"বাঁচাও বাঁচাও..." চিৎকার শুনে উঠে দাড়ালাম। কান খাড়া করে বোঝার চেষ্টা করলাম শব্দটা কোথা থেকে আসছে। বুঝতে পেরে শব্দের উৎসের দিকে ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার বসের মেয়ে দেওয়ালের সাথে সাপটে আছে। ঘটনা জানতে চাওয়ার আগেই মিথী তার পড়ার টেবিলের দিকে দেখিয়ে দিয়ে বলে উঠলো, "তে..তে...লাপোকা"
মেজাজটা আর ঠিক রাখতে পারলাম না। উল্টা মিথীকেই ধমক দিয়ে তার কলমদানিটা ফ্লোরে ফেলে দিলাম। সব স্তব্ধ। মিথীকে দ্বিতীয়বার চেঁচানোর সুযোগ না দিয়েই বাইরে চলে আসলাম।
.
.
আমার অফিসের বসের বাসায় ছয়মাস ধরে নিয়মিত আসছি। কাজ কিছুইনা, উনার মেয়েকে আইসিটি সাবজেক্ট পড়ানো। একদিন এক প্রেজেন্টেশনে আমার অতীতের টিউশনি আর কোচিং করানোর অতীতের কথা বলেই বিপদে পড়েছিলাম। বস কড়া করে আদেশ দিলেন, "রামিম, আমার মেয়েটাকে কিছুদিন আইসিটি পড়াতে হবে, তোমার প্রেজেন্টেশন আমার খুব ভাল লেগেছে, আমার বিশ্বাস তুমি ভাল পড়াতেও পারবে।"
.
আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললাম, "স্যার আগে চাকরী ছিলনা তাই টিউশনি করিয়েছি আর এখন আপনি আবার গরীবি অবস্থায় ফিরে যেতে বলছেন! এটা সম্ভব না স্যার। আমি দুঃখিত।"
.
"রামিম তুমি কি চাও, তোমাকে আমি বরখাস্ত করি?"
.
বসের এই কথাটা শুনে বড় বড় কয়েকটা ঢক গিললাম। বাধ্য ছেলের মত বললাম, "স্যার কোন সময়ে পড়াতে যেতে হবে?"
.
স্যার বললেন, "কাল থেকে যাবে, আর অফিস শেষের দুই ঘন্টা আগেই তোমার ছুটি। "
.
খুশি হবো নাকি মাথার চুল ছিড়বো, সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না। তাই কি আর করার, স্যারের টেবিলে রাখা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে সুন্দর করে ফ্লোরে ছেড়ে দিলাম। ব্যাস সবকিছু নিস্তব্ধ। বস কিছু বলার আগেই রুম থেকে বেরিয়ে এলাম।
.
কলিগরা হাঁ করে তাকিয়ে রইলো। সুন্দরী প্রীতি এসে বললো, "কি হয়েছে? বস কি বললো?"
যা ঘটেছে তাই বললাম। প্রীতি বললো, "স্যারের মেয়ে আমার থেকে অনেক সুন্দরী, যাও পড়াতে যাও, ভালই লাগবে, আশা করি।"
প্রীতি আর আমি খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড। প্রেম না থাকলেও কাছাকাছি কিছু একটা আছে, কিন্তু তাকে নিয়ে প্রেম-ভালবাসা কিংবা ঘর বাঁধার আমার কোনো ইচ্ছে নেই। ইচ্ছে তো হলো আমার মায়ের বান্ধবীর মেয়ে। যার সাথে দুই বছর আগে থেকেই আমার বিয়ের কথা পাকাপাকি হয়ে আছে।
.
.
প্রথম দিয়ে পড়াতে গিয়ে স্যারের মেয়েকে দেখে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। হাত পা অসাড় হয়ে গেলো। মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হলোনা। কুশল বিনিময়ের ভাষাও হারিয়ে ফেললাম। ইচ্ছে আর প্রীতি এই মেয়ের কাছে কিছুই না। এত সুন্দর মেয়ে খুব একটা চোখে পড়েনা, মেকাপের ভারে বিলুপ্ত প্রায়।
.
কয়েকদিনের মধ্যেই মিথীর সাথে ফ্রি হয়ে গেলাম। মেধাবী ছাত্রী, তাই আমার খাটুনীটাও কম। কিন্তু পড়ার চেয়ে বাড়ির মানুষগুলোর নাটক বেশি। যখনই তাদের বাসাতে যাই, সবাই যেনো ঘিরে ধরে খেয়ে ফেলতে চায়, গল্প ছাড়া কিছুই বোঝেনা। আমিও যান্ত্রিক সময়ের মাঝে একটু গল্প করার সুযোগ পাই তাই ভালই লাগে। বসের ওয়াইফকে আন্টি ডাকি। মিথীর ছোট দুই ভাই বোন আবার আমায় আংকেল ডাকে, তবে ইদানীং ভাইয়া ডাকছে। বয়স্ক কেয়ার টেকারটাও আমায় ছাড়া কিছু বোঝেনা। অফিস আগে আমার চারটা পর্যন্ত ছিলো কিন্তু ফাঁদে পরে এখান থেকে সাতটা আটটার দিকে যেতে হয়। তাই রাতের খাবার কোনোদিনও মিস করিনা। আন্টি আমাকে ছেলের মত খাইয়ে শান্তি পান, কিন্তু পরে জেনেছিলাম জামাই মনে করে খাওয়াতেন।
.
.
এমন করেই ছয় মাস পার হয়ে গেলো। স্যালারীও ক্রমাগত বাড়তে থাকলো। তাই ভাড়া বাসা ছেড়ে নতুন একটা বাড়ি কেনার কথা ভাবতে লাগলাম। কিন্তু বস আমাকে না করে দিলেন। তিনি নাকি আমার জন্য খুব ভাল একটা বাড়ি দেখেছেন, বুকিংও দেওয়া হয়ে গেছে। চাইলে একমাসের মধ্যে নতুন বাড়িতে উঠতে পারি, তবে বিয়েটা সেরে ফেলে।
.
আমি আকাশ থেকে না পরে পাতাল থেকে উঠলাম। বললাম, "স্যার কিছু বুঝলাম না!"
.
মিথীর মা মানে আন্টি এসে বললো, "বাবা রামিম, মিথীকে আমরা তোমার হাতে তুলে দিতে চাই, তোমার মত ভাল ছেলে এখনকার যুগে পাওয়া খুবই মুশকিল।"
বস তালে তাল মিলিয়ে বললেন, "তুমিই পারো আমার মেয়েকে সুখে রাখতে।"
.
এসব কথা শুনে আমি বরাবরের মত ভাষা হারিয়ে ফেললাম। খুশি হবো নাকি মাথার চুল ছিঁড়বো বুঝতে পারলাম না। তাই টিভির পাশে রাখা ফুলদানিটা হাতে নিয়ে সুন্দর করে ফ্লোরে ছেড়ে দিলাম। ব্যস, সব স্তব্ধ। কাউকে কিছু বলতে দেওয়ার আগেই বাসার বাইরে বের হয়ে এলাম।
.
রাতের খাবারটা আজ খাওয়াই হয়নি এসবের কারণে। খিদা নিয়েই শুয়ে পড়লাম। ভাবতে লাগলাম অফিসে ঘটে যাওয়া সকালের কথা। প্রীতির কান্নাকাটির কথা। বাসা থেকে তার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে, আর সে আমাকে চাপ দিচ্ছে। আমি তাকে হ্যাঁ, না কিছুই বলিনি। ডেস্কের কাগজের উপর রাখা পেপার ওয়েটটা হাতে নিয়ে সুন্দর করে ছেড়ে দিলাম। ব্যস, সব ঠান্ডা। প্রীতিকে কিছু বলতে না দিয়েই চলে এসেছিলাম।
.
এরই মধ্যে মা দুইবার ফোন দিয়েছিলো ধরতেই পারিনি। তাই কল ব্যাক করলাম। মা বললো, "রামিম কবে আসবি তুই? ইচ্ছের মা তো আজকেও এসে খুব করে ধরেছে, তুই এবার এলেই ইচ্ছে আর তোর বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে চাই। শুভ কাজে দেরী করতে নেই, তোর বয়সও তো থেমে নেই।"
শুনতে পেলাম বাবা পাশ থেকে বলছে, "তাড়াতাড়ি তোমার ছেলেকে আসতে বলো, নাতিনাতনির মুখ দেখে তো ওপারে যেতে দিবে! নাকি!"
.
.
আমি কিছুক্ষণের জন্য উন্মাদ হয়ে গেলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। তাই বিছানার উপর দাড়ালাম, হাত উপরে করলাম, টুপ করে ফোনটা ফ্লোরে ছেড়ে দিলাম। ব্যস, এরপর সব কিছুর সাথে আমার রাগটাও স্তব্ধ...
.
.
গল্প: সিদ্ধান্তহীনতা
লিখা: আমিম এহসান...
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
639
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Ģā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ