āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{15}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part-15
.
বাহিরে খুব ঠান্ডা পরেছে।বিকেলবেলা
র কুয়াশাতে চারিদিক আচ্ছন্ন।চিঠিতে
লেখা ছিল ঠাণ্ডা পরলে যেন চাদরটা
গায়ে জড়িয়ে নেয় উপমা।উপমা তা-ই
করলো।চিঠির প্রতিটা লাইন তার মনে
আছে।এই পর্যন্ত কতো বার যে পড়ে
ফেলেছে তার হিসেব নেই।পুরো
চিঠিটা যদি ওকে না দেখে বলতে
দেওয়া হয় তবে পটাপট করে রেডিওর
মতো বলে যেতে পারবে।
উপমা রুমে বসে আছে।চোখে কাজল
থাকা সত্তেও আরও কাজল ঘষে গাড় করে
নিলো।কারন প্রবন্ধ তো ওকে এই কাজল
কালো চোখেই দেখতে চায়।
কিন্তু এখন এই সময়টা কিভাবে কাটানো
যায়!!ওহ.. হ্যা..চিঠিতে তো লেখা ছিল
একাকী বসে না থাকার কথা আর যদি গল্প
করতে ইচ্ছে হয় তাহলে চম্পার সাথে গল্প
করে কাটিয়ে নেওয়ার কথা।
ভালোবাসার অক্ষরে লেখা চিঠির
প্রতিটা কথা কি আর অগ্রাহ্য করা যায়!!
উপমা তা-ই করলো।মাথায় ঘোমটা লম্বা
করে টেনে চাদরটা ভালোভাবে গায়ে
জড়িয়ে নিয়ে উপমা চম্পার রুমে চলল।
.
.
চম্পা ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে।কতো যে
অপেক্ষায় ছিল সে এই দিনটির জন্য।
ব্যাগে কাপড়চোপড়গুলোর ভাজের সাথে
একটি কুঁচকানো ফটোগ্রাফও আছে।এই
ফটোগ্রাফটি তার প্রেমময় পুরুষের।তিন
মাস আগে একবার যাওয়া হয়েছিল গ্রামে
তখন এই ফটোগ্রাফটি সে স্মৃতিস্বরূপ নিয়ে
এসেছে।ব্যাগের ভেতর একটি ওড়নার
ভাজে লুকিয়ে রাখা এই ফটোগ্রাফটি
প্রতিদিন এক বার দুই বার করে দেখা হয়ে
থাকে তার।
উপমা রুমে ঢুকতেই ফটোগ্রাফটাকে চট
করে ওড়নার ভাজে লুকিয়ে নিলো সে।
ভেবেছিল ছন্দা আপু কিংবা আম্মা
এসেছেন।
উপমা এসে দেখলো চম্পা গ্রামে যাওয়ার
সব প্রস্তুতি করে নিচ্ছে।ব্যাগের
কাপড়্গুলো চৌকিতে
আগোছালোভাবে ছড়ানো ছিটানো।
সেইগুলোকে একে একে ভাজ করে চম্পা
ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে।চম্পা ওকে আসতে
দেখে নিজে একটু সড়ে বসে উপমাকে ওর
পাশে বসার জায়গা দিয়ে বলল-
-এইহানে বসো উপমা।
উপমা বসলো।
চম্পা বলল-
-তিন মাস পর গেরামে যামু।কি যে
ভাল্লাগতাসে উপমা..
উপমা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল-
-আর আমি যদি তোমার জায়গায় থাকতাম
তাইলে হয়তো আমি একদিনও থাকতে
পারতাম না..
চম্পা অসহায়ের চোখ তুলে বলল-
-সবাই কি ইচ্ছা কইরা নিজের
আপনজনগুলারে ফালাইয়া রাইখা আসতে
চায়!!
-তাইলে তুমার এইদিকে আসা হইসিলো
ক্যামনে?
-অনেক কথা..শুনবা তুমি?
উপমা আগ্রহ ভরা চোখ নিয়ে বলল-
-হুম।তুমি কও চম্পা।
-আমার মাও মাইনষের বাড়ি গিয়া কাম
করে আর বাবা কিসুই করে না।মদ খাইয়া
পইরা থাকে।আমরা পাঁচ ভাইবোন। মা
একলা সামলাইতে পারে না।আর তাই মাও
চাইতো আমি তার সাথে কাজ কইরা ঘরের
আয়টা একটু বাড়াই।কিন্তু আমি কাজ করতে
চাইসি,কখনো ভাবি নাই যে কাজ করতে
আইসা আমারে এতো দূর সবাইরে
ফালাইয়া রাইখা চইলা আসতে হইবো।মা
যেই বাসায় কাজ করতো ওই বাড়ির
মালিকের বউ এইহানে আসবার ঠিকানা
দিলো।আর আমি বাধ্য হইয়া আসলাম।কেউ
কি এইভাবে থাকতে চায়!!অভাব সবাইরে
দূরে নিয়া আসে।আর তোমারে তো
বললাম-ই আমি একজনরে গেরামে রাইখা
আসছি।আমার তারে খুব পসন্দ।সেও আমারে
খুব পসন্দ করে।অনেক দেখবার মন চায়
তারে।
চম্পার চোখে বিন্দু বিন্দু পানি জমে
গেছে।আর উপমা এতোক্ষন চুপচাপ চম্পার
বেদনাদায়ক কথাগুলো শুনে যাচ্ছিল।
উপমা বলল-
-থাক..এখন আর মন খারাপ কইরো না।
চম্পা বলল -
-জানো..উপমা..আমি প্রথম যেইদিন
এইহানে আসবার আগে তারে বিদায়
দেওয়ার জন্য তার বাড়ি গেসিলাম ওইদিন
তার লগে আমার দেখা হয় নাই।ওইবার
এইহানে আইসা অনেক কানসিলাম।মনটা
অনেক টানতো।এরপর ছয়মাস পর ছুটি পাইয়া
গেরামে গেলাম।এরপর দেখা হইলো তার
সাথে।শেষবার যেইদিন গেরাম থেইকা
আসসিলাম ওইদিন লগে কইরা তার একটা
ছবি নিয়া আসসি।দেখবা তুমি!
উপমা আগ্রহ নিয়ে বলল-
-হুম।দেখুম।
চম্পা ওড়নার ভাজে লুকিয়ে রাখা
ফটোগ্রাফিটা বের করলো।আর উপমাকে
দেখিয়ে বলল-
-এইডা তার ছবি। নাম আদিব।আমি আদিব
ভাই বইলা ডাকি।
চম্পা সামান্য হেসে নিয়ে বলল-
-বয়সে একটু বড় তো।
উপমা আর কিছু বলল না।মুগ্ধ হয়ে দেখে
গেলো ওর চোখে ভেসে আসা আনন্দ।
কতোটা অধীর হয়ে বসে আছে সে।
গ্রামে ফিরে গিয়ে পরিচিত মানুষগুলোর
সঙ্গ পেতে।আর তার প্রিয় মানুষটির কাছে
যেতে।
এমন সময় ছন্দাও এলো চম্পার রুমে।হাতে
দুটো নারকেল,পলিথিনে কিছু বাসমতী
চাউল,সরিষা,ডালের বড়ি নিয়ে এলো
চম্পাকে দিতে।চম্পার সাথে উপমাকে
বসে থাকতে দেখে সেও বসলো ওদের
সাথে।আর হাতে করে নিয়ে আসা সবকিছু
চম্পাকে দিয়ে বলল-
-যাওয়ার সময় এইগুলো সাথে করে নিয়ে
যাবি।
চম্পা অবাক হয়ে বলল-
-এতো কিসু..!আপা..!
-হুম।তোর জন্য।
ছন্দা হাতের মুঠোয় করে আরেকটি
জিনিস নিয়ে এসেছে।টিস্যুতে
পেচিয়ে রাখা স্বর্নের এক জোড়া
কানের দুল চম্পাকে দিয়ে বলল-
-এইটা তোর জন্য।তোর বিয়ে উপলক্ষে
আমার পক্ষ থেকে ছোট একটি গিফট।
চম্পা আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল-
-না আপা...আমি এইটা নিতে পারমু না।
-বেশী কথা বলিস না।অনেকদিন পর
গ্রামে যাচ্ছিস..এতোদিন খুব নিষ্ঠার
সাথে কাজ করে এসেছিস।এইগুলো হচ্ছে
তোর বকশিশ।
উপমাও চম্পার দিকে তাকিয়ে বলল-
-রাখো বইন...
চম্পা খুশি মনে সবার দিকে এক নজর
তাকিয়ে নিলো।
.
.
সন্ধ্যে হয়ে এসেছে।আকাশে নিভু নিভু
আলো।এই আলো নিভে আসবে রাতের
আধার।কিন্তু আধার তো চলেই আসছে,
প্রবন্ধ আসবে কখন ?
প্রবন্ধর অপেক্ষা এই মনকে দু:খের সাগরে
ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু উপমা যে
দু:খের সাগরে ভাসতে চাইছে না,চাইছে
প্রবন্ধর প্রেমে ডুবিয়ে রাখা সাগর।
উপমা আলমারি খুলে নিলো।প্রবন্ধর
শার্টগুলো রেকে ঝুলানো।কাল যেমন
জ্যাকেটে প্রবন্ধর পারফিউম মাখানো
সুগন্ধিতে উপমার অনুভবশক্তিকে জাগিয়ে
তুলেছিল,আজও সেই সুগন্ধিতে মন জুড়িয়ে
নিতে ইচ্ছে হচ্ছে ওর।কাল প্রবন্ধর পরে
থাকা শার্টটা আলমারি থেকে বের করে
নিলো সে।শার্টটা হাতে নিয়ে
বিছানায় গিয়ে বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে
বসে পরলো।আর শার্টটা মুখের সামনে
এনে সুগন্ধি মাখানো সেই ঘ্রাণ নিয়ে
গেল।মনে হচ্ছে এই শার্ট পরেই প্রবন্ধ ওর
পাশে বসে আছে আর উপমা ওকে জড়িয়ে
ধরে ওর বুকে মাথা রেখে বসে আছে।
শার্টটা হাতে নিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে
পরলো সে।আর পারফিউমের সুগন্ধিতে
অনুভব করে গেল প্রবন্ধকে।মনে হচ্ছে
প্রবন্ধর নিশ্বাসটাও কানে ভেসে আসছে।
এই অনুভাবতা যে পাগল করার
মতো..অনুভূতিপ্রবণ হয়ে আজ এই কল্পনায়
পাগল হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।এই কল্পনায়
আছে প্রবন্ধ আর প্রবন্ধর ভালোবাসা।প্রবন্
ধর শার্টটা দুই হাতে আঁকড়ে ধরে জড়িয়ে
শুয়ে রইলো উপমা।চোখে শুধু স্বপ্নে
ঘেরা স্বপ্নবালক প্রবন্ধ ভেসে আসছে।
আর এই স্বপ্নের ঘোরে মোহ হয়ে দুই
চোখের পাতা এক হয়ে আসছে।ইহা কি
ঘুমের নেশা নাকি অন্যকিছু!!নাকি এই দুই
চোখ স্বপ্ন দেখার ওজুহাতে জাগিয়ে
রাখা চোখগুলোকে নিভিয়ে স্বপ্নময়
করে তুলতে চাইছে।তাহলে কি প্রবন্ধ এখন
ওই স্বপ্ন হয়েই দেখা দিবে!!!
আজ কি শুধু স্বপ্নেই আদর করে যাবে
উপমাকে!!!স্বপ্ন জাল বিছিয়ে।সেই
জালে উপমা আটকে গিয়েছে।
প্রবন্ধ বলছে "কাছে এসো উপমা.." উপমা
দৌড়ে প্রবন্ধর কাছে আসলো।উপমার
লম্বা আচল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
লম্বা খোলা চুলগুলোও সেই আঁচলের
সাথে খেলা করে যাচ্ছে।উপমার মুখে
ছড়িয়ে থাকা চুলগুলো প্রবন্ধ সড়িয়ে
নিলো।ওর দুই গালে ঠোঁটের আদর বসিয়ে
উপমাকে কাছে টেনে নিলো প্রবন্ধ।
প্রবন্ধ উপমার কানে ফিসফিসে বলল "আমার
ঘুমকুমারী...আমি তোমার কাছেই আছি।
কোনো ভয় নেই তোমার।
উপমা চোখ বন্ধ করে প্রবন্ধর কথা শুনলো।
প্রবন্ধ বলল- "আমার লজ্জাবতী পুতুল
কন্যা..এই দেখো আমি তোমার কতো
কাছে...তুমি এতোক্ষন আমার জন্য
অপেক্ষা করেছো!!আচ্ছা,তুমি কি বসে
কেঁদেছিলে? মন খারাপ করো নি তো!!
চোখ খুলে দেখো..আমি এসে গিয়েছি।
উপমা চোখে খুলল কিন্তু প্রবন্ধ কোথায়!
আশেপাশে নেই!কোথায় গেল!! কই
আপনে....কই গেলেন..."
উপমা ঘুমের ঘোরে কাঁপতে কাঁপতে
জোর গলায় প্রবন্ধকে ডেকে গেল।
.
প্রবন্ধ এইমাত্রই এসে ফ্রেশ হয়ে বসেছে।
সকালে উপমাকে যেমনভাবে ঘুমন্ত
অবস্থায় দেখে গিয়েছিল এখনো
উপমাকে সেইভাবে ঘুমোতে দেখে আর
ডাক দেয় নি।কিন্তু একটু অবাক হয়েছিল ওর
শার্ট জড়িয়ে নিয়ে উপমাকে ঘুমিয়ে
থাকতে দেখে।
উপমা ঘুমের ঘোরে চিৎকার করে উঠতেই
প্রবন্ধ উপমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল-
-কি হয়েছে উপমা!!!
উপমার ঘুম ভাঙলো।এর মানে এতোক্ষন
স্বপ্ন দেখেছিল সে।উপমা উঠে বসে
পরলো।হাতের শার্টটা ঘুমন্ত অবস্থাতেই
খামছে ধরে রেখেছিল এতোক্ষন।প্রবন্ধ
কে হঠাৎ জড়িয়ে ধরে বলল-
-আপনে কিন্তু আমাকে একা ফেইলা চইলা
যাইবেন না।
প্রবন্ধ কিছুই বুঝলো।উপমাকেও সে জড়িয়ে
ধরলো।আর বলল-
-তোমাকে রেখে কোথায় যাবো
পাগলী?
উপমা প্রবন্ধকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে
লাগলো।প্রবন্ধ ওর সেই স্বপ্নের মতোই
উপমার কানে ফিসফিসিয়ে বলল-
-আমার ঘুমকুমারী।আমি তোমার কাছেই
আছি। কোনো ভয় নেই তোমার।
উপমা অবাক হয়ে রইলো।স্বপ্নে প্রবন্ধ যা
বলেছিল এখনো ঠিক তা-ই বলছে।
উপমা আরও শক্ত করে প্রবন্ধ কে আঁকড়ে
ধরে ধীর স্বরে বলল-
-একটা খারাপ স্বপ্ন দেখলাম।আপনে এখন
এইভাবে আমাকে ধইরা থাকবেন। আমি
আপনাকে ছাড়মু না।
প্রবন্ধ হেসে বলল-
-ঠিকাছে,ছেড়ো না।আমিও তোমায়
ছাড়ছি না।আজ সাড়া দিন শুধু তোমাকেই
মনে পরেছে।রাতটুকু তো আমি তোমার
পাশেই থাকবো।তোমার ভয় নেই।
উপমা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।আর জড়িয়ে
পরে রইলো প্রবন্ধর বুকে।এখন আর শার্ট
জড়িয়ে প্রবন্ধর কল্পনায় ভেসে থাকতে
হবে না...এই তো প্রবন্ধ এসে গেছে।
কল্পনাকে ভেদ করে দু:স্বপ্নের অবসান
ঘটিয়ে এসে গেছে উপমার কাছে।
রাত কিন্তু আজ অন্ধকার নয়।জোনাকিরা
আলো ছড়াচ্ছে,আর তারাও তার নিভু নিভু
আলোতে আকাশকে ভরিয়ে রেখেছে।
এই সুন্দর রাতটা যেন আজ খুব সুন্দর হয়ে
উঠেছে ... খুব..
চলবে..
#পলক_হোসেন

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ