āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

675 {9}

<3 #অবুঝ_ভালোবাসা <3 (নবম পর্ব)

- হাহাহা কিন্তু শামীম দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি....আমি যে তোমাকে বিয়ে করতে পারছি না..... :)

- মানে.....??? তুমি মজা করছো তাই না নীলা? :D

- তুমি আমার কে? যে তোমার সঙ্গে মজা করতে হবে? আমার সঙ্গে আর কখনো যোগাযোগের চেষ্টা করবে না!

- নীলা তুমি কি সত্যিই আমাকে বিয়ে করতে চাও না?

- হ্যা... আর এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশান!

- ঠিকাছে আমি মেনে নিলাম, কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলে জানতে পারি?

- আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি....

বলেই ঠাস করে ফোনটা রেখে দিলো নীলা। তার কথা শুনে আমি বোবা হয়ে গেলাম। হঠাৎ এমন পাল্টে গেলো কেনো মেয়েটা? উল্টোপাল্টা কি বলছে এসব? হূমায়ুন আহমেদের একটা উক্তির কথা মনে পড়ে গেলো আমার....

"তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো। আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না।"

কথাটার মর্মার্থ এখন হাড়ে হাড়ে এমনকি মাংসে মাংসে টের পাচ্ছি। নীলার ক্ষনিকের আবেগ কে পাত্তা দেয়াটা মোটেই ঠিক হয় নি আমার।

ও যদি অন্য কাউকে ভালোবেসে সুখী হতে পারে আমি কেনো অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী হতে পারবো না?

মাথায় জেদ চেপে গেলো আমার। নীলাকে দেখিয়ে দিতে হবে! কারো জন্য জীবন থেমে থাকতে পারে না... কখনোই না....

বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় আবার আমার শরীর খারাপ করলো। মা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু আমি রাজি হলাম না। শেষমেষ বাধ্য হয়ে মা ডাক্তার তানিয়া কে ফোন করলো বাসায় এসে আমাকে চেক-আপ করে যেতে।

যেই ভয়ে আমি হাসপাতালে যেতে চাচ্ছি না সেটাকেই মা ফোন করে বাসায় আনতে চাচ্ছে! কি মসিবত!! তবে একটা কথা ভেবে মনে মনে স্বস্তি পাচ্ছি, তানিয়ার মতো একজন বড় মাপের MBBS ডাক্তার কখনো কারো বাসায় যেয়ে চেক-আপ করবে না। চেম্বারে রোগী দেখতে দেখতেই ওনার দম ফেলার সময় থাকার কথা না....

আমার মনের কথা মনেই রয়ে গেলো ওদিকে কলিং বেল বেজে উঠলো। দরজা ডাক্তার তানিয়া দাড়িয়ে আছে! এ দৃশ্য দেখে আমি আরও অসুস্থ হয়ে গেলাম....

মা আমার রুম দেখিয়ে দিতেই তানিয়া সরাসরি ঢুকে পড়লো। আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো সে। তার পরনে সাদা এপ্রোন ও সেলোয়ার-কামিজ। নিতান্তই সাধারন পোশাক। কিন্তু কেনো যেন তাকে সাধারন লাগছে না। একটা পার্টি সাজ দেয়া মেয়েকে যদি তার সামনে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় হয় কাকে বেশি সুন্দর লাগছে। নব্বই শতাংশ মানুষের উত্তর হবে তানিয়া কে.....

মনের ভেতর একটা প্রশ্ন খচমচ করছে। তাকে না বলে পারলাম না....

- আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি ম্যাডাম তানিয়া...?

- ম্যাডাম বলা লাগবে না শুধু তানিয়া বললেই চলবে, চাইলে তুমি ও বলতে পারেন!

- এতো তারাতারি একজন অপরিচিত মানুষ কে আপনার নাম ধরে ডাকার অনুমতি দিয়ে দিলেন? শুধু তাই না... আবার তুমি বলে ডাকার ও?

- প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে একটা কথা বলতে পারি মেয়েরা সাধারন কাউকে তার নাম ধরে ডাকার কিংবা তুমি করে বলার অধিকার দেয় না....

- তারমানে আমি অসাধারন কেউ?

- হয়তো!

- কি যে বলেন না.... আমি অসাধারন হতে যাবো কোন দুঃখে? আমি তো আধমরা একটা রোগী! কিছুদিন পর মারা যাবো....

তানিয়া আমার মুখ ধরে ফেললো। যেন বিশাল কোনো অলুক্ষুনে কথা বলে ফেলেছি!

তানিয়ার এমন আচরনে আমি বেশ অবাক হয়েছি। এমনটা পরিচিতজন দের সাথে করা যায়। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন হলো আমি তাকে চিনি।

তানিয়া কে বেশ বিব্রত দেখাচ্ছে....

- সরি!

- ইটস ওকে...

- কি প্রশ্ন জানি করতে চেয়েছিলে? (আপনি থেকে সরাসরি তুমি)

- না মানে বলছিলাম তোমার মতো একজন বড় ডাক্তার আমার বাসায় আসবে ভাবতে পারি নি। MBBS ডাক্তার রা তো চেম্বার আর হাসপাতাল ছাড়া রোগী দেখে না.... :)

- তোমার কথা ঠিক কিন্তু সব জায়গায় সব নিয়ম খাটে না যে! ;)

- বুঝলাম না....

- মেয়েদের অনেক কথার অর্থ ই ছেলেরা বোঝে না। বাদ দাও....

- ওকে দিলাম!

বিদায় নেয়ার আগে তানিয়া আগামীকাল আবার এসে আমাকে দেখে যাবে বলে মা কে কথা দিলো। মা তাকে পেমেন্ট দিতে চাইলে সে রাগ দেখিয়ে বললো এমনটা করলে আর কখনোই সে আমাদের বাসায় আসবে না!

তানিয়ার আচরন রহস্যময় মনে হলো আমার কাছে। কোনো কিছু ঘটার আগেই যা করার করতে হবে। মা কে বলে দিলাম রিয়ার সাথে আমার বিয়ের ডেট ফাইনাল করতে। মা নীলার কথা জানতে চাইলে আমি সু-কৌশলে এড়িয়ে গেলাম.....

তানিয়া যথাসময়ে আবার এসে উপস্থিত। সবার আগে তাকেই আমি সংবাদ টা দিলাম....

- তানিয়া আমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই ডেট ফাইনাল হবে। প্রথম দাওয়াত টা তোমাকেই দিলাম। আসতেই হবে কিন্তু তোমাকে..... :)

কথাটা শুনে তানিয়া থমকে গেলো। তারপর দ্রুত সামলে নিয়ে মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বললো.....

- এ তো দারুন সংবাদ! আমি অবশ্যই আসবো। তা মেয়ে টা কে? :D

- রিয়া! ওই যে সেদিন রাতে কেবিনে ছিলো, দীর্ঘকেশী মেয়েটা....

- চিনেছি, মেয়েটা কিন্তু দারুন সুন্দরী!

- হ্যা, অনেকটা তোমার মতো....

- আমি বুঝি সুন্দরী? :)

- নিঃসন্দেহে!

মেয়েটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো....

- কিন্তু আমার এ রুপ যে বৃথা! :D

- এ কথা বলছো কেন?

- মধু আহরনকারী ভ্রমর টা যদি ফুলের মনের মতো না হয় তাহলে ফুলের যৌবন বৃথা গেলো....

- তোমার এই উচ্চমাপের দার্শনিক কথা-বার্তা বোঝা আমার কম্ম নয়!

- বোঝো তো সবই না বোঝার ভান করে থাকো আরকি! আমি আজ তাহলে উঠি....

আমি তার গমন পথের দিকে চেয়ে রইলাম। মেয়েটা অনেক রহস্য করে কথা বলে। তার কথার মারপ্যাচ বোঝার সাধ্য সবার নেই.....

*****

মা-বাবা রিয়াদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। ঘন্টাখানেকের মধ্যে আবার ফিরে আসলো। চেহারায় খুশি খুশি ভাব!

- কি হলো মা, এতো খুশি যে?

- খুশি হবো না? আমার ছেলের জন্য লাল টুকটুকে বৌ ঘরে আসছে!

- কিন্তু মা রিয়া কি দেখতে লাল রংয়ের?

- এই ফাজলামো ছার তো!

- ওকে ছারলাম, তা বিয়ের ডেট কি হয়েছে?

- হ্যা... সামনের শুক্রবার!!!

(চলবে)

কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না! :)

লেখক: Saiful Shamim (হিমুর জোছনা রাত)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ