āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

678

------------:চল বহু দূর:------------
:
লেখা : Cadet Farhan Ahmed Farabi (Tîmè tràvêlér)
:
:
রেললাইনের উপর বসে আছি, মনটা আজ তেমন ভালো নেই। একজনের কথা খুব মনে পড়ছে। সূর্য আর কালো মেঘ লুকোচুরি খেলা দেখছিলাম একমনে। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছে, হয়তো সন্ধ্যা নেমে আসছে। স্টেশনের লাইটগুলো একের পর এক ধীরে ধীরে জ্বলে উঠছে। ফোনটা হাতে নিয়ে ফেসবুকের চ্যাট অপশন চ্যাক করে নিলাম, ফোনটা হাতে নিতেই যেন অন্ধকারের মাঝে নতুন এক আলো জ্বলে উঠে। চ্যাট করার মতোও কেউ নেই এখন। উঠে দাড়িয়ে প্যান্টটা ঝেড়ে নিলাম, পা বাড়ালাম বাড়ির পথে। স্টেশনের গেট থেকে বেরুতেই কতশত সিএনজি, অটোরিকশা চোখে পড়লো, বিভিন্ন জায়গার নাম বলে বলে হাক ছাড়ছে। মামা কেমন আছো? ঘার ঘুরিয়ে দেখি ঝালমুড়ির ছোট গাড়িটি নিয়ে হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে আনিস মামা। সেই ছোটবেলায় আমাদের স্কুলের পাশে দাড়াতেন তিনি। মনে আছে, একবার ঝালমুড়ি খাওয়ার খুব ইচ্ছে করছিল, তবে পকেটটা ছিল ফাঁকা। তাকে বলেছিলাম কাল টাকা দিয়ে দিব। তিনি একগাল হেসে বললেছিলেন, আরে ভাগনে টাকা লাগবে না! মামা-ই তো, না কি? পরে অবশ্য টাকা দিতে চেয়েছিলাম, তিনি নেয়নি। আমি ও আমার বন্ধুরা তাকে মামা বলেই ডাকতাম, অবশ্য এখনো ডাকি। আজকালকার জর্জ, বারিস্টাররাও তার মতো ভদ্র ব্যবহার জানেনা। ছোট একটা হাসি দিয়ে বললাম,
.
--হ্যাঁ, এইতো কোনোভাবে দিন যায়। (আমি)
--কি ব্যাপার মামা? মন খারাপ নাকি? (আনিস মামা)
--না তেমন কিছু না! (আমি)
--বুঝেছি মামা বলতে হবেনা। বাসায় বোকা দিয়েছে? (আনিস মামা)
.
আমি মাথা নেড়ে "না" বললাম।
.
--আইচ্ছা মামা, ভালো হয়ে যাবে। মামা একটা কবিতা হবে? (আনিস মামা)
.
তার দিকে তাকিয়ে হাসি দেই আমি। আমি যে লেখক তা তিনি ভালো ভাবেই জানেন, শুধু তাই নয়, তাকে বলা যায় আমার বিশেষ কোনো ভক্ত। কত কবিতা শুনিয়েছি তাকে, তার হিসেব নেই। কিছুক্ষণ ভেবে তার আবদার রাখার জন্য কবিতা শোনালাম,
.
"সেইযে আমি পাগল হয়েছি শুধু যে তোমায় দেখে,
সারাবিশ্ব জগৎ রঙিন করেছি তোমায় ভালোবেসে।
দুজনারই প্রেমের বাধন করেছে আমায় তোমার আপন,
জানি তুমি বাস করছো ওই তারার আকাশে।
.
পারিনি তোমার হাতটি ধরে সঙ্গী হতে চাঁদনি রাতে,
ভালো যে বাসি শুধু তোমাকে একবার দেখো ফিরে।
.
নিস্তব্ধ এক অন্ধকারে আলোকিত করেছো তুমি রূপের বাহারে,
স্বপ্ন বিলাসী হয়েছি আমি তোমায় ভালোবেসে।"
.
--খুব ভালো হয়েছে মামা, কোথা থেকে শিখলে এসব? (আনিস মামা)
--এইতো যা মাথায় আসে! (আমি)
.
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি বেশ অন্ধকার হয়ে আসছে, আনিস মামার দিকে চেয়ে বললাম,
.
--আজ তাহলে আসি, বেশ অন্ধকার হয়ে আসছে। (আমি)
--ঠিক আছে মামা ভালো থেকো। (আনিস মামা)
.
এক গাল হাসলাম আমি, মনে মনে বললাম, আমার আর ভালো থাকা! বাড়ির উদ্দেশে পা বাড়ালাম। আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখে মেজাজটা বিগড়ে যাচ্ছে বারবার! কেউ বাবার সাথে, কেউ মায়ের সাথে, কেউ বা বন্ধুদের সাথে। অল্প বয়সী ছেলেরা কানে হ্যাডফোন গুজে রাস্তায় ঘুরঘুর, অনেকে এক হাতে বাইক চালাচ্ছে, অন্য হাতে ফোন টিপছে। মরার চিন্তা নাকি! তবে সন্ধ্যাবেলায় শহরটা দারুণ লাগছে। মৃদু বাতাস যেন মনটা আরো বেশি খারাপ করে দিচ্ছে। সডিয়াম বাতিগুলোর ধার ঘেঁষে আনমনে হাটছিলাম।
.
ফারাবি!!!!!!
.
হঠাৎ কারো মুখে আমার নাম শুনে চমকে উঠলাম, পেছনে চেয়ে দেখি একটা রিকশা আমার সামনে এসে থামলো।
.
--কিরে হালার পো কই যাচ্ছিস? (রিকশাচালক)
.
আমি তখনো নিস্তব্ধ, এ কেমন আচরণ! কিছুটা বিরক্ত বোধ করি আমি। কিছু বলতে যাব এমন সময় সে বলল,
.
--ধুর হালা ইংলিশম্যান, গেয়োভূতের বংশধর! আমারে চিনতে পারিস না? আমি রায়হান!! (রিকশাচালক)
--কোন রায়হান? (আমি)
--আবার জিগায়! আরে প্রাইমারি লাইফ ভুইল্লা গেলি? (রিকশাচালক)
.
মুহূর্তেই চোখে ভেসে উঠে এক পরিচিত মুখ! এই সেই রায়হান? যে কিনা প্রতিদিন স্কুলে আসতো?
.
--দোস্ত, চিনতে পারছিস তো? (রায়হান)
--একি অবস্থা তোর? (আমি)
--হালা তোর মুখে এই প্রশ্ন মানায় না, কেননা তুই বাস্তবতা ভালোই বুঝিস! (রায়হান)
--তোর কি হয়েছে সেটা তো বলবি? (আমি)
--থাক বেটা, আমার কথা রাখ। তুই কিন্তু একদম বদলাসনি, শুধু বেশ লম্বা হয়েছিস। বডি ফিটনেস ও তো ভালোই হয়েছে, কিরে হালা অফিসার ক্যাডেট নাকি? (রায়হান)
--ওই মিয়া তুই তো দেখতাছি আমার উপ্রে নজর লাগাইয়া দিবি! (আমি)
.
ওয়াক থু!!!!!!
.
--ওই হালা খোবিস, থু মারস ক্যান?? (আমি)
--দোস্ত তুই-ই তো কইলি নজর লাগাইয়া দিতাছি, তাই থু দিছি। (রায়হান)
-- বল মাশআল্লাহ। (আমি
--নাউজুবিল্লাহ! (রায়হান)
.
শব্দ করে হেসে উঠি দুজনে, মুহূর্তেই সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায় আমার। আশেপাশের লোকজন আমাদের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে-তাকিয়ে যাচ্ছে।
.
--কিরে বেডা খাড়াইয়া থাকবি? আয় রিকশায় ওঠ, আইজকা তোরে লইয়া শহর ঘুরমু! (রায়হান)
--দোস্ত আমার পকেট ফাঁকা, টাকা নাইক্যা। (আমি)
--ওই খালটা দেখতাছস? (আঙুল দিয়ে কিছু দূরে একটি খাল দেখিয়ে বলল)
--হ দেখতাছি তো, এখনো বুইড়া হইনাই, অবশ্যই দেখমু! (আমি)
.
রায়হান আমার মাথায় সজোরে মেরে বলল,
.
--হালা তোরে এক উষ্ঠা মাইরা ওই খালে উড়াইয়া ফালামু, আমি তোর থেইক্কা টাকা লইমু!!! ওঠ রিকশায়!! (রায়হান)
--তুই যদি তাতে খুশি হস, তাইলে চল! (আমি)
--হাহাহাহা, থ্যাংস মাম্মা থ্যাংস! উইঠা পড়!! এইডা আমরার টাইটানিক!!! ইয়াহুউউউ!!!! (রায়হান)
--দেখিস বরফের টুকরার লগে ধেক্কা লাগলে মাইরালামু!! (আমি)
--হাহাহা, লেটস গো দোস্তো! গ্রামীণফোনের মতো চল বহু দূর!! ইয়াহুউউ!!!
.
রিকশা তার আপন গতিতে চলছে,আনন্দে চিৎকার করছে রায়হান। সব বন্ধুত্বের বাধন হোক এমন, সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক এরূপ বন্ধুত্ব! রায়হান, বিয়ার পর নাতি-পুতি লইয়া তোর বাড়ি বেড়াইতে আইমু!! হাহাহাহাহা!!!!!
:
[বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে আপনাদের জন্য আমার এই ছোট্ট উপহার, ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। Happy Friendship Day]
:
লেখা : Cadet Farhan Ahmed Farabi (Tîmè tràvêlér)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ