গল্প - অতঃপর আমি তাহারে পাইলাম !
.
[গতকালকের(১-৭-২০১৭) সত্য ঘটনা তাই পুরোটা না পড়ে কেউ মন্তব্য করবেন না আশা করি !]
.
গতকাল বড় আপুর[সামনের বাড়ির প্রতিবেশী] বিয়েতে গিয়াছিলাম । সেইখানেতেই একটা বালিকাকে দেখিয়া খুবই চমকপ্রদ হইয়াছি ! আধুনিক ভাষায় যাহাকে বলে ক্রাশ খাওয়া । বালিকাকে দেখিয়া আমার ক্রাশ লিস্টটা বাড়িয়া ৫ নাম্বারে চলিয়া গেল ! যা কিউট ভালো না লেগে যাইবো কোথায় ? ওর ফর্সা তকতকে গালদুটোয় সূর্যের আলোয় চকচক করিতেছিলো । যেমন ভরা নদীর বুকে সূর্যে আলো পড়ে চকচক করে ঠিক তেমনি ! আমার অতিশয় ইচ্ছা করিতেছিলো একটু কাছে গিয়া কথা বলি ! দুপুরের ভোজের পরে একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম সুভাগ্যবশত ! কাছে গিয়ে নাম জিঙ্গাসা করিলাম তাতে বালিকার মুখটা বাঁকিয়ে গেলো আর আমার বুকের বাম পাশে হালকা ব্যাথা অনুভব করিলাম ! আমিও নাছড়বান্দা অনেক বলাবলির পর বললো ওর নাম মীম ! বাহ আমার ডাক নামের প্রথম অক্ষরের সাথে মিলে যাওয়াতে তো আরো ভালো হলো !
মেয়েটার কথার ঢ়ং দেখেই আমি প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম ! আধা আধা স্বরে কথা গুলো আমার বুকের মধ্যে কলিজাতে আঘাত করিতেছিলো !
.
আমি এদিকে বকবক করিয়া যাইতেছিলাম আর ঐদিকে বালিকা আমার কথায় কর্ণপাত না করিয়া তাহার ছোট্ট ছোট্ট রেশমি কমল কেশ গুলির দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া পেঁচায়তেছিলো ! আহা কিউট বালিকার কি সুন্দর কেশ ! বালিকা অন্য দিকে তাকাইতেই আমি তার কেশের ঘ্রাণ নিয়ে নিলাম ! আহা কি গন্ধ ডাভ শ্যাম্পু দিয়া কেশগুলো মাঁজিয়া ঘুষিয়া আসিছে আমি নিশ্চিত ! বালিকা আবার এদিকে ঘুরিতেই আমি বালিকার চুলের নিকট থেকে দূরে সরিয়া আসিলাম এই ভয়ে যদি সে অতিরাগন্বিত হইয়া যায় !
ডাভ শ্যাম্পু দিয়ে ঘষিয়া মাজিয়া আসার ফলে বালিকার কেশগুলো হালকা বাতাসে উড়িতেছিলো ! এবার আর কোন ভয়ই করিলাম না বালিকার রশমি কোমল চুলগুলো ছুঁয়ে দিলাম ! বালিকা তখন অতিরাগে আমার নিঃষ্পাপ হাতখানা দূরে সরায় দিলো ! আমার হাতদুখানায় যেন কারেন্ট বহিয়া গেল ! বালিকার কি দেমাগ !
.
আমিও তখন অভিমানে অন্যদিকে চেয়ে থাকিলাম ! কিছুক্ষণ পরও যখন খেয়াল করিলাম আমার অভিমান দূর করার জন্য তার মধ্যে কোন ভাবাবেগই হয় নাই তখন নিজেই সব অভিমান বানের জলে ফেলিয়া দিয়া তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিলাম ! দৃষ্টিপাত করিতেই একটি অপরুপ দৃশ্য আমার চোখের সামনে আসিয়া ধরা দিলো ! প্রত্যক্ষ করিলাম যে বালিকার দু কিউট তকতকে গালের উপর রৌদ্দুর পড়িয়া চিকচিক করিতেছে ঠিক যেমনি রৌদ্দের আলো আয়নার উপর পড়িলে হয় তেমনি ! আমার চোখ ঝলসিয়া গেলো ! ইচ্ছাটাকে আর দমাইয়া না রাখিয়া বালিকার গাল দুখানা টানিয়া দিলাম !!
আহ কি নরম তুলতুলে ! কিন্তু বালিকা ততক্ষণে কঠিনরুপ ধারণ করিয়া রাগে আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়া অন্য দিকে নিয়াছে ! অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলিয়া কঠিন হৃদয় মোমের মতো গলানোর চেষ্টা করিলাম কিন্তু কিছুতেই তাহা আর সম্ভব হইতেছিলো না ! কি করি ? কি করি ? ভাবিতে ভাবিতে একটা বুদ্ধির উদয় হইলো আমার ! নানা রকম কৌতুক বলিয়া বালিকারে হাসাইতে চেষ্টা করিতে থাকিলাম । এবার আমি সফল ! সফলতার পুরষ্কার স্বরুপ উপহার পাইলাম বালিকার খিল খিল করে হাসা হাসি ! বালিকা যখন হাসিতেছিলো তখন আমার হৃদয় একেবার ভাঙ্গিয়া চুড়িয়া যাইতেছিলো যেরুপ ভুমিকম্প হইলে পৃথীবির ভূমি ভাঙ্গিয়া যায় ঠিক সেইরুপ ! বালিকার হাসি দেখিয়া আশ্বাস্থ হইয়া আমি বালিকারে মিষ্টি মিষ্টি কথা আবার বলিতে আরম্ভ করিলাম ! এইবার বালিকার কঠিন হৃদয় গলিতে আরম্ভ করিলো ! একপর্যায়ে বালিকারে বলিলাম তাহার আর আমার নামের প্রথম অক্ষর এক ! বালিকা কি বুঝিলো জানি না তবে মুখখানা অন্যদিকে নিয়া নিলো লজ্জ্বায় ! বালিকা কি তবে আমার মনের কথা বুঝিতে পারিয়াছে ? কিজানি !
.
এরপর অনেক ক্ষণ আমি আর বালিকা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলিতে লাগিলাম ! কথা বলার মাঝখানে একজন বিশালাকার দেহের অধিকারী মানুষ হাজির হইলেন ! মানুষটি আসিতেই বালিকা চেয়ার ছাড়িয়া উঠে আব্বু বালিয়া চেঁচাইয়া উঠিলো ! ওহ তারমানে ঐটা ছিলো আমার হবু শশুড় মশাই ! শশুড় মশাই বালিকার নিকট জানিতে চাহিলো যে আমি কে ? বালিকারে কিভাবে চিনি ? বালিকা বলিলো আমি অনেক ভালো ছেলে এবং তাহাকে অনেক হাসাইয়াছি ! বালিকার আব্বু খুশী হইয়া আমার পরিচয় জানিতে চাহিলে আমি সালাম দিয়ে সব বলিলাম ! এভাবে অনেকক্ষণ কথা বলার পর আমাদের কণে যাত্রীদের ফিরিয়া আসার সময় হইয়া আসিলো ! আমি বলবো বলবো করেও বলিতা পারিতেছিলাম না আমার মনের গোপন কথামালা ! কিন্তু চলে আসার যখন উপক্রম হইলো তখন লজ্জ্বা ভেঙ্গে বলেই ফেললাম শশুড় মশাইরে যে আমি কি তার মেয়ের কোলে নিতে পারি ?!!!!!!!!!
বালিকার আব্বু খুশীর সঙ্গে সম্মতি দিতেই বালিকা আমার কোলে লাফাইয়া আসিয়া পরিলো এবং আমার বাম গালে চুমু খাইয়া আমারই বুকে লজ্জ্বায় মাথা লুকাইলো !!!!!
আমার হৃদয় মূল থেকে তখন একটা কথাই বাজিতেছিলো - "অতঃপর আমি তাহারে পাইলাম" !
.
লেখক - ওয়ালিদ আব্দুল্লাহ
.
[বিঃদ্রঃ বালিকার বয়স ৪ বছর !ধুর মিয়ারা কি ভাবছিলেন ?? তবে পিচ্চিটাকে অনেক দিন মনে থাকবে ! ]
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
658
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Ļā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ