āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

652

ইচ্ছে ঘুড়ির গল্প
-
-
মেয়েটি হয়তো আজ সত্যি সত্যিই কোন জলযানে বসে এই অবেলায় কাঁদছে। পুরো রাতভর মেয়েটিকে স্বপ্নে দেখতে দেখতে কেটে গেলো। কি বিষণ্ণ যে মেয়েটি দেখতে মনে হচ্ছিলো তা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। মাঝ নদীতে মেয়েটি প্রবল বৃষ্টিতে আটকা পরেছিলো। নদীর দু'দ্বারে দু'জন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। একজন আমি" অপরজন অপরিচিত কেউ। আমার অপেক্ষা ছিলো মেয়েটি কোনদিকে যাবে!
অপরিচিত ছেলেটির দিকে! নাকি আমার দিকে?? দাঁড়িয়ে ভাবতে ভাবতে সকাল গনিয়ে এলো। নদীর দু'তীরই ছিলো বৃষ্টিশূন্য। শুধু মধ্য নদীতে বৃষ্টির মাঝে  ভাসছে একাকী মেয়েটির জলযান। প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়েও যাচ্ছেনা। দু'হাটুর মধ্য মুখ গুজে মেয়েটি হয়ত কাঁদছে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ আমার কর্ণে আসছিলো ঠিকই, কিন্তু ভাবছিলাম সেটা হালকা মেঘের সুর হবে হয়তবা। সকালের রোদের শুভ্রাংশ আমার চোখেমুখে আঘাত করতে থাকে। ঝাপ্সা চোখে জলযানটি আর দেখতে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ হারিয়ে ফেলার ভয়ে ভয়ে চিৎকার কর‍তে শুরু করলাম। স্বপ্নের মধ্য কেউ কাঁদলে আশেপাশের মানুষ গুলো জাগিয়ে দেয়। আমার বেলায়ও তাই ঘটলো। আমাকে জাগিয়ে দিলো আমার চারপশের মানুষ গুলো।
-
কোন একটি ছেলের ডায়েরীতে লিখা তার "জীবনের শেষ কিছু অংশ থেকে নেওয়া উপরের কথা গুলো। জীবনের শেষ লেখা গুলোতে মায়া থাকেনা হয়তবা। কিন্তু থেকে যায় কিছু রহস্যাদি। জীবনকথা যে কত রহস্যাবৃত তা সবাই উপলব্ধি করতে পারেনা।
স্বপ্নের সেই রাতটি ডায়েরীতে গুছিয়ে সুন্দর করে লিখে রাখলো ছেলেটি।
সেই সাথে আরও কিছু লিখা ছিলো, যা চমকে দেবে অবলা কোন হৃদয়ও।
--
(অত:পর...... .
--
আমার মৃত্যুবরণ সংবাদখানা 'শোকেজর্জর একটি চিঠিতে লিখে, কেউ কি পাঠিয়ে দেবে "ইচ্ছে ঘুড়ির" ইচ্ছের কাছে??.
তামান্না মেয়েটির নাম। যার অর্থ "ইচ্ছে"। আমিও তাই নিজের নাম রেখেছিলাম "ঘুড়ি"।
চেয়েছিলাম তার ইচ্ছেতেই 'স্বপ্নের আকাশ' 'চাওয়া পাওয়ার দিগন্ত' 'বাস্তব্য জীবনের পুরোটা সীমান্ত'  সবকিছু ঘুরে ফিরবো। কিন্তু আকাশের মেঘগর্জনে ধেয়ে আসা বিশালাকার একখণ্ড কালো মেঘ" আর উচ্ছল গতির বাতাসীরা সবকিছু ভড়কে দিয়েছে।
ইচ্ছে" কোথায় হারিয়েছে তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমি নামক "ঘুড়িটা" শুধু বেঁচে আছে ক'টা দিনের জন্য। বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছেই হয়ত আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে আজও। হয়তো মনটা চেয়েছিলো - ইচ্ছে আসবে, আর তার ইচ্ছেমত আমার আমি নামক ঘুড়িটাকে' সাজিয়ে গুছিয়ে পূর্বের মত আকাশে উড়াবার বৃথা চেষ্টা চালাবে।
কিন্তু আমার চাওয়া পাওয়া গুলো ছিলো সর্বদায় নির্মম বেদনাদাহত। শুধু চেয়েছে আর আঘাত পেতে পেতে হঠাৎ কোথাও নাটাই ছাড়া ঘুড়ির মত উড়তে উড়তে ছিটকে পরেছে।
নাহ! আর পারছিনা। আগামীকাল যদি বেঁচে থাকি তবে সবটুকো শক্তি দিয়ে ডায়েরতী শেষকথা গুলো লিখে যাবো।
-
শেষকথা গুলো কি লিখে যেতে চেয়েছিলো ছেলেটি কে জানে?? ঈদের  রাতে যখন চারিদিক আনন্দমেলায় হারিয়েছিলো! ঠিক তখন ছেলেটি সবার মাঝে নেই। কবিরাজ সাহেব উনার কিতাবটি খুঁজে ফিরে অস্থির। তবে কি ছেলেটি কবিরাজ সাহেবের কিতাব নিয়ে পালিয়েছে?? সবার মাঝে নেমে এলো আনন্দঘন  সন্ধ্যাকালে এক বিষাদ সন্ধ্যা। কোথায় কবিরাজ সাহেব ছেলেটির চিকিৎসা দেবে!
আর সেখানে উনি উল্টো মন্ত্র পড়ছে, কিতাব নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষটি যেনো মরে যায়। কেউ কাউকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। সবাই কান্নার মাঝে যেনো প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

রাতের অর্ধপ্রহর কেটে গেলো। কোথাও নেই ছেলেটি। সবাই অসুস্থ ছেলেটার খুঁজে পাগলপ্রায়। হঠাৎ গ্রামেরর সবার পরিচিত মুখ 'আব্দুল্লাহ মাঝী' সাহেব, কাউকে কাদে ঝুলিয়ে নিয়ে আসছেন।
তল্লাশিরা সবাই মাঝী সাহেবের কাছে দৌঁড়ে এলো। সবারই মনে আনন্দ ছুঁই ছুঁই করছিলো। সবাই ভেবেছিলো রোগাক্রান্ত ছেলেটার খুঁজ মিলেছে হয়তবা। কাছে গিয়ে তাদের ধারনা ঠিকই হলো বটে, কিন্তু রোগাক্রান্ত ছেলেটি আর বেঁচে নেই। মাঝি সাহেব উনার অপর কাদে ঝুলানো চাদরটা মাটিতে বিছিয়ে দিতে বললেন। আর তিনি নিজে সেই চাদরে বিছিয়ে দিলেন রোগাক্রান্ত ছেলের মরদেহটাকে। সবার আনন্দে যেনো হঠাৎ বৃষ্টিপাত ঘটলো। আবারও শুরু হলো ধুমড়ি খাওয়া কান্নারচোট। মাঝি সাহেবের দিকে ফিরে কবিরাজ সাহেব জিজ্ঞেস করলেন
- আব্দুল্লাহ ভাই! ছেলেটার সাথে কি কোন বইপত্র ছিলো?? তার মৃত্যুর যায়গাটা ভালো করে দেখেছিলেন কি??
আব্দুল্লাহ মাঝী সাহেব বললেন - নাহ! কোন বই ছিলনা। তবে একটি থলে ছিলো। যার ভিতরে "একটি ডায়েরী" পুরনো ছিঁড়ে ভাঙা "একটি ঘুড়ি"। আর "দু'চারটে চকোলেট বক্স" ছিলো। সবাই অবাক হয়ে এবার মাঝি সাহেবের কাছে জানতে চাইল যে, উনি থলেটা কোথায় রেখে আসলেন। মাঝী সাহেব বললেন থলেটা উনার ছোট ছেলের হাতে। এই বলে মাঝি সাহেব কারোর নাম ধরে ডাকলেন। অমনি থলেটা এগিয়ে সামনে নিয়ে এলো মাঝি সাহবের ছেলে।
-
গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারতো! কিন্তু তবুও যে কিছু গল্প থেকে যায় অনেক রহস্যঘন হয়ে!
ডায়েরীটা উপহারের পেপারক্লিপ কাগজে বাঁধানো। লাল সুতোর ফিতে দিয়ে বাঁধা হয়েছে। হয়তো ভালবাসার প্রতিচ্ছবির মত বাঁধার বৃথা চেষ্টা ছিলো। হয়তো ডায়েরীটা কাউকে দেওয়ার খুব ইচ্ছে ছিলো ছেলেটির।  ঘুড়ীটাও এরূপেই গুছিয়ে রাখা ছিলো। হয়তো কাউকে বুঝাতে চেয়েছিলো আমার মৃত্যু সংবাদবহ "শোকেজর্জর চিঠিঘুড়ি" এটা। ডায়েরীতে সে এমনটাই ইঙ্গিত করে গিয়েছে।

আর চকোলেট বক্সটাও যেনো মর্মরধ্বনি দিয়ে বুঝাতে চাচ্ছিলো, ছেলেটির মৃত্যুতে সেগুলোও বেদনাহত। মেয়েটি হয়তো ডেইরী মিল্ক চকোলেট খুব পছন্দ করতো। তাই হয়ত ছেলেটি খুব সুন্দর করে "নীলসোনালীর রঙিন" বাক্সে খুব যত্নের সাথে চকোলেট গুলো সাজিয়েছিল।
কিন্তু তার জীবনের শেষ ইচ্ছেটাও আর পূর্ণ হলোনা। ছেলেটির ডায়েরীতে লিখে যাওয়া শেষ কথাটি যেনো বাস্তবায়ন হলো অদ্ভুতভাবে।
যা ছিলো এরূপ।
[কিন্তু আমার চাওয়া পাওয়া গুলো ছিলো সর্বদায় নির্মম বেদনাদাহত। শুধু চেয়েছে আর আঘাত পেতে পেতে হঠাৎ কোথাও নাটাই ছাড়া ঘুড়ির মত উড়তে উড়তে ছিটকে পরেছে।]

সত্যি বলতে কিভাবেই বা ছেলেটির ইচ্ছেরা পূর্ণতা পাবে??
সেতো নিজেকে কারোর ইচ্ছের "ঘুড়ি" বানিয়েছিলো! সেতো বিলিন করে দিয়েছিলো নিজের সকল ইচ্ছে গুলোকে তার "ঘুড়ির বাহক "ইচ্ছের কাছে!
শোকে ভর্তি "চিঠিঘুড়িটা" কোনদিনও হয়তো তার "ইচ্ছের" কাছে পৌঁছুবেনা। চকোলেট বক্সের রঙিন কাপড় গুলো ধুলোবালিতে হয়তো ফিঁকে কালো হয়ে যাবে। চকোলেট গুলো থেকে পচা গন্ধ বেড়িয়ে এলে সেটা হয়তো দূরে কোথাও ফেলে দেবে চারপাশের লোকেরা।
ডায়েরীতে বাঁধা ভালবাসার প্রতিচ্ছবি আঁকা বৃথা চেষ্টা করা ফিতে গুলোতে, ঝং ধরে যাবে হয়তবা। আর ঘুড়িটাতো প্রায় ছিঁড়ে ভাঙা হয়ে শেষই হয়ে গিয়েছে!
তবে কি ইচ্ছে নামক তামান্না কোনদিনও জানতে পারবেনা! তার ইচ্ছের কাছে বিভোরভাবে লুকিয়ে থাকা ঘুড়িটা"
কোন এক আনন্দঘন রাতে হারিয়ে গিয়েছে??
সত্যিই কি মেয়েটি অঝর বৃষ্টিতে দু'হাটুতে মুখ গুজে কাঁদবে ছেলেটি জন্য?? ঘুড়িটাকে সে কি খুব মিস করবে বেলা অবেলায়??
|
লিখা---
|
✍Md Marufur Rahman✍
_____/দুঃ|খ|-নি|বা|সী\_____

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ