āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{23}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-23
.
উপমার অনেকবারই চোখে পড়েছে যে প্রবন্ধ টেবিলে
বসে কি যেন লিখছে।এদিকওদিক হেটে অনেকবার-ই
চেষ্টা করেছে দেখতে।মনের মধ্যে শুধু একটা ছোট
অভিমান নিয়ে গাল ফুলিয়ে রেখেছে।ড্রেসিং টেবিলের
সামনে যেতেই চিঠিটা বহুবার চোখে পরলো উপমার।
কিন্তু একবারও ধরলো না।ধরে নিতে গেলেই প্রবন্ধ
দেখে ফেলবে আর তখন মনের মাঝে অভিমানের চিহ্নটুকু
গলে যাবে।সুযোগ খুঁজতে লাগলো প্রবন্ধ আড়াল হলেই
চিঠিটা খুলে পড়ে নিবে। হঠাৎ সেই সুযোগও হয়ে উঠলো।
উপমা রান্নাঘর থেকে রুমে এসে দেখলো প্রবন্ধ রুমে
নেই।বেলকুনিতে নেই,আশেপাশেও নেই।সুযোগটা এইবার
হাত ছাড়া করবার মতো নয়।উপমা হুলস্থুলভাবে ড্রেসিং
টেবিলের সামনে চিরুনিতে ঘেষে রাখা চিঠিটা হাতে
নিলো।প্রবন্ধর লেখা চিঠির এক অক্ষরও কি না পড়ে
রাখা যায়!চিঠিটা খুলতেই মুখে আনমনে একটা রহস্যময়
হাসি চলে এলো।চোখের কোন ঘেঁষে পানি জমাট বেধে
আসছে।কষ্টগুলো সব পানির আকার ধারন করে হৃদয়
থেকে বেরিয়ে আসছে।প্রবন্ধও না..ভারী মজার মানুষ।
তার সাথে রাগ করে কি আর পারা যায়!কষ্ট হচ্ছে,রাগ
হচ্ছে,অভিমানও হচ্ছে।কিন্তু চিঠিটা যেন মুহূর্তের
মধ্যেই সব রাগ, অভিমানকে বাষ্পে উড়িয়ে দিলো।
প্রবন্ধ কে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে "কে বলে রাগের মাঝে
ভালোবাসা নেই!!তুমি কি এই রাগের ভাষা বুঝছো না!
তোমায় বড্ড ভালোবাসি।আমি একটু
বোকা মেয়ে তা তো তুমি ভালো করেই জানো,এই বোকা
মেয়েটা তোমার সংস্পর্শে এসে ভালোবাসতে শিখেছে তা
কি তুমি জানো?কোনো লেখক/কবি তার কাব্যিক
ভাষায় একটি কথা বার বার-ই উল্লেখ করেছিলেন যে
'ভালোবাসা' নাকি বয়স চেনে না।সত্যি-ই তাই।তোমাকে
পেয়ে এই কথাটার প্রতিটা বর্নের অর্থ বুঝেছি আমি।
তুমি বলেছিলে আমাকে তোমার জন্য পরিবর্তন হতে
হবে না।কিন্তু ভালোবাসা সব পারে।আমি তোমার জন্য
পরিবর্তন হতেও রাজি।কাল তোমায় পাশে না পেয়ে আমি
আলোকে অন্ধকার দেখতে বসেছিলাম।তখন চোখ দুটো
পাগলের মতো তোমায় খুঁজে বেড়াচ্ছিলো।তখন তোমায়
না পেয়ে আমি সেদিন দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম।তুমি কি
বুঝছো না..তোমার সাথে অভিমানের ওজুহাত দেখিয়ে
লুকিয়ে ভালোবেসে যাওয়া,সামান্য দূরত্বকে কাছে
এনে,আমার অভিমান তোমার অনুভূতিতে মিশিয়ে তোমার
ভালোবাসা আরও নিবিড় করে তোমায় আরও কাছে
পাবার নতুন এক পথ এইটা।তোমার সাথে কি অভিমান
করার অধিকার নেই আমার? বলো..
চিন্তার ঘোর কেটে না উঠতেই পেছন থেকে প্রবন্ধ
এসে বলল-
-তুমি চিঠিটা পড়ছ তাহলে উপমা..
প্রবন্ধর আওয়াজ পাওয়ার সাথে সাথেই উপমা পেছনে
ফিরে তাকালো আর হাতের চিঠিটা আঁচলে ঢেকে নিলো।
নিচে তাকিয়ে চোখের পাতা এদিক ওদিক করতে লাগলো।
প্রবন্ধ বলল-
-আমি জানতাম,তুমি চিঠিটা পড়বে।রাগ ভেঙেছে তাহলে..
উপমা কিছু বলল না।অন্যদিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে দৌড়ে
বেলকুনির দিকে যেতেই প্রবন্ধ পেছন থেকেই ওর আচল
টান করে ধরে বলল-
-এইবার তোমায় পালাতে দিচ্ছি না।জবাব তোমায় দিতেই
হবে।
উপমা আধো আধো গলায় সামান্য ভ্রু কুঁচকে
অভিমানের স্বরে বলল-
-ইশশ..ছাড়েন না..
-উহু।ধরেছি কি ছাড়ার জন্য।
-ছাড়েন বললাম.
-না ছাড়লে কি করবে?
উপমা মুচকি হেসে বলল-
-বাপের বাড়ি চইলা যাবো।
-তা কি তোমায় একা যেতে দেবো নাকি।!
প্রবন্ধ ওর আচল টেনে ওকে সামনে নিয়ে আসতেই
উপমা হাত ছাড়িয়ে হাসতে হাসতে দৌড়ে পালালো।
লজ্জাবতী আবারো লজ্জা পেয়ে চলেছে।ভাগ্যিস রাগ
তো ভেঙেছে।
পাঁচ মিনিট পর উপমা এসে রুমে এমনভাবে উকি দিতে
লাগলো যাতে করে প্রবন্ধ ওকে না দেখতে পায়।আয়নার
স্বচ্ছ কাচগুলোতে ওর লুকোচুরি চাহনিটা প্রবন্ধ ঠিকই
দেখতে পাচ্ছিল।প্রবন্ধ এই ফাঁকে চট করে হাতের
ফোনটা কানে নিয়ে উপমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে
গেল.."একদা এক বসন্তকালে,
আমি যাচ্ছি ময়ুরাক্ষীর ধারে।
দিগন্তপানে তাকিয়ে যেথা,
কোনো এক সুন্দরী এসে উকি দিলো সেথা..
উপমা এইবার প্রবন্ধর সামনে এসে দাঁড়ালো।মুখ কালো
করে বলল-
-আপনে বুঝলেন কীভাবে..?
প্রবন্ধ একটু হেসে নিয়ে না বোঝার ভাব নিয়ে বলল-
-কোথায় কি বুঝিললাম?কিছুই তো না..
উপমা ভ্রু টান করে বলল-
-কবিতাটা কিন্তু আমি বুজছি।
-তাই বুঝি..কি বুঝেছ?
-জানি না।
"জানি না" বলে চট করে টেবিলে বই নিয়ে বসলো।কতো
যে অভিমান জানে এই মেয়েটা..রাগের ঝড়ের হাওয়া থেমে
গিয়ে ওর মনে যে খানিকটা অভিমানের ঢেউ বইছে।তার
বিন্দু মাত্র প্রকাশও করতে চাইছে না।
উপমা গুন গুন করে পড়তে লাগলো।হঠাৎ দুলি হাটতে
হাটতে রুমে আসলো।প্রবন্ধকে এসে বলল-
-মামা..আম্মু তোমাকে ডাকছে।
দুলি আসতেই উপমা ওকে নিজের মতো করে আদর করে
গেল,গাল চেপে ধরলো।কোলে তুলে নিয়ে নিজের কোলে
বসালো।টেবিলে রাখা বইগুলোর মধ্যে কার্টুন আকারে
ছাপানো রঙিন ছবিগুলো দেখিয়ে দেখিয়ে দুলির সাথে
বাচ্চাদের মতো করেই কথা বলতে লাগলো।দুলিকে
আধো আধো গলায় বলল-
-এই দেখো..কি সুন্দর সুন্দর ছবি..
পৃষ্ঠার একপাশে একটি বাচ্চা মেয়ের পোর্টেট দেখিয়ে
দুলিকে বলল-
-এইটা হইতাসো তুমি।
দুলিও হাত তুলে ছবিটার উপর আঙুল দিয়ে ছবিটা ধরতে
চেষ্টা করে।
উপমা দুলিকে আদর করতে করতে বলল-
-তুমি আজকে আমার আর মামার সাথে ঘুমাইয়ো।ক্যামন..
দুলি বলল-
-আমি তো আম্মুর সাথে ঘুমাই।
-একদিন মামীর সাথে ঘুমাইবা না দুলি..!
দুলি মাথা ঝাঁকিয়ে বলল-
-আচ্ছা।
মাঝেমধ্যে দুলির সাথে ও সময় কাটায় ভালো।কি এতো
আনন্দ হয় দুলিকে নিয়ে কে জানে! দুলিকে দেখলেই
উপমার হয়তো ইচ্ছে হয় একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে আদর
দিয়ে যত্নে নিজের মতো করে সাজিয়ে রাখতে। মা
হওয়ার ইচ্ছা হয়তো মনে মধ্যে পুষে রাখে।তবে মা
হওয়ার যে গভীর একটা অর্থ আছে তা হয়তো উপমার
জানা নেই।তবে স্বপ্ন বুনতে তো আর দোষ নেই।
উপযুক্ত বয়স হলেই ওর এই স্বপ্ন পূরণ করা হবে।এর
আগে নয়।
.
প্রবন্ধ ছন্দার রুমে গেল।ছন্দা শুয়ে আছে।প্রবন্ধ এসে
বলল-
-আপু..ডেকেছিলে?
ছন্দা এইবার এপাশ ফিরলো।চোখের পাতা অল্প একটু
খুলে প্রবন্ধর দিকে তাকিয়ে বলল-
-মাথাটা খুব ধরেছে।আমাকে ওষুধ এনে দে ভাই।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে ছন্দা আপুর অবস্থা
স্বাভাবিক।
প্রবন্ধ বলল-
-এক্ষুনি আনছি।অবস্থা সিরিয়াস মনে হলে তোমায়
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
ছন্দা হাত নাড়িয়ে বলল-
-নাহ..ওতো একটা সিরিয়াস না।একটা ট্যাবলেট খেয়ে
নিলেই আমি সুস্থ হয়ে যাবো।
প্রবন্ধ চলে যেতেই ছন্দা আবার ডেকে বলল-
-আমার দুলিকে কি দেখেছিস প্রবন্ধ?
প্রবন্ধ পেছন তাকিয়ে জবাব দিলো-
-হ্যা।উপমার সাথেই আছে।
-কি করছে উপমার সাথে?উপমাকে বিরক্ত করছে না তো!
-নাহ..তুমি তা নিয়ে ভেবো না।নিশ্চিন্তে ঘুম দেও।আমি
ট্যাবলেট নিয়ে আসছি।
.
.
উপমা দুলিকে নিয়েই খেলা করে গেল।দুলির ভাঙা ভাঙা
কথাগুলো ওর শুনতে ভালোই লাগে।মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে
হয়,দুলির মতো একটা পুতুল মেয়ে যদি ওর কাছে
সারাক্ষণ থাকতো!
.
.
প্রবন্ধ ট্যাবলেট এর পাতা কিনে নিয়ে এলো।ছন্দাকে
দিয়েই সে রুমে চলে আসলো।উপমা ততোক্ষনে খোলা
চুল গুলো বিছিয়ে বিছানায় বসে ওপাশ ফিরে আপন মনে
কি যেন করছে।পেছন থেকে ওর ঘন চুলোগুলো ছাড়া আর
কিছুই দেখা যাচ্ছে।প্রবন্ধ ধীরে ধীরে পা ফেলে সামনে
যেতে লাগলো।উপমা এতো মনোযোগ দিয়ে যা করে
যাচ্ছে তা সে দেখবেই।কিন্তু প্রবন্ধর চেষ্টাকে ব্যর্থ
হতে হলো।প্রবন্ধর এইভাবে লুকিয়ে আসাটা উপমা বুঝে
ফেলেছে।হাতের পেছনে কিছু একটা লুকিয়ে নিয়ে এপাশ
ফিরে প্রবন্ধর দিকে তাকালো।আড় চোখে চেয়ে বলল-
-লুকাইয়া আসতাসেন ক্যান?
ধরা পরে যাওয়ায় মিছে হাসি মুখে নিয়ে প্রবন্ধ বলল-
-নাহ..মানে..মানে..এমনি।
-এমনি?
-হুম।এতো রেগে আছো কেন উপমা, তুমি?একটু হেসে
দেখাও না উপমা...তোমার রাগ কি আর ভাঙবে না.!
উপমা মুখ টিপে মৃদু হেসে নিয়ে আবার কিছুটা স্বাভাবিক
হয়ে প্রবন্ধকে রাগ দেখিয়ে বলল-
-জানি না।
-তোমার এতো রাগ??
উপমা রাগ দেখিয়ে আবার বলল-
-জানি না।
-সবগুলোর উত্তর কেন জানি না দিচ্ছ ?হ্যা বলো/না
বলো/ভালোবাসি বলো/প্রবন্ধ বলো/পরবন্ধ বলো/
প্রবদ্দ বলো..তবুও 'জানি না' শব্দটা আর বলো না।
উপমা এইবার আরও জোর গলায় প্রবন্ধকে বলে গেল-
-জানি না..জানি না..জানি না..জানি..না..
প্রবন্ধ দুই হাতে কান চেপে উপমার কথা থামিয়ে বলল-
-বুঝেছি।বুঝেছি..থামো,,এইবার থামো।
প্রবন্ধর কাণ্ড দেখে উপমা হাসতে হাসতে বলল-
-জানি না..জানি না..জানি না..
প্রবন্ধও হেসে ফেলল।উপমা হাসি থামিয়ে অভিমানী
গলায় বলল-
-আমার কিন্তু রাগ কমে নাই।
-রাগ কমাতে চাইলে কি করতে হবে আমার?
-একটা গান শুনাইতে হবে।
-ওইদিনই তো গেয়ে শুনিয়েছিলাম। এই বেসুরো গলার সুর
তোমার ভালো লাগে?
-এতো কিসু জানি না।আপনে রাগ কমানোর উপায়
জানতে চাইসেন আর আমি বলসি।
-আচ্ছা..ঠিকাছে।
প্রবন্ধ গাইলো-
"শুধু গান গেয়ে পরিচয়..চলার পথে
ক্ষনিক দেখা..একি শুধু অভিনয়!!
উপমা গানের মাঝখানে বলল-
-থামেন..এইটা না।আরেকটা গান..
-কেন?ভালো লাগে নি?
-নাহ..
-আচ্ছা..ঠিকাছে। আরেকটাই গাইছি।
প্রবন্ধ আবার গাইলো-
"একদিন স্বপ্নের দিন বেদনার বর্ণ বিহীন..এ জীবনে
যেন আসে এমনি স্বপ্নের দিন..
-নাহ..ভাল্লাগে নাই।
-সে কি..ভালো লাগে নি?
-নাহ..
-আরেকটা গাইবো..?
-হুম।
প্রবন্ধ গাইলো-
"ভালোবাসি ভালোবাসি , এই সুরে কাছে দূরে..জলে
স্থলে বাজায়, বাজায় বাঁশি.... ভালোবাসি , ভালো
বাসি..."
উপমা এইবার স্থির হয়ে বসলো আর বাকরুদ্ধ হয়ে শুনে
গেল প্রবন্ধর গান।প্রবন্ধ গান গাচ্ছে।এই ফাঁকে উপমা
পেছনে লুকিয়ে রাখা জিনিসটা বের করলো যা সে
এতোক্ষণ প্রবন্ধর আড়াল করে রেখেছিল।
প্রবন্ধ গানের শেষ লাইনটা গেয়ে যেতেই দেখলো উপমা
একটা পাঞ্জাবী হাতের পেছন থেকে বের করেছে।প্রবন্ধ
সাথে সাথে গান থামিয়ে দিলো।
উপমা বলল-
-এইটা আপনার জইন্য।
পাঞ্জাবির গলার জায়গাটুকু সুই সুতো দিয়ে সুন্দর
কারুকার্য করা।নিখুঁত সেলাইয়ে উপমা কারুকার্য করেছে।
প্রবন্ধ কিছুটা অবাক হলো।এর মানে উপমা তখন
লুকিয়ে লুকিয়ে পাঞ্জাবীটাই ঠিকঠাক করে যাচ্ছিল।
প্রবন্ধ খুশি হয়ে উপমার দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল-
-তোমার হাতে জাদু আছে উপমা।চমৎকার সেলাই
করেছো।আমার খুব পছন্দ হয়েছে উপমা।
ততোক্ষণে উপমার চোখ দুটোতে পানি জমে জ্বল জ্বল
করে উঠলো।এইটা কি খুশির কান্না নাকি ভালোবাসায়
উত্তেজিত মনের বেদনার কান্না!!তা উপমার জানা নেই।
প্রবন্ধ উপমার হাত দুটো ধরে বলল-
-তোমায় কষ্ট দিয়েছিলাম আমি,আর তুমি সেই কষ্টের
বিনিময়ে এই উপহার দিলে!!তুমি কিভাবে পারো উপমা
আমায় এতোটা কেয়ার করতে,এতো ভালোবাসতে!!
উপমা কোনো কথা বললো না।শুধু তাকিয়ে রইলো
প্রবন্ধর চোখে।
প্রবন্ধ উপমাকে বুকে জড়িয়ে নিলো।উপমা এইবার বাধা
দিলো।যেন কষ্টের সব ঝাড়,তুফান থেমে গিয়ে
ভালোবাসায় আবারও মিশে গেল সেই মন,প্রাণ আত্মা।
প্রবন্ধ বলল-
-পাঞ্জাবীর এক একটা সেলাই তোমার নরম হাতের
ভালোবাসার সূচ দিয়ে গাথা। যদি নষ্ট হয়ে যায়..তখন
আমি কি করবো!আচ্ছা..নষ্ট হওয়ার ভয়ে যদি কৃপনতা
নিয়ে পরি তুমি কি তাহলে রাগ করবে উপমা?
উপমা একটু হেসে নিয়ে বলল-
-একটা না।হাজার হাজারটা বানাইয়া দিবো আপনারে।
অনেক ভালোবাসি আপনারে।অনেক।
কিছুক্ষণ নীরবতায় নিজেদেরকে ঘিরে রইলো দুজন।
কিছুক্ষণ পর উপমা বলল-
-আমি একটা গান গাই?
-এইটা কি আবার জিজ্ঞেস করতে হয়..বোকা?
উপমা গাইলো-
"আমারও পরান ও যাহা চায়..
তুমি তাই , তুমি তাই গো..
আমারও পরানও যাহা চায়..
তোমা ছাড়া আর এ জগতে..
মোর কেহ নাই,কিছু নাই গো..
আমারও পরানও যাহা চায়.
তুমি সুখ ও যদি নাহি পাও..
যাও সুখের ও সন্ধানে যাও …
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়ও মাঝে..
আরও কিছু নাহি চাই গো ও..
প্রবন্ধ বলল-
-তোমাকে পেয়ে আমারও কি কিছু চাওয়ার আছে তুমি-ই
বলো উপমা...
উপমা একটু হেসে নিয়ে আবারও গেয়ে গেলো -
"আমার ও পরান ও যাহা চায়....
তুমি তাই তুমি তাই গো....
আমারও পরানো যাহা চায়..."
চলবে..
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ