āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§§ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

684

আয়না পিশাচ
.
অনেক রাত, বাহিরে ঝুমঝুমিয়ে বৃষ্টি
নেমেছে। সাথে ঝড়ো বাতাস। আজকের মত
রবিনের সাথে কথা বলে ফোনটা রাখলো
তুলি।তুলির মুখটা খুশী মাখা আর চোখে শত
স্বপ্নের ঝিলিক।কয়েকমাস আগেও রবিন শুধু
বন্ধুই ছিলো। আর এখন..???
ভেবেই তুলি মুচকি হাসলো। স্বাভাবিক ভাবে
হয়তোবা রবিন সারাজীবন শুধু বন্ধুই থেকে
যেতো।
কিন্তু রবিন সায়মা নামের যে মেয়েটিকে
ভালবাসতো সে মেয়েটি ভয়ংকর এক রোড
এক্সিডেন্টে অসময়ে হারিয়ে গেলো।
সায়মার মৃত্যুতে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরা
রবিনের পাশে থাকতে থাকতেই কখন যে
তারা দুইজন দুইজনার সাথে জড়িয়ে গেছে
তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারে নি। তুলি
ভাবে ও তো আর কারো কাছ থেকে রবিনকে
অন্যায় ভাবে কেড়ে নেয় নি।বরং সায়মার
মৃত্যুতে ভেঙ্গে পরা রবিনকে অনেক
স্বাভাবিক করে তুলেছে। জানলা দিয়ে
আসা বৃষ্টির ফোঁটার কারনে ভাবনায় ছেদ
পরে তুলির।
--ঈশ! জানলার সামনের বেডশীট টুকো
একেবারেই ভিজে গেছে বৃষ্টির পানিতে।
তাড়াতাড়ি জানলা বন্ধ করতে ওঠে তুলি।
তুলিদের বাসাটা কিছুটা পুরানো আমলের।
কাঠের পাল্লার জানালা।জানালার গ্রিল
দিয়ে হাত ঢুকিয়ে পাল্লা ধরে টান দিলো
তুলি।
আসছে না তো! হয়তোবা ঝড়ো বাতাস বাধা
দিচ্ছে।
একি! কিছুতেই তো আসছে না। যেন বাহির
থেকে কেউ একজন জানলার কাঠের
পাল্লাটা টেনে ধরে আছে।ভয় পেয়ে
শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে
জানলাটা বন্ধ করার চেষ্টা করলো সে।কিন্তু
হঠাৎই বাম হাতের কব্জিতে
খুব ঠান্ডা কিছুর স্পর্শে অস্ফুট শব্দ করে সে
দ্রুত হাতটা সরিয়ে নিলো।
কি ভীষন ঠান্ডা স্পর্শ! কে যেন তার হাতের
মাঝে এক খন্ড ঠান্ডা বরফ চেপে ধরেছিলো।
জানলার কাছ থেকে ছিটকে সরে আসতেই
কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেলো তুলি।
পেছনে ঘুরে দারালো সে। আবছা আলো
ছায়ায় যা দেখলো যে কারোরই শরীর হীম
হয়ে যেতে পারে।ওর মতোই অগোছালো
ভাবে বসে আছে আরেকটা তুলি! একই রকম
দেখতে, একই চুল, একই চোখ ঠোঁট। যেন
আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি কে দেখছে সে।
চিৎকার করতে চেয়েও সে চিৎকার করতে
পারছিলো না। গলা দিয়ে শুধু মাত্র গোঁ গোঁ
আওয়াজ বের হচ্ছিলো।
সে দেখলো সামনে বসা মেয়েটির চেহারার
ভাব ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে।রুপটা
ভয়ংকর থেকে আরো ভয়ংকর হচ্ছে।সমস্ত মুখ
রক্ত মাখা,বাতাসে কি পঁচা গন্ধ। দূরগন্ধময়
রক্তমাখা হাতদুটো যেনো ওর গলার দিকেই
এগিয়ে আসছে।
আর সহ্য করতে পারলো না তুলি।
সংগা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো সে।
পরদিন সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গলো বলা যায়
সংঙ্গা ফিরলো দড়মড়িয়ে ওঠে বসে
চারদিকে তাকালো সে।
না! সবকিছু তো স্বাভাবিক লাগছে।
কোন বাজে গন্ধ বা রক্ত কিছুই নেই।
এমনকি জানালাটও বন্ধ। ছুটে গিয়ে বাসার
সবাইকে ঘটনাটা বলতেই সবাই হাসাহাসি শুরু
করে দিলো।
ছোট ভাইটাতো বলেই ফেল্ল
--- এতো রাত জাগলে তো দূঃস্বপ্ন দেখবাই।
ঠিকই দূঃস্বপ্নই হয়তোবা, তাই যেন হয়। আচ্ছা
রবিনকে বলবে নাকি??
এটা ভেবেই আবার চিন্তাটা মাথা থেকে দূর
করে দিলো।কি লাভ একটা দূঃস্বপ্ন কে
নিয়ে সবাইকে টেনশনে রাখা।
বেশ কিছুদিন পর...
সবকিছু স্বাভাবিকই চলছিলো।তুলি তার সেই
দূঃস্বপ্নের কথা প্রায় ভূলেই গেছে। কিন্তু
হঠাৎই একদিন বিপর্যয় ঘটে গেলো।
নিঝুম দুপুর, নিজ রুমে বসে রবিনকে টেক্সট
করছিলো তুলি।
বাসার সবাই গেছে একটা বিয়ের দাওয়াতে।
ইচ্ছে করেই যায়নি ও।
ছোট ভাইটাও বাসাতেই আছে। অবশ্য
পরীক্ষা দিয়ে এসে ঘুমিয়েছে একটু।
মোবাইলের স্ক্রিনের দিকেই তাকিয়ে
ছিলো সে। চোখের কোনে কিছু একটা দেখে
সতর্ক হয়ে ওঠলো সে। কেউ যেন খুব দ্রুত ওর
জানলার সামনে দিয়ে হেঁটে গেলো।
অবাক ব্যাপার! ওর জানালা তো রাস্তার
দিকে না। এই ভরদুপুরে ঐ দিকদিয়ে কে
যাবে??
সাথে সাথে আরো একটা কথা মনে হতেই
ভয়ে চোখ মুখ সাদা হয়ে গেলো তুলির। ওদের
বাসা তো দুই তলায়।কেউ যদি জানলার
সামনে দিয়ে হেঁটে যায় তবুও তো নিচে না
তাকালে তাকে দেখাই যাবে না।
শীড়দাড় বেয়ে ঠান্ডা একটা ভয়ের অনুভূতি
নেমে যায়। ভয় পেলে নাকি মানুষ দৌড়াতে
পারে না। কৈ তুলি তো পারছে। দৌড়ে গিয়ে
কিচেন থেকে কিচেন নাইফটা তুলে নিয়ে,
দুই হাতে শক্ত করে চেপে ধরে ঘরে ফিরলো
তুলি।জানলায় সতর্ক দৃষ্টি।পাশের ঘরে থাকা
ছোট ভাইটাকে ডাকার কথা একবারও মনে
পড়লো না তুলির।
ঐ তো আবার! আবার কেউ একজন জানালার
পাশ দিয়ে যাচ্ছে। এবার তুলি স্পষ্ট দেখতে
পেলো। তারই সমবয়সী একটা মেয়ে। হাতের
ছুড়িটা মেয়েটার দিকে মারতে গিয়ে থমকে
ধারালো সে।
একেবারেই স্থির হয়ে গেলো। কারন কিছু
দিন আগে ঝড়ের রাতে তার সামনে এসে
হাজির হওয়া তার নিজের প্রতিবিম্বটা এ
মূহর্তে আবারও তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছ।
একই রকম দাঁড়ানোর ভঙ্গি, একই রকমের চুল,
ঠোঁট,জামা। তুলির সামনে মনে হয় তার
আয়নার প্রতিবিম্ব ধারিয়ে আছে। কিন্তু
তার সামনে তো কোন আয়না নেই। এইতো
মেয়েটার চেহায়ার আবারো সেই রাতের
মতো পরিবর্তন হচ্ছে।
সেদিন রাতের মতো রক্তমাখা মুখ, ভয়ংকর
থেকে আরো ভয়ংকর হচ্ছে। দূরগন্ধ চারদিকে
ছড়িয়ে পড়ছে। সেদিনের মতো মেয়েটার
কঙ্কালসার, রক্তাক্ত হাত দুটো তুলির দিকে
এগিয়ে আসছে। তুলি খুব ভাল ভাবেই বুঝতে
পারলো ও খুব খারাপ কোন শক্তি বা আত্নার
পাল্লায় পড়েছে।যা এখন ওকে ভয় দেখিয়ে
ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু এবার সে ভয় পাবে না। আত্না বা যাই
হোক সেও এটাকে ছেড়ে দেবে না।
আড়চোখে দেখে নিলো হাতে ধরা
চাকুটাকে। আর একটু কাছে আসতেই তুলি তার
হাতে ধরে থাকা চাকুটা বসিয়ে দিলো তার
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবিম্বটার বুক
বরাবর।ঐ তো পিশাচ মেয়েটার শরীর থেকে
রক্ত পড়ছে। দুই হাত দিয়ে বুক চেপে
গোঙ্গিয়ে ওঠলো না মেয়েটা।
এবার শরীর দুলিয়ে হেঁসে ওঠলো তুলি। ওর
চোখে ততক্ষনে আয়নার মেয়েটাকে খুনের
নেশা। রক্তরাঙা ছুড়িটাকে চেপে ধরে
নিজের বুকে পেটে।নিজের সমস্ত শরীরে
আঘাত করতে করতে দেখলো আয়নার মেয়েটা
কেমন ব্যাথায় কুকঁড়ে ওঠছে। তিল ক্রোধে
চিৎকার করতে করতে নিজের মুখ, সমস্ত শরীর
ছিন্ন বিছিন্ন করে ফেল্ল।
হমম.. এবার হয়েছে। এবার হাসি থেমেছে।
ঘরের মাঝে রক্তে ভেসে গেছে তুলির সে
দিকে সামান্য ভ্রুক্ষেপও নেই। শরীর সমস্ত
শক্তি শেষ করে মৃতপ্রায় নিথর হয়ে লুটিয়ে
পড়তে পড়তে তুলি শুনতে পেলো আয়নার
মেয়েটা কথা বলছে।
--- আমার রবিন শুধু আমার,রবিন আমাকে কথা
দিয়েছে, জীবনে মরনে সে শুধু আমারই হয়ে
থাকবে।
আমার আর রবিনের মাঝে যেই আসবে তার
পরিনিতি এমনই হবে।
শরীরের সব শক্তি একত্র করে তুলি কিছু
একটা বলতে চাইছিলো। কিন্তু
আয়নার পিশাচটি তার শেষ আঘাত আনলো।
তুলি আর তার কথা শেষ করতে পারলো না।
সায়মার আত্না রুপি আয়নার পিশাচটা
সবশেষে তুলির শরীরটা দখল করে আবারও
জীবিত জগতে ফিরে আসলো।
(সমাপ্ত

COLLECTED

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ