āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

655

--দোস্ত, আর কয়দিন এভাবে সিঙেল থাকবি?? এবার তো কাউকে পছন্দ করে এক্সেপ্ট কর...!! (নিলয়)
--কি করবো বল? আমার মনের মতো তো কাউকেই খুজেঁ পাচ্ছিনা...!! (আরশ)
আরশের কথা শুনে ওপাশ থেকে রাতুল নামের আরেক ফ্রেন্ড হেসে হেসে বলে-
--হাহাহাহিহিহি, তোর মনের মতো মেয়ে এখনো পৃথিবীতে জন্ম নেয়নি... তোকে সারাজীবন একাই থাকতে হবে বুঝলি??...!!
রাতুলের কথা শুনে আড্ডা থেকে রাগ করে উঠে চলে যায় আরশ...!!
.
আরশ... নামটা ক্লাসের সব মেয়েদের কাছে ক্রাশ বয় হিসাবে পরিচিত... প্রতিদিন প্রায় অনেক মেয়ে আরশকে প্রপোজ করে,, কিন্তু কাউকে দেখে আরশের মনের ভিতর তেমন কোনো ফিলিংস না আসার কারনে সবাইকে রিজেক্ট করে দেয় সে...!!!
কিন্তু এই প্রথম কোনো মেয়ের উপর ক্রাশ খেলো আরশ... হুম, মেয়েটার নাম নিহা... নিহাকে প্রথমদিন ক্লাসে দেখার সাথে সাথেই তার বুকটা ধুক করে উঠলো... সাদা ড্রেস, হলুদ ওড়না, খুলা চুল, আর ঠোঁটের নিচে ছোট একটা তিল...!! পুরোটা ক্লাস নিহার দিকে তাকিয়ে তাকিয়েই কাটিয়ে দিলো আরশ... কখন ক্লাস শুরু হলো,, কখন শেষ হলো, আরশের তা কিচ্ছু খেয়াল নেই... ক্লাস শেষে তাড়াতাড়ি বন্ধুদের আড্ডার মধ্যে যায় আরশ...!!
--দোস্ত, আমি তোদের কিছু বলতে চাই...!! (আরশ)
--কি বলতে চাস বল..!! (নিলয়)
--দোস্ত আমি ক্রাশ খাইছি...!!
আরশের কথা শুনে সবাই হা করে তাকালো আরশের দিকে... রাতুল তার ২হাতের ২টা আঙুল কানের ভিতর নিয়ে নাড়া দিতে দিতে বললো-
--দোস্ত, আমার কান ইদানিং অনেক প্রবলেম করছে,, কি'সব উল্টা-পাল্টা শব্দ শুনতেছি বুঝতে পারতেছিনা... তুই আবার বল কি বলছিস?...!!!
--আমিইইইই ক্রাশ খাইছিইইইইই...! (জোরে বলে আরশ)..!!
আরশের কথা শুনে সবাই বসা থেকে দাড়িঁয়ে যায়... সবাই আরশের কাছে এসে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে... দোস্ত তুই ক্রাশ খাইছিস?? কোন মেয়ের উপর? কোথায় থাকে? কিসে পড়ে??...!
আরশ কারো কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলে-
--আগামিকাল সকালে ওরে প্রপোজ করবো, তখন সব দেখে নিস ওকে?...!!
আরশ তার বন্ধুদের কাছ থেকে বাসায় চলে যায়,, অপেক্ষা করতে থাকে আগামিকাল সকালের জন্য...!!
.
""পরেরদিন সকালে""
.
এই মুহৃর্তে নিহা রিক্সায় বসে আছে,, উদ্দেশ্য কলেজ...!!
আজকে নিহার মনের অবস্থা খুব খারাপ, সকালে বাসা থেকে বাবার সাথে চরম ঝগড়া করে বের হইছে সে,, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটা বাবা কেনো যে এতো তাড়াহুড়ো করে নিহা সেটা বুঝেনা,, এই প্রথম সে বাবার সাথে খুব খারাপ আচরন করলো...!!
--এই রিক্সা মামা, এতো আস্তে আস্তে রিক্সা চালান কেনো?? রিক্সা চালাতে পারেন না?? রিক্সা চালাতে না পারলে রিক্সা নিয়ে কেনো রাস্তায় আসছেন??
(রিক্সা মামাকে ঝাড়ি দিয়ে কথাটা বললো নিহা)...!
নিহা এরকম-ই... কারো উপর রাগ উঠলে সেই রাগটা সে সবার উপরে ঝাড়ে, যতোক্ষন না তার মাথা ঠান্ডা হয়...!!
.
রিক্সা থেকে নেমে ক্লাসের উদ্দেশ্যে হাটাঁ শুরু করে নিহা... ঠিক তখন-ই আরশ এসে তার সামনে দাড়াঁয়... নিহার ঠোঁটের নিচে তিলটা দেখে আরো একবার নিহার প্রেমে পড়ে যায় আরশ...!
--নিহা, কিছু বলতে চাই তোমায়...!! (আরশ)
--যা বলার তাড়াতাড়ি বলো...!! (নিহা)...!!
--আমার সম্পর্কে হয়তো তুমি অন্য মেয়েদের কাছ থেকে শুনেছো,, আমি এই প্রথম কারো প্রেমে পড়ছি,, আর সেই মেয়েটা তুমিই... এই প্রথম আমি কোনো মেয়েকে কথাটা বলছি, "আই লাভ ইউ"... আমি তোমাকে ভালোবাসি নিহা...!!
আরশের কথ শুনা মাত্রই ঠাসসসস করে আরশের গালে একটা থাপ্পড় মারলো নিহা... পুরো কলেজ এই মুহৃর্তে নিহার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,, একদম নীরব হয়ে গেছে চারপাশ... কি করলো এটা নিহা?? আরশকে থাপ্পড় মারলো??...!!
আরশের চোখটা কিছুক্ষনের জন্য অন্ধকার হয়ে যায়... এই প্রথম কোনো মেয়ে তাকে থাপ্পড় মারলো,, তার এখন কি করা উচিত সে বুঝতে পারছেনা...!!
আরশের ফ্রেন্ডরা দূর থেকে দেখে দৌড়ে আসে আরশের কাছে,, নিলয় নিহাকে মারার জন্য নিহার দিকে যায়,, আরশ নিলয়ের হাত ধরে ফেলে,, মাথা দিয়ে ইশারা করে শান্ত থাকতে... নিহা আরশের দিকে আরো একবার রাগ করে তাকিয়ে চলে যায় ক্লাসের ভিতর... একটু আগে এটা কি হয়ে গেলো সবার সামনে, সবাই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনা... আরশকে কোনো মেয়ে থাপ্পড় মারতে পারে এটা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি...!!
আরশ একবার নিলয় আর রাতুলের দিকে কান্না ভেজা চোখে তাকায়,, তারপর ক্লাস না করেই বাসার উদ্দেশ্যে হাটাঁ শুরু করে দেয়,,, পিছন থেকে নিলয় আর রাতুল চিল্লায়ে বলতে থাকে-
--আরশ শুন,, একটু দাড়া,, শুউউউন আমাদের কথা...!
আরশ ওদের ডাক শুনেও না শুনার বান করে হাত দিয়ে চোখটা মুছতে মুছতে চলে যায়...!!
এই মুহৃর্তে নিলয়ের মেজাজ প্রচন্ড রকমের খারাপ, তার ইচ্ছা করছে নিহার শরীরটা এখন কুড়াল দিয়ে পিছ পিছ করতে... নিলয় তার রাগটা আর আটকাতে না পেরে চলে যায় ক্লাসের ভিতর... ক্লাস থেকে নিহার হাত ধরে নিহাকে নিয়ে আসে ক্লাসের বাইরে...!!
--এইইই ফালতু মেয়ে, তুই নিজেকে কি ভাবছিস?? তোর মতো মেয়েকে আরশ পছন্দ করছে এটাই তো অনেক,, আরে তোর মতো হাজারটা মেয়ে আরশকে প্রপোজ করে প্রতিদিন,, কিন্তু সে একটা মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায়না...!!! (অনেক জোরে জোরে চিল্লাচিল্লি করে কথাগুলো বলে নিলয়)
--আমাকে কিছু বলতে দাও প্লিজ...!!
--চুপ কর তুই,, যে ছেলের শরীরে আজ অবধী তার নিজের বাবা-মা হাত তুলেনি সেই ছেলেকে তুই থাপ্পড় মারলি?? তোর এই মুখের জন্য তোর এতো অহংকার তাইনা?? এখন-ই এসিড দিয়ে তোর মুখটা পুড়িয়ে দিতাম,, কিন্তু আরশ বলে গেছে শান্ত থাকতে,, তাই আজকে তোকে কিছু করবনা, তোকে আগামিকাল আরশের সামনে কি করি দেখে নিস...!! (কথাগুলো অনেক জোরে জোরে রাগ করে বলে নিলয়... নিহাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই সে চলে যায় ওইখান থেকে...!!
নিলয়ের হুমকি শুনে ক্লাস থেকে নিহার কয়েকটা ফ্রেন্ড বের হয়ে আসে... তমা নামের একটা ফ্রেন্ড নিহাকে বলে-
--নিহা, তোর সত্যিই আরশকে থাপ্পড় মারা উচিত হয়নি, আরে থাপ্পড় মারা তো অনেক দূর,, তোর ওকে রিজেক্ট করে দেওয়াটাই উচিত হয়নি...!!
সামিহা নামের আরেক ফ্রেন্ড বলে-
--আমি নিজেও ওর পিছনে ঘুরছি অনেকদিন, কোনো পাত্তা দেয়নি আমাকে... তুই কি বুঝে ওরে থাপ্পড় মারলি বলতো?? যাইহোক, নিলয় ছেলেটা পাগল টাইপের,, ওর বন্ধুর জন্য ও সব করতে পারে,, তুই আগামিকাল কলেজ আসবিনা,, বলা যায়না পাগল ছেলেটা যদি সত্যি সত্যি এরকম কিছু করে ফেলে?...!!
নিহা ওদের কথা শুনে হাটু ভেঙে বসে কান্না করা শুরু করে দেয়... ওই সময় তাকে পৃথিবীর যে কেউ এসে প্রপোজ করলে সে একিই কাজ করতো,,, কারো উপর রাগ উঠলে তার কি যে হয়ে যায়, সে নিজেও জানেনা... আরশের জন্য খুব খারাপ লাগছে তার,, আজ তার রাগের জন্যই এরকম হচ্ছে,, সে বুঝতে পারে "রাগ জিনিষটা কখনোই কোনো মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসতে পারেনা""...!!
.
""পরেরদিন"""
.
আরশ কলেজে ডুকার সাথে সাথেই কয়েকটা মেয়ে আরশকে উদ্দেশ্য করে বললো-
--দেখ দেখ, থাপ্পড় খাওয়া বয় হেটেঁ যাচ্ছে...!!
অন্য একটা মেয়ে বললো-
--আহারে, ক্রাশ বয় থেকে এখন ছ্যাকা খাওয়া বয় হয়ে গেছে...!!
আরশ ওদের দিকে একবার তাকালো,, ওদেরকে কিছু না বলে স্রেফ মুচকি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো নিলয় আর রাতুলের কাছে...!!
--দোস্ত, তোর চোখের অবস্থা এরকম কেনো? তুই রাতে ঘুমাসনি তাইনা?? কান্না করছিস সারারাত?...!! (নিলয়)
নিলয়ের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে আরশ...!!
--আরশ, তুই জাস্ট একবার বলে দেখ,, মেয়েটাকে আমরা বাসায় তুলে নিয়ে যাবো... ওর শরীরটা হাজারটা টুকরো করে তোর সামনে নিয়ে আসবো... জাস্ট একবার তুই বল,, এভাবে তুই চুপ থাকিস না প্লিজ...!! (রাতুল)!!
--আমি সাথে করে এসিড নিয়ে আসছি আরশ... আজ মেয়েটার মুখ দেখে নিস কি করি,, তুই শুধু আমাকে না করিস না প্লিজ...!! (নিলয়)...!!
--উফফফ, তোরা চুপ কর প্লিইইইইইইজ... যা করার আমিই করবো, তোদের কিছু করতে হবেনা...!! (আরশ)
আরশ কথাটা শেষ করার সাথে সাথে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখলো নিহা রিক্সা থেকে নামছে... আরশ নিহার কাছে যাওয়ার জন্য বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো...!!
--দোস্ত, আর কিছু না করলেও ওর কাছে গিয়ে ওর গালে কয়েকটা থাপ্পড় মারিস প্লিজ...!! (নিলয়)...!!
--ঠিক আছে,, তোরা এখানেই থাক...!! (আরশ)
নিহাকে রিক্সা থেকে নামতে দেখে নিহার ফ্রেন্ড তমার বুকটা ধুক করে উঠলো... তমা মনে মনে বললো- আল্লাহ জানে আজ মেয়েটার কপালে কি আছে...!!
.
এই মুহৃর্তে নিহার থেকে মাত্র কয়েকটা পা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আরশ... সবাই তাকিয়ে আছে আরশের দিকে,, আরশ এখন নিহাকে কি করে মারে, কি করে অপমান করে সেটা দেখার অপেক্ষায়...!!
আরশকে সামনে দাড়িঁয়ে থাকতে দেখে নিহার বুকটা এই মুহৃর্তে ধুক ধুক করছে... তার ধারনা আরশ তাকে এখন খুব জোরে জোরে কয়টা থাপ্পড় মেরে অপমান করবে...!!!
--নিহা, আই স্টিল লাভ ইউ... তুমি চাইলে আজকেও কয়েকটা পা এগিয়ে এসে আমার গালে থাপ্পড় মারতে পারো...!! (কথাটা বলে মাটির দিকে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে আরশ)...!! এই মুহৃর্তে পুরো কলেজ আরশের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে...!!
আরশের মুখে আজকেও প্রপোজাল শুনে মনের অজান্তেই চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে নিহার... তার ইচ্ছা করছে আরশকে গিয়ে এখন অনেক জোরে জড়িয়ে ধরতে... কিন্তু কিছু একটা যেনো তাকে যেতে দিচ্ছেনা আরশের কাছে...!!! কান্নাভেজা কন্ঠে নিহা আরশকে বলে-
--এইইই ছেলে, কাছে এসে হাতটা ধরে প্রপোজ করতে পারোনা??..!!
--এহহহহ, আমাকে আসতে হবে কেনো?? তুমি আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরতে পারোনা?? ওহহহ, ইগো তাইনা?? খুব ইগো তোমার না?...!!
আরশের কথা শুনে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে নিহা...!!
কয়েকটা পা এগিয়ে আরশের কাছে যায় সে,,, আলতো করে আরশের আঙুলটা ধরে দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে....!!
.
এই মুহৃর্তে আরশের আঙুলটা ধরে ক্লাসের দিকে হেটেঁ যাচ্ছে নিহা... নিহা হাটঁতে হাটঁতে আরশের কানে ফিসফিস করে বলে-
--তোমার বউয়ের রাগটা কিন্তু অনেক বেশি,, আমাকে সামলাতে পারবেনা???...!!
--আমার জন্য রাগটা একটু কমাতে পারবেনা??...!!
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো আরশের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে একরাশ ভালোবাসা নিয়ে আরশের চোখের দিকে তাকায় নিহা... আরশের চোখে চোখ রেখে বলে-
--হুমম, তোমার জন্য এতটুকু করা যেতেই পারে,, কিন্তু একটা শর্তে...!!
--কি শর্ত??...!!
--আমি অনেকগুলো বাবুর আম্মু ডাক শুনতে চাই,, আমাকে অনেকগুলো বাবু উপহার দিতে হবে... দিবা??
নিহার মুখে কথাটা শুনে হিহিহিহি করে হেসে দেয় আরশ,, মাথা নেড়ে নিহাকে হ্যা সূচক উত্তর দেয় সে... তারপর দুজনেই চলে যায় ক্লাসের ভিতর...!!
অতঃপর আরশ আর নিহা অপেক্ষা করতে থাকে,, পড়াশুনার বাধাঁ পেরিয়ে, ভালো একটা ক্যারিয়ারের বাধাঁ পেরিয়ে, তাদের এক হওয়ার অপেক্ষা...!!
.
(আপনাকেই বলছি,,, আপনার অনেক বেশি রাগ তাইনা?? অনেক বেশি ইগো না??, একটু কমানো যায়না রাগটাকে?? একটু কমানো যায়না ইগোটাকে?? হয়তো আপনার রাগ+ইগোটা একটু কমানোর জন্য আপনার প্রিয় মানুষটার পাশের বালিশে সারাজীবন ঘুমানোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন)

COLLECTED

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ