āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{16}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-16
.
"হে আমার ঝলমলে আলোকিত
ভালোবাসা 'উপমা'...
অনেক অনুভূতিপ্রবন আবেগ নিয়ে আবারও
তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি।এই কলম
আজ আমার ভালোবাসার সাক্ষ্য দিতে
যাচ্ছে।কিছু কথা না হয় দীর্ঘ করেই
লিখে গেলাম।তুমি ধীরে সুস্থে পড়ে
পুরো চিঠিটার অর্থ বুঝে নিও।
উপমা,, তোমাকে যদি খোলা আকাশটা
দেখিয়ে বলা হয় যে এই আকাশটা কতো
বিশাল??তা কি তুমি পরিমাপ করতে
পারবে?? কখনওই না।তুমি বলবে এইটা তো
অসম্ভব।তখন আমি তোমাকে বলবো এই
বিশাল আকাশের পরিমাপ,পরিধি নির্ণয়
করা যেমন অসম্ভব তেমনি তোমার প্রতি
আমার ভালোবাসার কোনো পরিমাপ
পরিধি কিছুই নেই।কেউ চাইলেও তা
নির্ণয় করতে পারবে না।কারন এইটা
আকাশের বিশালতা পরিমাপ করার মতোই
অসম্ভব।হয়তো এই আকাশের বিশালত্বও
আমার ভালোবাসার কাছে হার মানবে।
তোমাকে কিছু উদাহরণ দেই উপমা।যাতে
করে তুমি আমার ভালোবাসাকে এক
বাক্যে বুঝে নেওয়ার মতো কিছু ধারা
আবিষ্কার করে নিতে পারো।তবে
শোনো..আমি তোমাকে ঠিক ততোটাই
ভালোবাসি যতোটা পিপড়া চিনি কে
করে,যতোটা সুলেমান তার হুররম কে
করেছিল,যতোটা বাজিরাও তার মাস্তানি
কে করেছিল,যতোটা আকবর তার
যোধাকে করেছিল,যতোটা শাহজাহান
তার মোমতাজকে করেছিল। এখন তুমি কি
ভাবছো???তাদের ভালোবাসার সাথে
আমি আমার ভালোবাসাকে তুলনা করছি!!!
মোটেও না।তাদের মধ্য দিয়ে তোমাকে
এমন কিছু ভালোবাসার উদাহরণ দেখালাম
যাতে করে তুমি এদের ভালোবাসার
প্রেক্ষাপট উপলব্ধি করে তোমার প্রতি
আমার অনুভবতার কথা জানতে পারো যে
তোমার এই প্রবন্ধও তার উপমাকে কতোটা
ভালোবাসে।চলো না...আমরা এদের
ইতিহাসের মতো ভালোবাসার নমুনা হয়ে
মিশে যাই..যুগ যুগ ধরে যারা-ই
ভালোবাসায় জড়িয়ে যাবে তারা প্রথম-ই
আমাদের জুটিটাকে তুলে তাদের
ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করবে।
চলো আমারাও একটা ইতিহাস গড়ি
যেইখানে ওদের কথার আগেই আমাদের
জুটির নাম সবার আগে চলে আসবে।তুমি
কি বলছো.!.এইটা আমার জেদ।না এমন কিছুই
না।বরং আমি আমার ভালোবাসাকে
চ্যালেঞ্জ করে বলছি।বুঝলে তো পুতুল
কন্যা!!
আমি কিন্তু তোমার জন্য তাজমহল বানাতে
পারবো না।তুমি কি রাগ করবে???
তোমাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে
কোনো তাজমহল নেই।তবে আমার হৃদয়
জুড়ে একটি ছোট কুঁড়েঘর আছে।থাকবে
কি তুমি আমার সেই কুঁড়েঘরে?আমার হৃদয়
তো তাজমহল থেকেও বড়।আর এই বড় হৃদয়ে
তোমার জন্য এই কুটির টি বানিয়েছি।
আমাদের ভালোবাসায় তাজমহল লাগবে
না,হৃদয়ের ছোট কুটিরঘরেই আমাদের
ভালোবাসা যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে।
আর একটা কথা আছে তোমার সাথে।
কথাটা যেন আমার আর তোমার মাঝেই
থাকে।কথাটা তোমার কানে
ফিসফিসিয়ে বললাম..আমার বাগানে আমি
তোমার মতোই একটা ফুল চাই।আমাকে কি
তুমি সেই ফুলের কলি গজিয়ে দিতে
পারবে??যাতে করে আমাদের মাঝে এক
ধরনের একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস গঠিত হয়।যার
ব্যাসবাক্য হবে সে,তুমি ও আমি="আমরা।"
তুমি ও আমি থেকে 'আমরা' তে পরিণত
হবো।আমি কিন্তু এখনের কথা বলছি না।
আমি কতো দুষ্টু। দেখলে.!আমি আমাদের
ফিউচারটা আগেই ভেবে নিলাম।তাই
চিন্তাটা একটু গভীর করে ফেলেছি। সরি।
তুমি কি আমার মনের গভীরতাটা দেখতে
চাও??তবে দেখে আসো গিয়ে এই গভীর
মনটাকে।তোমার জন্য আমার মনের
প্রহরীরা দরজা খুলে বসে আছে।
আমার মনের রাণী উপমার জন্য তারা বরণ
করে স্বাগতম জানিয়ে নিতে প্রস্তুত
আছে।
আচ্ছা উপমা..আর একটা কথা খুব জানতে
ইচ্ছে হয় আমার।আচ্ছা, বলো তো তুমি
এতো মিষ্টি আর লক্ষী একটা পুতুল কেন?
রহস্যটা কি আমাকে বলা যাবে?খুব
জানতে ইচ্ছে হয়.. আর একটা কথা
উপমা..তুমি হয়তো আমার হয়েই দুনিয়াতে
এসেছিলে।বিধাতা হয়তো আমার
উপহারসুলভ তোমাকে রেখে
দিয়েছিলেন।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এখন নিজে
নিজেই অবাক হই।কলেজের টাংকিবাজ
দুষ্ট ছেলেটা আজ কতো ভদ্র হয়ে গেছে।
এক সময় কতো যে দুষ্টুমি করে
বেড়িয়েছিল এই ছেলে..তুমি তা জানো
না।জানলে হয়তো এখন এত্তগুলো বকে
দিতে..আর তোমার এই বকাগুলোকে আমি
তোমার গলার স্বর ভেবেই রেকর্ড করে
যেতাম।
কথাগুলো শুনে বলবে..আমি পাগলামি
করছি।কিন্তু পাগলামি করতে তো ইচ্ছে হয়
এখন।এখন সময়টা তো এইরকম-ই।মনটা তোমার
জন্যই ছটফট করে।তোমার জন্য প্রেম
ঢেলে দেই এই মনে আর এই মন কি বলে
জানো..!!!
এই মন আমাকে বলে "উপমাকে এনে
দেও"।আর আমি তখন রঙ তুলি দিয়ে
তোমার ছবি একে যাই এই মনে।আর
তোমার সেই তৈলচিত্র দেখিয়েই আমার
মনটাকে তার শান্তি ফিরিয়ে দেই।একটা
জিনিস খেয়াল করেছিলে উপমা???এই
আধুনিকতার যুগে বসে আদি যুগের মতো
আমরা নীরব প্রেম,নীরব ভালোবাসা
একে অপরের জন্য ঢেলে দিচ্ছি।এই পর্যন্ত
আমি তোমাকে কিংবা তুমি আমাকে
বলো নি যে "আমি তোমাকে
ভালোবাসি"।এই বাক্যটি কেউ কাউকে
বলতেও প্রয়োজন বোধ করি নি।কারন
আমরা তো জানি-ই যে একজন
আরেকজনকে কতো ভালোবাসি
আমরা...এইটা কি আবার বলে স্মরণ করিয়ে
দিতে হবে!!এইটা আমাদের ভারী মগজে
সর্বদা-ই স্থান জুড়ে বসস থাকে।
মানুষ মুখে একটা বাক্য কথিত আছে আর
সেই বাক্যটা কি জানো!!বিয়ের প্রথম বছর-
ই নাকি নব দম্পতির মাঝে প্রেম থাকে।
বয়স বাড়লে নাকি আগের মতো প্রেম আর
থাকে না।দেখো তো..লোকে কতো
ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে চলে....তাদেরকে
কিভাবে বোঝানো যায় যে সব প্রেমের
জুটিগুলো এক হয় না।সবার প্রেমের ভাষা
আলাদা।কেউ ভালোবাসতে জানে মনে
মনে,কেউ কেউ প্রকাশ্যে,কেউ
অভিনয়ে,কেউ বা বাস্তবতার নায়ক
হয়ে,আর একটা common জিনিস কি?
জানো..?
যেখানে ভালোবাসা আছে সেইখানে
ঝগড়াও আছে।
ঝগড়া করে মনমরা হয়ে দিন শেষে যখন
একে অপরের দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে
ধরে, "সরি" শব্দটির উৎপত্তি ঘটিয়ে একে
অপরের ভুলগুলো বুঝে উঠতে
পারবো..এতেও কিন্তু একধরনের
ভালোবাসা থাকবে।
আমিও কিন্তু এক দুবার ঝগড়া করবো তোমার
ভালোবাসা পেতে।
দেখলে তুমি??আমি আবারও পাগলামি
করে কথাটা বললাম।
কাল সারা রাত তোমার নিশ্বাসটা
আমাকে জাগিয়ে রেখেছিল।আমি
জেগে থেকে তোমার কাছে গিয়ে
তোমার নিশ্বাস শুনেছি, শুনেছি তোমার
হৃদস্পন্দন। এই মনে আমি কখনোই
লোডশেডিং হতে দিবো না।কারন আমি
তোমার ভালোবাসাকে বাতির মতো
সর্বদা আলোকিত করে রাখতে চাই।
"সুপ্রভাত... "
.
লেখাটা শেষ করে প্রবন্ধ আবারও
চিরকুটটি ড্রেসিং টেবিলের চিরুনির
সামনে রেখে দিলো।উপমা ঘুমোচ্ছে।
মেয়েটাকে এখন না ডাকা-ই ভালো।আজ
ঘুমাক।কাল ওকে এই সময়টায়ই জেগে
থাকবে হবে।আর এর কারন হলো স্কুল।
কাল প্রবন্ধ আসার সময় হাতে করে একটা
ভর্তির ফর্ম নিয়ে এসেছিল।তবে ওর
স্কুলের এডমিশনের কথাটা বাসায়
জানানো হয় নি। মা কি ভাববেন কে
জানে??মায়ের অনুমিতটা যে এইখানে
বিশেষ প্রয়োজন।মা আবার ভাববেন না
তো যে ছেলেটা বিয়ে করে
একেবারে বউ পাগল হয়ে গিয়েছে!!!
কথাটা আজ-ই মায়ের সামনে পাঠ করে
দেখতে হবে..
প্রবন্ধ স্কুল এডমিশন ফরমটা হাতে নিলো।
আর রুমের দরজাটা আস্তে করে চাপিয়ে
গেল।
.
প্রবন্ধ খাবার টেবিলের দিকে গেল।মা
হয়তো রান্নাঘরেই আছেন।ডাইনিং
টেবিলে খেতে বসলেই মা হয়তো
খাবার নিয়ে আসবে আর তখনি কথাটা
বলতে হবে মা কে।মায়ের আদরের
দুলালী সে।মা হয়তো কথাটা সহজভাবেই
নিবেন।ব্যাপারটা হয়তো সবার কাছে
রসিকতা জড়ানো কথা হতে পারে,ঘরের
বউ স্কুল যাবে!!
আজ সত্যি-ই যে খাবার টেবিলে সবাই
বসে আছে।নেই শুধু বাবা কারন সে একটু
আগেই বের হয়ে গেছেন। আজ তো
দেখা যাচ্ছে কেউ সকালে উঠতে
ভোলেনি।এর মানে মাকে কথাটা সবার
সামনেই খোলাসা করে বলতে হবে!!!
প্রবন্ধ কাগজটা মা কে দেখিয়ে বলল-
-আম্মা..এই কাগজটা দেখো!
-কি এইটা?
মা কাগজটা হাতে নিয়ে দেখতে
দেখতে বলল-
-এডমিশন ফরম?
-হুম।
-এইটা কিসের জন্য?কি হবে এইটা দিয়ে?
-এইটা উপমার জন্য।
-উপমা কি করবে এইটা দিয়ে?
-পড়তে যাবে স্কুলে।
তানহা মানহা অবাক হয়ে তাকিয়ে
রইলো-
-ভাবি..স্কুলে যাবে!!!
ছন্দা চুপ হয়ে ঘটনাটা বুঝে উঠতে চেষ্টা
করল।
প্রবন্ধ বলল-
-হ্যা।যাবে।এতে অবাক হওয়ার কি?
মা এতে কোনো মন্তব্য দিলেন না।মুখে
হু/না নেই।তার চিন্তাও সমাজের মতোই।
নতুন বউ স্কুলে যাবে কেন?এইটা কি
কোনো সংস্কৃতি!পড়া লেখায় বেশী দূর
অগ্রসর হওয়ার আগেই বিয়ে দেওয়া
হয়েছে মেয়েটিকে। পড়ালেখা
থাকলে হয়তো তার চাকরী নিয়ে ভাবা
যেতো।কিন্তু এখন আর পড়াশোনা নিয়ে
কী হবে!এখন পড়া শিখেই বা কি করবে?
সে এখন কাজ করবে,রান্না করবে আর ঘর
সামলাবে।
প্রবন্ধ বলল-
-আম্মা..আমি চাই মেয়েটা পড়ুক।ওর
গার্জিয়ানের সিগনেচারটাও তুমিই
দিবে।আর আমি ওকে পড়াবো।
মা রাজি হলেন না।ছেলের কান্ড দেখে
তার ভালো লাগলো না।এতে তার
সাড়াও নেই।
প্রবন্ধ আবার বলল-
-আজ যদি মেয়েটা শিক্ষিত না হয়,তাহলে
মেয়েটা আধুনিক জগৎ থেকে পিছিয়ে
রইবে,এমনিতেও উপমা অনেক অবুঝ।এখনো
অনেক কিছুই ওর শেখার আছে।তুমি
আমাদের ভবিষ্যৎটাই ভেবে দেখো,,,ও
একটা শিক্ষিত মাও হতে পারবে না।ওকে
কেন একজন শিক্ষিত নারী,একজন শিক্ষিত
জাতি,একজন শিক্ষিত মা হওয়া থেকে
বঞ্চিত করবো?আমি চাই না উপমার
জীবনটা এইভাবে চলে যাক।
মায়ের মনের কিছুটা বরফ গলল মনে হচ্ছে।
তিনি কাগজটা হাত থেকে টেবিলে
রেখে দিলেন।
প্রবন্ধ বলল-
-গার্জিয়ানের সিগনেচারটাতে তুমি সই
করবে।এতে আমি ওর গার্জিয়ান নই।
গার্জিয়ান হচ্ছ তুমি।
তিনি গলা ভারী করে বললেন -
-কোথায় সিগনেচার করতে হবে?
প্রবন্ধ কাগজের মধ্যে হাত দিয়ে
দেখিয়ে বলল-
-এইখানে..
মা বিরক্তিকরভাবে বললেন -
-পরে সিগনেচার করবো।রেখে দে এখন।
-কিন্তু এখনি লাগবে।আমি এই ফরমটা
নিয়ে আজ স্কুলে জমা দিয়ে আসবো।কাল
থেকে থেকে ওর ক্লাস চলবে।
পকেট থেকে একটি কলম বের করে নিয়ে
প্রবন্ধ বলল-
-এই নেও কলম।
ছেলের মন্তব্যকে সাড়া দিয়ে তিনি
এইবার কলম হাতে নিয়ে গোটা গোটা
অক্ষরে নিজের নাম লিখে দিলেন
"মরিয়ুম সুলতানা"।
প্রবন্ধ বলল-
-আম্মা, নামের নিচে তারিখটা লিখে
দেও।
তিনি তারিখও লিখে দিলেন।
প্রবন্ধ কাগজটা হাতে নিয়ে নাস্তা না
করেই উঠে পরলো।আজ বাড়ি আসলে
চমৎকার একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে
উপমাকে।মেয়েটা নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে।
.
ছন্দার কাছে এইটা অবশ্য যুক্তিযুক্ত মনে
হয়েছে। অবশ্যই মেয়েটার শিক্ষিত হওয়া
চাই।প্রবন্ধ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তানহা মানহা একজন আরেকজনকে বলাবলি
করছে-
-কেউ যদি ভাবির সম্পর্ক আমাদের কাছে
কিছু জানতে চায় কি বলবি?
-সত্যিটাই বলবো যে ভাবি আমাদের
সাথে স্কুলে পড়ে।
-সবাই যদি ভাবি কে নিয়ে মজা করে!!
-মজা করবে কেন?ভাবি পড়ালেখা করলে
ওদের কি?
-কিন্তু ভাবি কি স্কুল ড্রেস পরে যাবে
নাকি শাড়ি!!!
মানহা তানহার কথা শুনে হেসে হেসে
বলল-
-আস্তে বল।ছন্দা আপু শুনে ফেললে ধমক
দিবে...
.
.
উপমা উঠে পরলো। আজও সকালে দেখা
হলো না প্রবন্ধর সাথে।কেন যে এতো
সকালে যেতে হয় ওকে!আর সকালের
ঘুমটাও চোখে ফেভিকলের মতো আটকে
থাকে।কাল থেকে ভোরেই উঠতে হবে।
সকালবেলা ব্যস্ততার মাঝেই প্রবন্ধর কাছ
থেকে ওর আদরটা হাত পেতে নিতে
হবে।সারাদিনে ওকে কাছে না পাওয়ায়
মনে যে একাকীত্বের হাহাকার জন্মায়
তা সকালের মিষ্টি আদরে সম্পূর্ণ করে
নিতে হবে এখন থেকে।
এলোমেলো চুল,আর শাড়িটাকে ঠিকঠাক
করে নিতেই আয়নায় আজও দাঁড়ানো হলো
উপমার।চিরুনির নিচে আবারও একটি কাগজ!!
এর মানে কি চিঠি? কালকের মতো আজও
চিঠি!!!
উপমা কাগজটা হাতে নিলো।মনোযোগ
দিয়ে পড়ে গেল চিঠি আর চিঠিতে
লেখা প্রতিটি লাইন।
আজও চিঠিটা খুলে বার বার পড়তে ইচ্ছে
হলো ওর।আজও চিঠিটা হাজার বার পড়া
হলো... চিঠিটা পড়তে পড়তে কখন যে
লাইনগুলো ফুরিয়ে যায় টের-ই পাওয়া যায়
না।চিঠিটা নিয়ে উপমা আবারও ভরে
নিলো ওই বক্সটায়।যেই বক্সে আছে সেই
শুকনো ফুল আর কালকের লেখা ওই
চিঠিটা।আজ একটি নতুন চিঠি এদের মাঝে
যুক্ত হলো।এদেরকে একত্রে কিন্তু
ভালোবাসার উপহার বলা যেতে পারে।
উপমা এই উপহারাদি যত্ন করে রেখে
দিলো।
এতোক্ষন ছিল ওর স্ত্রী ভূমিকা,ওকে এখন
বাড়ির বউয়ের ভূমিকাও পালন করতে হবে।
চোখে ছড়িয়ে থাকা কাজলটা মুছে নতুন
করে লাগিয়ে নিলো আর লম্বা ঘোমটা-
টা কপাল বরাবর টেনে নিয়ে উপমা
রান্নাঘরের দিকে ছুটে গেল।
চলবে...
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ