āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{5}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -5
.
চার-পাঁচ দিনের মতো হয়েছে মেয়েটি এই বাড়িতে বউ হয়ে এসেছে।কিন্তু তবুও নিজের বাড়ির সবার সাথে একটিবার কথা বলে নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে নি সে একবারও।ওর কি নিজ গ্রামের বাড়ির কথা একটি বারের জন্য মনে হয় নি নাকি মনে পরেছিল ঠিকই কিন্তু লজ্জায় কাউ কে বলে নি! এই কয়দিনে উপমার সম্পর্কে কিছু অংশ হলেও প্রবন্ধ জেনেছে, চিনেছে।
রাতে মেয়েটি হয়তো একটা বাজে স্বপ্ন দেখেছিল দুই তিন বার 'মা' 'ওমা' বলে চিৎকার করে উঠেছে।এক দিন মেয়েটিকে নিয়ে ওর গ্রামের বাড়িতে ঘুরে আসলে হয়তো মেয়েটি তৃপ্তি পাবে।এই বাড়িটাকে ওর কাছে জেলখানা মনে হবারই কথা।কারো সাথে মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না,মুখে হাসিও দেয় না,মুখে কোনো প্রশ্নও করে না।আর যদি ওকে প্রশ্ন করা হয় তবে শুধু উত্তর ছাড়া বাড়তি কোনো কথা ওকে বলতে শোনা যায় না।
উপমা ওর সুই সুতো দিয়ে অর্ধেক নকশা করা কাপড়টা নিয়ে বাকি অর্ধেকটা সেলাই করতে বসেছে।খুব মনোযোগ দিয়ে সেলাই করে যাচ্ছে।প্রবন্ধ মোবাইল চোখের সামনে নিয়েও মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে উপমার দিকে তাকিয়ে আছে।মোবাইল দেখার ওজুহাতে সে লুকিয়ে লুকিয়ে উপমার দিকে তাকায়।উপমা ঘোমটা মাথায় দিয়ে বসে বসে সেলাই করে যাচ্ছিল।এরই মাঝে ঘোমটা টা যে কখন ওর মাথা থেকে পড়ে গেল।খেয়াল করে নি।খেয়াল করলে হয়তো মাথায় আবার ঘোমটা টেনে বসতো।ঘোমটাপরা এক সৌন্দর্য আর ঘোমটা ছাড়া আরেক সৌন্দর্য। প্রবন্ধ মেয়েটির দিকেই তাকিয়ে আছে।চোখে কাজল ঘষতে বলাতে মেয়েটি চোখে এখন কাজল লেপ্টে রাখে।নাকে ছোট এক পাথরের নাকফুল চকচক করছে।সেলাই করার সময় যখন সুই দিয়ে সুতো উপরের দিকে টানে তখন হাতে গোল্ডপ্লেটের চুড়িগুলোর ছনছন আওয়াজ হয়।আবার প্রয়োজন মতো যখন বাড়তি সুতো কেটে ফেলতে হয় মেয়েটি তখন তার ধারালো দাঁত দিয়ে সুতো কেটে ফেলে।
ঘন চুলে শক্ত করে বাধা খোপাটাও খুলে গেল।আর একগুচ্ছ ঘন চুল এসে ওর পিঠ বরাবর  ছড়িয়ে পরে।কি রহস্য আছে এই রুপের!হাতে এখনো মেহেদীর গাড়ো রঙ লেগে আছে।হাতগুলোর স্পর্শ এখনও পাওয়া যায় নি।তবে বড় ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটার কোমল মনও এখনও উদ্ধার করা হয় নি প্রবন্ধের।এই পর্যন্ত প্রবন্ধর দিকে ঠিকভাবে মেয়েটি একবারও তাকিয়ে দেখেছিল নাকি তাও সন্দেহ।
.
আম্মা ডাকা মাত্রই উপমা উঠে দাঁড়িয়ে গেল।মাথা থেকে পরে যাওয়া ঘোমটা টা আবারো মাথায় টেনে নিয়ে ছুটে গেল শ্বাশুড়ির কথা শুনতে।
-বউ..একটা দরকারে ডেকেছি তোমাকে। বেশ কিছু আত্মীয় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবে।তোমার জন্যই আসবে।তোমাকে বাড়িতে এসে দেখিতে চায়।আমার প্রবন্ধর বউকে তো আর আমি এমনি এমনি দেখাবো না!তুমি ভালোভাবে তৈরি থেকো।
রান্নার প্রস্তুতিও চলছে তবে উপমাও কারো কিছু বলা ছাড়াই নিজ ইচ্ছেতে রান্নাঘরে গেল।সবার কাজেই সাহায্য করলো।
প্রবন্ধর ছোট বোন দুটো ডানপিটে। রান্নাঘরে এসে একটু পর পর এক এক খাবারের স্বাদ নিয়ে যায়।ওদেরকে দেখলে বান্ধুবীর মতোই কথা বলতে ইচ্ছে হয় উপমার।কিন্তু বলতে গিয়েও আর পারে না।ছন্দা যখন দুলিকে কোলে নিয়ে রান্নাঘরে আসে দুলির খাবার বানাতে তখন উপমার ইচ্ছে জাগে দুলিকে কোলে তুলে আদর করে নিতে।কিন্তু তাতেও মন থেকে এমন যেন একটা অদ্ভুত ভাব চলে আসে।
.
বেশ কিছু আত্মীয় এলো।প্রবন্ধদের খুব কাছের আত্মীয়।উপমা একটি বেনারসি শাড়ি পরে নিলো।শাড়িটা বিয়েতেই কেউ একজনের দেওয়া উপহার ছিল।
.
মেহমান আসলো কিন্তু উপমা কোথায়! যে এতোক্ষন সেজে গুঁজে বসে রয়েছিল।ওকে দেখতেই তো সবাই এইখানে এসেছে।প্রবন্ধ হঠাৎ খেয়াল করলো উপমা কোথাও নেই।ওর অপেক্ষা করে আছে সবাই।কথাটা ছন্দা এসেই প্রথম বলেছে প্রবন্ধ কে-
-কি রে তোর বউ কোথায় গেল?
-এতোক্ষন এইখানেই তো ছিল।এখন আবার কোথায় যাবে!
-আমি ভেবেছিলাম তোর রুমে আছে কিন্তু এইখানেও নেই।
-নেই মানে!কোথায় যাবে সে।
কি আশ্চর্য।কোথায় যাবে? এরপর প্রবন্ধ উঠে গিয়ে খোজা শুরু করতে লাগলো উপমাকে।
মেহমান সবাই বসে আছে নববধূ কে দেখার জন্য আর সে উধাও।
ছন্দাও খুঁজতে লাগলো।
প্রবন্ধ বড় বাড়িটায় খুঁজতে খুঁজতে ছাদের উপরে যেয়ে অবশেষে খুঁজে পেল উপমাকে।উপমা ছাদের মেঝেতে বসে আছে।
প্রবন্ধ ওকে দেখে অবাক হয়ে বলল-
-এইখানে কি করছো তুমি!আর তোমাকে আমরা খুঁজছিলাম।
উপমা উঠে গেল।আর বলল-
-কি হইসে?
-আমাকে দেখতে না পেয়ে ফাস্টফুড স্টলে তোমার ওইদিন যেমন ভয় লেগেছিল ততোটা ভয় আজ তুমিও আমাকে পাইয়ে দিলে।এইখানে কি করছো তুমি একা!অনেক মেহমান এসেছে তোমাকে দেখার জন্য।
উপমা নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো।অপরাধী যখন তার অপরাধ স্বীকার করলে যেমন ভঙ্গিতে মুখের  অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, উপমাকেও নিচে তাকিয়ে দাঁড়াতে দেখে ঠিক তেমনটাই মনে হচ্ছে।
-কী ব্যাপার! কিছু তো একটা বলো!চুপ হয়ে কেন রইছো?
যেই মেয়েটা বাড়িতে পরিচিত  মেহমান আসলে দরজার চিপায় গিয়ে লুকোতো তাকে আজ এতোগুলো অচেনা মানুষের সাথে দাঁড়িয়ে  নববধূর ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হলো ওর কাছে পরীক্ষায় কঠিন  প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকেও কঠিন কিছু।
উপমা প্রাণহীন বাক্যগুলোকে ধীরে ধীরে বলল-
-আমারে কি যাইতেই হবে!
-হুম। কেন! লজ্জা পাচ্ছ?
মেয়েটি মাথা নাড়ালো।তার আসলেই খুব লজ্জা হচ্ছে।তাই ছাদে এসে আত্মগোপন করেছে।ছোটদের মতোই ওর কর্ম।কখন কোনটা করলে ভালো হবে তা বুঝে উঠতে পারে না।
প্রবন্ধ বলল-
-এসো আমার সাথে।আমি তো আছি-ই।
উপমা যেতে না চাওয়া সত্তেও প্রবন্ধ এই প্রথম  ওর হাত ধরলো।হাতে ধরে ছাদ থেকে নিচে নামালো।মেয়েটি চুপচাপ প্রবন্ধর সাথে এসে পরলো।সবাইকে পা ছুঁয়ে সালাম করে নিলো উপমা।প্রবন্ধ পাশেই ছিল।প্রবন্ধকে দেখা মাত্রই মেয়েটি কিছুটা স্বস্তি পেল।
.
.
কাল মেয়েটিকে ওর গ্রামের বাড়ি ঘুরিয়ে আনলেই ভালো হবে।তাই প্রবন্ধ উপমাকে কথাটা সারপ্রাইজ সরুপ অন্যভাবে বলল -
-এক জায়গায় তোমাকে কাল নিয়ে যাবো।তুমি রেডি থেকো।জায়গা টা তোমারও চেনা আছে।
উপমা কিছু বলল না শুধু শুনেই গেল।একটু একটু বিশ্বাস আর ভরসা রাখতে শিখেছে সে প্রবন্ধর প্রতি।কেন যেন এই আস্থাটা উপমার কিছুটা গভীরতর হয়ে উঠছে ওর প্রতি।
চলবে..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ