গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
part -7
.
বাতাসে ধুলোবালি উড়ছে।চোখে ধুলোবালি যাওয়ার উপক্রম হতেই প্রবন্ধ চোখ টিপে হাত দিয়ে এক চোখ ঘষতে লাগলো।চোখে ধুলিকণা গেল বুঝি।উপমা হঠাৎ খেয়াল করলো প্রবন্ধ চোখ বুঝে, হাত চোখে দিয়ে আছে।ঘটনা বুঝে উঠতেই উপমা প্রবন্ধর চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিলো।নিজের হাত দিয়ে ওর চোখের পাতা খুলতে চেষ্টা করলো।বলল-
-দেখি..দেখি..
কিন্তু প্রবন্ধর চোখের পাতা এক হয়ে আসছে।আর জ্বলন ধরছে চোখে।
উপমা বলল-
-চোখ না খুললে বুঝমু ক্যামনে চোখে কি গেসে।চোখটা একটু খুলেন।
প্রবন্ধ চোখে হাত ঘষতে ঘষতে বলল-
-চোখ খুলতে পারছি না।জ্বলছে।
-আস্তে আস্তে খুলতে চেষ্টা করেন।
প্রবন্ধ চোখ টিপে টিপে চোখ খুলতে চেষ্টা করতে থাকলো।উপমা দেখলো চোখের কোনে একটি ছোট পোকা পরে আছে।উপমা ওর আচলের এক কোনা মুড়িয়ে সরু করে প্রবন্ধর চোখের কোনে লাগিয়ে পোকা ফেলতে লাগলো।কিন্তু প্রবন্ধর চোখের জ্বলন কমলো না।আরও বেড়ে গেল।
এতোক্ষন উপমা ওর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিল।আর তা খেয়াল হতেই উপমা সরে আসলো।একটু দূরে দাঁড়িয়ে নিচু গলায় বলল-
-পোকা ফালাইয়া দিসি।এখন সাইরা যাইবো।
প্রবন্ধ পকেট থেকে একটি রুমাল বের করে সেই রুমালটা দিয়ে আবারও চোখ ঘষতে লাগলো।কিন্তু দুর্ভাগ্য যে পানিও আনে নি সাথে করে যে চোখে ছিটে দিয়ে জ্বলন কমাবে।উপমার খুব মায়া হচ্ছিল প্রবন্ধর জন্য।তার জন্য-ই তো প্রবন্ধ এইখানে এসেছে।যে কখনো গ্রামের মাটিতে পা ফেলতে চায় না সে আজ এতো দূর চলে এলো উপমার জন্য।
মাথা থেকে পরে যাওয়া ঘোমটাটা উপমা আরও বড় করে টানলো। আর ঘোমটার নিচ থেকে তাকিয়ে রইলো প্রবন্ধর দিকে।প্রবন্ধ চোখের জ্বলন কাটিয়ে উঠতে পারলো না।চোখের এক কোনে লাল হয়ে আছে।
হঠাৎ পেছন থেকে ড্রাইভারের ডাক শোনা গেল-
-ও..ভাই..আহেন...
প্রবন্ধ রুমালে চোখ ঢেকে জবাব দিলো-
-ভালো মতো ঠিক করেছো তো!আবার যাতে নষ্ট না হয়।
প্রবন্ধ পকেট থেকে কালো সানগ্লাসটা বের করে চোখে পরলো আর রাস্তার দিকে যেতে লাগলো।কিন্তু উপমা দাঁড়িয়েই আছে।উপমা এক দিকে চোখ ফেলে কি যেন ভাবছে।প্রবন্ধ ওর দিকে তাকিয়ে বলল-
-কি ব্যাপার! দাঁড়িয়ে আছো কেন!এসো।
উপমা ওর চিন্তার প্রহর ভেঙে পা টিপে টিপে প্রবন্ধর পিছু পিছু হেটে চলল।
রাস্তার সামনে দাড় করা ওই সি,এন,জি টায় উঠে বসলো ওরা।
রাস্তা মোড় ফেলে যেতে যেতে সাপের মতো গলিগুলো পার করে যেতে হলো।আর রাস্তার দুপাশে শুধু ক্ষেত আর ক্ষেত।দূরে তাকালে হয়তো বাড়িঘর আর গাছপালাগুলো ছোট ছোট আকারে চোখে ধরা দেয়।তখনই বোঝা যায় এই রাস্তা থেকে ওইগ্রাম গুলোর দূরত্ব। তবে মাঝে মাঝে রাস্তার পাশ দিয়েও লোকালয় চোখে পরে। দুই একটা টিনের ঘর আর দোকান দেখা যায়।
.
যেতে যেতে সি,এন,জি একেবারে উপমাদের বাড়ির সামনে।
গ্রামের প্রায় সব মানুষদেরই জানা আছে যে উপমার বিয়ে হয়েছে দূর শহরে আর একটি ধনী পরিবারের কাছে।গ্রামের সবার কাছেই ব্যাপারটা আগ্রহের আলোচিত বিষয় হিসেবে গণ্য হলো।
তাই ওদেরকে হঠাৎ দেখে উপমার পরিবার প্রবন্ধকে জামাই আদর করতে প্রবন্ধর জন্য ওর খবরাখবর, খাওয়া দাওয়া,আরাম আয়েশ সব কিছুরই পটাপট ব্যবস্থা হচ্ছিল।
আর উপমাকে পেয়ে ওর ছোট দুই বোন পিউলি আর তোরা ওর পিছুই ছাড়লো না।এছাড়াও ওর সমবয়সী কিছু মেয়ে এমনকি ফুফু কাকিরাও ওকে ঘিরে বসে রইলো।উপমাকে অন্য একটি টিনের ঘরে নিয়ে গল্প জুড়ে বসলো। উপমা এখন নিজের বাসায় এসেছে।এতোক্ষনে ঘোমটার ভেতরে লজ্জায় লাল করা যেই মুখটি ঢাকা ছিল তা এখন আর ঘোমটার আড়ালে নেই।সবার সাথে মন খুলে কথা বলে যাচ্ছে আর দাঁত বের করে হাসা হাসি করছে।পিউলি বলল-
-বড়পা..আমারে তোমার লগে নিয়া যাইয়ো শ্বশুর বাড়ি।
উপমার সবচেয়ে ছোট বোন তোরাও পিউলির কথা শুনে বলল-
-আপা..আমিও যামু তোমাগো লগে।
ওদেরকে ব্যাঙ্গ করে ললিতা কাকি বলল-
-ওই ছ্যামরিরা..ওর তো দেবর নাই যে তগো লগে বিয়া দিয়া তগোরে লগে কইরা নিয়া যাইবো।
সবাই এক গাল হেসে নিলো।
বড় বুবুরা উপমার কোমরে চিমটি কাটে আর স্বামী আদরের খবরাখবর জানতে চায়।আর উপমা শুধু খিল খিল করে হাসতে হাসতে লজ্জায় ভেঙে পরে।
.
প্রবন্ধকে সেগুন কাঠের নতুন চৌকিতে বসানো হলো।মিষ্টি,দই, ছানা পানি,খেজুরের রস আরও কতো কি দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। কিন্তু প্রবন্ধ এই ঘরের জানালা থেকে ওইঘরের জানালা দিয়ে উপমাকে হাসাহাসি করতে ঠিকই দেখতে পাচ্ছিল।পাশাপাশি টিনের ঘর দুটো উপমাদেরই।দুটি জানালা পাশাপাশি থাকায় এক ঘর থেকে অন্য ঘরের ভেতরটা ঠিকই দেখা যায়।
যেই মেয়েটা লজ্জায় মাথা উঠোয় না,আজ সেই মেয়েটা মন খুলে সবার সাথে হাসছে।এই প্রথম উপমাকে হাসতে দেখলো প্রবন্ধ।এই কয়েকদিনে একটি বারের জন্যও সে উপমাকে হাসতে দেখে নি।উপমা আবার ওদের সাথে হাসি মজা করে পট পট কথাও বলে যাচ্ছে।এই মেয়ে আবার কথাও জানে!আজ এইখানে না আসলে সবই অদেখা,অজানা রয়ে যেতো প্রবন্ধর।
.
পরিচিত সবাইকে একসাথে পেয়ে উপমার খুব আনন্দ হচ্ছিল।
ললিতা কাকি বলল-
-তর শাশুড়ি মারে না?
উপমা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল-
-নাহ..মারবো ক্যান!তুমি যেমনডা কইসিলা হেমন কিসুই অয় নাই।
-ডরাস না! !
-নাহ..ডরামু ক্যান!হেরা সবতে ভালা মানুষ।
ললিতা উপমার হাতের পোড়া জায়গা টা লক্ষ্য করেছিল আর তা থেকেই সে এমন প্রশ্ন করে যাচ্ছে উপমাকে।ললিতা উপমাকে ওর হাতের তেলে পোড়া অংশটা দেখিয়ে বলল-
-মিসা কস ক্যান?তর হাত শ্বাশুড়ি পুইড়া দিসে না..!!আকাম করসিলি!
উপমা বলল-
-আকাম কুকাম কিসুই করি নাই।রানতে গিয়া তেল ছিডা আইসিলো।কিন্তু জামাই সাব আমারে মলম লাগাইয়া দিসে।
কথাটা বলতে বলতেই যেন উপমা লজ্জায় কুঁচকে গেল।আবার মিটি মিটি হাসতে লাগলো।
তোড়া বলল-
-বড়আপা..বড়পা..তুমি কি আইজকাই যাইবাগা!
উপমা বলল-
-না রে মনু..জামাই সাব কইসে আমরা আইজকা থাকুম।
পাড়ার সমবয়সী কিছু কিশোরীও এসেছে উপমাকে দেখতে যাদের সাথে উপমা একসময় পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়াতো। ওরাও অনেক আগ্রহ নিয়ে উপমার সাথে কথা বলতে এসেছে।ওদের মধ্যে একজন উপমাকে বলল-
-ওই..উপমা..আমাগো রে ভুইলা গেলি?
-তোগোরে ভুলবার পারি!!
-তোর জামাই ক্যামন রে..
-আমার কাসে ভালাই মনে হয়!
-মারে না...!আমার মাসির বিয়ার পর মেসো তারে অনেক মারতো..।হেল্লেইগা আমারো এহন বিয়া করবার মন চায় না।
উপমা ঘাবড়ে গিয়ে বলল-
-আমার জামাই সাব মারে না।কিন্তু তবুও আমার হেরে একটু একটু ডর লাগে।
ললিতা কাকি বলে উঠলো-
-তোর জামাইরে আমার কাসে নায়ক সাব লাগে।তর মতো বয়স এহন থাকলে আমি হেরেই বিয়া করতাম।
উপমা মুখ টিপে হাসতে লাগলো।উপমার প্রতিবেশী বান্ধবী ললিতাকে বলল-
-দুই দিন পর তোমার দাঁত পরবো কাকী আর তুমি এই কতা কইতাসো।কাকায় কি জানে!
ললিতা ওর দিকে হাত বাড়িয়ে তেড়ে এসে বলল-
-ওই..ওই..চুপ।তগো লগে ঠাট্টাও কি করতে পারুম না!
সবাই হেসে দিলো।ওরা হাসতে হাসতেই কথা জমিয়ে দিলো। প্রায় সবাই উপমাকে ঘিরে কানাকানি করছে,হাসাহাসি করছে।
কিন্তু প্রবন্ধ যে একা বসে আছে তাও কিন্তু নয়।দুই একজন মুরুব্বি এসে কথা বলে যাচ্ছে। ব্যবসা নিয়ে এইটা ওইটা জানতে চাচ্ছে।দুই একজন ছেলেপুলে এমনকি কিছু কম বয়সী মেয়েও দূর থেকে দরজার সামনে গিয়ে উকি মেরে প্রবন্ধকে দেখতে চেষ্টা করছে।
এমন একটা পরিবেশ ঘিরে আছে এইখানে প্রবন্ধ তা জানতো না।এইখানে সবাই মিশুক।কথা বলতে বলতে এরা ক্লান্ত হয় না।কিন্তু উপমাকে দেখলে মনেই হয় না যে উপমাও এদের মধ্যেই একজন।এমন চুপচাপ থাকে যেন কথা-ই বলতে জানে না সে।কিন্তু আজ পরিচিত সকলের মাঝে ও এতোটাই ডুবে আছে যে প্রবন্ধর কাছে একবার আসারও সুযোগ পাচ্ছে না।সবাই ওর সাথে কথা জমিয়ে দিচ্ছে।কিন্তু এইখানে এসে প্রবন্ধও সবার আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে আছে।উপমা কে জানালা দিয়েই দেখে যাচ্ছে সে।সবাইকে কাছে পেয়ে মেয়েটা ওকে হয়তো ভুলেই গেছে।ভুলে না গেলে কাছেই বা আসছে না কেন!
এইখানের মানুষগুলো 'জামাই' 'জামাই' করে সম্বোধন করে যাচ্ছে প্রবন্ধকে।কতোটা ভালোবেসে আপ্যায়ন করে যাচ্ছে তা ভাষায় বোঝানো দায়।
প্রবন্ধ খুঁজে যাচ্ছে উপমাকে।উপমা আসবে কখন!এইখানে আসার পর একবারও কথা হলো না ওর সাথে।হুট করে খেয়াল হলো এইখানে থাকার কথাটা বাসায় জানানো হয় নি।বাবা শুনলে হয়তো রেগে যাবেন তিনি।আসার পথেই ফোন দিয়ে একবার রাগ হয়েছেন তিনি কেননা ব্যবসা বাণিজ্য সামলানোর দায়িত্বটা প্রবন্ধকে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু প্রবন্ধ সেই দায়িত্ব ঠেলে এইখানে এসেছে।আজ যদি এইখানে থাকার কথাটা শুনেন তখন তার রেগে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু হবে না।তবে উপমাকে এইখানে আনার উদ্দেশ্য হলো ওর মনটাকে একটু পাখা মেলে উড়তে দেওয়া।এতোদিন ভয়ে ভয়ে থেকেছে সারাক্ষণ।ওকে একটু উড়তে দিলেই ভয়টা কেটে যাবে।আর এর ফল আজ-ই দেখা যাচ্ছে।চুপচাপ মেয়েটা পরিচিত সবাইকে কাছে পেয়ে কেমন চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
প্রবন্ধ মা কে ফোন দিল-
-হ্যালো আম্মা..
-ঠিকভাবে পৌঁছেছিস তোরা?
-হ্যা পৌঁছেছি।
-বউ কোথায়?
-এইখানেই আছে।সবাইকে পেয়ে গল্পজুড়ে বসেছে।একটা কথা বলার জন্য ফোন করতে হলো।
-কি কথা? বল..
-আমরা এইখানে থাকবো।যদিও আমি থাকার প্রস্তুতি নিয়ে আসি নি।তবুও মেয়েটার ইচ্ছা সবার সাথে থাকার।তাই আর কি।
-তা ঠিকাছে।কিন্তু তোর কাজ ফেলে ওইখানে যেয়ে থাকাটা ঠিক হবে কি না!জানি না।তোর বাবা এমনিতেও রেগে আছেন।
-হুম।তা জানি মা।শীঘ্রই চলে আসবো।তুমি তোমার খেয়াল রেখো। ফোন রাখলাম।
ফোন রাখা মাত্রই প্রবন্ধ সামনে তাকিয়ে দেখলো উপমা গ্লাস হাতে পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
উপমা ঘোমটা মাথায় নিচে তাকিয়ে বলল-
-আম্মা কি রাগ করসেন?
প্রবন্ধ স্বাভাবিকভাবে বলল-
-না.রাগ করবে কেন?
-আমরা যে এইখানে থাকুম এইটা জাইনা তিনি রাগ করলে আইজ চইলা যামুনে।
-তা নিয়ে ভেবো না।আমি তো আছি-ই।
হাতের গ্লাসটা প্রবন্ধকে দিয়ে বলল-
-আপনের জন্য পানি নিয়া আসছিলাম।চোখে ছিটা দেন।চোখ লাল হইয়া আসে।
-তা দিতে হবে না।এখন আর জ্বলছে না।তুমি সবাইকে রেখে এইখানে কেন এলে?সবার সাথে গল্প করো গিয়ে যাও।আমি ঠিকাছি।
উপমাকে দেখে যেন চোখ জুড়ালো ওর।
প্রবন্ধর চোখের ব্যথা-টা মনে হতেই উপমা ওর কাছে ছুটে এসেছে পানি নিয়ে।
উপমা বলল-
-এইখানে শুইয়া জিরান আপনে।ভালো লাগবো।আমি শরবত বানাইয়া আনতাসি।
উপমা চলে গেল।প্রবন্ধকে খেয়াল করে রাখার কথা সে ভোলে নি।প্রবন্ধর কথা মনে পরতেই গল্পের আসর ফেলে ওকে দেখভাল করতে চলে এলো।
উপমার কথা মতো প্রবন্ধ চৌকিতে শুয়ে বিশ্রাম নিতে লাগলো।
চলবে..
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
682{7}
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ēā§Ē AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ