āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{13}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -13
.
বিকেলে ঘুম ভেঙে আসতেই প্রবন্ধ
বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হয়ে
নিলো। বিয়ের পর বন্ধুবান্ধবের সাথে
ওর সঙ্গটা আর জমে ওঠে নি সময়ের
অভাবে।আজ বন্ধুদের সাথে কিছু সময়
কাটিয়ে নিলে মন্দ হবে না।রুমটা
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যাচ্ছে।ধুলো
বালির বালাইও নেই।হয়তো উপমার-ই
কাজ।কিন্তু ঘুম থেকে উঠে প্রবন্ধ লক্ষ্য
করলো উপমা রুমে নেই।কোথায় গিয়ে
চুপচাপ বসে আছে কে জানে!প্রবন্ধ
প্রথমে ছন্দাআপুর রুমে গেল।ছন্দা আপু আর
দুলি ঘুমোচ্ছে।দুপুরবেলা ঘুমানোর
অবভ্যাস আছে ছন্দা আপুর।তাহলে উপমা
কি আম্মার রুমে আম্মার সাথে কথা
বলছে! মনে লজ্জার জড়তা নিয়ে তো
মেয়েটা আম্মার পাশেই ঘেঁষে না।
তবুও আম্মার রুমে গিয়ে উপমাকে একবার
খুঁজে আসলে ভালো হয়।প্রবন্ধ আম্মার
রুমে গেল।আম্মা আপন মনে টিভি
দেখছে।স্টার জলসা আর জি বাংলার
পারিবারিক ধারাবাহিক নাটক।সব
কিছু ভুলে গেলেও লম্বা ধারাবাহিক
নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকাটা
আম্মা কখনোই ভোলেন না।মাঝে
মাঝে দুলি এসে কার্টুন দেখার জেদ
করলে হয়তো এক দুই দিন ধারাবাহিক
দেখা দমিয়ে রাখেন। কিন্তু আসল
বিষয়টা হচ্ছে উপমা কোথায়! ওকে
একবার ঘরে ঠিকমতো দেখে না গেলে
বেশী সময় নিয়ে বন্ধুদের সাথে আজ
আর আড্ডা দেওয়া হবে না।মন টা ওর
জন্য-ই কামড়ে যাবে।প্রবন্ধ ছাদে গেল
কিন্তু উপমা ওখানেও নেই।তবে
রান্নাঘরটায় একবারও গিয়ে অনুসন্ধান
করা হয় নি।রান্নাঘরের দিকে
তাকিয়ে দেখতেই প্রবন্ধ খেয়াল
করলো উপমা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে কাজের মেয়ে চম্পার সাথে
কথা বলে যাচ্ছে। দুইজনে একে অপরের
সাথে গল্প করে হাসাহাসি করে
যাচ্ছে।দুইজনের মাঝেই খাতির জমে
উঠেছে বোধ হয়।দেখে মনে হচ্ছে ওরা
অনেক বছরের পুরোনো বান্ধুবী।
প্রবন্ধর কাছে ভালোই লাগছিল।
ভালো-ই হলো। এই বাড়িতে উপমার
একটি নতুন বান্ধুবী জুটেছে।হয়তো
চম্পার সাথে মন খুলে কথা বলতে
পারলে উপমার আরও ভালো লাগবে।
মেয়েটা সারাক্ষণ আর চুপচাপ বসে
থাকা লাগবে না।মনে ছোট প্রশান্তি
নিয়ে প্রবন্ধ বাহিরে বের হয়ে গেল।
.
উপমা চম্পার সাথে কথা বলে যাচ্ছে।
চম্পা যেন উপমারই প্রতিচ্ছবি।উপমা আর
সে সমবয়সী।দুইজনের কথার ধরন,জীবন
পটভূমিও এক।চম্পার সাথে কথা বলে
উপমারও ভালো লাগছে।যেন সে তার
গ্রামেরই কেউ।যেন কোনো পার্থক্য-ই
নেই ওদের মাঝে।চম্পাকে দেখেই
উপমার মনে বন্ধুত্বের ভাব জেগে
উঠলো।উঁচু-নিচু সম্বোধনের বৈষম্য
ভেঙে উপমা চম্পার সাথে পুরোনো
পরিচিত বান্ধুবীর মত কথা বলে
যাচ্ছে।
চম্পা বলে-
-আপনারে..একটা কথা বলমু ভাবী..!
উপমা তখন চম্পাকে 'ভাবী' শব্দ কেটে
ফেলার নির্দেশ দিয়ে বলে-
-আমারে 'তুমি' কইরা বলতে পারো
না....চম্পা..আর 'ভাবী' বইলো না
আমারে।আমার নাম উপমা।
চম্পা তখন আতকে উঠে বলল-
-তা বলতে পারমু না।কারন আপনারে
যদি "ভাবী' না বলি আর আম্মা যদি
কোনো দিনও এইডা শুনে তাইলে
অনেক বকবো আমারে।
-তা আমি জানি না।কিন্তু তুমি
আমারে 'উপমা' বইলা-ই ডাকবা। বুঝলা
চম্পা!!
চম্পা বলে-
-হুম।একটা কথা কই উপমা..মনে কিসু নিও
না।
-কও চম্পা।
চম্পা একটু হেসে নিয়ে বলল-
-তুমি যখন এই বাড়িতে বউ হইয়া আসলা
তখন আমার মনে হইসিলো তুমি হয়তো
বোবা।কথা জানো না।সারাক্ষণ
চুপচাপ থাকতা বইলাই এমনটা ভাবসি।
উপমা মুচকি হাসলো আর বলল-
-আমি যদি জানতাম বান্ধুবীর মতো
কথা বলার মানুষ এই বাড়িতে আসে
তাইলে আমি তোমার লগেই কথা
বলতাম।
চম্পা রসিকতা করে বলল-
-ক্যান! ভাইয়ের লগেও কি কথা কও নাই!
-নাহ..আগে অনেক লজ্জা করতো।এহনো
করে।কিন্তু এহন কথা কই।ওনারে ভালো
লাগে।
উপমার কথা শুনে চম্পা মিটিমিটি
হাসলো।উপমা বলল-
-এহন তোমার কথা শুনি।তোমার বিয়ার
খবর কও।
চম্পা বলল-
-একজনরে খুব ভালা লাগে আমার।
আমাগো গেরামের একজন।কিন্তু
এইহানে কাজ করতে আইসা তার কথা
অনেক মনে পরে।ছুটির সময় তিন/চাইর
মাস পর গেরামে ছুটি কাটাইতে
গেলে হের লগে আবার দেহা হয়
আমার।
উপমা বলে -
-আবার কবে গেরামে যাইবা?
-আম্মা বলসে এই মাস পর এক সপ্তাহ ছুটি
দিবো।তহন গেরামে যামু।হেরে অনেক
দেখবার মন চায়।আরেকটা কথা বলমু
উপমা..
-কি কথা!
-হেয় বলসে এইবার গেরামে গেলে
আমার মা আর আব্বার লগে আমাগো
বিয়ার কথা আলাপ করবো।
বলতে গিয়ে চম্পা আনন্দভরা চোখে
হাসলো।সাথে উপমাও।
উপমারও এখন ভালো লাগে প্রবন্ধকে।
একজন মানুষকে নতুন করে চিনে তার
মনে মিশে গেলে তখন মনের মধ্যে যে
নতুন অনুভূতির সাড়া জাগে তা
ধীরেধীরে প্রেমে পরিণত হয়ে
গেলে সেই অনুভূতিটা মানুষটার প্রতি
আরও আঁকড়ে ধরে।মন শুধুই ছটফট করে যায়
তার ছায়ার সাথে একটি বার দেখা
কর নিতে।কিন্তু মানুষটি যখন সেই
ছায়া ভেদ করে স্বয়ং সামনে এসে
চোখে চোখ ফেলে তাকিয়ে থাকে
তখন সেই লজ্জায় তাকে জড়িয়ে ধরে
তার মনে মিশে যেতে ইচ্ছে হয়।
ভালো লাগার উত্তেজনাটা
এতোটাই বেড়ে যায় যে তখন তার
পরিমাণও গণনা করতে গেলে অসাধ্য
সাধনের সাথে তুলনা করে ফেলাটাই
তখন যুক্তিযুক্ত হবে বলে মেনে নেওয়া
যেতে পারে।
.
.
নতুনত্ব সব কাজ আপন মনেই করে যাচ্ছে
উপমা।ঘরের ধুলো ঝাটা দিয়ে ঝেড়ে,
জানালা,টেবিল,ওয়ারড্রবে জমে
থাকা ময়লা অপসারণ করে নিয়েছে।
বিকেল গড়িয়ে রাত।আকাশের
তারাগুলো টিমটিমে আলো দিয়ে
রাতের আকাশকে চিকমিকি আবরণে
জড়িয়ে রেখেছে।
উপমা আয়নার সামনে বসেছে ঘন
চুলগুলো আচড়ে নিতে। প্রবন্ধ কখন যে
আসবে!!তড় সইছে না।মুখ ফুটে কথা বলে
নিতে ইচ্ছে হচ্ছে ওর সাথে।ড্রয়ার
থেকে কাজলটা বের করে নিলো।
প্রবন্ধ নিশ্চয়ই ওকে কাজল ঢাকা চোখে
দেখতে চাইবে।প্রবন্ধর কথা মনে
আসতেই নিজে নিজেই মুচকি হেসে
নিলো।আয়নার সামনে বসে নিজেকে
আরেকটু অনুসন্ধান করে নিলো উপমা। দুই
চোখের পাতার উপর কাজলে টানা
রেখার মাঝে কোনো তফাৎ দেখা
যাচ্ছে না তো!ঘোমটা টা টেনে
নিলে ভালো দেখা যায় নাকি
ঘোমটা খুলে লম্বা চুলগুলোকে ছেড়ে
রাখলে ভালো দেখা যাবে!যদি
ওইদিনের মতো একটা ফুল পেতো তবে
সেই ফুলটাকে মাথায় পরে নিয়ে
চুলের সৌন্দর্যটাকে আরেকটু বৃদ্ধি করা
যেতো।ওইদিনের ফুলটা এখনো যত্ন করে
রেখে দিয়েছে উপমা।দিন শেষে
চুলে আটকে রাখা ফুলের পাপড়িটা
যখন শুকিয়ে নেতিয়ে পরেছিল উপমা
সেই ফুল ফেলে দেয় নি।আঁচলের কোনে
পুটলি করে রেখে ফুলটাকে যত্নে
রেখে দিয়েছিল সে।ফুলটা এতোক্ষনে
হয়তো সেই আঁচলের কোনেই আছে।
উপমা ধীরে ধীরে শাড়ির আঁচলে
বেধে রেখা গিট খুলে দেখলো ফুলটা
শুকিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু ফুলটার
সুগন্ধিটা ঠিক আগের মতোই আছে।
আচলের কোণটাও সেই ফুলের গন্ধে
মাখামাখি হয়ে আছে।এইটা শুধু ফুল-ই নয়
প্রবন্ধর দেওয়া উপহারের থেকেও
বেশী কিছু।উপমা শুকনো ফুলটি ছোট
একটি বক্সে ভরে ড্রয়ারের ভেতর
রেখে দিলো।
প্রবন্ধর একটি জ্যাকেট খাটের কোনে
পরে আছে।উপমার তা চোখে পরতেই
জ্যাকেটটা হাতে তুলে ঘুরিয়ে
ঘুরিয়ে দেখে নিলো ।প্রবন্ধর ছোঁয়া
আর স্নিগ্ধতা এই জ্যাকেট জুড়ে আছে।
পারফিউমের হাল্কা একটা ঘ্রাণ
নাকে এসে লাগছে।উপমা জ্যাকেট-
টা ওর নাকের সামনে এনে কিছুক্ষণ
চোখ বন্ধ করে সেই ঘ্রাণ আপন মনে শুকে
গেল।যেন প্রবন্ধ আশে পাশেই আছে।
চোখ বন্ধ করতেই প্রবন্ধর চেহারাটা
অস্পষ্ট হয়ে অন্ধকার চোখে ধরা দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ এইভাবেই জ্যাকেটটা নিয়ে
চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলো সে।
হঠাৎ একটা আওয়াজ ভেসে আসলো-
-উপমা...........
গলার আওয়াজটা চিনে উঠার আগেই
উপমা চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো
প্রবন্ধ সামনে দাঁড়িয়ে আছে।উপমা
হকচকিয়ে তাকালো প্রবন্ধর দিকে।
জ্যাকটটা হাতে গুটিয়ে নিয়ে
নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের
পাতা ঝাপ্টাতে লাগলো।প্রবন্ধ হঠাৎ
এইভাবে এসে পরবে তা উপমার
ধারনায় ছিল না।
প্রবন্ধ উপমার কাছে এসে বলল-
-কি করছিলে উপমা?
উপমা লজ্জাবোধ করতে লাগলো আর
আমতা আমতা করে বলল-
-কিচ্চচ্চ.চ্ছু না।
প্রবন্ধ ওর মনের লুকোচুরি খেলাটা বুঝে
নিজের হাত দিয়ে উপমার ঝুকে রাখা
মুখ উপরে তুলে নিয়ে বলল-
-আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের
দিকে একবার তাকিয়ে দেখো উপমা।
তোমার লুকিয়ে রাখা নীরব
ভাষাগুলো আমি স্পষ্ট পড়তে পারছি।
উপমা এইবার প্রবন্ধর দিকে চোখে চোখ
রেখে তাকালো।প্রবন্ধ উপমার হাত
ধরে ওকে আয়নার সামনে নিয়ে গেল।
আয়নার প্রতিবিম্বে প্রবন্ধ উপমাকে
দেখিয়ে বলল-
-তোমার দিকে একটু তাকিয়ে দেখো
উপমা।
উপমা আয়নার দিকে না তাকিয়ে
প্রবন্ধর দিকেই তাকিয়ে রইলো।
প্রবন্ধ আবারও বলল-
-আয়নায় তোমার প্রতিচ্ছবিটার দিকে
তাকিয়ে দেখো।দেখো..তোমাকে
কতো লজ্জাবতী লাগছে।
উপমা এইবার কোনো কথা না বলেই
প্রবন্ধকে জড়িয়ে ধরলো।প্রবন্ধও
আলিঙ্গন করে নিলো উপমাকে।উপমার
কপালে চুমু খেয়ে ওকে শক্ত করে
জড়িয়ে ধরে বলল-
-তোমার নীরবতা আমি অনুভব করে যাই
উপমা। তুমি হচ্ছ পুতুল কন্যা।আমার মিষ্টি
একটা পুতুল বউ।
উপমা লজ্জায় মুখ তুলে তাকালো না।
প্রবন্ধর বুকে মাথা রেখে পরে রইলো।
প্রবন্ধ ওকে কোলে তুলে নিলো।উপমা
চোখ বন্ধ করে রইলো।খুব লজ্জা লাগছে
ওর।প্রবন্ধ ওকে কোলে তুলে বিছানায়
নিয়ে বসালো।বলল-
-তুমি ঘুমিয়ে পরো উপমা।কিন্তু আমি
ঘুমোবো না।আমি আজ জেগে থেকে
সারা রাত শুধু তোমার দিকেই
তাকিয়ে থাকবো আর তোমার ঘন
চুলের পাগল করা ঘ্রাণ নিয়ে যাবো।
তোমার অনুমিত হবে তো উপমা!
উপমা মাথা নাড়ালো।ভালোবাসায়
জড়ানো এইটুকু আদর সেও পেতে চায়।
উপমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রবন্ধর বুকে
মাথা গুজে শুয়ে পরলো।
চলবে..
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ