āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

671{1}

গল্পের:১ম অংশ
*-*-*-* দিয়া বাড়ি *-*-*-*
# ভালবাসা_দিবসের_
স্পেশাল_গল্প
লেখা:ফ|য়স|ল আহম্মেদ শ|ওন
"মা.................
"আর একটু বাবা।
"আর কতক্ষন!! আধা ঘন্টা ধইরা বইসা আছি।
"তো আমি কি করবো? গ্যাস নাই তাইতো
রুটি
ভাজতে দেরি হচ্ছে।
"তাড়াতাড়ি করো।
.
কিছুক্ষন পর মা এসে আমাকে আর বাবাকে
রুটি আর বাজি দিয়ে নিজেও খেতে
বসলো।
আমি চুপচাপ খেতে লাগলাম। কেন যেনো
মনে হচ্ছিলো বাবা আমাকে কিছু বলবে।
কারন তার চোখের দৃষ্টিটা বারবার
আমাকেই লক্ষ করছিলো।
.
একটা রুটি শেষ করে, পানিটা খেয়ে যেই
আরেকটা রুটি ছিরতে যাবো তখনি বাবা
বলে উঠলো, রাতুলকে চিনো?
আমি আর রুটিটা না ছিরে বাবার দিকে
তাকিয়ে বল্লাম, হুম চিনি।
"আহা! তোমাকেতো খেতে মানা করি নাই।
খাও!
আমি আর কিছু না বলে আরেকটা রুটি
খাওয়া
শেষ করলাম। তারপর পানি খেয়ে বেসিনে
হাত ধুতে চলে গেলাম।
.
হাত ধোয়া শেষে যেই রুমে ঢুকতে যাবো
ঠিক
তখনি সে আমাকে বলে উঠলো, জীবন অর্থ
বুঝো?
আমি কিছুনা বলে চুপ করে রইলাম। তিনি
আমাকে ডাক দিয়ে বল্লো, পাঁচটা মিনিট
কথা বলতাম শুনবা?
.
আমি আর কিছু না বলে তার সামনে যেয়ে
বসলাম। তার সামনে বসতেই বলে উঠলো,
রাতুলের কথা কেন জিজ্ঞাস করলাম
জানতে
চাইবে না?
"ও আমার জুনিয়ার হয়েও ভালো চাকরি
করে।
এটাইতো বলবা?
"নাহ!
"তাহলে?
"কঠোর হতে শিখো। ছেলে মানুষ থাকবে
পাথরের মতো কঠোর। তাদের চোখে কান্না
মানায় না। আর রাতুল সবে মাত্র ভার্সিটি
দ্বিতীয় ইয়ারে ও জীবন মানে বুঝে গেছে।
কঠোর হতে শিখে গেছে। ওর জীবন মানে
বুঝার কারনটা কি শুনবা?
"কি?
"একটা মেয়ে! আমার সামনে বছর দুই আগে
খুব
অপমান করেছিলো মেয়েটা ওকে। আমিতো
ওকে একটা বকাটে ছেলে ভেবে
নিয়েছিলাম। তারপর ও এখন কি পর্যায়ে
আসছে তা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম
আমার
ভাবনাটা ভূল কারন ওই মেয়েটা একটা
স্বর্নের ক্ষনি হারিয়েছে।
.
আমি নিশ্চুপ হয়ে কথাগুলো শুনছিলাম। তবে
একটা জিনিস বুঝতেছিলামনা, বাবা এই
কথাগুলো আমাকে কেন বলছে?
.
আমার চুপ করে থাকাটা দেখে বাবা আবার
বলে উঠলো, কি হলো চুপ হয়ে গেলে কেন?
আমি কথাটা কেন বল্লাম শুনতে চাবেনা?
"কেন বল্লা?
"কাল রাতে পানি খাওয়ার জন্য বাহিরে
এসে দেখি, তোমার রুমে লাইট জ্বালানো।
আমি বাহির থেকে ফুঁকি মেরে দেখলাম।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে কান্না করতেছো।
তারপর কাকে যেনো ফোন দিয়ে
বলতেছিলে, প্লিজ এইভাবে আমাদের
সম্পর্কটা তুমি নষ্ট করে দিওনা। তোমার
পায়ে পরি। আমি আর এক মুহুর্তের জন্য
সেইখানে দাড়াইনি। তোমার কথা শুনে
বুঝতে পেরেছি যার সাথে কথা
বলতেছিলে সেটা একটা মেয়ে ছিলো।
.
কথাটা বলেই বাবা রুটি ছিরে খেতে
লাগলো। আমি চুপ করে মাথা নিচু করে বসে
ছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম বাবা আমাকে
কি বুঝাতে চাচ্ছে।
.
আমি কি করবো, ও আমাকে এইভাবে
ঠোকাবে আমি কখনো ভাবতেই পারি নি।
ওকে এতোটাই মেডলি লাভ করেছিলাম যে,
ভার্সিটি থেকে তিন দিনের জন্য
কক্সবাজার আমাদের গ্রুপের ছাত্রদের
নিয়ে যাবে বলেছিলো, তাও আবার
অর্ধেক খরচ ভার্সিটি থেকে দিবে।
সেইখানেও যাইনি! কারন, কক্সবাজার যদি
যাই ওকে নিয়েই প্রথম যাবো। আমার এরকম
কথা শুনে, আমার বন্ধুরা সেই দিন খুব
হেসেছিলো। আমাকে বলেছিলো, মামা!
এতো সুন্দর অফার ওই মেয়ের জন্য নষ্ট কইরা
দিও না। বিয়ের পর ওকে নিয়া আরেক বার
দরকার পরলে ঘুইরা আসিস। খুব মজা হবে।
আমি তবুও না করে দিয়েছিলাম কারন আমি
চেয়েছিলাম কয়েকটা সুন্দর্যের স্থান আমি
ওকে নিয়ে উপভোগ করবো।
.
একটা স্বামীর সাথে স্ত্রী যেই রকম
বিহেভিয়ার করে ঠিক ও আমার সাথে সেই
রকম বিহেভিয়ার করতো। এই নিয়ে চার বার
ওর সাথে মিট করেছি। যতক্ষন ও আমার
পাশে ছিলো, ততক্ষনি আমার হাতটা শক্ত
করে জড়িয়ে ধরে বসে ছিলো। এমন কি
রেস্টুরেন্টেও যেয়েও এমনটা করেছে।
প্রতিদিনি একটা কথায় ওকে বলতাম। ওকে
নিয়ে দিয়া বাড়ি ঘুড়তে যাবো। ও রেগে
যেতো খুব! আর বলতো, ওই তোমাকে
বলছিনা এই কথাটা আর বলবানা! আমি
কইবার বলবো যেভাবেই হোক তোমার
সাথে দিয়া বাড়ি ঘুড়তে যাবো। আর তখন
আমিও খুশি হয়ে যেতাম। দিয়া বাড়ি
জায়গাটাই ছিলো অন্যরকম। সেটা
বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরার মতো জায়গানা।
কাশফুলের খন্ড খন্ড ঝোপ,সবুজ গাছ-
গাছালি,পুকুর সব মিলিয়ে একটা
রোমাঞ্চকর দৃশ্য। এই দৃশ্যগুলো ফিল করার
জন্য পাশে সঙ্গিনি না থাকলে যে কেউ
মনমোরা হয়ে যাবে।
.
দিয়া বাড়ি কবে যাবো সেই সময়টাও ঠিক
করে নিয়েছিলাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি! এর জন্য
নয় মাস আগে থেকেই অল্প অল্প করে
টাকাও জমাতে শুরু করলাম।যাতে ওর পছন্দ
হয় এমন সব জিনিস গুলো ওকে কিনে দিতে
পারি! খুব বেশিই স্বপ্ন দেখে ফেলেছিলাম
ওকে নিয়ে হয়তো! কিন্তু অবশেষে এমন
কিছু দেখতে হবে তা কখনো ভাবিনি। ইমো
থেকে আমাকে রিমুভ করছে। এমনকি
ফেসবুকেও আমাকে ব্লক করে অন্য
একজনের সাথে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস
দিছে। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়! আমার
এই কমদামি অনুভব গুলোকে হয়তো এখনকার
সময়ে ভালবাসা বলেনা!
.
"কি হলো চুপ করে আছো কেন?
বাবার কথায় বাস্তবে ফিরলাম।
"না!আর কিছু বলবা?
"ওমন কথা ছেলেদের মুখে মানায় না। খুব
দুর্বল হয়ে গিয়েছিলে! একটু শক্ত হও। সব
ঠিক হয়ে যাবে। এই সময়টাই এখন এমন। বাদ
দিয়ে দেও এগুলা! অযথা কষ্ট পাওয়ার
কোনো মানে হয়! তোমার কঠোরতা টা আমি
দেখতে চাই! আশা করি আমার ইচ্ছেটা পূরন
করবে।
কথাটা বলেই বাবা খাওয়া শেষ করে
দোকানে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলো।
.
বাবা উঠে পরার সাথে সাথেই মার দিকে
খেয়াল করে দেখলাম সে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে। আমি আর কিছুনা বলেই
আমার রুমে ঢুকে গেলাম।
.
মাথায় আমার একটা কথাই বেশ ঘুরপাক
খাচ্ছিলো। কঠোর হতে শিখো!
.
ডাইরিটা বের করে একটু চোখ বুলিয়ে
নিলাম। হয়তো এইখানে আর কিছু লেখা
হবে
না। কারন ডাইরিটার প্রতিটা পাতায় ওকে
নিয়েই লেখা ছিলো। দিয়া বাড়ি আমার
আর
যাওয়া হবেনা! আর টাকাও জমাতে হবেনা!
খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এমনি যেহেতু করবে
তাহলে কি দরকার ছিলো আমাকে মিথ্যা
আশ্বাস দেওয়ার।
.
প্রতি শুক্রবার বেশ দেরি করেই ঘুমাতাম।
কারন সেই দিনটা সাদিয়ার সাথে সারা
রাত
কথা বলতাম। এইতো মাস খানিক আগের
কথা
সারাটা দিন খুব দৌড়ের উপর ছিলাম।
ছাত্রলীগের একটা অনুষ্ঠান ছিলো। বড়
ভাইরা জোর করে সেই অনুষ্ঠানে নিয়ে
গেছিলো।বাসায় ফিরতে প্রায় রাত নয়টা
বেজে গেছিলো। বাসায় এসে অল্প একটু
খেয়েই শোয়ে পরেছিলাম।ঘুমটা
ভেঙ্গেছিলো ১২.০০ টার দিকে। সাদিয়া
ফোন করেছিলো। ফোন করেই মেয়েটা
আমাকে বলে উঠলো, বাবু খুব জ্বর আসছে।
একটুও ভালো লাগতেছেনা।
এমনিতেই হঠাৎ করে কাচা ঘুম ভেঙ্গে
যাওয়ার কারনে অস্থির লাগতেছিলো। তার
উপর ওর মুখে এরকমম একটা কথা শুনে বুকটা
খুব
ধরপর করতে শুরু করলো।
.
জ্বরের কারনে মেয়েটা যে কি আবোল
তাবোল বলতেছিলো সেটা ও নিজেও
জানেনা। বার বার বলতেছিলো, বাবু একটু
শক্ত করে ধরোতো আমাকে, একটা গান
শুনাও
না।, আচ্ছা আমাদের কিন্তু দুইটাই বেবি
হবে,
বিয়ের পর কিন্তু আমাকে অনেক সময় দিবা,
কাজের বাহানা দিয়ে দেরি করে ঘরে
ফিরছো এইগুলা বলবানা। আরো কত কিছু
বলতে লাগলো। আমিও ওর কথায় হ্যা হ্যা
করতেছিলাম। তারপর যেই একটু রাগ
দেখিয়ে
বল্লাম, এখন ঘুমাও না হলে একটা কথাও
শুনবোনা তোমার।
তখনি মেয়েটা আমাকে বলে উঠলো,আচ্ছা!
তাহলে একটা গান শুনাও আমি ঘুমিয়ে
পরবো।
.
আর কি করার গান শোনাতে লাগলাম ওকে।
গান শেষ হওয়ার পর কয়েকবার ওকে
ডাকলাম।শুধু নিশ্বাসের শব্দ হচ্ছিলো। হুম!
ঘুমিয়ে পরেছে। সেইদিন ও ঘুমালেও আমি
আর ঘুমাতে পারি নি। বিছানে থেকে
উঠেই
ওর এরকম ছেলেমানুষি আচরনের কথাগুলো
ডাইরিতে লিখতে লাগলাম। আর নিজের
কাছে বার বার মনে হচ্ছিলো, আমি খুব
লাকি!
.
আজোতো শুক্রবার আজকে কি আমাকে
ফোন
দিয়ে পাগলামিগুলো ও করবেনা! কথাগুলো
ভাবতেই বুকের ভিতরে কেমন যেনো মোচড়
দিয়ে উঠলো। আর কিছুনা ভেবেই
ডাইরিটাতে দুইটা লাইন লিখে, সেইখানেই
ডাইরি লেখাটার সমাপ্তি দিলাম।
.
দিনেরবেলাটা কোনো মতো কেটে গেলেও
রাতটা সহযে কাটতে চাইতোনা। সব রোগের
জ্বালাটা যেমন রাতে দেখা দেয়। ঠিক
তেমনি ওর থেকে পাওয়া কষ্টটাও রাতেই
দেখা দিতো। নিজেকে সামলিয়ে রাখার
জন্য নিজেকে খুব ব্যস্ততার মধ্যে রাখতাম
তবুও রাতের বেলায় সামলিয়ে রাখাটা খুব
কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
.
এইভাবেই একের পর এক দিনগুলো কাটতে
লাগলো। সেইদিন বাবার কথাগুলো খুব মন
দিয়ে শুনেছিলাম। বাবার কথাগুলো মনে
পরলেই ইচ্ছে জাগতো নিজে কিছু একটা
করি। কিন্তু কি করবো? বন্ধুদের সাথে
যেয়ে যে কথাগুলো শেয়ার করবো তাও
পারছিনা। সাদিয়া থাকা কালিনো ওরা
ওকে নিয়ে খোচা মেরে মেরে কথা বলতো।
এখন মেয়েটা যে আমার লাইফে নাই তা কি
এরা বুঝবে! ওদের খোচানি ওরা খোচাবে।
তার উপর দিয়ে ওরা আমার উপর রেগে
আছে। আমি কক্সবাজারের ভ্রমণটাতেও
যাইনি।
.
কিছু না ভেবেই আনিসকে ফোন দিলাম। ও
আমার খুব কাছের একটা বন্ধু। ওর সাথে
অনেক ভালো ভালো কম্পানির লোকদের
সাথে সম্পর্ক আছে। আশা আছে ও ঠিকই
আমাকে একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে
দিবে। ও ফোনটা রিসিভ করেই বলে উঠলো,
কিরে ফোন দিতে মন চাইলো!
"হুম। কি করতাসিস?
"এইতো বইসা আছি। কিছু বলবি?
"মামা একটা চাকরী নিয়ে দিতে পারবি?
" হঠাৎ চাকরী! কেন সাদিয়ারে বিয়ে
করতাসিস নাকি?
"সাদিয়া অন্য আরেকজনের সাথে রিলেশন
করে।
"তোর সাথে ব্রেকাপ কইরা ফেলছে!!
"হুম। অনেক ট্রাই করছি টিকিয়ে রাখার
জন্য। ফোন দেই বলে নাম্বার চেঞ্জ করে
ফেলছে,ফেসবুক,ইমু সব জায়গা থেকে ব্লক
করছে।
"দোস্ত আমার খুব কষ্ট লাগতাছেরে!
"তোর কষ্ট লাগবো কেন?
"কক্সবাজার জাইতে পারবিনা যে তুই!
"তুই মজা লইতাছোস তাই না!
"আরে মামা! না না না না! মজা নিমু কেন?
আচ্ছা আমি খোজ নিয়া দেখি, তোর জন্য
চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারি কি না।
"ওকে একটু তাড়াতাড়ি খোজ লাগা।
"আচ্ছা দোস্ত তুই চিন্তা করিস না। ব্যবস্থা
হয়ে যাবে। আর একটা কথা বলি?
"বল!
"মামা! সত্যি বলতে কি সাদিয়া অনেক হট
ছিলোরে। ইশ! যে পাইছে ওতো লাকির ঘরে
লাকি।
"তোরা মরলেও ঠিক হবি না! আল্লাহ যে
তোদের কি করবো। ফোন রাখ।
"হা হা হা। আচ্ছা দোস্ত রাখলাম।
এর জন্যই ওদের ফোন দেই না। এরা
সিরিয়াস বিষয়গুলো নিয়েও ফাইজলামি
করে।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ