āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

651

রম্য গল্প।

'ফাইলেরিয়া এবং কিস '
             _______নাসিম সাব্বির

😜
কার ঈদ কেমন কাটছে জানি না।তবে আমারটা জাম্পেস কাটছে।
চাঁন রাতে সবাই যখন সপিং আর ঘরে ফিরা নিয়ে ব্যাস্ত,আমি তখন ফোটা গুনছি।বুঝলেন না তো,আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি।ফোটা মানে হচ্ছে পয়েন্ট।টাস খেলায় মোট ৫২ টি কার্ড থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ৫২ কার্ড দিয়ে ৫৩ রকমের গেম খেলা যায়।এই গেম গুলোর মধ্যে ২৯ বা কল ম্যারিজ হচ্ছে অন্যতম একটি বিখ্যাত গেম।এই গেমটিতে অনেক টাইম স্পেন্ড হয়।তাই আমার মতো আপামর ব্যাচেলর জনগোষ্ঠীর কাছে ডে বাই ডে এই খেলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।
মাত্র চার জনেই গেমটি খেলা যায়।সেদিন রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন অলস সময়ের এতো বড় রাত কিভাবে কাটাবো ভাবছি?
ঠিক তখনই আল্লাহর অশেষ রহমতে আরও তিনটা অপদার্থ এসে হাজির।ব্যাস,"ইনজয়েবল টাসের জস,দেরি করলেই টোটাল লস"। এই মন্ত্র খানা পড়ে শুরু করলাম আমাদের নিষিদ্ধ যাত্রা।

খেলা শুরু হয়ে গেলো।খেলা চলছে সাথে কমদামি ভুসবাস সিগারেটেও ফুকছে হরদমে।কে কখন কার মুখেরটা নিয়ে ফুকে চলছে সে দিকে কারো কোন খেয়াল নেই।সবার নজর টাসের হিসেবে।এই খেলায় যে যতোবেশি কার্ড হিসেব করে চালাতে পারবে সে ততবেশি ফোটা (পয়েন্টস) আর্ন করতে পারবে।হিসেবের খেলা হওয়াতে এখানে আমার দক্ষতা মোটামুটি ভালোই লোক মুখে।কারন,আমি নাকি একটু হিসেবি লোক।একটা ঘটনা বলি।

তখন আমি ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ি। স্কুলে টিপিন বাবদ আম্মু ১০ টাকা দিলেন।আমি টাকা পেয়ে তো মহাখুশি।তখন ঘুড্ডি উড়ানোর মহরত চলছিল এলাকার ফসল বিহীন ক্ষ্যাত গুলোতে।বেশকিছুদিন যাবত বন্ধুদের ঘুড্ডি দিয়ে মহরতে অংশ নিয়েছি।কিন্তু ব্যাপারটা কেমন যেনো পানসে লাগতো।তাই তো সেদিন টাকা পাওয়ার পর আর এক মুহুর্তও দেরি না করে চলে গেলাম ডিপজলের দোকানে।৮ টাকা দিয়ে নীল রংয়ের একটা বিশাল লেজ বিশিষ্ট চৌকোনা ঘুড্ডি কিনে নিলাম।আকাশের নীলের সাথে আমার নীল ঘুড্ডি যেনো মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।

বাকি রইলো ২ টাকা।আমরা দোস্ত হলাম চারজন।কেউ বলচে আল-আমিনের চাড়া (শক্ত)
বিস্কুট খাবে, কেউ বলছে সন পাপড়ি খাবে।কিন্তু ২ টাকা দিয়ে মাত্র দুটো পাপড়ি অথবা বিষ্কুট পাওয়া যাবে।যেটা চারজন মিলে খাওয়া অসম্ভব।এর মধ্যেই কায়েস চাচা তার বিখ্যাত ঝুনঝুনি বাজিয়ে বস্তা আইসক্রিম নিয়ে হাজির।আমি সবাই কে বুজিয়ে বললাম, আমরা চাইলে একটা বস্তা আইসক্রিম সবাই মিলে শেয়ারিং করতে পারি।একজন একটু চুষে আরেক জন কে দিবো।এভাবে শেষ হওয়া অব্দী চক্রাকারে চুষতে থাকবো।সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে গেলো।
কারন এর আগে কেউ ভাবে নি এভাবেও শেয়ারিং করা যায়।
সবার মধ্যে একটা উচ্ছাস দেখা গেলো।একজন তো অতি উচ্ছাসের যাতাকলে পিষ্টে ব্যাপারটা ম্যাডামের কাছে বলে দিলো।
ম্যাডাম কিছুক্ষন আমার দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে ব্যাপারটা পজেটিভলি নিলো।কারন তখন তিনি "পরিবেশ পরিচিতি সমাজ" এর সমাজ ও পরিবার অধ্যায়টি পড়াচ্ছেন।যেখানে শেয়ারিং এর ব্যাপরটি ই ছিলো মুখ্য।
ব্যাস কিছুক্ষনের মধ্যে আমি হিরো হয়ে গেলাম।গর্বে শিনা টানটান হয়ে গেলো।
ছুটি শেষে নাচতে নাচতে বাসায় গিয়ে অকপটে সব কিছু আম্মুর কাছে বলে দিলাম।আম্মু আমায় কিছু না বলে সোজা রুমের ভিতর নিয়ে গেলো।
আমাকে শায়েস্তা করার একমাত্র শায়েস্তা খাঁ মিঃ শলার মুঠা এনে সে কি অপমানটা ই না করলো আমাকে।এখনো সেসব কথা মনে পড়লে চোখের কোনে অশ্রু লক্ষ্য করা যায়।😰
আমার না আম্মুর।😜
কারন সে দিনের সেই ছোট্র রনাটি আজ কতো বড় হয়ে গেছি।মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বড় হওয়াটা আম্মুর জন্য ভালো হয় নি।কারন এখন আর ইচ্ছে হলেই ধরে পেদাতে পারে না তো।😜

সেদিন আমাকে ধরে পেদানোর মুল কারনটা ছিলো জীবানু।কারন আম্মুর মতে মানুষের মুখে, দাতে বিভিন্ন ধরনের রোগ থাকতে পারে।দাতে ফোকা,মাড়ি ফোলা,ফাইলেরিয়া এসব।যা চোষা টাইপ শেয়ারিং এর ফলে একজন থেকে আরেকজনে ট্রান্সফার হয়।🙊
সেই থেকে জিবনেও কখনো কারো মুখের জিনিস খাই নি। 😂
ঠিক এই কারনেই এখন পর্যন্ত প্রেম করার সাহস হয় নি।
পাছে যদি দাতে ফোকা হয়,ফাইলেরিয়া হয়।😂 😂 😂
প্রেমের দোহায় দিয়ে কিস করার নামে একজন আরেক জনের ঠোট যেভাবে কামড়ায়,জিহ্বা যেভাবে চাটে 😜 😜
ওয়াক....থু..😜।ভাবতেই গা সিরসির করছে।😱

প্রেমিক যুগল মানেই সব ক'টা ফাইলেরিয়া রুগী।
😜

#Moral : "ফাইলেরিয়ার প্রতিরোধ, করতে হবে কিস রোধ" 😜😜😹😂 😎

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ