āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§§ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

691{3}

#বাবার_বিয়ে
Jedny Hasan

- বাবা রাত ১.২৫ বাজে। ঘুমাতে যাবা না?

-- আমার তো এখন সকালে কোন কাজ নেই। রাত জাগলে সমস্যা কি?

- সমস্যা তো কিছু না। বড় সমস্যা হলো তোমার শরীর খারাপ করবে। এই
বুড়া বয়সে শরীর খারাপ করলে তো বিয়ে করে বেশিদুর যেতে পারবা না। ব্রেক করতে করতে একসময় গিয়ারে দম থাকবে না আর হার্ড ব্রেক হয়ে যাবে।

-- সমস্যাই দেখলি খালি রাত জাগা নিয়ে। সুবিধা আছে সেটা দেখিস না কেন?

- কি সুবিধা শুনি?

-- নতুন বরদের রাত জাগার অভ্যাস করতে হয় এইটা জানিস না?

- তুমি নতুন বর এইটা কিভাবে ভাবছো?? বিয়ে তো এর আগেও একটা করেছিলে তাইনা? সেদিক থেকে হলেও তুমি অতটা নির্ভেজাল না।

-- মাঝে তো ২৫ বছরের ব্রেক ছিলো। এতে করে আবার নতুন বরের মর্যাদা পেয়ে যাবো তুই চিন্তা করিস না। হ্যা রে পাত্রী দেখতে কেমন?

- তোমার পছন্দমতই পাত্রী ঠিক করেছি আমরা।

-- আমরা মানে কি? আমরা কে?

- আমি আর রাইসা।

-- আমার পছন্দ মত পাইলি কই? আমার পছন্দ তুই জানিস?

- খুব ভালো করেই জানি বাবা। তোমার ছেলে না তাই বলে তোমার পছন্দ অপছন্দ আমি বুঝবো না সে তো আর হয়না বাবা। নাহার আন্টির সাথে তোমার প্রেম ছিলো সেটা জানতে হলে আনষ্টাইন হতে হয়না। বলেছিলে না যে বাবারা সব বুঝে? আসলেই বুঝে। তবে বাবারাও অনেক সময় ছেলেকে বুঝে না বাবা। ছেলের কাছেও অনেক সময় বাবারা হেরে যায়। আচ্ছা বাবা আমি তো তোমার ভাইয়ের ছেলে তাইনা? যদিও কাগজে কলমে আমি তোমার ছেলে কেননা বাবা মারা যাবার পর তুমি মা কে বিয়ে করেছিলে তাও মাত্র ২৬ দিনের জন্য। আমি জন্ম নেবার সময় মা যদি মারা না যেত তাহলে কি তুমি মা কে নাহার আন্টির মতই ভালবাসতে পারতে? হয়তো পারতে হয়তো পারতে না। তুমি আমার মুখের দিকে চেয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছো। নাহার আন্টিকে বিলিয়ে দিয়েছো নিজের জীবন থেকে। বিলিয়ে দেয়া জীবনে কিছু সুখ যদি আমি আর রাইসা ধার করি তাহলে কি খুব অন্যায় কিছু হবে? একবার ভাবো তো বাবা নাহার আন্টি তোমার কথা ভেবেই আজও বিয়ে করেনি। তোমার কথা নাহয় বাদই দিলাম। নাহার আন্টির সাথে কি অন্যায় করা হচ্ছে না? তুমি চাইলেই মা মারা যাবার পরে নাহার আন্টিকে বিয়ে করতে পারতে। কিন্তু করোনি। কেন করনি তা আমি জানি। সম্পর্কটা অনেক পেচিয়ে যাবে এই ভয়ে। আমি বলবো না যে নাহার আন্টির সাথে তুমি অবিচার করেছো। আবার এও বলবো না যে যা করেছো তা খুব ভালো করেছো। কিছু কথা যুক্তি তর্কের উপরে থাকাটাই ভালো। সমাজ যাতে আমাকে এতিম না বলতে পারে তার সুন্দর ব্যবস্থা তুমি করেছিলে আমার মাকে বিয়ে করে। আর সমাজকে পাশ কাটিয়ে যার হাত ধরার কথা ছিলো তাকে তুমি দূরে ঠেলে দিয়েছো। আর কত দূরে ঠেলবে বাবা? বাদ দাও সেসব কথা। আগামী শুক্রবার তোমার বিয়ে। প্রস্তুত থেকো।

এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে খুব দ্রুত গতীতে বারান্দা থেকে বিদায় নিলো গালিব। বাবার চেহারাটা দেখার মত শক্তি গালিবের নেই। চোখ থেকে চশমা টা খুলে ফতুয়ার কোনে হাসি মুখে মুছতে লাগলো আকবর সাহেব। স্মৃতি সবসময়ই রঙ্গিন থাকে। আর বর্তমান থাকে ঘোলাটে। কিছু সম্পর্ক থাকে অস্পষ্ট কিন্তু অনেক গভীর। এতই গভীর যে ডুবে যাওয়া যায়না। আবার ভেসেও থাকা যায়না। ভেসে থাকতে গেলেও খড়কুটার মত কিছু লাগে। জলি বেগমের হাতটা হয়তো খড়কুটাই ছিলো তবে সেই হাত ধরার মত শক্তি আকবর সাহেবের ছিলো না। কেননা সেই হাত ছিলো অন্যের অদৃশ্য হাতের সাথে আবদ্ধ। আর নিজের হাতটাই ছিলো একবারে শুন্য। সেই শুন্য হাতে ছোট্ট গালিবকে তুলে নেবার কথা ভাবলে আজো কেন জানি নিজেকে অনেক সুখী মনে হয় আকবর সাহেবকে। নাহ ছেলেটা আসলেই অনেক সমঝদার হয়েছে। নিজের বিয়ের কথা চিন্তা না করে বাবার বিয়ের কথা চিন্তা করতেছে। আর রাইসাও ওর সাথে তাল মিলাচ্ছে। নাহ এই দুই বান্দর বান্দরনিকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে খুব দ্রুতই।

-- কিরে বসে আছিস কেন? ঘুমাস না?

- ঘুম আসতেছে না।

-- ঘুম না আসার কারন কি? শুক্রবার আমার বিয়ে আর তুই না ঘুমিয়ে রাত কাটাচ্ছিস। কথায় আছে না “যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নাই”

- আহ!! বাবা এতরাতে জ্ঞান দিওনা তো।

-- আচ্ছা আমার শেরওয়ানি কই? আমার কিন্তু লাল শেরওয়ানি লাগবে। একদম টকটকা লাল। বলতে পারি টমেটোর মত লাল।

- কাচা টমেটো নাকি পাকা টমেটো বাবা?

-- পাকা টমেটো।

- বুড়া বয়সে বিয়ে করতেছো তাতেও তোমার ভীমরতি গেলো না তাইনা?

-- বিয়ে তো বিয়েই। বুড়া আর জোয়ানের কি আছে রে?

- আচ্ছা। আর কি কি লাগবে শুনি।

-- ঘোড়ার গাড়ি আর পালকির ব্যবস্থা কর।

- এইগুলা কিসের জন্য?

-- বিয়ে যখন করবোই তাহলে ভালো মত করি।

- আমাকে পথের ফকির বানানোর ইচ্ছা পোষন করছো মনে হয়?

-- যা কিছুই লাগবে না। কাজী ডেকে খালি কবুল বললেই হবে। ঠিক আছে?

- বাবা বাচ্চাদের মত করো না। আর কি কি লাগবে বলো।

-- আর তেমন কিছুই না। শুধু একটা বড় সাইজের রুমাল কিনে আনিস লাল রঙ এর।

- বড় সাইজের কেন?

-- যাতে মুখের সাথে মাঝে মাঝে চেহারাটাও ঢেকে সবাইকে বুঝাতে পারি
আমি লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছি।

- আমার লাল তোয়ালে টা হলে ভালো হয়না বাবা?

-- যাহ তোর কিছুই লাগবে না। খালি কাজী ডেকে কবুল বললেই হবে। ঠিক আছে?

- উফফফ বাবা!! আচ্ছা সব হবে। আপাতত তুমি রেডি থেকো তাহলেই হবে।

-- একটা চিন্তা আমার মাথায় এসেছে। শুনবি?

- কি চিন্তা শুনি।

-- পৃথীবিতে কোথাও শুনেছিস বাবা ছেলের একসাথে বিয়ে হতে? আমি চাচ্ছিলাম সেইরকম কিছু করতে।

- কি বুঝাতে চাচ্ছো??

-- যা বুঝাতে চাচ্ছি তাতো বুঝতেই পারছিস।

- তাও তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই। খুলে বলো।

-- বিয়ে আমার হবে। সাথে তোর ও হবে। একই অনুষ্ঠানে একই দিনে
একই সময়ে।

- এ কি হয় নাকি বাবা? বাচ্চাদের মত কথা বলো না প্লিজ।

-- বাচ্চাদের মতন না। আমি জেনে বুঝেই বলছি। একটু আগে বলেছিলি না যে বাবারা অনেক সময় হেরে যায়? কথাটা ভুল। বাবারা কখনো হারে না। বাবারা হারার ভান করে। তুই কি মনে করেছিস? তোর জন্ম আমি দেইনি তা ঠিক তবে তোকে হাতের তালুর মাঝে নিয়ে বড় করেছি। এখন তোর ওজন ৭৭ কেজি। কিন্তু তোর যখন ওজন ৫ কেজি ছিলো তখন থেকে তুই আমার এই কাধে থেকে বড় হয়েছিস। তোর হিসু হাগুও আমার কাধে পরম নির্ভরতায় ছেড়েছিস আর আমিও তা হাসি মুখে বরন করেছি। তুই কিছু ভাবার আগে তা আমার মাথায় চলে আসে রে গালিব। এইটা যে বাবাদের একটা বিশেষ গুন। নাহারের সাথে যে আমার বিয়ের কথা ভাবছিস এবং বিয়ে ঠিক ও করে ফেলেছিস তা আমি আগেই বুঝেছিলাম। কিন্তু আমি চুপ করে ছিলাম। কেননা আমি জানতাম তোকে যেটা মানা করা হবে সেটা তুই বেশি করে করবি তাই আর বাধা দেইনি। তুই যেমন আমার অগোচরে নাহারের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিস। ঠিক তেমনি তোর অগোচরে রাইসার সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছি। তাও সেটা আমি আর তোর নাহার আন্টি মিলেই। যাক সেসব কথা। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। আর শোন। আমার কিছুই লাগবে না। সব তোর জন্যই বলেছি। আমার মুখটা আছে খালি যা দিয়ে শুধু কবুল বললেই হবে। আমার ছোট্ট ছেলে বিয়ের সাজে সাজবে তা দেখতেও সকল বাবাদের একটা গোপন ইচ্ছা থাকে। আমারো আছে তাই তোর জন্যই সব কিনে ফেল। আমি খালি তোকে জামাই সাজে দেখতে চাই। রাত হয়েছে এখন ঘুমা।
মাথাটা নিচু করে বসে রইলো গালিব। চোখের কোনে জমে থাকা পানি দেখলে বাবা মজা করবে। তাই লুকিয়ে রাখাটাই ভালো। আসলেই বাবারা হারে না। হারার ভান করে।

আজ শুক্রবার... লজ্জায় আকবর সাহেবের মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। পাগল ছেলে সব দুইটা দুইটা করে নিয়ে এসেছে। দুইটা ঘোড়া নিয়ে এসেছে। একটা নিজের জন্য আরেকটা আকবর সাহেবের জন্য। আবার দুইটা লাল টকটকে শেরওয়ানীও এনেছে। মানা করলে মানবে না ছেলেটা। থাক মানা করে লাভ নেই। ছেলের সুখের জন্য লজ্জা পেতেও সমস্যা নেই। যাক বাবা ও ছেলের বিয়েটা তাহলে একই দিনে একই মঞ্চে হচ্ছে।

সমাপ্ত

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ