āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

671{2}

গল্পের ২য় অংশ
দিয়া বাড়ি

রাতে মা আমি আর বাবা এক সাথেই খেতে
বসলাম। কেন যেনো বাবার সামনে আসতে
খুব লজ্জা লাগে। আগের মতো ঠিক করে
বাবা কথাও বলেনা আমার সাথে। দরকার
পরলে যা একটু বলে।
.
খাওয়া শেষ করে রুমে আসার সাথে সাথে
মা ও আমার রুমে আসলো। আমার দিকে
কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলে উঠলো,
নিজের কি হাল কইরা রাখছোস, দেখছোস
একবার আয়নাতে?
"কই আমি ঠিকিতো আছি। বেশি চিন্তা
করতে হবেনা আমাকে নিয়া।
"চিন্তা করতে হবেনা মানে! চিন্তায়তো তুই
ফালায়া রাখসোস। ঠিক মতো খাসনা, ঘরে
চুপ করে বসে থাকস। আবার বলিস চিন্তা
করতে হবেনা তোকে নিয়ে!
"যাও তোমার রুমে যাও। আমি ঘুমাবো।
"বাবারে একমাত্র ছেলে তুই আমাদের।
তোর কিছু হলে আমাদের কি হবে?
.
মার কথাটা শোনার পর তার চোখের দিকে
তাকাতেই দেখলাম, তার চোখে পানি এসে
পরেছে। তাই আমি ইচ্ছা না থাকা সত্যেও
বলে উঠলাম, পায়েস খেতে খুব ইচ্ছা
করতেছে। রান্না করে দিবা?
আমার কথাটা শোনার পর মা হেসে দিয়ে
শাড়ীর আচল দিয়ে চোখ জোড়া মুছে বলতে
লাগলো, দিবো না কেনরে পাগল? ঘরে দুধ
নাই। নিচের দোকান থেকে এক লিটার দুধ
নিয়া আস।
"আমার টাকা খরচ করে আনবো! টাকা দেও
নিয়া আসি।
" দোকানে যেয়ে আমার কথা বল দিয়ে
দিবে।
.
তারপর আর কিছু না বলে রুম থেকে বের
হয়ে দোকানে যেতে লাগলাম। নিজে
নিজেই ভাবতে লাগলাম, আগে মাকে কিছু
বানিয়ে দেওয়ার কথা বল্লে কত কথা
শোনাতো। আর এখন এই সময়ে পায়েস
রান্নার কথা বল্লাম তাতে এতো খুশি হয়ে
গেলো! নাহ! এখন থেকে ঘরে জোর করে
হলেও তাদের দেখিয়ে খুশি থাকতে হবে,
আগের মতো খেতেও হবে। নাহলে আমার
জন্য দুইটা মানুষ অযথা কষ্ট পাবে।
.
দোকান থেকে দুধ নিয়ে এসে মাকে
দিলাম। তার দিকে তাকিয়ে দেখলাম খুব
তাড়াহুড়া করে আমার জন্য পায়েস রান্না
করছে।মার এরকম তাড়াহুড়া দেখে মনে
হলো, কত বছর পর যেনো আমি তার কাছে
কিছু খেতে চেয়েছি! আমি আর কিছু না
ভেবে আমার রুমে চলে গেলাম।
.
ঘন্টা খানিক পর মা পায়েস নিয়ে এসে
আমাকে দিলো। আমিও খেয়ে নিলাম।
তারপর তার নিজ হাতেই আমাকে পানি
খাওয়িয়ে দিয়ে, সেই ছোট বেলার মতো
আমাকে শুয়িয়ে দিলো।কিছুক্ষন আমার
মাথায় বুলিয়ে দিয়ে, আমার রুমের লাইটটা
বন্ধ করে চলে গেলো।
.
সকালে ঘুমটা ভাঙ্গলো আনিসের ফোনে।
ফোন রিসিভ করতেই ও আমাকে বলে
উঠলো,
দোস্ত তুই চাকরীর কথা বলছিলিনা?
"হুম। পাইছিস?
"হুম পাইছি। কোকাকোলা কম্পানিতে।
"কি রকম চাকরীটা?
"তোর সাপ্তায় তিন দিন
ক্যান্টনমেন্ট,এয়ারপোর্ট এলাকায় পড়বে।
সেখানে তোদের একটা গ্রুপ থাকবে।
ওইখানে তোদের কয়েকটা স্টল হবে।
সেইখানে কাস্টমারদের সাথে কথা বলে
তোদের ব্রান্ড এর পন্য গুলার ভালো দিক
গুলো বলে সেইল দিবি। আর বাকি তিনদিন
এড়িয়া ভিত্তিক কাজ করতে হবে।
"বেতন কেমন পাবো?
"বেতন ভালোই পাবি। রোজ ৫০০ করে মাসে
১৫০০০ টাকা। আর তোর গ্রুপের সেইলের
উপর
কমিশন পাবি তোরা সবাই। কি করবি?
.
আমি একটু ভেবে বলে দিলাম, হুম করবো।
"তাহলে আগামিকাল তোর সিভি, আইডি
কাড
এর ফটোকপি আর চারকপি পাসপোর্ট
সাইজের ছবি নিয়ে রবিন্দ্রসারবর দুপুর
২টার
ভিতর থাকিস। ওই জাগায় আমার পরিচিত
লোক থাকবে। আমি তোকে ওর নাম্বার
মেসেজ করে দিচ্ছি। ওই খানে পৌছিয়েই
ওই লোকটার সাথে দেখা করে আমার
পরিচয়
দিবি। ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে।
"আচ্ছা ঠিক আছে। লোকটার নাম্বারটা
মেসেজে পাঠিয়ে দে।
"হুম দিচ্ছি। আর শোন ফরমাল ড্রেস পইরা
যাস। ওইখানে অনেকেই ফরমাল ড্রেস পড়ে
যাবেনা!
"ফরমাল ড্রেস পড়তে হইবো!
"আরে বেটা একটা আলাদা বেপাড়-সেপাড়
আছেনা? ফরমাল ড্রেসটা পড়লে তোকে
সবার
চোখে বাজবে। যা বলি শুনিস। আর ওইখানে
ছেলে মেয়ে সবাই চাকরীর জন্য যাবে।
নিজের একটা আলাদা ভাব সাব আছেনা!
" আচ্ছা ঠিক আছে ফরমাল ড্রেস পড়েই
যাবো।
"ওকে রাখি। আর নাম্বারটা মেসেজে
পাঠিয়ে দিচ্ছি।
"আচ্ছা ঠিক আছে বাই।
কথাটা বলেই ফোনটা রেখে দিয়ে আবার
শুয়ে পরলাম।
.
প্রায় ঘন্টা খানিক পর বিছানা ছেড়ে
ফ্রেশ
হয়ে খেতে চলে গেলাম। বাবা পেপার
পরছিলো আমি তাকে বলে উঠলাম, বাবা!
একটা চাকরি পেয়েছি।
তিনি আমার কথাটা শুনে পেপারটা বাছ
করে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
কি
চাকরি?
"কোকাকোলা কম্পানিতে।
"কে দিলো তোমাকে চাকরিটা?
"আমার এক ফ্রেন্ড! কাল যেতে বলেছে হয়ে
যাবে নাকি চাকরিটা।
"যাও যেয়ে দেখো।
"তুমি খুশি হও নাই?
"হয়েছি।
আসলে এই লোকটা যে কি বুঝিনা! কত সুন্দর
একটা নিউজ দিলাম কই একটু খুশি হবে তা
না
করে চুপ হয়ে আছে। জন্মের টাইমে মনে হয়
দাদী উনাকে নুন খাওয়িয়েছিল। তাইতো
এমন
করে!
.
ঠিক তখনি মা রান্না ঘর থেকে এসে
আমাকে
আর বাবাকে নাস্তা দয়ে আমাকে বলে
উঠলো, কেমন চাকরিটা?
"সহয আছে। এখন থেকে আমি নিজেই ঘরের
অর্ধেক খরচ দিতে পারবো।
কথাটা শোনার পর বাবা আমার দিকে একটু
তাকালো। আর মা তখন মিট মিটকরে হাসতে
লাগলো।
আমি বাবাকে শুনিয়ে মাকে বলে উঠলাম,
ভালো একটা বাসা খুজো এই মুরগীর
খোপের
ভিতর আর থাকতে ইচ্ছা করে না।
.
আমার কথাটা শুনে বাবা আমাকে আবার
বলে উঠলো, বড় বড় কথা বলা বাদ দেও।
আমি আর কিছু বল্লাম না।আমি তাকে
রাগাতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সে রাগ না হয়ে
ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে লাগলো।
.
আমিতো নাছোড় বান্দা আমি তাকে
আজকে
রাগিয়েই ছাড়বো। তাই মার হাতটা আমার
হাতে নিয়ে বলে উঠলাম, দেখছো সারাদিন
কাজ করতে করতে হাতের অবস্থা কি
করছো?
আমি ছাড়া কেউ খেয়াল রাখে তোমার এই
ঘরে? আজকেই একটা কাজের বুয়া রাখবা।
রান্না বাদে সব কাজ করে দিবে। টাকা
আমিই দিবো। আর তোমার কিছু লাগলে
অন্য
কাউকে ফোন দিতে হবে না। আমাকে ফোন
দিবা আমি সব এনে দিবো।
আমার কথা শুনে মা মিট মিটিয়ে হাসতে
হাসতে হ্যা বল্লো। আর বাবা খাওয়া
রেখে
উঠে বেসিনে হাত ধুয়ে দোকানে চলে
গেলো।
.
তারপর মা বলে উঠলো, দিলিতো তোর
বাবাকে খাওয়া থেকে উঠিয়ে!
"তাহলে ভালো মত আমার সাথে কেন কথা
বল্লোনা? ভালো মত কথা বল্লেতো আর
আমি
রাগাতাম না!
মা আর কিছু না বলে খেতে লাগলো। আমি
খেয়ে আমার রুমে যেয়ে ভোটার আইডি
কাডটা নিয়ে বাহিরে বের হয়ে গেলাম।
কারন কাল যে, এইটার ফটোকপি লাগবে।
.
দুপুরে আজকে একটু তাড়াতাড়িই খেয়ে
নিলাম। কারন আজ চাকরীটার জন্য সেই
ধানমন্ডি রবিন্দ্রসারবর যেতে হবে। খাওয়া
শেষ করার পরেই দেখলাম বাবা দোকান
বন্ধ করে খেতে এসেছে বাসায়। আমি
আমার রুমে যেয়ে রেডি হয়ে নিলাম। আর
আনিসের কথা মত যা যা লাগবে তা নিয়ে,
মানিব্যাগটা বের করে দেখলাম ৩৪ টাকা
আছে। ইশ! এখন কি করবো! বাবাকে বল্লে
টাকা দিবে, কিন্তু কাল যে এতো বড় বড়
কথা বল্লাম!
.
আমি আমার রুম থেকে বের হয়ে মার কাছে
যেয়ে বল্লাম, খুচরা কিছু টাকা হবে? গাড়ি
ভাড়া দিয়ে যেতে হবেতো।
"আমি টাকা পোবো কই? তোর বাবার কাছ
থেকে নে।
আমি আর কিছুনা বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে
রইলাম। ঠিক তখনি বাবা পিছন থেকে
আমাকে ডাক দিয়ে ১০০ টাকার দুইটা নোট
হাতে দিয়ে বল্লো, এই নেও।
আমি তার টাকা দেওয়াটা দেখে একটু
ভেবে বলে উঠলাম, ১০০০ টাকার নোট খুচরা
নাই বলে মার কাছ থেকে চেয়েছিলাম।
আমি ভেবেছিলাম কথাটা বানিয়ে বলাতে
গতকালের মতো হিট হয়ে যাবো। পরক্ষনে
সে আমার হাত থেকে টাকাটা নিয়ে বলে
উঠলো, যাও ১০০০ টাকার নোটটা নিয়ে
আসো আমি খুচরা করে দিচ্ছি।
এখন কি করবো আমি! আমিতো তার সামনে
ভাব দেখাচ্ছিলাম! এখনতো টাকাটাও
নিয়ে গেলো। তারপর আমি আর কিছুনা
ভেবে আবার ভাব দেখিয়ে আমার রুমে
যেতে লাগলাম। কিন্তু বাবা আমাকে পিছন
থেকে ডাক দিয়ে বলে উঠলো, তোমার এই
আলগা ভাব মারা গুলো এখন ছাড়া! এই নেও
টাকাটা ধর!
আমি আর কি করবো বেটার কাছে ধরা
খেয়ে গেলাম। তারপর বাবার হাত থেকে
টাকাটা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পরলাম।
.
সেইখানে পৌছিয়েই আনিসের পাঠানো
সেই নাম্বারটিতে ফোন দিলাম।
লোকটাকে ফোনে পরিচয় দিলাম। লোকটা
পরে বল্লো, সে নাকি রবিন্দ্রসারবর এর
কাছাকাছি এসে পরেছে। আমাকে
কিছুক্ষন এই জায়গায় ওয়েট করতে বললো।
ফোনটা রেখেই আমি লেকের সামনে চলে
গেলাম। সাদিয়ার সাথে প্রথম দেখাটা
আমার এই জায়গায় হয়েছিল। সেইদিন ও
সবুজ রং এর একটা ড্রেস পড়ে এসেছিলো।
দারুন লেগেছিলো মেয়েটাকে। আমরা এই
লেকের সামনে এসেই বসেছিলাম। আজ সেই
জায়গায় অন্য এক কাপল বসে আছে।
.
সেই দিন ছিলো বুধবার ছিলো, মেয়েটার
মাঝে সেইদিন খুব লাজুকলতা উকি ঝুকি
মারা উপভোগ করেছিলাম। ফোনে আমাকে
তুমি করেই বলতো, সেইদিন আমাকে আপনি
আপনি করে বলছিলো। হঠাৎ আমি বলে
উঠলাম, আমিতো পর তাই না?
ও কিছুটা বুঝার চেষ্টা করতে লাগলো আমি
কথাটা কেন বল্লাম, পরক্ষনে ও বলে উঠলো,
হঠাৎ এই কথাটা আসলো কেন?
"সেই কখন থেকে আপনি আপনি করেই
বলতেছো তাই।
মেয়েটা অন্যদিকে ফিরে একটু হেসে
আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, আচ্ছা
তুমি এখন আপন আপন লাগছে?
"না এখনো লাগছে না। পুরো একটা তুমি
দিয়ে শব্দ বলো তখন লাগবে।
আমার কথাটা শুনেই ও আমার দিকে
তাকিয়ে হেসে বলে উঠলো, আসলেই তুমি
একটা পাগল। ফোনেতো পাগলামি করোই,
এখন তা বাস্তবে দেখলাম।
"আরো দেখবা।
"সারাজীবনি দেখতে চাই।
কথাটা বলেই আমার হাতটা শক্ত করে
ধরেছিলো মেয়েটা। মনে মনে সেইদিন
প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছিলাম। যা কিছুই
হোক না কেনো একে কখনো কষ্ট দিবোনা।
.
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো,
মোবাইলের স্কিনে তাকাতেই দেখি, ওই
লোকটা ফোন করেছে। ফোনটা আমি ধরেই
বলে উঠলাম, ভাইয়া আপনি আসছেন?
"হুম। কই আপনি?
"এইতো লেকের সামনে। আপনি কই?
"এইতো কাবাব ঘরের সামনে আসেন।
.
আমি কাবাব ঘরের সামনে যেয়ে এদিক
ওদিক তাকাতে লাগলাম।পিছন থেকে
আমাদের বয়সের একটা ছেলে বলে উঠলো,
আপনাকে কি আনিস পাঠিয়েছে?
"জ্বি!
"আমি রাকিব।
"আমি ফায়সাল।
"চলেন বসি এইখানে।
"হুম চলেন।
.
দুইজনে চেয়ারে বসলাম। তারপর সে বলতে
লাগলো, আসলে আমরা কোকাকোলা
কম্পানি থেকে একটা সার্কুলার
পেয়েছিলাম। সেইখান থেকেই আজ আমরা
এত দূর। আর আপনার কথা আমাকে আনিস
বলছে। আপনারটা হয়ে যাবে। কিছুক্ষন পর
ছোট একটা মিটিং আছে। কাজের ব্যপারে
আলোচনা হবে। তারপর আমি আপনাকে
আমার আন্ডারে না হয় আমাদের গ্রুপের
অন্য কারো আন্ডারে ঢুকিয়ে দিবো।
"ধন্যবাদ ভাইয়া।
"আপনার সিভি আর যা যা লাগে এনেছেন?
"হ্যা!
"ওইগুলা আপনার হাতেই রাখবেন। আরো
মানুষ এগুলো জমা দিবে তখন আপনি ওইটা
আপনি আমাকে আলাদা ভাবে দিয়েন।
"আচ্ছা।
"একটু বসেন আমাদের গ্রুপেরর ওরা এসে
পরেছে। ওই যে।
পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আরো
পাঁচ জন লোক আসতেছে। মোট এরা তিন জন
ছেলে আর দুইজন মেয়ে।
.
তারা আসার সাথে সাথে খেয়াল করলাম
আরো অনেক ছেলে মেয়ে এসে পরেছে।
সবার হাতেই একটা করে খাম। বুঝতে আর
বাকি রইলো না এরাও এই চাকরিটার জন্য
এসেছে। মিটিংটা শুরু হওয়ার আগে রাকিব
ভাইয়াদের গ্রুপের প্রদান যিনি সে বলতে
লাগলো, আমি শাহারিয়ার, নর্থ সাউথ
ইউনিভার্সিটিতে এম.বি.এ করছি।
.
এইভাবে করে শাহারিয়ার ভাইয়া তাদের
গ্রুপের সবার সাথে পরিচয় করে দিলো।
তিনি বাদে বাকি পাঁচ জন বি.বি.এ লাষ্ট
ইয়ারে। রাকিব,রায়হান,আদ
িবা,সাফা,নিরব।
এরা সবাই সেইম ইয়ারে।নর্থ সাউথ
ইউনিভার্সিটির। তাদের সবার গেটাপি
ছিলো অন্য রকম। একটু বেশিই স্মার্ট!
শাহারিয়ার ভাই বাদে বাকি পাঁচ জন
আমার
এক বেচ সিনিয়র।
.
মিটিং শুরু হওয়ার পর শাহারিয়ার ভাই
একের
পর এক কথা বলতে লাগলো। আমার চোখটা
আদিবা মেডামের দিকেই বার বার
যাচ্ছিলো। আমি একা না, সবাই উনার
দিকে
একটু একটু করে তাকাচ্ছিলো। পরনে টাইট
জিন্সের প্যান্ট,শার্ট চুল গুলো হালকা
বাদামি। পুরো ফরেন্ট লুক। এই যুগের
মেয়েদের আইকন! কিন্তু তার দিকে আমার
তাকানো মূল কারনটা ছিলো। তার চুল! তার
চুল গুলো পুরো ঘড়ার লেজের মতো
দেখাচ্ছিলো।
.
একের পর এক সবাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা
বলতে
লাগলো। সবার শেষে সাফা মেডাম বলতে
লাগলো, আমি বেশি কিছু বলবোনা। জাষ্ট
বলবো আমাদের কাছে সব কাষ্টমারি এক
সমান থাকবে। সে যত হাই লেভেল এর হোক
আর লো লেভেলেরি হোক! রূপবতীদের যে
বেশি মূল্যায়ন দিবো তা না! সবাইকে একি
রকম মূল্যায়ন দিতে হবে। আর কাষ্টমারদের
সাথে কথা বলার সময় আমাদের চোখ
তাদের
চোখের দিকেই থাকবে।আশা করি আমি যা
বলেছি তা বুঝতে পেরেছেন।
সর্বশেষে মেয়েটার এরকম ঝাল কথা দিয়ে
মিটিংটা শেষ হলো। মেয়েটা আদিবা
মেডাম থেকে যে এক ধাপ এগিয়ে বুঝতে
আর
বাকি রইলোনা। মেয়েটা জ্ঞানের কথা
বলেছে।
.
রাকিব ভাই সবাইকে কাগজপত্র জমা দিতে
বল্লো। আর আমার কাগজটা তাকে আলাদা
ভাবে দিলাম। তিনি আমার কাগজপত্র গুলো
নিয়ে শাহারিয়ার ভাইয়ার কাছে গেলো।
শাহারিয়ার ভাইয়া আমার দিকে একটু
তাকিয়ে আদিবা আর সাফার দিকে তার
আঙ্গুল নাড়িয়ে কি যেনো বলে উঠলো।
.
তারপর রাকিব ভাইয়া আমাকে ডাক দিয়ে
বল্লো, সাফা আর আদিবার আন্ডারে
শাহারিয়ার আপনাকে সিলেক্ট করতে
বলতেছে। আপনি একটা কাজ করেন। আপনি
আদিবার আন্ডারে থেকে যান। সাফা খুব
প্যারা দিবে। আমি সাফার দিকে
তাকালাম। মেয়েটা আমাদের দিকে
তাকিয়ে আছে। আমি রাকিব ভাইয়াকে
বলে
উঠলাম, না ভাইয়া আমি সাফা আপুর
আন্ডারেই থাকি। কিছু শিখতে পারবো।
"ওকে।
.
তারপর রাকিব ভাইয়া আমাকে সাফা আপুর
কাছে নিয়ে গেলো। তাকে সব কিছু বলে
আমার কাগজপত্র তাকে দিয়ে সে তার
জায়গায় চলে গেলো।
.
তিনি আমার কাগজপত্র দেখে বলে উঠলো,
কোন কলেজ থেকে অনার্স করতেছো?
রাকিব ভাইয়া আমাকে আপনি করে বল্লো,
আর এই মেয়ে তুমি! আমি আর কিছুনা ভেবে
বলে উঠলাম, তিতুমীর কলেজ থেকে।
"তোমাকে কিন্তু প্রতিদিন মিরপুর একে
এসেই
কাজ করতে হবে। মিরপুর এক থেকে বাসা
দূরে হলে মিরপুরে কোথাও ম্যাচ ঠিক করে
নিও। নাহলে খরচটা বেশি হবে।
"এটাইতো একটা সমস্যা!
"কাজ করতে হলে অনেক কিছুই
সেক্রিফাইজ
করতে হবে। একটা হেল্প করতে পারি।
মিরপুরে আমার আনন্ডারে যেই ছেলেগুলো
কাজ করে তাদের সাথে তোমার থাকার
ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
"আচ্ছা তাহলেতো ভালোই হবে।
"ওকে এইটা আমি দেখতেছি। তোমার ফোন
নাম্বারতো সিভিতেই আছে। আমি ফোন
দিয়ে তোমাকে পরশু জানাচ্ছি।
"আচ্ছা ঠিক আছে। এখন কি আমি যাবো?
"হুম!এখন তুমি যাও।
আমি আর কিছু না বলে, রাকিব ভাইয়াকে
বলে সেখান থেকে বাসায় রওনা দিয়ে
দিলাম।
.
বাসায় আসার পর মাকে সব কিছু খুলে
বল্লাম।
মা যখন জানতে পারলো আমাকে সেইখানে
থেকে কাজ করতে হবে। তখন সে কোনমতেই
রাজি হচ্ছিলো না। আর আমিও এই
চাকরীটা
হারাতে চাচ্ছিলাম না।
.
রাতে বাবা আসার পর তাকেও সব কিছু
খুলে
বল্লাম। কিন্তু মা তবুও বলছিলো, না ওকে
কোথাও থেকে কাজ করতে হবেনা!
কিন্তু বাবা বিষয়টা কিছুক্ষন ভেবে তিনি
মাকে বল্লো, যাক না সমস্যা কি? বেশি
দূরেতো যাচ্ছেনা ঢাকার মধ্যেই থাকবে।
খুব মিনতি করে মাকে এক প্রকার রাজি
করালাম। আর বল্লাম প্রতি বৃহস্পতি বার
রাতে আসবো আর শুক্রবার রাতে চলে
যাবো।
তবুও বিষয়টা তার মেনে নিতে যে, খুব কষ্ট
হচ্ছিলো। মায়ের মন বলে কথা!
.
পরের দিনটা কোন মতো কেটে গেলো।
সারাদিন ঘরেই ছিলাম। রাতে খাওয়া
দাওয়া করার পর যেই শুতে যাবো ঠিক
তখনি
মোবাইলটা বেজে উঠলো। ফোনটা ধরার পর
ওই পাশ থেকে বলে উঠলো, আমি সাফা!
.
আমি ভাবতে লাগলাম উনারতো
আগামীকাল
ফোন দেওয়ার কথা ছিলো। হঠাৎ একদিন
আগেই ফোন করলো! আমি আর কিছু না
ভেবে
বলে উঠলাম, জ্বি কেমন আছেন?
"তোমার থাকার ব্যবস্থাটা হয়ে গেছে।
আমার আন্ডারে যারা কাজ করে ওদের
সাথেই থাকবা, আর ওরা বুয়া রাখছে বুয়া
রান্না করে দেয়, খাওয়ারো কোনো
সমস্যা
হবেনা।
"আচ্ছা।
"কাল বিকেল চারটার সময় মিরপুর ১ এ চলে
আসো। এসে এই নাম্বারে ফোন দিও। আমি
ওদের সাথে তোমাকে পরিচয় করে দিবো।
"ঠিক আছে আপু।
" হুম রাখি।
কথাটা বলেই ফোনটা রেখে দিলো
মেয়েটা।
কি ভাব মেয়েটার! কেমন আছে জিজ্ঞাস
করলাম তার উত্তরটাও দিলোনা! আসলো এই
ওবার স্মার্ট মেয়েগুলা এমনি হয়। বেশি
ইগো
থাকে। আর তার উপর নামি দামি
ভার্সিটির
ছাত্রী। এমনটা না হলে তাদের কি চলে!
.

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ