৃদয় কান্না সুরে বলে।

----মা, ওমা, মা গো?
----কিরে বাবজান?
----মা তোমার এই ছেলে ভালোবাসতে পারে মা।
----কি বলিস এই সব বাবা তুই?
----হুমম,,আমি না একটি মেয়েকে ভালোবাসি গো মা।
----তাই বাবা,, কে সেই লক্ষী মেয়েটা? নাম কি তার?
----আর কেও না, ঐযে মিস্টি যে এখানে তোমার সাথে কথা বলছিলো?
----তাহলে আগে কেন বলিস নি বউমাকে বরন করে নিতাম?
----মাগো তোমার ছেলেকে যে সে ভালোবাসে না ?
----বাসবে একদিন দেখিস, এখন চুপ করে মায়ের কোলো একটু শুয়ে থাক।
----আচ্ছা মা।

মিস্টি বাড়িতে এসে খুব কান্না করলো হৃদয়ের কথা ভেবে।
কি ছেলে এতোদিন একসাথে আছি তবুও একটি বার জানালো না আমাই আমি কষ্ট পাবো বলে?
তারপর মিষ্টির মনে হৃদয়ের জন্য ভালো লাগা সৃস্টি  হলো।
তার পর থেকে মিস্টি হৃদয়ের সাথে আবার আগের মতো মিসতে লাগলো।
আর কথায় কথায় হৃদয় মিস্টিকে ভালোবাসি বলে জ্বালাতন করতো।
আর মিস্টি বলতো আমি বাসিনা।
হৃদয়ের মনটা খারাপ হলেও বুঝতে দিতো না হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিতো।
তার পরেও বলতো,।

----মিস্টি,
----হুম।
---- ওমিষ্টি?
----হুমম, বল?
----মিষ্টি গো?
----ধুর, বলতো?
----শুধু একবার বল ভালোবাসি?
----না গো আমি পারি না বলতে।
----চেস্টা করে দেখ ঠিক পারবি?
----কোনো প্রয়োজন নেই আমার।
----জীবনে কাজে লাগবে একদিন হলেও?
----তখন শিখে নেবো।
----এখন থেকে একটু প্রাকটিস কর তাহলে?
----না।
---- কর না?
----না বললাম না।
----দেখ আমি তোকে একটা কথা বলছি শুনছিস না কিন্তু তুই?
----তুই এইসব বাদ দিবি?
----দেবো যেদিন আমি আর নিশ্বাস নিতে পারবো না সেই দিন।
----ধুর, তুই থাক আমি গেলাম ভালো লাগছে না।
----আচ্ছা যা।

এভাবে করে আরো একমাস কেঁটে গেলো। মিষ্টিও ওকে কিছুটা মনের অজানতে ভালোবেসে ফেলেছে।
এটা জেনেও ও অনিশ্চিত জীবন নিয়ে ঝুলে আছে।
মিষ্টি এমনি প্রেম ভালোবাসা প্রতি কোনো টান নেই।
সে তার মনের মাঝে জমিয়ে রেখেছে তার ভবিষ্যত জীবনসঙ্গীর জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা।
যাকে তার ভালোবাসা দেবে একজনকে দেবে আর সে তার স্বামীকে।
হৃদয় মিষ্টিকে একটা গিপ্ট করেছিলো নিয়েছিলো কিন্তু মিষ্টি সেটা খুলে দেখিনি কি আছে।
হৃদয় যেনো আরো পগলামো শুরু করলো।
আর সে জানে মিষ্টি তাকে কোনোদিন ভালোবাসবে না,
আর বাসবেই বা কেনো ?
আমিযে কিছুদিনের মেহমান মাএ এই মায়াভরা দুনিয়াতে ।
তাতে ওর জীবনটা জেনে শুনে কেনো নস্ট করবে?
তাই সব কিছু শেষ করে দিতে হবে  না হলে মিস্টি আবার ভালোবাসলে সারাজীবন কানতে হবে ওকে।
আমি সহ্য করতে পারবো না।
তাই আজ বিকেলে ওকে একটা পার্কে নিয়ে গেলো।
হৃদয়ের মনের আসা পুরন হলো।
মিষ্টি তাকে না বলে চলে গেলো আর কোনো দিন তাকে বলবে না।
একটা মটরবাইক এর শব্দে তার ঘোর কাটলো।
সেই পাঁচ কিলোমিটার পথ অসুস্থ শরীর নিয়ে পাড়িদিলো।
বাড়িতে এসেই  শুয়ে পরে হৃদয়।
রাতে হঠ্যাৎ অসুস্থ হয়ে পরে হৃদয়।
ডাক্তার ডাকলো এসে হৃদয়কে দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো ডাক্তার এর কারন এই হৃদয়ের সব কিছু জানে ছোট বেলা থেকে হৃদয় কে দেখে আসছে তিনি।
ডাক্তার হৃদয়ের মা বাবা কে এক পাসে নিয়ে বলে।
আর কিছু করার নেই ।
এখন আল্লাহকে ডাঁকা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
হয়তো আর কইদিন আছে সে আমাদের মাঝে।
ডাক্তার এর কথা শুনে হৃদয়ের বাবাকে জড়িয়ে দরে  ওর মা কাঁদতে লাগলো।
এই কান্নাযে আর শেষ হওয়ার নয় গো ।
কিছু দিন পর মায়ের বুখটা খাঁলি হয়ে যাবে একটা মা কিভাবে সয়তে পারে সন্তান এর মরার কথা জানতে পেরে।
সকালে জানতে পারে মিষ্টি হৃদয় অনেক অসুস্থ।
সকালে তার খুব জরুরী দরকারে ওর নানুর বাড়িতে যেতে হবে বলে আর দেখা করলো না।
বিকেলে বাড়িতে  এসে হৃদয়ের কাছে গেলো দেখা করতে।
গিয়ে দেখলো হৃদয় বালিসে হেলান দিয়ে বসে আছে আর একটা বই পড়ছিলো।
মিষ্টটিকে দেখে ওর মুখটা খুসিতে ভরে উঠলো।
হার্ট বিট টা যেনো বেরে গেলো হৃদয়ের।
এক নজরে তাঁকীয়ে আছে মিষ্টটির দিকে।
মিষ্টি হৃদয়ের পাসে গিয়ে বসলো।
----কেমন আছিস মিষ্টি?
----ভালো, তুই?
----আমিও খুব ভালো আছি দেখছিস না কতো আরামে শুয়ে আছি কয়জন এই পায় এমন আরাম বলতো?
----হুম, সত্যি বলেছিস কয় জনই বা পাই।
----আচ্ছা মিষ্টি আমি মারা গেলে তুই কি কাঁদবি?
----কখনো না।
----আমার কথা মনে থাকবে?
----সময় পাবো না করার ।
----মিষ্টি,, ভালোবাসি রে?
----কুত্তা তুই এমন কেন বলতো?
----ভালেবাসি বলে।
----তুই এতো পাগল কেন?
----তোর জন্য।
----কি করতে পারি এখন আমি?
----কিছু না। শুধু একবার বল  ভালোবাসি?
(মিষ্টি কেঁদে ফেললো হৃদয়ের কথা গুলো শুনে কাঁদতে  কাঁদতে বললো)
----বলতে পারি একটা সর্তে?
----সব সর্ত মানতে রাজি?
----জীবনে একা ফেলে যেতে পারবি না?
----(হৃদয় চুপ))
----সারা জীবন আমার পাসে থাকতে হবে?
----(হৃদয় চুপ)
----কিরে কথা বলিস না কেন? উওর দে?
----মিষ্টি,,, হয়তো এগুলো আর সম্ভবনা আমার পক্ষে
     তাই চুপ থাকা মনে হয় ভালো?
----তাহলে আমিও বলবো না।
----মরার আগে একটা কথায় শুনতে চাই?
----বলবো না আমি যা।
----বল না রে এক বার ভালোবসি?
----না বলবো না বলবো না আমি কোনো দিন না।
----এতো অভিমান?
----হুমম খুব,, তুই খুব খারাপ রে খুব
সাবাইকে কাঁদাস তুই?
----আর কাঁদাবো না।
----যাস না ছেড়ে আমায় ?
----ভালোবাসি গো  তোমায়।
----কতোবার বলবি এটা?
----যতক্ষন আছে এই প্রানটা।
----পারবি থাকতে দূর আকাশে আমাকে ছেড়ে?
----নিয়তি নিয়েছে সব স্বপ্ন আসা কেড়ে।
----মন বলছে আজ দুইজনে পাখী হয়ে নীল আকাশে উড়ে আসি?
----তাহলে,,,,, শুধু এবার বল ভালোবাসি?

আর কিছু না বলে উঠে চলে গেলো কাঁদতে কাঁদতে।
হৃদয় ও শুয়ে শুয়ে নিরবে কান্না করছে।
তাছাড়া আর কিছু যে করার নেই হৃদয়ের।
আটকাবার শক্তি যে হারিয়ে ফেলেছে।
নিথর হয়ে গেচে তার শরীর।
রাত হয়ে এসেছে হৃদয়ের মা হৃদয় কে খাইয়ে দিচ্ছে।
খাওয়ার শেষে মাকে বললো মা একটু বসোনা মা।
তোমার কলে মাথা রাখি আমার কষ্ট হচ্ছে গো।
হৃদয়ের মা হাত ধুয়ে পাসে বসে পরে হৃদয় মায়ের কোলো মাথা দিয়ে বলছে..?

----ও মা, আমার আজ এমন লাগছে কেনো?
----কি হচ্ছে বাবাজান তোর?
----বুকের বাম পাসে চাপা কস্ট হচ্ছে গো মা?
----এখানে কেনো?
----আমি জানি বাঁচবো না।
----এমন কথা বলিস না বাবজান?(মা কেঁদে কেঁদে)
----আমি মরার আগে মিষ্টির মুখ থেকে একবার ভালোবাসি শুনে মরতে চাইছি বললো না  আমাকে ও।
কি নিষ্ঠুর মেয়ে বলো মা?( কান্না সুরে)
----হ্যা, খুব নিষ্টুর।
----একটিবার বললে কি এমন ক্ষতি হতো বলো?
----হয়তো অনেক কিছু হতো।
----মা, ওমা।
----কি বল?
---- মা আমার কেমন হচ্ছে গো মা?
---- কিরে বাবজান এমন করিস কেন তুই?
----মা গো দম বন্ধ হয়ে আসছে কেনো মা আমার ?
----হৃদয়ের বাবা কই তুমি?
আমার হৃদয় কেমন করছে?
----ওমা মা মাগো আর পাচ্ছি না মা?
(হৃদয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আছে)
----এইতো আমি বাবজান কিছু হবে না তোর?
হৃদয়ের বাবা এসে হৃদয়ের পাসে বসে পড়লো।
হৃদয় ওর বাবাকে খুব কস্ট করে বললো?

----আব্বু, আর হয়তো তোমাকে আব্বু বলে ডাকতে পারবো না।
----কি সব বাজে বকছিস তুই চুপ কর চুপ কর (কা্না করতে করতে)

----বাবা মিষ্টি কে এটিবার ডাক দেবে?
----হুমম এখনি ডাকছি আমি।
হৃদয়ের বাবা মিষ্টি কে খবর দিলো হৃদয় এর শরীর খুব খারাপ?
মিষ্টি মুহূর্তে ছুটে চলে আসে হৃদয়ের কাছে।
আজ সে বলবে হৃদয় তোকে ভালোবাসি রে খুব।
পায়ে জুতো টা পরার সময় পাইনি মিষ্টি। দোউরে আসতে গিয়ে উচট খেয়ে পা কেঁটে গেছে আনেকটা কোনো খেয়াল নেই।
হৃদয়ের ঘরে ডুকে হৃদয় দেখে ওর মায়ের কোলে মাথা দিয়ে চোখটা বুঝে শুয়ে আছে।
ওর মা নিশ্চুপ হয়ে পরম মমতাই ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
হৃদয়ের বাবা খাটের একপাসে বসে কাঁন্না করছে।
মিষ্টির মা বাবাও এসেছে।
মিষ্টি বুঝতে পারছে না কি হয়েছে?
গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে আন্টি বলে ডাক দিতেই।
বললো,,
----চুপ আস্তে কথা বলো আমার হৃদয় ঘুমাচ্ছে ভেঙ্গে যাবে ওর ঘুম?
----আপনি এমন করছেন কেনো?
----তোমাকে চুপ করতে বললাম না?

হৃদয়ের হাত ধরতেই মিষ্টি যেনো তার ভাষা হারিয়ে ফেললো।
বুকের ভিতর দাও দাও করে আগুন জ্বলে উঠলো।
কিজে কষ্ট, যন্ত্রনা হচ্ছে মিষ্টির।
কারন হৃদয় যে আর নেই।
সব মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে সে।
সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলেগেছে আজ।
মিষ্টি জোরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো। মিষ্টির কান্নাতে হৃদয়ের মায়ের যেনো ঘোর ভেঙ্গে গেলো।
বাবজান বলে চিৎকার দিয়ে কাঁদে।
মায়ের বুকফাটা কান্নার আওয়াজ এ প্রতিবেশী রাও চলে
আসলো।
হৃদয়ের মাকে সান্তনা দিতে থাকে।
কোনো সান্তনা যে এখন মানে না।
তার নয়নের মনি আজ তাকে ফেলে চলে গেছে,
মা গো  বলে ডাক টা সে যে আর শুনতে পাবে না।
মা, মা বলে আর কেও বাইনা করবে না?
মা গো তোমার কোলে ছাড়া আমার ঘুম আসে না বলবেনা কেও?
বাড়িতে কান্নার ঢেও খেলছে।
হৃদয়ের মা তো কাঁদতে কাঁদতে অঙ্গান হয়ে গেছে।

মিষ্টি হৃদয়ের কাছে গিয়ে বললতে লাগলো,
ঐ হৃদয়, হৃদয় উঠ বলনা  এবার ভালোবাসি মিষ্টি তোকে?
কি রে উঠছিস না কেন?
বলনা এবার ভালোবাসি?
এখন চুপ করে আসিস কেন এতো তো বলতিস।
এখন কেন চুপ করে আছিস?
হৃদয়, ও হৃদয় উঠনা রে একবার মিষ্টি ভালোবাসি বল?
তোর পায়ে পড়ি রে হৃদয়,
শুধু একবার বল ভালোবাসি, শুধু একবার বল ভালোবাসি?
হ্যা তোকে আমি ভালো বাসি।
খুব ভালোবাসি রে হৃদয়।
শুনতে চেয়েছিলি আজ বলতে গিয়ে পারলাম না
তোকে বলতে পারলাম না?
ভালোবাসি।
আজ আমি বলছি ভালোবসি, ভালোবাসি হৃদয়।
আজ উওরটা দে?
দিস না কেনো?
বলনা রে পাগল?
একটি বার শুধু এক বার?

***  শুধু একবার বল ভালোবাসি ***

*****     সমাপ্ত    *****

COLLECTED

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ