গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -20
.
-উপমা..উঠে পরো...সকাল হয়ে এসেছে।
উপমা চোখ বুঝেই একটু নড়ে অন্যপাশে
ফিরে গেল।মেয়েটার ঘুম ভাঙানো যে
বড়ই কঠিন।আঠালো হয়ে লেগে থাকে ওর
দুটি চোখের পাতা।প্রবন্ধ এইবার উপমার
মাথায় হাত বুলিয়ে ডাকতে লাগলো-
-উপমা...আমার ঘুমের রাণী,..তুমি শুনতে
পাচ্ছ?
উপমা এইবারও একটু নড়লো।এপাশ ফিরেই
প্রবন্ধ গলায় হাত জড়িয়ে আবারও ঘুমের
নেশায় চলে গেল।সকালবেলার ঘুমটা খুব
দুষ্ট।চোখ থেকে সড়তেই চায় না।
ওকে গানের সুরে জাগিয়ে তুললে কেমন
হয়!!প্রবন্ধ উপমার গালে হাত বুলিয়ে আদর
করতে করতে গান গাইতে লাগলো-
"আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে..
সাত সাগর আর তেরো নদীর পারে.......
ময়ুরপঙ্খী ভিড়িয়ে দিয়ে সাথে দেখে
এলেম তারে...সাত সাগরের
পাড়ে...আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা
থাকে।
সে এক রুপকথার-ই দেশ..ফাগুন যেথা হয় না
কভু শেষ....তারার এই ফুল পাপড়ি ঝড়ায়
সেথায় পথের ধারে..দেখে এলেম
তারে..সাত সাগরের পাড়ে, আমার
স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে..."
উপমা চোখ বুঝেই একটু মিষ্টি করে
হাসলো।প্রবন্ধ এইবার গান থামিয়ে বলল-
-আরেকটা গান গাইবো উপমা?
উপমা চোখ বুঝেই মাথা নাড়ালো।সে
গান শুনতে চায়।
-ঠিকাছে।আমি আরেকটা গান গাইছি।
"আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন...
কপালের কালো টিপ পরবে চোখে...
ফুটবে যখন ফুল বকুল শাখে..ভ্রমর যে
এসেছিল জানবে লোকে..."
উপমা আবারও মিটি মিটি হেসে গেল।
ঘুমটা বোধ হয় আরেকটু পাতলা হয়ে
এসেছে।প্রবন্ধ বলল-
-এই তো ঘুম ভাঙলো তোমার!লক্ষী
মেয়ের মতো উঠে পরো।
উপমা উঠলো না প্রবন্ধর কাধে মাথা
ঘষতে লাগলো।চোখ জোড়া আবারও ঘুমে
আঁকড়ে আসছে ওর।
প্রবন্ধ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে
করতে বলল-
-এইবার তো চোখ খুলো।তোমাকে পড়তে
যেতে হবে।আলসেমি কে ঝেড়ে
ফেলো উপমা।
প্রবন্ধ এইবার উপমার দুই হাত ধরে ওকে
উঠিয়ে বসাতে চাইলো।উপমা
হেলেধুলে উঠলো।চোখ ঘষতে ঘষতে
হাই তুলল।আর চোখ বন্ধ করে বসে রইলো।
প্রবন্ধ উঠে গিয়ে উপমার স্কুল ড্রেস বের
করলো,সাথে বইগুলোও টেবিলে গুছিয়ে
নিলো।আর বলল-
-উঠে পরো উপমা..Quick..
উপমা এইবার উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো।
আর প্রবন্ধ ততোক্ষণে রেডি হয়ে নিলো।
মেয়েটাকে স্কুলে ছেড়ে এসে কাজে
যেতে হবে।
.
কিছুক্ষন পর ওয়াশরুম থেকে বের হলো
উপমা।প্রবন্ধ রুমে নেই।ইস্ত্রি করা স্কুল
ড্রেসটা খাটের উপর-ই পরে আছে।এই
ড্রেসটা পরে রুম থেকে বের হলে
নিশ্চয়ই সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে
থাকবে।উপমা তাই স্কুল ড্রেসটা আর
ধরলো না বরং আলমারি থেকে নতুন একটি
শাড়ি বের করে নিলো সে।
.
প্রবন্ধ গেল্ল মায়ের কাছে।চম্পা না
থাকায় সব কাজ ছন্দা দেখে রাখছে।আর
মাও আছেন রান্নাঘরে।
প্রবন্ধ ডাইনিং টেবিলে বসে মা কে
ডাকতে লাগলো-
-আম্মা....এইখানে এসো।
ছেলের ডাক শুনে মা এলেন।তবে সেও
জানে প্রবন্ধ তাকে উপমার ব্যাপারেই
কিছু বলতে চায় কারন দুই দিন যাবৎ
উপমাকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য উঠে
পরে লেগেছে ছেলেটা।
-কি হয়েছে!ডাকছিস কেন?
-চেয়ারে বসো।একটু কথা বলবো।
তিনি চেয়ারে বসলেন।প্রবন্ধ বলল-
-আম্মা..আজ উপমাকে স্কুল নিয়ে যাচ্ছি।
ওর ভর্তি কনফার্ম হয়ে গেছে, বই,ড্রেস সব
কিছুর ব্যবস্থাও করেছি।ডেকে তুলেছি
ওকে।উপমা আসছে।
মা কিছুটা বিরক্ত বোধ করে বললেন-
-চম্পা বাসায় নেই,বাড়িতে কাজের
মানুষও নেই।আর ঘরের বউ থাকবে স্কুলে!!
-আমি বুঝতে পারছি আম্মা। আমি একজন
কাজের লোকেরও ব্যবস্থা করছি কিন্তু
আজ ওর ক্লাসের প্রথম দিন।তাই সকাল
সকাল ওকে ডেকে উঠাতে হলো।তুমি
পারমিশন দিচ্ছ তো! আম্মা..?
মরিয়ুম অন্য দিকে তাকিয়ে মাথা
নাড়ালেন।তার এই চুপচাপ ভাষায় জবাব
দেওয়াটাও প্রবন্ধ বুঝেছে।কিছুটা মন
খারাপও হলো প্রবন্ধর।আম্মা অসন্তুষ্ট
হচ্ছেন।কিন্তু আম্মা কে যদি বিষয়টা
ঘাঁটিয়ে বুঝানো যেতো!
আম্মা হয়তো নিশ্চয়ই ভাবছে ছেলেটা বউ
পাগল হয়ে গেছে।মর্ডান মেয়ে না এনে
গ্রামের একটা বাচ্চা মেয়েকেই তার
ছেলের জন্য পছন্দ করেছিলেন।গুনে,ম
ানে সব দিক দিয়ে একটা মর্ডান মেয়ে
থেকে হবে সর্বেসর্বা কিন্তু এই
মেয়েটাও তো তার ছেলেকে বশ
মানিয়ে রাখলো।এতো যাচাই বাছাই
করে এনেও এই হাল!!
তবে প্রবন্ধ ভাবছিল অন্য কিছু।মা তার শুধু
একদিক দিয়েই ভেবে যাচ্ছেন।আম্মাকে
যদি বলা যেত "আম্মা.. তোমার ধারণাটা
কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি বউ
বাছাইয়ে মোটেও ভুল করো নি।এই বউ
বাছাইয়ে তোমাকে এওয়ার্ড দেওয়া
উচিৎ ছিল।তুমি একবারও দেখছো
না..বিয়ের পর এই মেয়েটার সংগ পেয়ে
তোমার অসভ্য ছেলেটা কতো সুসভ্য
হয়েছে।তোমার আগোছালো ছেলেটা
নিজের প্রতি খেয়াল রাখাসহ
আরেকজনের প্রতিও খেয়াল রাখতে
শিখে গেছে।তোমার তো আম্মা খুশি
হওয়া উচিৎ।তুমি একতরফা নয়,আমার দিকটা
নিয়ে দুতরফাভাবে চিন্তা করেই দেখো।
দেখবে তোমার নিজেকে নিয়ে
নিজের গর্ব হবে। তুমি কতো কষ্ট
করেছিলে,দিনরাত এক করে দিয়েছো
একটা সংসারী,লক্ষী মেয়ে আমার বউ
করে ঘরে আনতে।কিন্তু আমি তো পেয়ে
গেলাম আম্মা।পেয়েছি একটা পুতুল
কন্যাকে।কিন্তু তুমি এইটা ভেবো না
আম্মা যে বউ পেয়ে তোমার এই ছেলে
বিঘরে গেছে।তোমার ছেলে তোমার-
ই আছে,ছিল এবং থাকবে।"
কিন্তু মনের কথা মনেই পুষে রাখতে
হলো।আম্মাকে আর বলাও হয়ে উঠলো না
প্রবন্ধর।
উপমা এতোক্ষনে তৈরি হয়ে নিয়েছে
কি না কে জানে..প্রবন্ধ উঠে রুমের
দিকে গেল।
উপমা শাড়ি পরে বসে আছে।প্রবন্ধ ওকে
শাড়ি পরে বসে থাকতে দেখেই বলতে
লাগলো-
-তুমি এখনো রেডি হও নি কেন উপমা?
উপমা বলল-
-আমি শাড়ি পইরাই যামু।
-শাড়ি পরে কেন স্কুল যাবে?স্কুলে তুমি
বাকি সবার মতোই স্টুডেন্ট থাকবে।
ওইখানে কি কেউ শাড়ি পরে যায়?বলো..!
-স্কুল জামা পরলে আম্মা,ছন্দা আপু কি
ভাববো!
-কেউ কিছু ভাববে না।আম্মা কে বলে
এসেছি যে তোমাকে নিয়ে স্কুল যাচ্ছি।
আম্মা পারমিশন দিয়েছেন।তুমি রেডি
হয়ে নিলেই আমরা রওনা হয়ে যাবো।
উপমা একবার ড্রেসের দিকে তাকালো
আরেকবার তাকালো প্রবন্ধর দিকে।প্রবন্ধ
ওর এই চাহনি দেখে বলল-
-কি হলো?
প্রবন্ধ বিছানা থেকে ড্রেসটা হাতে
নিয়ে উপমার পাশে বসলো আর বলল-
-আমি তো আছি তোমার সাথে।আমি
বলছি,কেউ কিছু মনে করবে না,কিছু
বলবেও না তোমাকে।তোমাকে কিছু
বললে আমিও কি কষ্ট পাবো না!!আমি কথা
বলে এসেছি আম্মার সাথে।আম্মা রাজি
হয়েছেন।
প্রবন্ধ ড্রেসটা উপমার দিকে দিয়ে বলল-
-এই নেও।এইবার শাড়িটা চেঞ্জ করে
ড্রেসটা পরে এসো।
উপমা দিধাদন্দ নিয়েই ড্রেস হাতে নিয়ে
ওয়াশরুমে গেল চেঞ্জ করে আসতে।
এইবার সব কিছু ঠিকঠাক মনে হতে লাগলো
প্রবন্ধর তবে মেয়েটাকে একটা
সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়!প্রবন্ধ একটি
পৃষ্ঠা আর কলম নিয়ে বসলো আর একটি
চিরকুট লেখা শুরু করলো।উপমা ওয়াশরুম
থেকে বের না হয়ে আসা পর্যন্ত চিঠিটা
লিখেই গেল প্রবন্ধ।প্রায় মিনিট খানেক
পর উপমা ড্রেস পরে এলো।উপমা বের
হওয়ার সাথে সাথেই প্রবন্ধ চিঠিটা ভাজ
করে উপমার ব্যাগের ভেতর রেখে
দিলো।স্কুল গিয়ে যখন একবার ব্যাগ খুলতে
যাবে চিঠিটা তখন নিশ্চয়ই ওর চোখে ধরা
দিবে আর ক্লাস শেষে চিঠি পড়ে নিলে
মনের ভয়টা হয়তো কেটে যাবে উপমার।
উপমা ড্রেস পরে এসেছে।স্কার্ফটা
মাথায় পরে নিয়েছে।মাথা ঝুকে সামনে
হেটে এলো।প্রবন্ধ বলল-
-তুমি এখন রেডি তো!
উপমা মাথা নাড়ালো।সে রেডি।কিন্তু
মনে একটা ভয় ওকে কামড়ে যাচ্ছে।ওর
মুখেই সেই হতাশার ছাপটা স্পষ্ট বোঝা
যাচ্ছে।প্রবন্ধ ওকে খটে বসিয়ে বলল-
-শোন উপমা..তোমার পরিচর এখন স্টুডেন্ট।
ঘরে বউ আর স্কুলে বাকি সবার মতোই
স্টুডেন্ট।তুমি এক্সট্রা ক্লাস নিয়ে চিন্তা
করো না।আমি-ই তোমাকে বাসায়
পড়াবো।নতুন স্কুলে সব মানুষগুলোই
তোমার কাছে নতুন লাগবে।কিন্তু এদের
সাথেই তোমাকে মিশতে হবে,কথা
বলতে হবে।তোমার ফ্রেন্ডও জুটে যাবে
তখন।ক্লাসে টিচারদের পড়াগুলো
ডায়েরীতে লিখে আনবে।আর টিফিন
প্রিয়ডে খাবার খেয়ে নিতে ভুলে যেও
না।ক্লাস শেষে আমি-ই তোমায় নিতে
আসবো।বুঝেছো!
উপমা প্রবন্ধর দিকে তাকালো।প্রবন্ধর কথা
শেষ হওয়া মাত্রই প্রবন্ধকে জড়িয়ে
ধরলো।প্রবন্ধ ওর গায়ে হাত বুলাতে
বুলাতে বলল-
-এখন আমাদের যেতে হবে উপমা নয়তো
লেট হয়ে যাবে।
.
প্রবন্ধ আর উপমা মায়ের কাছে গেল।উপমা
পা ছুঁয়ে তাকে সালাম করে নিলো।
তানহা-মানহাও রেডি হয়ে নিয়েছে।
ওরাও যাবে স্কুলে।
প্রবন্ধ, উপমা সাথে তানহা,মানহাও
একসাথে রওনা হলো।ভাবি হয়ে স্কুল
ড্রেস পরে ওদের সাথে স্কুল যাওয়াটা
তানহা,মানহার কাছে হাস্যকর লাগলো।
তবে ওরা বুঝতে দিলো না।নিজেরা
নিজেরাই উপমাকে নিয়ে মন্তব্য করে
হেসে গেল।
ওরা হাটতে হাটতে স্কুল গেটের সামনে
পৌছে গেল।বাড়ির সামনে যেই গার্লস
স্কুলটায় প্রতিদিন ঘন্টার আওয়াজ পাওয়া
যেত ওই স্কুলটাতেই চলে আসলো সবাই।
তানহা-মানহা উপমাকে ফেলেই ওদের
মতো করে গেটের ভেতর ঢুকে পরলো।
কিন্তু উপমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল।
স্কুল আর স্কুলের অচেনা মানুষগুলো সবাই
নতুনত্ব।উপমা গেটের সামনে গিয়েই
থমকে দাঁড়িয়ে গেল। পেছনে তাকিয়ে
প্রবন্ধকে দেখলো একবার।প্রবন্ধর দিকে
তাকানোর সাথে সাথে প্রবন্ধও
হাসিমুখে ওকে ভেতরে যাওয়ার জন্য
চোখে ইশারা করে বুঝালো। উপমার
যেতে ইচ্ছে করছিল না।প্রবন্ধর দিকে
কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিয়ে মনমরা হয়ে
গেটের ভেতর ঢুকে পরলো সে।
গেটের সামনে দারোয়ান দাঁড়িয়ে
আছে।তাকে বললে হয়তো তিনি ক্লাস
রুমটা দেখিয়ে দিবেন। উপমা বলল-
-দাদা..নাইনের ক্লাশটা কই?
তিনি হাতে রাখা একটি চার্টের দিকে
তাকিয়ে বললেন-
-২০১ নাম্বার রুম
-ওইটা কই?
-সামনের বিল্ডিংয়ের দুই তালায়।
-কোন দিক দিয়া যাইতে হয়?একটু দেখাইয়া
দিবেন?
-নতুন আসছো?
-জী।
-আসো আমার সাথে।
উপমা দারোয়ানের পিছু পিছু গেল।ক্লাস
রুমটাও দেখিয়ে দেওয়া হলো ওকে।
সাত নাম্বার বেঞ্জটা ফাকা।উপমা ওই
খালি বেঞ্জটায় গিয়েই বসলো।একাকী
বসে রইলো।ক্লাস শুরু হতে আরও পনেরো
মিনিট বাকি।পানি পিপাসা পাচ্ছে ওর।
উপমা ব্যাগ খুলে পানির বোতল বের করে
নিতেই ওই চিঠির কাগজটা চোখে পরলো
ওর।উপমা কাগজটা হাতে নিলো।পানির
বোতল থেকে দুই ঢোক পানি গিলে
নিয়ে ভাজ করা কাগজটা খুলল।ভাজ খুলা
মাত্রই ওর ফ্যাকাশে হয়ে থাকা চেহারা
আনন্দে জ্বলজ্বল করে উঠলো।এইবার
চিঠিটা প্রথম থেকে পড়া ধরলো সে।
"হে আমার মনের রানী পুতুল কন্যা,চিঠিটা
দেখলেই তোমার মুখে হাসি চলে আসবে
তা আমি জানতাম।আর তা-ই তোমার
অগোচরেই একটি চিঠি লিখে তোমার
ব্যাগে রেখে দিয়েছিলাম।তোমার
নিরবতায় মাঝে মাঝে আতকে উঠি আমি।
ক্লাসের কথা শুনে যে তুমি চমকে যাবে
তা আমার জানা ছিল না।খুশি হওয়ার
চেয়ে বেশী ভয়-ই ভেসে উঠেছিল
তোমার ওই মিষ্টি মুখে।কি করবো
বলো..তোমাকে যে
ভালোবাসি,তোমার কষ্টও আমার সয় না
আবার তোমার নিরবতাও না।আমি তো
তোমার ভালো-ই চাই,তোমার মুখের এক
ফোটা হাসি-ই আমার মন ভরে দিতে
যথেষ্ট।তুমি কিন্তু মন খারাপ করে
ক্লাসের কোনে চুপচাপ বসে থেকো না।
সবার সাথে মিশবে,কথা
বলবে,হাসবে,মজা করবে।দেখবে এই স্কুল
লাইফটাই জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক্লাসে টিচার আসলে ঘাবড়ে যেও না
কিন্তু।বই বের করে মনোযোগ দিয়ে
ক্লাসের পড়াগুলো ডায়েরীতে তুলে
এনো।তোমায় প্রচণ্ড ভালোবাসি পুতুল
কন্যা।তোমার জন্য আমার দুষ্ট মনটাও যে
তোমার কাছে চলে যেতে চাইবে।মন
প্রাণ সব এক করে তোমাকে দিলাম।তুমি
যত্নে রেখে দেও।বাড়ি ফিরে এলে
আমানতটুকু ভালোবাসায় জড়িয়ে ফিরিয়ে
দিও।মনে রাখবে,আমি তোমার কাছেই
আছি।হয়তো বা অদৃশ্য হয়ে আমার মন
তোমার কাছে ছুটে গিয়ে তোমাকে
লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে।আমি তোমার
প্রেরণা আর তুমি আমার শক্তি।তোমাকে
কাছে না পেলে এই মনটা যে আমারও
দুর্বল হয়ে পরে রইবে।তুমি মনোযোগ
দিয়ে ক্লাস করো।ছুটি শেষে আমি-ই
তোমায় নিতে আসবো।তুমি অপেক্ষায়
থেকো।আর আমার আসতে দেরী হলে
তানহা,মানহার সাথে চলে এসো।কেমন!!
আমার লক্ষিটি..তুমি কিন্তু মুখ লাল করে
থেকো না।একটু মিষ্টি হাসো।তোমার
কাছে এসে থাকা আমার অদৃশ্য মন তোমার
এই হাসি মুখ দেখার জন্য আকুল হয়ে আছে।
একটু মিষ্টি করে হেসে দেও পুতুলকন্যা।
প্লিজজজজ..."
উপমা হাসলো।আর ক্লাসের মাঝে
চিঠিটার কথা মনে পরতেই মিষ্টি করে
হেসে গেল।
চলবে...
#পলক_হোসেন
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
682{20}
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§¨ā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ