āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧝ āφāĻ—āϏ্āϟ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

682{6}

গল্প- "পুতুল কন্যা"
(Polok Hossain)
.
Part -6
.
আজ সকালের চা-টা কড়া জ্বালে বানানো হয়েছে।মজার চা।খাবারের টেবিলে বসে প্রবন্ধ চায়ে চুমুক দিয়ে যাচ্ছে।উপমা রান্নাঘরে।ওকে শুধু বলা হয়েছে কেবল দুই একটা কাজে সাহায্য করতে।কিন্তু সে দুই একটা কাজে সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজনের চেয়ে বেশী কাজ করে।ঘোমটা মাথায় পরে এক একটা কাজ করে সে।কপালে তখন বিন্দু বিন্দু পানি জমে যায় তা আবার বড় আচল দিয়ে কপাল ঘষে ঘামের পানি  মুছে নেয়।প্রবন্ধর মাও ওর কাজে সন্তুষ্ট। অভিযোগ করার মতো কোনো উপায় ছাড়ে না মেয়েটা।
প্রবন্ধর মাও ঠান্ডা মেজাজের মানুষ।বাড়তি হৈ চৈ করা তার পছন্দ না।
মা কয়েকবার এসে সব রান্নার খবরাখবর নিয়ে যায়।তার অধীনে পরিবার চলে।আর বাবা সামাল দেয় সবার চাহিদার অর্থ।উপমাকে নিয়ে গ্রামে যাওয়ার ব্যাপারটা মা কে জানানো হল না।
মা রান্নাঘরের দিকে যেতেই ডাইনিং টেবিলে বসে প্রবন্ধ মা কে ডাকলো-
-আম্মা..একটু এইখানে এসো।
মা ওর কথা শুনে দাঁড়ালো।
-কিছু বলবি?
-হুম।কথা আছে। এইখানে বসো।
মা প্রবন্ধর কথা মতো বসলো।
প্রবন্ধ বলল-
-উপমাকে আমি ওদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।বিয়ের পর মেয়েটা একটি বারের জন্য ওর মা বাবার সাথে কথা বলে নি।চুপচাপ থাকে সারাক্ষণ।ওর মন ভালো কি মন্দ কিছুই বোঝা যায় না।
-বাচ্চা মেয়ে..কতোটুকুই বা বুঝবে।ধীরে ধীরে বুঝবে।এখন নতুন বউ তাই ওমনটা হচ্ছে।
-আমি ওকে ওর বাড়িতে ঘুরিয়ে আনি।সবার সাথে কথা বললে ওর ভালো লাগবে
-আমিও না করবো না।ঘুরিয়ে আন ওকে।
এমন সময় উপমা রান্নাঘর থেকে হাতে রুটি ও ভাজির প্লেট নিয়ে টেবিলে রাখলো।
রাখার সময় প্রবন্ধ হঠাৎ খেয়াল করলো উপমার হাতের কিছু অংশে ফোস্কা পরে আছে।প্রবন্ধ বলল-
-হাতে কি হয়েছে তোমার?
উপমা তেমন কিছু না হওয়ার মতো ভঙ্গিতে স্বাভাবিকভাবে বলল-
-পরটা ভাজতে গিয়া তেল ছিটা আসছে।
প্রবন্ধর মাও খেয়াল করছিল।প্রবন্ধ চেয়ার থেকে উঠে ওকে রুমে নিয়ে গেল।ড্রয়ার থেকে একটি এন্টিসেপ্টিক ক্রিম নিয়ে উপমা অনিচ্ছা সত্তেও জোর করে তেলে পোরা জায়গায় লাগাতে লাগলো।
প্রবন্ধ বলল-
-রাঁধুনি খালাকে বললেই করে দিতো।যেইটা পারো না সেইটা কেন করতে যাও।
উপমা প্রবন্ধর দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু প্রবন্ধ ওইদিকটা খেয়াল না করে এতোগুলো মলম হাতে নিয়ে উপমার হাতে লাগিয়ে দিলো।প্রবন্ধর খুব কাছাকাছি বসে থাকতে উপমার লজ্জা হচ্ছিল।চোখের পাতা দুটো  বার বার পলক ফেলে যাচ্ছিল।
প্রবন্ধ বলল-
-তোমাকে নিয়ে আজ এক জায়গায় যাবো।তুমি ভালোভাবে তৈরি হয়ে নেও।একটু পর রওনা দেবো। আমিও তৈরি হয়ে নিচ্ছি।
উপমা উঠে গিয়ে আলমারি থেকে একটি শাড়ি বের করলো।প্রবন্ধ ওকে কোথায় নিয়ে যাবে তা সে জানে না।প্রবন্ধর কথা মতো উপমা প্রস্তুত হয়ে নিলো
প্রবন্ধ আর উপমা দুইজন একসাথে রওনা হলো।প্রবন্ধদের বাসা থেকে উপমাদের গ্রাম পর্যন্ত চলাচলের পথ কিছুটা দীর্ঘ বললেই চলে।প্রথমে লম্বা চৌরাস্তা,মাঝখানে একটি নদী ঘাট এরপর আবার লম্বা রাস্তা ডিঙিয়ে এরপর গ্রাম শুরু।এতো দূরে বিয়েটা ঠিক করেছি আবেদালি ঘটক।তার ঘটকালীর বিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।মা বাবার সাথে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।তারা এই ঘটককে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে।আর তা-ই একটি ভালো মেয়ে প্রবন্ধর জন্য জুগিয়ে আনতেও তিনি অনেক সময় নিয়েছিলেন।আর এইভাবেই খুঁজতে খুঁজতে ভাগ্য আজ এতো দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে এলো।তিনি সত্যি-ই তার বিশ বছরবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রবন্ধর জন্য একটি পুতুল কন্যা খুঁজে আনলো।প্রবন্ধর পরিবারে তার ঘটকালির ভূমিকা প্রবন্ধ কে দিয়েই শুরু।কেননা ছন্দার লাভ মেরেজ হয়েছিল।আর লাভ মেরেজ হওয়া সত্তেও ছন্দা আপুর কপালে এমন শনি আসবে কার-ই বা জানা ছিল!
গাড়িতে বসে উপমার ঘুম পাচ্ছিল।গাড়তে বসে ঝিমানো ওর অভ্যাসে আছে।ঝিমুতে ঝিমুতে উপমা প্রবন্ধর কাধে মাথা রেখে দিল।বাতাসে উড়ে আসা উপমার কিছু চুল প্রবন্ধর মুখ ছুঁয়ে গেল।তবে প্রবন্ধ বিরক্ত বোধ করলো না।ঠান্ডা হাওয়ার গায়ে এসে লাগার জন্য প্রবন্ধ উপমার গায়ে চাদর বিছিয়ে দিলো
হঠাৎ প্রবন্ধর ফোনে কল এলো।বাবা ফোন করেছে। প্রবন্ধ ফোন উঠালো-
-হেলো..
-হেলো প্রবন্ধ..কোথায় আছিস রে বাবা?
-গাড়িতে আছি! কেন!
-তেমন কোনো কারন নেই।তবে একটু দরকার ছিল।কিছু ফরেইন ক্লাইন্ট এসেছে।
ব্যাস্ততার বাধা ডিঙিয়েও অপ্রত্যাশীত কিছু ব্যাস্ততা ঘিরেই ধরে।
প্রবন্ধ বলল-
-আমি বাসায় নেই।বাহিরে।
-তোর এখন এইখানে থাকাটা উচিৎ ছিল।
এরপর ফোনটা বাবা সাথে সাথেই কেটে দিলেন।হয়তো জেদ করে কিন্তু এখন করারও তো তেমন কিছু নেই।
.
গাড়ি চলতে চলতে পৌছিল নদীর ঘাটে।নৌকা পাড়াপাড় করতে হবে কিন্তু উপমা তো কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে।প্রবন্ধ ওর হাতে ঝাঁকিয়ে বলল-
-উপমা..আমরা এখন গাড়ি থেকে নেমে পরবো উঠে পরো।
উপমার উঠে পরলো।কিন্তু ঘুমের ঘোর কাটলো না।এই ফেরী ঘাটে বেশ কিছু নৌকা চলাফেরা করে।প্রবন্ধ ইচ্ছে করলে একটি টেক্সি ভাড়া করেও এলাকা ঘুরে যেতে পারতো কিন্তু ইচ্ছে করেই এক এক রাস্তার মোড় ডিঙিয়ে যাচ্ছে।শ্বশুর বাড়ি এই প্রথম যাচ্ছে সে হাতে দই,মিষ্টি নানান পদের বাহার নিয়ে।জামাই যে আসবে তাদেরকেও জানানো হয় নি।তারা নিশ্চয়ই চমকে যাবে।গ্রামে গেলে একটা ভালো সাইড হলো সেখানে শাকসবজি সব ভেজালহীন পাওয়া যায়।সবাই সবজি চাষ করে পেট পুরে খায়।
.
নৌকায় ওরা চেপে বসলো।উপমাও এতোক্ষনে বুঝে গিয়েছে যে সে আর কোথাও না এখন নিজের বাসায় যাচ্ছে।
উপমা ধীরে ধীরে বলল-
-আমরা কি গ্রাম যাইতেসি।
প্রবন্ধ ওর দিকে তাকিয়ে বলল-
-কি মনে হচ্ছে তোমার?
-আমার গ্রামের পথ এইডা।তাই বললাম।
-হুম।তোমার ধারনা সঠিক। আমরা তোমার গ্রামে যাচ্ছি।
উপমার মুখ আনন্দের জ্বলজ্বল করে উঠলো।হয়তো সে ভাবতে পারে নি।এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো।ওর আনন্দটা ও ঢেকে রাখতে চাইছে।বোঝাতে দিচ্ছে না কিন্তু প্রবন্ধ ওর লুকোচুরি টা বুঝে গিয়েছে।আর বলল-
-খুব ভালো লাগছে তোমার তাই না!
উপমা নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো আর বোঝালো যে ওর খুব ভালো লাগছে।
প্রবন্ধ বলল-
-তোমাকে আগে বললে কি করতে বলতো?
উপমার কোনো জবাব পাওয়া গেল না।প্রবন্ধ বুঝে নিল যে ও আনন্দের আত্মহারা।
.
নৌকা গিয়ে ঘাটে থাকতেই ওরা নেমে পরলো।চারিদিক টা খুব সুন্দর। শুধু সবুজ আর সবুজ।
প্রবন্ধ এইবার একটি সিএন,জি ভাড়া করে নিলো।ওরা চেপে বসলো সি,এন,জি, তে।
.
উপমার খুব ভালো লাগছিল।নিজের বাড়ি যায়ার আনন্দটা ওকে আরও উত্তেজিত করে তুলছে।
প্রবন্ধ বলল-
-কেমন লাগছে তোমার বললে না তো!
একাক্ষরে জবাব এলো।
-ভালো
-বাসায় কে কে আছে তোমার।
-বাবা,মা পিউলি আর তোরা।
-ওরা কে?
-আমার ছোট বোন।
-ও,আচ্ছা.ওদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হতো তোমার?
-জী
-আগে কেন বললে না!ওদেরকেই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বাসায়।
উপমা কথা বলল না।ওর ভয় টা কেটে যাচ্ছে প্রবন্ধর প্রতি।মানুষটা খুব মিশুক বোঝা যায়।কতোটা সুন্দর করে কথা বলে যাচ্ছে আর বাড়ির সবার সাথে দেখা করিয়ে আনতে যাচ্ছে।
উপমা সাহস করে বলল-
-আইজ কি আমরা থাকুম?
প্রবন্ধ তো থাকার কোনো প্রস্তুতি নিয়ে আসে নি।এমন কি থাকার কোনো পরিকল্পনাও নেই।মেয়েটি থাকার চিন্তাও করে ফেলেছে তবে মেয়েটির প্রথম আবদারটা না মানলেই নয়।নয়তো মেয়েটির মন কিছুটা হলেও ভেঙে পরবে।
প্রবন্ধ একটু ভেবে নিয়ে বলল-
-হুম থাকবো আমরা থাকবো।
পথ পাড় হতে হতে সি,এন,জি, টা সরষে ক্ষেতে হঠাৎ থেমে গেল।প্রবন্ধ অবাক হয়ে বলল-
-কি হয়েছে ভাই?থামলেন কেন?
ড্রাইভার বলল-
-ইঞ্জিন নষ্ট হইয়া গেসে ভাই।
-কি বিপদ!এখন উপায়?
-আপনে গো অপেক্ষা করতে হইবো।
তা-ই হলো উপমা আর প্রবন্ধ সি,এন,জি, থেকে নেমে পরলো।মাঝ পথে এসেই নষ্ট হতে হলো।হেটে যাওয়ারও তো উপায় নেই।মাঝে মধ্যে দুই একটা ট্রাক ছাড়া পথে কোনো রিকশাও নেই।কিন্তু সামনে একটা সরষে ক্ষেত আছে।ফুলে ফুলে চারিদিক ভরে আছে।
প্রবন্ধ উপমাকে জায়গা টা দেখিয়ে বলল-
-চলো।ওইদিকটায় যাই।
ওরা সরষে খেতে নেমে পরলো।ফুলে বিছানো হলদে বর্ণ ধারন করা।কি সুন্দর সেই দৃশ্য।ওরা কিছুক্ষন এইদিকটায় দাঁড়িয়ে রইলো। আর ড্রাইভার বসেছে সি,এন,জি ঠিক করতে।
.
প্রবন্ধ বলল-
-জানো উপমা। আমি গ্রামে খুব কম আসি।ধরতে গেলে আমার গ্রামে আসা-ই হয় না।তোমার জন্য-ই আজ আসা হলো এইখানে।আমার ভালোই লাগছে।খারাপ মোটেও লাগছে না।বাবা আগে গ্রামে নিয়ে ঘুরিয়ে আনতো আমায়। আমি বাচ্চা ছেলে ছিলাম তখন।আসতে চাইতাম না।কিন্তু এখন বুঝছি বাবা কেন আসতে চাইতেন।এইখানের পরিবেশ আর খোলা বাতাসেই হয়তো তিনি মিশে যেতেন।
উপমা শুধু শুনেই গেল।প্রবন্ধর কথা সে শুধু শুনে যায়।সহজে কিছু বলে না।
প্রবন্ধ বলল-
-সি,এন,জি, টা নষ্ট হওয়াতে ভালোই হলো তাই না!আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়ে নিতে পারছি।যা-ই হোক।আমার মনে হয় তোমার বাসার সবাই আমাদেরকে হঠাৎ দেখতে পেয়ে নিশ্চয়ই অবাক হবে।
উপমা ঘোমটার নিচ থেকে প্রবন্ধর দিকে তাকিয়ে বলল-
-আপনের নাম কি?
প্রবন্ধ আশ্চর্যান্বিত হয়ে বলল-
-সে কি? তুমি আমার নাম জানো না?এতোদিনে আমার নাম জানতে চাইছো!
ভারি অদ্ভুত! বিয়ের দিন গড়িয়ে চলছে আর এই মেয়ে এতো দিনে নিজের স্বামীর নাম জানতে চাইছে।অনেক অবাক হয়ে প্রবন্ধ ওর নামটা বলল-
-আদিত্ত হক প্রবন্ধ।
"প্রবন্ধ" নামটা উপমা বিড় বিড় করে উচ্চারণ করতে চেষ্টা করলো 'প্রবদ্দ,প্রনদ্ধ'। খুব কঠিন মনে হচ্ছে ওর কাছে।
চলবে..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ