āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{14}

গল্প-"পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-14
.
হাল্কা কুয়াশা আর রোদে সকালের
আকাশটা মাখামাখি হয়ে আছে।
প্রবন্ধর ঘুম ভাঙলো,শুধু ঘুম ভাঙে নি
উপমার।ওর স্নিগ্ধ মুখ আর ছড়ানোচুলগুলো
প্রবন্ধর বুকে লেপ্টে আছে।উপমার আচলও
ছড়িয়ে আছে অন্যপাশে।পাগলী
মেয়েটা ঘুমায়ও বাচ্চাদের মতো।প্রবন্ধ
উপমাকে আস্তে করে ওর বালিশে
শুইয়ে দিলো আর কম্বলটা ওর গলা পর্যন্ত
জড়িয়ে দিলো।
প্রবন্ধ উঠে পরলো।আজ ওকে বাবার
সাথে কাজে যেতে হবে।আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে শার্টটা
ঠিকঠাকভাবে পরে নিলো সে কিন্তু
চিন্তা হচ্ছে উপমার জন্য।সারাদিন
কিভাবে কাটাবে মেয়েটা,কে
জানে!তবে ওর জন্য একটা চিরকুট লিখে
রেখে গেলে কেমন হয়!ঘুম থেকে উঠে
মেয়েটা যখন প্রবন্ধকে পাশে না
পেয়ে চট করে উঠে প্রবন্ধকে খুঁজতে
থাকবে তখন প্রবন্ধকে না পেয়ে মনমরা
হয়ে খাটের কোনে পিঠ ঠেলে একা
একা বসে থাকবে তখন চিঠিটা নিশ্চয়ই
ওর চোখে পরবে আর সেই ছোট চিরকুট-
টাই প্রবন্ধকে কাছে না পাওয়ার
একাকীত্বটা মুছে ওর রাঙা ঠোঁটের
কোনে হাসি জমিয়ে দিবে আর অনুভব
করে যাবে কাছে না থাকা প্রবন্ধকে।
প্রবন্ধ সত্যি-ই কাগজ কলম নিয়ে লিখতে
বসলো।এই চিঠিতে গোটা গোটা
অক্ষরে কিছু কথা লিখে নিলো।
উপমাকে অব্যক্ত কিছু কথা পড়িয়ে ওর
মনটাকে সারা দিন ভরিয়ে রাখতে
হবে।মেয়েটার মোবাইলও নেই।
মোবাইল থাকলেও হয়তো এর
ফাংশনগুলো ও বুঝে উঠতে পারবে না।
তবে মোবাইলে তো সবাই-ই সারাদিন
কথা জমিয়ে দিতে পারে কিন্তু
ভালোবাসার চিঠি লিখে সেই একটি
চিঠিতে সারাদিন প্রিয় মানুষের মন
ভরিয়ে রাখার সাধ্য কয়জনের হতে
পারে!! হয়তো চিঠির রীতিটা
পুরোনো কিন্তু ভালোবাসা তো আর
পুরোনো নয়। রীতি যতোই পুরোনো
হোক,যদি মনে ভালোবাসা থাকে
সেইখানে রীতি কোন প্রয়োজনীয় বস্তু
নয়।
প্রবন্ধ লিখলো-
"হে আমার ঘুমের রাণী উপমা...তুমি
ঘুমিয়ে আছো বলে তোমায় আর
জাগালাম না।তোমার মিষ্টি মুখটির
দিকে তাকিয়ে তাকিয়েই আমি
লিখে যাচ্ছি।তুমি কি জানো..ঘুমন্ত
অবস্থায় তোমাকে রুপকথার 'ঘুম কুমারী'
লাগে!!!!আমি জানি কথাগুলো পড়ে
হয়তো তুমি মিটিমিটি হেসে
যাচ্ছো।চোখ দুটোতে গভীর মায়া
ঢেলে দিচ্ছো!!!আমিও চাই তুমি আজ
সারাদিন ঠিক এইভাবেই হাসিমাখা
মুখে থাকো।তুমি হয়তো জানতে
চাইবে আমি এই কথা কেন বলছি আর এর
কারন হচ্ছে আমাকে বাবার সাথে এখন
কাজে যেতে হচ্ছে।আজ সারাদিন
বাড়ি থাকবো না আমি।জানি,শুনে
হয়তো এতোক্ষনে তোমার কমল মনটা
শুকিয়ে এসেছে।আর তা-ই বললাম
তোমার হাসিমাখা মুখে যেন জলের
আচ না আসে।
দুপুরের খাবারটা ঠিকভাবে খেয়ে
নিও।ঘরের কোনে একাকী বসে
আমাকে মনে করে কাঁদতে বসে পরো
না যেন! ছন্দাআপু, মা তারা তো
আছেন-ই।কোনো প্রয়োজন হলেও তুমি
তাদেরকেই বোলো।আর যদি গল্প করতে
ইচ্ছে হয় তাহলে তো তোমার বান্ধুবী
চম্পা আছেই।চম্পার সাথে গল্প করে
কাটিও।দেখবে..একাকী আর লাগছে
না।বাহিরে খুব শীত
পরেছে,দেখেছো?ঠান্ডা বাতাস
বইলে চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিও।
আমি রাতে যতো তাড়াতাড়ি
পারবো চলে আসবো।আর যদি অনেকটা
দেরী হয়ে যায় তাহলে কিন্তু ঘুমিয়ে
পোরো।যদি অন্ধকারকে খুব ভয় লাগে
তাহলে ছন্দা আপুর সাথে শুয়ে পরো।
কি বলেছি বুঝেছো?তোমার পাশে
পাশেই থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে।কিন্তু কি
আর করার বলো..কর্মব্যস্ত জীবনটাকে
তো আর অবহেলা করা যাবে না তাই
না..!!!!!
আমার প্রিয়তম পুতুল কন্যা..কাজের
মাঝে যে আমারও তোমাকে খুব মনে
পরবে।চটজলদি করে তোমার কাছে
চলে আসবো..কেমন!!! তুমি কিন্তু মনমরা
হয়ে থেকো না।মনে করবে যেন আমি
তোমাকেই ঘিরে আছি।
শুভ সকাল পুতুল কন্যা..
তোমার উচ্চারনে বিঘ্ন ঘটানো শব্দটা
আজ একবার সঠিকভাবে উচ্চারণ করে
দেখো "প্রবন্ধ" প্রো+বন্ধ।এইবার যেন
নামটা উচ্চারনে ভুল তোমার না হয়""
প্রবন্ধ চিঠিটাকে ভাজ করে ড্রেসিং
টেবিলে চিরুনির নিচে রেখে
দিলো।ড্রেসিং টেবিলে রেখে
দিলেই চিঠিটা সহজে পেয়ে যেতে
পারে।প্রবন্ধ এই বার উঠে গিয়ে
ঘুমিয়ে থাকা উপমার কপালে চুমু
দিলো।ওর দিকে একবার দু চোখ জুড়ে
তাকিয়ে নিলো।আর কোটটা হাতে
নিয়ে দরজাটা আস্তে করে চাপিয়ে
দিয়ে চলে গেল।
.
বাবা টেবিলে বসে খাচ্ছেন।খাওয়া
প্রায় শেষ পর্যায়ে তার।রান্নাঘরে
চম্পা রুটি ভেজে যাচ্ছে।ছন্দা আপুও
আছে রান্না ঘরে।সে দুলির জন্য
খিচুড়ি বানিয়ে নিচ্ছে।
সকালে তুমুল ব্যস্ত দেখা যায় সবাইকে।
চম্পা রুটি ভাজতে ভাজতে ছন্দাকে
বলল-
-আপা..একটা কথা কই!
ছন্দা কাজ করতে করতেই জবাব দিলো-
-হুম।বল।
-এইবার ছুটি টা একটু তাড়াতাড়ি
দিলে হয় না...!
-এইটা আমাকে বললে কিছুই হবে না।
আম্মা জানেন।তুই আম্মা কে বলে দেখ।
-বলসিলাম...কিন্তু ভালো মন্দ কিসু
কইলো না।
-তাই বুঝি ! এইবার ছুটির এতো জলদি
কিসের?
চম্পা মুচকি হেসে বলল-
-একটা কারন আসে আপা..
ছন্দা এইবার চম্পার দিকে তাকিয়ে
বলল-
-কি কারন?
-অন্য একটা কারন।আমার ছুটির কথাডা
আম্মারে আপনে একটু বইলা দেইখেন
আপা..
-আচ্ছা..বলবো।কিন্তু কারনটা তো
বললি না..
চম্পা তাওয়ায় রুটি ভাজতে ভাজতে
বলল-
-বাড়িতে আমার বিয়ার কথা চলবো।
আপা..তাই এইবার একটু তাড়াতাড়ি
ছুটির কথাটা কইলাম..
-তাই নাকি!তোর বিয়ের!!আগে তো
বলবি।ছুটি নিয়ে চিন্তা করিস না।
আমি বলবো আম্মাকে।
চম্পার চোখে মুখে আনন্দের হাসি জ্বল
জ্বল করছে।গ্রামে রেখে আসা
প্রেমপুরুষের জন্য আকুল হয়ে আছে তার
মন।
.
খাওয়া শেষ হতেই প্রবন্ধ আর বাবা
রওনা হলেন।
ছন্দার খিচুরি বানানো হয়ে এসেছে।
হাতে এখন কাজও তেমন নেই।দুলি বোধ
হয় ঘুমিয়ে আছে এখনো। ছন্দা ওর রুমে
চলে গেল।যেই জীবনটা ওর দু:খ
ভারাক্রান্ত সেই জীবনটা দুলির জন্যই
আজ বেঁচে আছে।দুলির বাবাকে সে খুব
ভালোবেসেছে।কিন্তু এই
ভালোবাসার মূল্য কেন দামী হয়ে
উঠলো না দুলির বাবার কাছে?ভাবতে
গেলেই ছন্দার চোখে পানি এসে
যায়।আপন পৃথিবীর বিরুদ্ধে গিয়ে সে
দুলির বাবাকে আপন করে নিয়েছিল।
পরিবারের ভালোবাসাকে বিসর্জন
দিয়ে, কি না করে নি তার জন্য!!আর
সেই মনে ঠাই না হয়ে দুলি আর ছন্দা
একাকীত্ব জীবনে পরে রইলো।মাঝে
মাঝে ভাগ্যকে মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়
ওর।চোখ গড়িয়ে পানি ঝরে যাচ্ছে
ছন্দার।দুলি হঠাৎ উঠে গিয়ে ছন্দার
দিকে চোখ টিপটিপ করে তাকিয়ে
রইলো।আর কাছে এসে বলল-"আম্মু..কাঁদছ
কেন???
ছন্দা দুলিকে জড়িয়ে ধরে কান্নায়
ভেঙে পরলো।নিজেকে কোনোরকম
সামলে নিয়ে বলল- "না মা..আমি
কাঁদছি না"।
.
.
উপমা ঘুম থেকে উঠে পরলো।চমৎকার
লাগছে এই সুন্দর সকালটাকে।মিষ্টি
একটা ঘুম হয়েছে।এই ঘুম ভাঙতেও ইচ্ছে
হচ্ছিল না।ঘুম থেকে উঠতে অনেক
দেরী হয়ে গেলো। সবাই সজাগ হয়ে
গিয়েছে আর বাড়ির বউয়ের ঘুমের
নেশা এখনো কাটে নি! উপমা ধক করে
উঠে বিছানায় বসে পরলো।দুই চোখ ওর
প্রবন্ধকেই খুঁজে যাচ্ছে।
কোথায় সে!!কালকের মতো আজও তার
স্পর্শ পেতে ইচ্ছে হচ্ছে।মুখ কচলাতে
কচলাতে বিছানা ছেড়ে উঠে পরলো
উপমা।চুলে শক্ত করে খোপা বেধে
ঘোমটা টেনে নিলো।আয়নায় গিয়ে
শাড়িটা ঠিকঠাক করে নিতেই হঠাৎ
চিরুনির সাথে রেখে দেওয়া একটা
কাগজ দেখতে পেলো সে।এইখানে
কাগজ আসবে কি করে? রাতে চুল
আছড়ানোর সময় এইখানে তো কোনো
কাগজ ছিল না!আগ্রহ নিয়ে উপমা চার
ভাজ করা কাগজ টা হাতে নিলো।
কাগজের ভাজ খুলল।বাহ..এই তো দেখছি
একটা চিঠি।চিঠিটা পড়তে পড়তে
নিজের অজান্তেই মুখে হাসির রেখা
ভেসে আসছে ওর।
নিচের লাইনটা পড়ার সাথে সাথেই
উপমা এইবার 'প্রবন্ধ' নামটা বিড় বিড়
করে উচ্চারণ করে গেল।এইবার নাম
উচ্চারণে ভুল হচ্ছে না।প্রতিবারই ওর
উচ্চারণটা ঠিক হচ্ছে।উপমা নিজে
নিজেই হেসে ফেলল।আবারও প্রবন্ধর
নামটা বিড় বিড় করে বলে গেল।
চিঠিটা শুধু একবারই না।দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে দুই,তিনবারের মতো পরে
ফেলল।কিছু লাইন প্রায় মুখস্থও হয়ে
গিয়েছে।চিঠিটা যত্ন করে ভাজ করে
নিলো সে।যেই বক্সে শুকনো ফুলটা
রেখে দিয়েছিল সেই বক্সটা খুলে এই
চিঠিটাও যত্নে রেখে দিলো সে।
কেন যেন খুব ভালো লাগছে।এই
চিঠিটা যেন পুরো দিনটাকে ভরিয়ে
দিলো।কতো টা যে আনন্দ হচ্ছে তা
বোঝানো দায়।আজ সারাদিনে প্রবন্ধর
জন্য অপেক্ষা করতে হবে।প্রবন্ধ যে কখন
আসবে আর কখন ওর নিশ্বাসে নিজের
নিশ্বাস মিশিয়ে ফেলবে...!সময়
এতোটা কঠোর হয় কি করে??এখন মাত্র
দিনের শুরু, এরপর হবে দুপুর, এরপর হবে
বিকেল আর এরপর হবে রাত।আর তখনি
ঘরে ফিরবে প্রবন্ধ।চিঠি টা আবারও ওর
পড়ে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে।চিঠিটা
আবারও বের করে নিলো সে।আবার
পড়লো এমনকি বার বার পড়লো।প্রতিটা
অক্ষর, প্রতিটা বাক্য পড়ে নিলো
মনোযোগ দিয়ে।চিঠিটা আবার বক্সে
ভরে নিলো।এই আনন্দের কোনো ভাষা
নেই।
উপমা রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
রান্নাঘরে যেতেই চম্পাকে সামনে
পেলো।মনে খুশির জোয়ার বইছে।
নিজের অজান্তেই মুখে মুচকি হাসি
চলে আসে
চম্পা ওকে দেখে বলল-
-হাসো কেন গো!
উপমা সেই হাসিমুখেই বলে গেল-
-অনেক কারন। কোনটা বলমু তোমারে!
চম্পা ঊপমার কোনো কথাই বুঝলো না।
নিজের ভাবটা উপমাকে প্রকাশ করে
বলল-
-তোমার মতো আমারও আজকে আনন্দ
হইতাসে।
উপমা বলে-
-তোমার টা বলো।শুনি..
-আপারে সকালে বলসিলাম এইবারের
ছুটিটা তাড়াতাড়ি দেওয়ার কথা।
আপা গিয়া আম্মারে বলার পর আম্মা
অনুমতি দিসে যাওয়ার।
-ভালা খবর।কবে যাইতাসো?
-পরশুদিন।
-তুমি ব্যাগ গুছাইয়া ফেলো।আমি
তোমার কাম কইরা দিতাসি।
চম্পা বলল-
-ওইটা আমি একসময় কইরা নিতে পারমু
কিন্তু তুমার কি হইসে বললা না!আজ
এতো হাসি খুশি লাগতাসে।
উপমা মুখে হাত দিয়ে হেসে হেসে
বলল-
-ওইডা গোপন কথা।বলা যাইবো না।
চম্পা ওর কথার কিছুটা অর্থ বুঝে
নিলো।চম্পা নিজে নিজেই কিছু
একটা ধারনা করে নিলো উপমার এই
খুশির ব্যাপারটা।
উপমা নীরব হয়ে মুচকি মুচকি হেসে
কাজ করতে থাকলো।যা-ই করুক মুখে এক
ফোটা হাসি দিয়েই নেয়।চম্পার
কাজে সাহায্য করে তাও মুখে হাসি
রেখে।চিঠির কথা মনে করে
হাসে,প্রবন্ধ কথা মনে করে হাসে,মনের
মধ্যে চলে আসে আরও কিছু ভালো
লাগা।
উপমা নাস্তা করে নিলো,রান্নাঘরে
কিছু কাজও করে নিলো কিন্তু মন শুধু
পরে আছে কোনো এক ভুবনে যেই ভুবনে
প্রবন্ধ আছে,আছে প্রবন্ধর প্রতিটা
নিশ্বাসে মিশে থাকা
ভালোবাসা।উপমা আবারও দৌড়ে
রুমে চলে যায়।আবারও সেই বক্সটা খুলে
চিঠিটা বের করে নেয়।আর পড়ে যায়
ভালোবাসা মেশানো প্রতিটা অক্ষর।
চিঠিটা পড়তে পড়তে এতোক্ষনে
মুখস্থও হয়ে গিয়েছে তবুও পড়ে যায়।
নিচের লাইনটা পড়ে আবারও উচ্চারণ
করে প্রবন্ধর নাম।আর হাসে।এই ভালো
লাগা যেন পাগল করে তুলেছে ওকে।
এখন শুধু প্রবন্ধ ফেরার অপেক্ষায়।সময় যে
নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে।যায় তো যায়
না..দুপুর আসলে বিকেল আসে না...সময়
কি আজ থেমে আছে নাকি উপমার
ধৈর্যকে পরীক্ষা নিচ্ছে..!
চলবে..
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ