,,,,,,,গল্পঃ #মনের_সৌন্দর্য
.
আজ বাড়িতে অনেক মেহমান। কারণ আজ বাড়ির এক মাত্র মেয়ের বিয়ে। অনেক বার অনেক মানুষ তাকে দেখে গেছে কারো পছন্দ হয় নি। কারণ মেয়েটি কালো। যদিও শ্যামলা কিন্তু সবাই কালো বলে।সে মেয়ে আর কেউ নয় আমিই সেই হতভাগী।
.
আমি নীলা।পড়াশুনা অনেক আগেই বাদ দিয়ে দিছি।কালো মেয়েরা পড়াশুনা করে কি করবে। যদিও মা-বাবার একমাত্র মেয়ে কিন্তু আদর পাই নাই।শুধু আমি কালো বলে।কালো বলে অনেকের অনেক কথা শুনতে হয়। অনেক কষ্টে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাই মা-বাবা অনেক খুশি। তাদের উপর থেকে বড় একটা বোঝা দূর হবে।অবাক করার বিষয় হলো আমি কালো যেনেও কে সেই পুরুষ আমাকে বিয়ে করতে রাজী হলো।মার কাছে শুনেছি ছেলেটার নাম তাফসির।পেশায় ব্যাংকার।
.
যাই হোক বিয়ের সব রীতি সুন্দর ভাবেই শেষ হলো।এখন বাসর রাতে বরের জন্য অপেক্ষায় আছি।কিন্তু বাসর রাতে বর আমায় যা শুনালো সে সব শুনে আমি মোটেও অবাক হই নি।কথা গুলো এমন ছিলো:
.
-বিয়েতে আমার কোন মত ছিলো না।বাবার কারণে বিয়েটা করা। আমার কাছে কখনো স্ত্রীর অধিকার চাইতে এসো নাহ। আমার কথা শুনতে পাচ্ছো তো?
-জ্বী।
-এখন তুমি জানতে চাইবে কারণ কি!!!! কারণ হলো একটাই সেটা তুমি কালো। আর কালো বউ নিয়ে আমি কারো কাছে মুখ দেখাতে পারবো নাহ। আর হ্যা আমার গফ আছে এবং সে দেখতে অনেক সুন্দর। আমি ওকে খুব শীঘ্রই বিয়ে করব। আশা করি ২/৩ মাসের মধ্যেই আমাদের ডির্ভোস হয়ে যাবে।
-হুম
-আর আমাদের মাঝে এই রিলেশনের কথা যেনো পরিবারের কেউ না জানে।মনে থাকবে তো?
-জ্বী।
-ওকে।এখব ঘুমিয়ে পড়।
.
কথা গুলা বলেই আমার স্বামী সোফায় বালিশ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো আর আমি ভাবতে থাকলাম বিধাতার কতো খেলা একে তো আমাকে কালো বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তার উপর বার বার স্বপ্ন দেখিয়ে নিরাশ করছে। কতোই না স্বপ্ন ছিলো এই রাত নিয়ে। যতোই কালো হই না কেনো দিন শেষে তো আমিও একটা মেয়ে, আমারো তো কিছু স্বপ্ন থাকতে পারে,থাকতে পারে নানা ইচ্ছা। নাকি শরীরের রং কালো হওয়ার সাথে সাথে মনের সব ইচ্ছাকেও কালো করে দিতে হবে। চোখের পাতা ভিজিয়ে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি।
.
সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার শাশুড়ী মায়ের ডাকে। আমার স্বামীর নিঁখুত অভিনয় দেখে আমি পুরাই অবাক হলাম,রাতে যেনো কিছুই হয়নি,সব যেন কিছুই ঠিক-ঠাক ছিলো। সবার সামনে ও ঠিক এই রকমি অভিনয় করতো যেনো আমরা অনেক সুখী এবং ও আমার আদর্শ স্বামী কিন্তু যখনি একা থাকতাম তখনি ও আর আমার সাথে কথা বলতো না। হ্যাঁ এটা ঠিক ও কখনো আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেননি তবে,অবহেলা করেছে অনেক। স্বামীর অবহেলা যে নির্যাতনের চেয়েও নিষ্ঠুর সেটা শুধু ওইসব স্ত্রীরাই জানে যারা তাদের স্বামীর কাছে অবহেলিত।
.
সময় তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে চলতে কখন যে এতোগুলা সময় পার হয়েছে বুঝতেই পারিনি। প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই রাতের খাবার খেয়ে রুমে গেলাম ঘুমানোর জন্য। রুমে যেয়ে দেখি বিছানার উপর একটা লাল টুকটুকে শাড়ি। রাতের বেলা হঠাৎ শাড়ী দেখে বেশ কিছুটা অবাকই হলাম। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা তখনি খেলাম যখন আমার স্বামী এটা পড়ে আমাকে ছাদে আসতে বললো সাথে কপালে একটা ছোট্ট টিপ,চোখে কাজল দিতেও বলেছে।
.
আমার স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে যতোটা না খুশি লাগছে তার চেয়ে বেশী অবাকই লাগছে। আজকে ওর কি হলো এটাই বুঝতে পারছি না।
.
তাসফির পছন্দ অনুযায়ী সাঁজে ছাদে চলে গেলাম। যেয়ে দেখি সাদা পাঞ্জাবি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে তাফসির। যাওয়ার সাথে সাথেই সে হাঁটু গেড়ে বসে রক্ত বর্ণের লাল গোলাপের তোড়া আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো স্ত্রী হিসেবে আমি তোমাকে যে অধিকারটা এতোদিন দেইনি সেটা যদি আজকে দেই নিবা!!!কথা দিচ্ছি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এবং মৃত্যুর পর কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তোমার থেকে স্ত্রীর অধিকার আর কেড়ে নিবো না। আমার মনে যে অমানুষের কালো দাগ আছে তা আমি তোমার ভালোবাসার আলো দিয়ে মুছে ফেলতে চাই। দিবে কি আমাকে সেই সুযোগ???
.
কথাটা শেষ করার আগেই আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে লাগলো। আমার চোখে পানি দেখে তাসফির এক মুহূর্ত দেরী না করে আমার অনুমতি ছাড়াই আমকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে দিয়ে কপালে একটা চুমো দিয়ে বলে আর হ্যাঁ আজকের পর থেকে আর কখনো চোখের পানি ফেলতে দিবো না কথা দিচ্ছি।
.
আমি একটু অভিমান সুরে বলতে লাগলাম আজ হঠাৎ এতো ভালোবাসা কেনো,আর তোমার প্রেমিকার কি হবে??
.
তাফসির আমাকে তার বুকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি,দেহের সৌন্দর্য কখনো প্রকৃত সৌন্দর্য হতে পারে না, মনের সৌন্দর্য টাই প্রকৃত সৌন্দর্য। আমি এতোদিন প্রকৃত সৌন্দর্য টাকে চিনতে না পেরে ক্ষনিকের সৌন্দর্যের পিছনে ছুটেছি,আজ যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি তাই আজ থেকে ওইসব বাদ,আমার মনে এখন শুধুই তোমার স্থান আর কারো না।
.
চাঁদের আলোটাও যেনো আমাদের পবিত্র ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে রইলো। সাক্ষী হয়ে রইলো রাতের এই অন্ধকার। যা আমাদের সম্পর্কটাকে পূর্ণতায় ভরে দিলো। চাঁদের বুড়িটাও যেনো মুচকী হেসে বলতে লাগলো তোরা সুখী হো।
.
(বিঃদ্রঃ এটা আমার ফ্রেন্ডলিষ্টের এক বড় আপুর কাহিনী।)
.
লেখকঃ ShahaRier_Nasim_Sweet.
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
672
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ŧ:ā§Ļ⧝ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ