একজন তৃষ্ণার্ত
জয়নাল আবেদীন
" নীলা, আপনি কি কখনো এক বারের জন্যও ভেবেছিলেন আপনার জন্ম বছরের সব চেয়ে দীর্ঘতম রাতে হয়েছিল? আপনি ভাবছেন আমি কি করে জানলাম আপনার আজকে জন্মদিন এবং আপনার জন্ম রাতেই হয়েছে?
হাহাহা, আমি আপনার ব্যাপারে সব জানি। জানেন খুব ইচ্ছে করছে আপনার কোন একটা জন্ম দিনে আমি সারা রাত আপনার হাত ধরে বসে থাকব। আকাশে চাঁদ থাকবে। আমরা চাঁদের আলো মাখামাখি করব। আমার গানের গলা খারাপ না। আপনার গায়ে হেলে পড়ে গুনগুন করে গান গাইব। যদি আকাশে চাঁদ না থাকে তবে তারা থাকবে। আমরা তারা গুনব। যদি তারা না থাকে তবে মেঘের ফাঁক গলে চাঁদ বা তারার উঁকি দেয়ার প্রতিক্ষা করব। বজ্রপাতের আলোয় আপনাকে কেমন দেখায় সেটা দেখার আমার বড় ইচ্ছে।
আর যদি বৃষ্টি হয় তবে বৃষ্টির জলে শরীর ভিজিয়ে রাত কাটিয়ে দেব। আপনার চুল থেকে ঝরে পড়া জল আমার শরীর ছুঁয়ে যাবে।
মানুষ বলে আনন্দের সময় নাকি দ্রুত কাটে। আমি দেখতে চাই সেই রাতটা কত দ্রুত পার হয়। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো কিনা সেটা নিয়ে আমার কোন দুশ্চিন্তা নেই। স্বপ্ন দেখার আনন্দ অনেক বড় আনন্দ। আপনাকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখে আমি সুখ পাই। এই সুখ থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই।
আপনার জন্ম দিনে উপহার দেয়ার মতো কিছু নেই। সামান্য উপহার দিলাম। গ্রহণ করুন।"
ইতি,
এক তৃষ্ণার্ত।
নীলা অপলক কয়েক সেকেন্ড চিঠিটার দিকে তাকিয়ে রইল। তার সামনে একুশটা ফুল। একটা লাল গোলাপ সাথে বিশটা নীল কোন প্রজাতির ফুল। নীল ফুলটা সে চিনতে পারছে না।
তবে ফুল না চেনার কারণে তার কোন চিন্তা হচ্ছে না। তার চিন্তার জগতে এখন রীতিমতো ঝড় উঠেছে। তার সরল জীবনে এত বড় কোন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটবে সে কোন দিন ভাবতে পারেনি।
এই নিয়ে ১৪ বার সে তার দরজার সামনে কোন অপরিচিতের কাছে থেকে কিছু পেল। কোন একটা মানুষ কিছু দিন পর পরই তার দরজার সামনে কিছু না কিছু রেখে যাচ্ছে।
কোন কলিং বেলের আওয়াজ আসে, দরজা খুলেই দেখা যায় কেউ নেই। দরজার সামনে কিছু একটা পড়ে থাকে।
প্রথম বার সে একটা তিন শব্দের চিরকুট পেয়েছিল। বড় করে লেখা "আমি একজন তৃষ্ণার্ত'। তার ২২ দিন পরে আসল আরেকটা চিরকুট।
"প্রহর শেষের আলোর রাঙ্গা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।"
ধীরে ধীরে চিরকুটের লেখার পরিধি বাড়তে থাকল। একটা ধির প্রেম নিবেদন প্রক্রিয়া। পুরাই সাহিত্যিক ব্যাপার স্যাপার।
ব্যাপারটাকে প্রথমে সে পাত্তা দেয়নি। হয়তো বা বিল্ডিং এর কোন ছেলে ইয়ার্কি করছে। একটা চিরকুটে তো আর কিছু যায় আসে না। এটা নিয়ে বাড়িওয়ালার সাথে বেশি ঝামেলা করলে তাদেরই সমস্যা হবে।
শেষ বার এসেছে একটা পেইন্টিং। দুই মানব মানবী বৃষ্টির মধ্যে হেলান দিয়ে বসে আছে। বৃষ্টির একটা ধারা তাদের পায়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ ছবি।
নীলার মন বিষণ্ণ হয়ে গেল। কয়েক দিন ধরে সে ঘুমাতে পারছে না। তার কাছে মনে হচ্ছে তার জীবন আটকে যাচ্ছে।
সে যে সত্যি সত্যিই সমস্যার মধ্যে আছে সেটা সবার কাছে ধরা পড়ছে।
গত কালকে রাতের খাবারের সময় তার মা রেহানা বললেন, নীলা তোমার কি হয়েছে বলো তো?
নীলা বলল, আমার কিছু হয় নি তো মা।
রেহানা বললেন, তোমার কিছু একটা তো হয়েছেই। তোমার চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। অনেক ক্ষন ধরে তুমি খাবার মুখে নিয়ে বসে আছো। সমস্যা কি তোমার?
নীলা কোন মতে বলল, ওটা কিছু না মা। সামনে পরীক্ষা তো, তাই পড়া লেখা করতে হচ্ছে।
ক্লাসের মধ্যেও অপমানিত হতে হয়েছে সেদিন।
স্যার ক্লাসের মধ্যেই হুট করে প্রশ্ন করে বসলেন, নীলা দাঁড়াও। বলো আমি মাত্র কি বলেছি?
নীলা মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকল।
স্যার বললেন, ক্লাসে কার কথা চিন্তা করা হয়? ক্লাসের সময় ক্লাস করো। ক্লাসের শেষে যা খুশি করো, আমার আপত্তি নেই।
ক্লাসে হাসির ঝড় উঠল।
নীলার জীবন "কে এই লোক" এর মধ্যে আটকে আছে। মনে হচ্ছে সে পাগল হয়ে যাবে। এই অপরিচিত লোক তার চিন্তার জগত দখল করে বসে পড়েছে। আচ্ছা লোকটার চেহারা কি রকম হবে?
চশমা পরা, ব্যাক ব্রাশ চুলের মানুষদের তার কাছে ভালো লাগে। লোকটা কি এ রকম নাকি খুব বিশ্রি চেহারার?
বয়স কত হবে লোকটার?
২৫,৩০,৩২ নাকি ৪০?
নীলা লোকটার প্রেমে পড়ে গেল কিনা বুঝতে পারল না। কাউকে গভীর ভাবে চিন্তা করার নাম যদি প্রেম হয় তবে সে লোকটার প্রেমে পড়ে গেছে। তার চেয়ে বড় কথা সে লোকটার কথা ভেবে আনন্দ পাচ্ছে। কিছু দিন আগেও লোকটার কথা চিন্তা করলে তার মনে উদ্বেগ আসতো। এখন কেন জানি আনন্দ লাগে। এর নাম সত্যিই কি প্রেম?
এই ব্যাপারটা বান্ধবীদের কারো সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো হত, কিন্তু করা যাবে না। তার বান্ধবীরা সবাই জানে সে প্রেমের আশে পাশে নাই। তার ক্লোজ বান্ধবী সীমার সাথে সে এক বছর আগে ৫০ হাজার টাকার বাজি ধরেছে। সে প্রেম করলে ৫০ হাজার টাকা সীমাকে দিতে হবে। এই রিস্ক নেয়া যায় না।
লোকটা অপরিচিতই থাকুক। না চিনে প্রেম, না দেখে প্রেম।
:
:
নীলার ২২ তম জন্মদিন আগামী কালকে। এই এক বছরে আরো ১৬ টা চিরকুট বা উপহার এসেছে। নীলা এর মধ্যে একটা জিনিস আবিস্কার করেছে এই লোক তখনই কিছু দিয়ে যায় যখন সে রুমে একা থাকে। তার মানে এই লোক তার সব কিছুই জেনে বসে আছে। আশ্চর্য ব্যাপার লোকটা এখনো পর্যন্ত তাকে কল করেনি। তার মানে একদম ইচ্ছে করেই সে কল করছে না। এই লুকোচুরি প্রেম করে সে কি মজা পাচ্ছে সেই জানে।
এই বাসায় যত ছেলে আছে সবার উপরেই সে গবেষণা করেছে। চুলচেরা বিশ্লেষণে সে দেখেছে তাকে প্রেম নিবেদন করার মতো মাত্র তিনটা ছেলে এ বাসায় আছে। তাদের সাথে তার প্রায়ই দেখা হয়। এ রকম কোন কিছু তাদের মধ্যে ধরা পড়েনি। তার মানে ঐ লোক সম্ভবত বাইরে থেকে আসে।
নীলা সিধান্ত নিল সে যেভাবেই হোক রহস্য বের করবে। এভাবে আর সহ্য হচ্ছে না। সে তার দরজার সামনে এক মাস আগে ছোট্ট করে লিখল "তৃষ্ণার্ত, কল মি"
এখনো কেউ কল করেনি। তার মানে হয় লোকটা আসেনি নয়তো লেখাটা দেখতে পায়নি, নয়তো বা দেখেও কল করেনি।
আচ্ছা এমন তো নয় তার পরিচিত কেউ স্রেফ তার সাথে মজা করছে? তাকে বোকা বানিয়ে মজা পাচ্ছে?
সে আর ভাবতে পারল না। এ রকম হলে সে মারা যাবে। কেন মারা যাবে জানে না, জানতে ইচ্ছেও হয় না।
রাত বারোটা ৩২ মিনিট। নীলা একটা কল রিসিভ করল।
- হ্যাপি বার্থ ডে নীলা। আপনি বলেছিলেন আপনাকে কল করতে, তাই করলাম। আর কোন কথা বলব না। আপনি যখন আমকে চিনতে পারবেন তখনই আপনার সাথে কথা বলব। ভালো থাকবেন।
নীলা চেঁচিয়ে বলতে লাগল আপনি কল কাটবেন না প্লিজ, প্লিজ। আপনার পায়ে পড়ি।
ফোন কেটে গেল। নীলার বুক কাঁপতে লাগল। লোকটার কণ্ঠ এত মধুর কেন?
হঠাত করেই নীলার মুখ হাসিহাসি হয়ে গেল। সে লোকটাকে চিনতে পেরেছে। নীলা জানে লোকটা কালকে আসবেই। কখন আসবে সেটাও এখন সে ধারণা করতে পারছে। নীলা সারা রাত ঘুমাতে পারল না। রাত কাটছে না। সত্যিই কি এই রাত বছরের দীর্ঘতম?
:
:
:
"ক্রিং ক্রিং" করে কলিং বেল বাজছে। কেউ একজন বাইরে থেকে নক করছে। নীলা জানে বাইরে কে আছে। তার দরজার সামনে একটা লাল গোলাপ আর ২১ টা নীল ফুল রেখে কে যাচ্ছে সেটা সে জানে। নীলার মধ্যে কোন তাড়া নেই। সে ধীরে ধীরে সাজতে লাগলো। নীল শাড়ি পড়ে চোখে কাজল দিয়েছে। কপালে সময় নিয়ে একটা টিপ পরল।
দরজা খুলেই দেখল দরজায় ফুলের তোড়া আর চিরকুট। চিরকুট পরার দরকার নেই। সে ফুল হাতে নিয়ে বাইরে চলে গেল।
জাহিদ মোড়ের একটা টং থেকে ওয়ান টাইম কাপে করে চা খাচ্ছে। সে হঠাত করেই বুঝতে পারল তার কলার কেউ চেপে ধরেছে। ঝট করে পেছনে তাকিয়ে বিস্মিত হয়ে গেল। নীলা তার কলার চেপে আছে। নীলার গায়ে নীল শাড়ি, কপালে টিপ। মেয়েটা ২১ মাস পর তাকে চিনতে পারল, একুশ মাস পর।
নীলা বলল, তো হকার সাহেব, আপনিই সেই কালপ্রিট?
জাহিদ মুচকি হাসি দিল। কিছু করার নেই, ধরা পড়েছে সে। যে ধরা পড়ার জন্য ২১ মাস থেকে সে অপেক্ষা করছে।
নীলা আর জাহিদ রিকশায় বসে আছে। জাহিদের গায়ে সাদা চেক শার্ট। নীলা কলার চেপে ধরার সময় কিছু চা ছিটকে পড়ে তার গায়ে পড়েছে। শার্টে চায়ের বিদঘুটে দাগ পড়েছে। এত চমৎকার একটা মেয়ের পাশে নোংরা শার্ট নিয়ে বসে থাকতে তার অস্বস্তি লাগছে।
জাহিদ বলল,এতদিন পর কিভাবে ধরতে পারলেন?
নীলা হেসে হেসে বলল, সেটা কেন বলব? আপনি দুই বছর ধরে আমাকে কি যন্ত্রণায় রেখেছেন জানেন? দুই বছর ধরে আপনাকে জানার কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি। আপনি কিছুক্ষণ কৌতূহলের কষ্ট উপভোগ করুন। এই কষ্ট কি সেটা আপনার জানা উচিত।
জাহিদ বলল, বলে ফেলুন প্লিজ। আমি কৌতূহল আটকাতে পারছি না।
নীলা বলল, আপনার প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। আমি যতবার চিরকুট পেয়েছি প্রতিবারই সকাল বেলা ছিল। আমরা পত্রিকা রাখিনা কিন্তু আমাদের বাসায় যে হকার পত্রিকা দেয় তাকে আমি চিনি। আমি চিরকুট পেয়েছি এমন তিন দিন আমি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আপনাকে কয়েকটা পত্রিকা হাতে দেখেছি। তখন ভুলেও এই ব্যাপারটা মাথায় আসেনি।
জাহিদ বলল, কখন বুঝতে পারলেন সেটা আমি হতে পারি?
- গত রাতে কথা বলার পরেই। আপনি সীমার কাজিন। আপনার সাথে আমার তিন বার দেখা হয়েছে। আপনার কথা বলার স্টাইল আমার কিছুটা জানা আছে। লাস্ট দুই বার আপনি আমাকে দেখেই পালিয়ে গেছেন। আমার তখনই ভাবা উচিত ছিল সীমার কাজিন কেন আমাদের বিল্ডিং এ, তাও পত্রিকা হাতে।
অনেকক্ষন পর নীলা নিচু স্বরে বলল, আপনি এই মহা আয়োজন করতে গেলেন কেন? একুশ মাস ধরে...
জাহিদ বলল, সত্যি কথা বলব?
- অবশ্যই সত্যি বলবেন।
জাহিদ একটা বড় শ্বাস নিয়ে বলল, আমি প্রথমে আপনার সাথে ফাইজলামি করেছিলাম।
সীমা একদিন আমাকে বলল আপনাকে চমকে দিতে হবে। আপনি নাকি স্টিল মানবী, প্রেমের আশে পাশে আপনি নেই। আপনার মনে প্রেম জাগিয়ে দিতে হবে। আপনার সাথে নাকি তার বাজি ছিল। দরজার সামনে চিরকুট রাখার প্লানটা তার। এ রকম এক্সসাইটিং কাজ আমার ভালো লাগে। তারপর হকারকে টাকা দিয়ে মাঝে মাঝে প্রক্সি দেয়ার জন্য রাজি করিয়ে ফেললাম।
নীলা ধরা গলায় বলল, তার মানে আপনি ইয়ার্কি করেছেন?
জাহিদ বলল, প্রথম তিনটা চিরকুট ইয়ার্কি করে দিয়েছি। এক সময় দেখলাম আমি সত্যি সত্যিই আপনার প্রেমে পড়ে গেছি। একটা ভীষণ বড় গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে গেলাম আমি। কিছুদিন পর পর দরজার সামনে কিছু রাখতে না পারলে শান্তি পেতাম না। আপনার মা স্কুল টিচার, উনি কখন বাইরে যান আমি জানি। বাকিটা তো বুঝতেই পারছেন।
নীলা কাঁপতে কাঁপতে বলল, আপনি কেন আমাকে দেখা দেননি? কেন কোন দিন কল করেননি? আপনি জানেন আপনি আমাকে কত কষ্ট দিয়েছেন?
জাহিদ বলল, আমি এক প্রকার জুয়া খেলেছি। এ জন্যই এ রকম করেছি। আর কেন জানি আড়ালের প্রেমটাই আমার কাছে বড় মনে হয়েছিল।
নীলা ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদতে লাগল।
নীলা বলল, আপনি আসলেই আমাকে ভালোবাসেননি। আপনি জুয়া খেলেছেন।
জাহিদ বলল, না নীলা, এ রকম জুয়া এক দুই বার খেলা যায়। দীর্ঘ ২১ মাস খেলা যায় না। আমি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসি।
নীলা বলল, ফালতু কথা। সত্যিই যদি হবে তাহলে আপনি আমাকে এখনো আপনি করে বলছে কেন?
জাহিদ হাসতে হাসতে বলল, নীলা তোমাকে অসম্ভব ভালো দেখাচ্ছে। একদম নীল অপরাজিতার মতোই।
- ঐটা আবার কি ফুল?
- আশ্চর্য, এটা চেনো না। তাহলে তোমার হাতে এটা কি ফুল?
- আমি ফুল চিনি না।
- ফুল চেনা লাগবে না। আমাকে চিনলেই হবে।
- সেটা পরে। তৃষ্ণার্ত সাহেব, আগে বলুন আপনি কদিন ধরে পানি খান না?
নীলা এখনো কাঁদছে। এই লোকটার চোখে চশমা নেই। চুলের অবস্থাও সুবিধার নয়। যে কোন সময় টাক হয়ে যাওয়ার আশংকা। চেহারায় একটা বোকা বোকা ভাব আছে। তারপরও লোকটাকে ভালো লাগছে। নীলার কাছে মনে হচ্ছে এই লোকের বাড়ি সেনেগালে হলেও তাকে এখন ভালো লাগত।
ভালোবাসার চোখ সাদা কালো চেনে না, ভালোবাসার মানুষকেই কেবল চেনে।
:
:
৮ বছর পর।
বছরের দীর্ঘতম রাতে এক জোড়া মানব মানবী বাসার ছাদে বসে আছে। দুই জন একে অপরের গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে। একজন গুনগুন করে গান গাইছে। তার গানের গলা খারাপ না। দৃশ্যটা দেখে ভালো লাগছে। তবে রাতের আবছা আলোয় তাদেরকে ঠিক চেনা গেল না।
মানুষকে চেনার চেষ্টা করে কি খুব একটা লাভ আছে?
কিংবা সত্যিকার অর্থে আদৌ কি কেউ কখনো চিনতে পারে?
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ