āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

676

"".মায়া.""
.
(বাস্তবতা ও কল্পনার সংমিশ্রনে
রচিত)
.
১..
হোস্টেলে প্রথম যেদিন খাবার নষ্ট
করেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছে সেদিন টা
ছিল হোস্টেলে ওঠার অষ্টম দিন।
রাতে খাবার নষ্ট করেছিলাম।
খাবার ফেলার জায়গাটা ছিল
বারান্দার একপাশে।
সাত তলা হোস্টেলের দোতলায়
থাকতাম। হোস্টেল হলেও ফ্ল্যাট এর মতই
আমরা থাকতাম। একটা ইউনিট জুড়ে শুধু
আমরা আট বন্ধু থাকতাম।
বারান্দাটা হোস্টেল বিল্ডিংয়ের
যে পাশে, সেই পাশেই দশতলা
আরেকটা বিল্ডিং রয়েছে।
একেবারে সামনাসামনি দাড়ানো।
নিচতলা ছিল পার্কিং প্লেস আর
গোডাউন, আর বাকিটা পুরোটাই ছিল
এপার্টমেন্ট।
আটদিনে এতটুকুই জেনেছি। কিন্তু অষ্টম
দিনের রাতে যা জেনেছিলাম তা
একটু ভিন্ন। জেনেছি বলতে স্বচক্ষে
দেখেছি।
ঐ বিল্ডিংয়ের দোতলায় কে বা
কারা থাকতো তা জানিনা, তবে
ফ্যামেলী থাকতো এ ব্যাপারে শিউর।
আমাদের ইউনিট থেকে দরজা দিয়ে
বের হলেই নাক বরাবর ঐ বিল্ডিংয়ের
জানালা।
খাবার ফেলতে গিয়ে দেখেছিলাম,
একটা মেয়ে জানালার পাশে বসে
লেখাপড়া করছিল। জানালার এটা
পাল্লা ঈষত্ ফাঁকা। মুখটা হালকা
দেখা যাচ্ছিলো। একটু তাকিয়েই
চোখ ফিরিয়ে নিলাম এই ভেবে,
"পড়তে এসে ইজ্জত নিয়ে টানাটানি।"
ঘটনা তোয়াক্কা না করেই খাবারটা
নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে চলে এলাম।
এরপর থেকে কলেজ যাওয়া আর আসার
পথে মাঝে মাঝেই দেখতাম
জানালার পাশে বসে পড়তো।
কখনোও পুরো মুখটা দেখা হয়নি।
এভাবেই চলছিল। কাটছিল দিনকাল।
সর্বপ্রথম যেদিন ওর মুখটা ভালোভাবে
দেখেছিলাম, স্পষ্ট মনে আছে একমাস
না কিন্তু ত্রিশতম দিনে।
কলেজ যাবার জন্য বের হয় দরজা
লাগিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছি, হঠাত্
চোখে চোখ পড়ে গেল।
সুন্দরী কিনা তা বলতে পারলেও
বলবো না, কিন্তু যেটা বলবো তা হলো
যে আমার মন যেমনটা চায় ঠিক
তেমনটা।
ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে ভেবে দ্রুত
হাঁটলাম।
এরপর থেকে দৈনিক রাতে খাবার নষ্ট
করা হয়ে গেল আমার রুটিনেরই অংশ।
.
প্রয়োজন ছাড়া বাইরে খুব কম বের হতাম
বলে দেখার সুযোগটাও ছিল খুব কম।
তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছিলাম,
আমাদের সিড়ি দিয়ে কারো নামার
আওয়াজ পেলেই জানালা টা খুলে
উকি মেরে দেখতো। অন্য বেলায়
জানালাটা সাথে সাথে লাগিয়ে
দিত এটা আমার বক্তব্যের মুখ্য বিষয় না,
বরং আমার বেলায় যে জানালাটা
লাগাতো না, এজন্য একটু খটকা লাগে।
সম্ভবত এক ইয়ারের জুনিয়র ছিল, এটা
প্রথম ছিল ধারনা। পরে যখন শিউর হলাম
তখন জানলাম দুই ইয়ার জুনিয়র।
একই কলেজের গার্লস ক্যাম্পাসের স্কুল
শাখার স্টুডেন্ট।
.
আমাদের হোস্টেল থেকে চার মিনিট
হাঁটলে প্রধান সড়ক।
জ্যাম এ রাস্তার বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে
অন্যতম। তবে চলমান জ্যাম হওয়ায়
রাস্তা পার হওয়ার জন্য দেরী করতে
হতো স্থায়ী জ্যামের।
অতিরিক্ত সাহসীরা ছাড়া ঐ অবস্থায়
পার হওয়ার মত দুঃসাহস কেউ করতে
পারতো না।
অনেকে অফিসের তাড়া থাকায়
অনিচ্ছা সত্বেও সাহসিকতার পরিচয়
দিত। কেউ বিজয়ী হয়ে চলতো সামনে
আর কারো পরাজয় তাকে টেনে
আনতো পেছনে।
এমনই একদিন রাস্তা পার হবো বলে
দাড়িয়ে আছি। যেহেতু আমি সাহসী
না সেহেতু দাড়িয়ে ঐ দৃশ্য অবলোকন
ব্যাতীত অন্য কোন পন্থা আমার জানা
নেই।
শত গাড়ির বিকট হর্ন আর জনকোলাহলের
মাঝেও কানে এলো,
রাস্তাটা একটু পার করে দেবেন। দেড়
যুগোর্ধ বয়সের অভিজ্ঞতা বলে এটা
নিঃসন্দেহে মেয়ে মানুষের কন্ঠস্বর।
আর দুরত্বের ব্যাপারে বলছিল, খুব বেশি
দুরে নয়।
এধরনের বাক্য ঢাকা শহরে অহরহ কানে
আসে বলে পাত্তা না দিয়ে পার
হবার সুযোগ খুজছি।
দ্বিতীয়বার বাক্যটি শোনার পর জোর
করেই একবার পেছনে তাকালাম।
আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারন থাকা
সত্বেও আঁতকে না উঠে বরং
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।
প্রতিদিন জানালায় দেখা নাম না
জানা, চেনা সেই মেয়েটা। আমার
দিকেই তাকিয়ে আছে।
দ্রুত ফিরে তাকালাম।
অল্পসময়ের ব্যাবধানে যখন তৃতীয়বারের
মত বাক্যটি কানে এলো তখন বুঝতে আর
বাকি রইলোনা যে ওটা আমার
উদ্দেশ্যেই বলা।
না তাকিয়ে শুধু ঘাড়টা ঘুরিয়ে
বললাম, "আমি যখন যাবো তখন আমার
পিছে পিছে হাঁটবেন।"
বলেই ঘাড়টা সোজা করে নিলাম।
মেয়েটা হু বললো নাকি ঘাড় নাড়লো
নাকি দুটোই করলো নাকি কোনোটাই
করলোনা তা দেখার সাহস হলোনা।
কিছুক্ষনের মধ্যেই সুযোগ বুঝে হাঁটা
দিলাম। অর্ধেকখানি গিয়ে পেছনে
তাকিয়ে দেখি ওনার খবর নেই। চোখে
এদিক ওদিক করতেই দেখি দৌড়ে
যথাবৃত্ত তথাকার।
মাঝ থেকে ফিরে গেছে ওপারেই।
অনিচ্ছা সত্বেও আমিও ফিরে গেলাম।
কাছাকাছি গিয়ে জিজ্ঞাসা
করলাম, পালালেন কেন।
জবাবে বললো, ভয় পাই।
বললাম, তাহলে রাস্তা পার হওয়ার
প্রয়োজন নেই।
তড়িঘড়ি করে বললো, না না প্লিজ।
এভাবে বলবেন না। আপনার হাত ধরে
পার হই প্লিজ।
অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম কিছু
বলবো বলে। ওর চোখ মুখ জুড়ে আকুতি
মিনতি দেখতে পেলাম। ওর চোখমুখ
দেখে আর বলতে কিছু বলতে পারলাম
না। চুপ থাকা মৌন সম্মতির লক্ষন ভেবে
সাথে সাথে হাতটি লুফে নিল।
রাস্তাঘাট বলে কথা। মনের মানুষ
হলেও একটু অস্বস্তি লাগছিল।
আর দেরি না করে সুযোগ বুঝে দ্রুত
রাস্তা পার হলাম।
ওপারে গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম,
প্রতিদিনই কারো না কারো হাত ধরে
পার হন?
ভেংচি কেটে জবাব দিল, আমি একাই
পার হতে পারি।
আমি অবাক হয়ে বললাম, তাহলে এসবের
মানে কি!
ও বললো, আসলে আমার ফ্রেন্ডরা
বলেছিল কোনো মেয়ে নাকি আপনার
হাত ধরতে পারবেনা, তাই দেখিয়ে
দিলাম যে আমি পারি।
বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করলাম, ওরা
আমাকে কিভাবে চেনে?
উত্তর দিল প্রশ্নাকারে। বললো, আপনি
লেখালেখি করেন না!
আমি বললাম, আজ্ঞে না।
ও ন্যাকামুর সুরে বললো, জ্বি না। আমি
জানি আপনি লেখালেখি করেন।
আপনার অনেক লেখা আমি পড়েছি।
ওরাও পড়েছে, এভাবেই চেনে।
ধমকের সুরে বললাম, জানেনই যখন,
তাহলে জিজ্ঞাসা করার কি আছে!
তবে কাজটা একদমই ঠিক হলোনা।
কিছুক্ষন আর কিছু বললোনা।
খানিকক্ষন পর কাচুমাচু হয়ে বললো, এর
পর থেকে দেখা হলে তুমি করে বলবেন
প্লিজ। আমার নাম আদিবা। নাম ধরেও
ডাকতে পারেন।
আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে আসি
বলে বাম দিকে মোড় নিয়ে চলে
গেল।
.
এতক্ষন হাঁটতে হাঁটতে কথা হচ্ছিলো।
রাস্তা পার হবার পর উপলব্ধি করলাম
দুজনের গন্তব্য একই দিকে। হয়তো ও ওর
গন্তব্যে পৌছে গেছে অথবা এই
রাস্তায় আছে। তাই চলে গেল। আমিও
হাঁটছিলাম আমার গন্তব্যের দিকে।
হাঁটছিলাম আর ভাবছিলাম আদিবার
কথা।
ও এরকমটা করলো কেন! এর পেছনের
কারনটা কি! তাহলে কি রিয়েকশন
পজেটিভ? ভেবে একটু হাসলাম।
রাস্তাটা পার হওয়ার আগে ওর
চেহারায় যে একটা আকুতির ছাপ
দেখেছিলাম, তা দেখে বোঝার
উপায় ছিলনা যে এরকমটা ঘটতে পারে।
এর মাধ্যেমে জীবনে দুটো জিনিস
শিখেছি। শিখেছি বলতে প্রমান
পেয়েছি, একঃ নারীরা অভিনয়
ভালো পারে।
আর দ্বিতীয়টা সময় এলে বলবো।
ভাবনার ঘোর কাটলো জীপ এর হর্ন এ।
ঘুরে তাকাবার আগেই ধাক্কা। তারপর
আর কিছু মনে নেই।
.
২..
নিজেকে আবিষ্কার করলাম নিজের
রুমে। রুমে আর কেউ নেই। এদিক ওদিক
তাকতেই দেখি জুস হাতে বন্ধু
মাহিনের আগমন।
উঠার চেষ্টা করতেই টের পেলাম বাম
পায়ে খানিকটা ব্যাথা।
পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি
ছোটখাটো একটা ব্যান্ডেজ।
পরে বন্ধু মাহিন আর শুভর কাছে
জেনেছি, জীপের ধাক্কায় একটু চোট
পেয়েছিলাম।
চোট টা খুবেকটা জোরে না হওয়ায়
বেঁচে গিয়েছিলাম।
একদিন কেটে গেছে।
মোটামুটি সেরে উঠতে সাতদিন
লাগবে। আর এ কয়েকদিন সম্পূর্ন বিশ্রাম
থাকতে বলেছে ডাক্তার।
খুবই কষ্টে সাত টা দিন রুমে কাটলো।
অষ্টম দিনে যখন প্রথম রুম থেকে বের হই
তখন একটু খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিলাম।
যদিও ব্যাথা নেই, তবুও।
ভাবছিলাম, সাতদিনেই কি
স্বাভাবিক হাঁটা ভুলে গেলাম
নাকি।
কিছুক্ষনের মধ্যে আমার হাঁটার মঝে
স্বাভাবিকতা ফিরে এলো।
বাইরে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে বের
হলাম।
অনেকদিন দেখা সাক্ষাত হয়না।
ভাবলাম এই সুযোগে একবার দেখা হলে
মন্দ হয়না।
.
কলেজ যাইনা কিছুদিন হলো।
এক্সিডেন্টের পর মোটামুটি পনের দিন
তো হবেই।
সেই প্রথম শুভদৃষ্টি হওয়া থেকে গুনলে
এক মাস কেটে গেছে।
এর মাঝে ঐদিন রাস্তা পারের ঘটনা
ছাড়া তেমন আর কিছুই ঘটেনি।
মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম
যে যত দ্রুত সম্ভব মনের কথাটা বলে
দিতেই হবে। তবে প্রস্তুতি ওটার বদলে
যে অন্যটা নিতে হবে তা ভাবিনি।
দুইটা জিনিস শিখেছিলাম তার
মাঝে একটা তো বলেছি আরেকটা
বলার কথা ছিল, সেটা হলো "সবসময়
ভাবনা আর বাস্তবতাটা পুরোপুরি
মেলেনা। আর কখনোও কখনোও এতটুকুও
না।"
.
সেদিন কলেজ থেকে ফিরছিলাম।
রাস্তায় কার নাম কি, কে কাকে
ডাকে বোঝা কঠিন।
কেউ একজন রেহান ভাইয়া বলে বলে
পেছন থেকে ডাকছিল।
এ নামে অন্য কেউ থাকতেই পারে বলে
পেছনে তাকাইনি।
খানিক পরে এক প্রকার দৌড়ে এসেই
সামনে দাড়ালো আদিবা।
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাড়িয়ে
গেলাম। ও বললো, বয়রা হয়ে গেছেন
নাকি?
আমি বললাম, ঠিকই আছি।
আদিবা বললো, তাহলে এতক্ষন যে
ডাকছি, একবারও কি শোনেননি!
আমাকে কিছু বলতে না দিয়ে ও আবার
বলতে শুরু করলো, আপনার সাথে কিছু
কথা ছিল।
আমি বললাম, হ্যা বলো।
ও মাথাটা একটু নিচু করে এক হাত
দিয়ে আরেক হাতের আঙ্গুল মটকাতে
মটকাতে লাজুক ভঙ্গিতে বললো, এখন
তো কলেজ থেকে ফিরছেন, ক্লান্ত
হয়ে আছেন।
যদি বিকেলে একটু কষ্ট করে ছাদে
আসতেন।
আমি বললাম, আমারও তোমার সাথে
কিছু কথা ছিল।
আচ্ছা ঠিক আছে, আসবো।
কিছু না বলে মুচকি একটা লাজুক হাসি
দিয়ে দ্রুত চলে গেল আদিবা।
.
আমিও তারাতারি হোস্টেলে চলে
গেলাম। চোখে শুধু ভাসছিল সে প্রথম
দিনে দেখা একজোড়া মায়াবী
চোখ। আর মনে মনে ভাবছিলাম নিসঙ্গ
জীবনে এবার হয়তো একটা সাথী
পেয়েই গেলাম।
রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ না করেই গা
টা বিছানায় এলিয়ে দিলাম।
এতটুকুই মনে আছে।
জেগে উঠলাম বন্ধু শুভর ডাকে।
ঘড়িতে দেখি সাড়ে পাঁচটা ছুই ছুই।
দুপুরে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তা
টেরই পাইনি।
তারাতারি উঠে ড্রেস চেঞ্জ করে
ফ্রেশ হয় বের হচ্ছিলাম।
দুপুরে যে খাইনি তা ভুলেই
গিয়েছিলাম। শুভর জোরাজুরিতে কিছু
একটা মুখে দিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।
.
ছাদে গিয়ে দেখি সাধারন সাজে
শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে আদিবা।
হাল্কা বাতাসে ওর খোলা পাতলা
চুলগুলো উড়ছিলো।
আসার সময় মনে করে একটা গোলাপ ফুল
কিনে এসেছি।
ওকে প্রপোজ করার পর ওর খোঁপায় দিব
বলে। অন্যরকম ভাবনা ছিল।
কিন্তু চুলগুলো খোলা।
ফুলটা হাতে রেখে হাতটা পেছনে
লুকিয়ে কাছে গেলাম।
আদিবা আমাকে দেখেই লজ্জায়
মাথা নিচু করে বলতে শুরু করলো,
আসলে যে কথাগুলো বলবো তা
আপনাকে বলা ঠিক হচ্ছে কিনা
জানিনা।
আমি বললাম, সমস্যা নেই বলো।
ও আবার বললো,
আসলে আপনার বন্ধু হৃদয়কে আমি খুব পছন্দ
করি। এক কথা ভালোবেসে ফেলেছি।
আপনি আমাদের উপকার টা করেন না
ভাইয়া।
যেন একটা ধাক্কা খেলাম। ফুলটা
পেছনেই টি শার্টের ভেতরে লুকিয়ে
রাখলাম। গোলাপের কাঁটায় আচড়
লেগে কিছুটা রক্তক্ষরন হয়ছিল। কিন্তু
মনের রক্তক্ষরনের কাছে অতি নগন্য মনে
হচ্ছিলো।
আমি হাসিমুখে বললাম, আরে কোনো
ব্যাপার না। এই নাও ওর ফোন নাম্বার।
আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে।
বলে হৃদয়ের ফোন নাম্বারটা ওকে
দিলাম।
ও বললো, ভাইয়া আপনি কি যেন বলবেন
বলেছিলেন!
আমি কষ্টচাপা একটা মুচকি হাসি
দিয়ে বললাম, আরে তেমন কিছু না
এমনিই।
আর হ্যা যেটা বললাম। কিছু হলে
আমাকে বলবে।
ও বললো, ঠিক আছে ভাইয়া। অনেক
ধন্যবাদ।
.
ছাদ থেকে চলে এলাম।
সপ্তাহ খানেকের ব্যাবধানে
হোস্টেলটাও ছেড়ে দিয়েছিলাম।
ঐ এলাকাতেই আর থাকিনি।
মাঝে মাঝে যাওয়া হতো কিন্তু
দেখা হতোনা কখনোও।
হৃদয়ের সাথে ওর রিলেশন কেমন চললো
বা চলছিল তা আর জানা হয়নি। শুধু
এতটুকু জেনেছিলাম যে ওরা বাসা বদল
করে চলে গেছে। নতুন বাসার
ঠিকানাটাও পাইনি।
.
ছয়টা বছর কেটে গেছে। লেখাপড়া
শেষ করেছি। এখন চাকরির তাগিদে
ঘুরে বেড়াই। হয়তো আদিবাকে কখনোও
খুজি না কিন্তু নিজের অজান্তেই যদি
কখনো মনে পড় তবে বুকের বাম পাঁজরে
ব্যাথাটা ঠিকই জেগে ওঠে।
.
বুঝতে পারি, কেটে গেছে অনেক দিন,
বদলে গেছে কত কিছু। কিন্তু আদিবার
জন্য যে মায়াটা এই মনে জন্মেছিল
তা এখনও শেষ হয়নি।
আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও সংশয়
আছে।
.
লিখেছেনঃ Hasan Nayeem (সাহিত্য
মামা)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ