......................নিল পথ ধরে......................
:
Adro Neel Himu (হিমালয় ও ইচ্ছে ঘুড়ি)
:
:
হাই হ্যালো দিয়েই শুরু হয়ে ছিল আমার আর
অরিনের সম্পর্ক। প্রথমে বন্ধুত্ব অতঃপর যা
হবার তাই। আমরাও এক সময় স্বপ্ন বুনতে শুরু
করি! দুজনই অধম।
-
আমি Adro Neel Himu শখের বসে ফেবুতে টুক-
টাক লেখা লেখি করি। সেই সূত্রেই
অরিনের সাথে পরিচয়।
ওর পুরো নাম- তাসনিম জান্নাত অরিন। বড়
লোক বাবার আদুরে মেয়ে আর আমি একজন
দিন মুজুরের সন্তান কিন্তু অরিনকে বুঝিয়ে
বলার পরেও, বুঝলো না। আমাদের এ সম্পর্ক
কেউ মেনে নিবে না। কিন্তু সে বুঝতেই
চায় নাহ্। জানি না আমাদের এই পবিত্র
ভালোবাসা কেউ মেনে নিবে কি না?
-
-
অরিন যে ভাবে আমার পিছে লেগেছিলো
বেশি দিন আর থাকতে পারি নি, এক সময়
আমি ভালোবাসা নামক মায়ার জালে
বদ্ধ্য হয়ে যাই।
-
-
-
অরিন,
হুম
কেমন আছো?
ভালো, তুমি কেমন আছো?
তোমাকে ছাড়া কেমন করে ভালো থাকি
বলো।
হুম আমিও তোমাকে ছাড়া আর থাকতে
পারছি না, প্লিজ নিল আমাকে নিয়ে যাও
আমারো তো মন চায় তোমাকে আমার
কাছে আনতে কিন্তু, তোমাকে এনে খাওয়াবো
কি?পরাবো কি?
জানি নাহ্ আমি শুধু তোমার পাশে ছায়ার
মত একটু থাকতে চাই। তোমার বুকে মাথা
রেখে শান্তিতে একটু ঘুমাতে চাই। তোমার
সুখ-দুঃখের সাথি হতে চাই। তোমার গানের
কলি হতে চাই। তোমার ঘরের ঘরনি হতে
চাই। মাঝ রাতে তোমার কোলে মাথা রেখে
চাঁদ, দেখতে চাই, তোমার একটু ভালোবাসা
চাই। তোমার চোখে চোখ রেখে সব ভুলে যেত
চাই। এরচেয়ে বেশি কিছু চাই না। প্লিজ তুমি
আমাকে নিয়ে যাও,
পাগলি আমারো তো মনচায় তোমাকে
আমার পাশে দেখতে। সকালে তোমার
ভেজা চুলের ফোটা ফোটা পানিতে ঘুম থেকে
উঠতে, কিন্তু তোমার পরিবার কি মেনে
নিবে। আমাদের সম্পর্ক
নিলে নিক না নিলে আমি তোমার কাছে
চলে আসবো,যা হয় হবে।
না আমি এভাবে তোমাকে নিতে চাই না,
আমি আমার, বাবা-মা কে কষ্ট দিতে
চাইনা, তারা আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ
করছে। তারা না খেয়ে আমাকে খাইয়েছে,
তারা ছেড়া কাপড় পড়েছে কিন্তু আমাকে,
সবসময় নতুন কাপড় পড়িয়েছে কখনো অভাব
কি বুঝতে দেয় নি, আমি কি করে তাদের,
না জানিয়ে তোমায় নিয়ে আসি, বল।
আমিও তো চাই আমার বাবা-মা কে কষ্ট
না দিতে। কিন্তু তারা কি মেনে নিবে?
জানি নাহ্ তবে আমার বাবা-মাকে বুঝিয়ে
বল্লে হয়তো নিবে।
আমার বাবা মা দুজনেই প্রচন্ড রাগি,
আমাকে মেরে ফেলবে বল্লে।
কিছু একটা করতে, হবে।কিন্তু মা-বাবা কে
কষ্ট দেওয়া যাবে নাহ্, তারা অনেক কষ্টে
আমাদের মানুষ করেছে। তাদের কষ্ট দেওয়া
যাবে নাহ্।
আচ্ছা আমরা কি তাদের বুঝিয়ে বলতে
পারিনা?
হুম এইটা করা যায়।
-
-
অরিন
হুম
তুমি তোমার আম্মুকে আগে বুঝিয়ে বলো।
আর আমি আমার আম্মুকে বলি।
হুম তাই করি
-
আমি --- আম্মু ও আম্মু
-
আম্মু --- বল
-
---- আম্মু আমি না একটা মেয়ের সাথে
অনেক দিন ধরে কথা বলি, আমি না আম্মু
ওকে খুব ভালোবাসি, আমি ওকে ছাড়া
থাকতে পারবো নাহ্ আম্মু,,, কেঁদে কেঁদে
আমি।
-
আম্মু--- আমি কিছু বলতে পারবো নাহ্। তোর
বাবা কে বল।
-
আমি--- আম্মু তুমি বলো।
-
আম্মু -- আচ্ছা বলে দেখি কি বলে।
-
-
আব্বু সব শুনে অবশ্য, রাজি হয়েছে। তবে
আব্বু বলছে আমরাতো গরিব, দিন আনি দিন
খাই। বড়লোকের, মেয়ে কি আমাদের, সাথে
থাকতে পারবে।বল বাবা, তার পরেও দেখ,
তোর সুখেই আমাদের সুখ।
-
- কিন্তু একটা বিষয় বুঝছি না। অরিন এখনো
কল করে নাই।
,
মাথার মধ্যে অনেক কথা ঘুর পাক খাচ্ছে।
ওর বাবা মা কি আমাদের মেনে নিলো
নাহ্। নাকি অরিন কে, মারছে নাহ্ কিছু
ভালো লাগছে না।
-
রাত ১০টা বাজে তবুও অরিন কল করলো নাহ্।
ধুর আমি একবার কল করি। নাম্বার সেভ
ছিলো না, আমার মুখস্থ ছিলো। 01735028.....
তুলতেই অচেনা নাম্বার থেকে একটা কল
আসলো ০১৯৫৭৬৪৪০....... কল রিসিভ করে।
-
--- আসসালামু আলাইকুম,, আমি
-
--- ওলাইকুম সালাম: বাবার বয়সি লোক
-
--- জ্বি কে বলছেন
-
--- আমি অরিনের বাবা
-
--- জ্বি আংকেল বলুন
-
-- - তুমি কি নিল বলছো?
-
--- জ্বি
-
---- কেমন আছো বাবা?
- জ্বি ভালো! আপনারা কেমন আছেন:
- আমরা সবাই ভালো আছি কিন্তু তোমাকে
কিছু কথা বলতে চাই, মনযোগী হয়ে শুনবে।
-জ্বি আংকেল বলুন
- বাবা দেখো তোমরা এখন বুঝতে
শিখেছো, কি করলে কি হয়। আমি চাইনা
তোমরা, এমন কিছু কর, যা করলে আমাদের
মানে তোমার বাবার আর আমাদের মান
সম্মান নষ্ট হয়।
-জ্বি আংকেল
- তোমার পরিবার সম্পর্কে, আমি সব,
অরিনের কছে শুনেছি। তোমরা যখন
নিজেরা নিজেদের ভালোবেসেছো। এতে
আমাদের আপত্তি নাই।
-খুশিতে লুঙ্গি নাচ নাচতে মনচাইছে।
( মনে মনে. আমি)
-কিন্তু এতে আমার একটা শর্ত আছে।
-বলুন কি শর্ত, আমি অরিনের জন্য সব করতে
রাজি আছি।
-দেখো বাবা পৃথিবীর, কোন মা-বাবাই
চাইবে না। তাদের মেয়ের কোন বেকার
ছেলের সাথে বিয়ে হোক। আমি চাই তুমি
নিজের পায়ে দাঁড়াও, তার পরে। ধুম ধাম
করে তোমাদের বিয়ে দিব।
- জ্বি আংকেল, আমি যথাযথ চেস্টা করবো।
- আর একটা কথা, তোমার বাবার সাথে,
আমাকে কাল সকালে একবার কথা বলিয়ে দিবা।
- জ্বি আংকেল
-আর যদি তুমি কিছু না মনে করো, তাহলে
কাল একবার আমার অফিসে আসবে।
-জ্বি আসবো।
- ওকে বাই
-
-
সকাল ১১টা বসে আছি অরিনের বাবার
অফিসসে। কি বলবে আমি মনে মনে। তাই
ভাবছি হয়তো, বলবে আমার অফিসে জয়েন
কর।
-
--- নিল
---- জ্বি আংকেল
--- তুমি আমার অফিসে সুপার ভাইজার
হিসেবে জয়েন করতে পারো, আমাদের এই
পোস্টটাই খালি আছে। তবে তুমি যদি করতে না
চাও, আমি জোর করবো নাহ্।
,
---- জ্বি আংকেল।
- -- -
-
--- পরের কথা গুলি শুনে সত্যি আমি, অবাক।
-
--- নিল তুই কি ভাবছস চাকরের বাচ্চা চাকর
তোর সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো?
আরে তোর চৌদ্দগুস্টির এক মাসের হাত খরচ।
আমার মেয়ে এক সপ্তায় করে। ফকিরের
বাচ্চা, তুইতো আমার মেয়েকে নয়। আমার
টাকা কে ভালোবাসিস।
-
--- আংকেল কি বলছেন এসব।
--- কিসের আংকেল, কত টাকা হলে আমার
মেয়ের পিছু ছাড়বি বল।
- -- - দেখুন ভালোবাসা টাকা দিয়ে কেনা-
বেচা যায় না, আমার ভালোবাসা, মন
থেকে, আমার ভালোবাসা পবিত্র। আমার
মনে কোনো লোভ নেই।
-- ফকিরের বাচ্চা সামনের মাসের ৫তাঃ
অরিনের বিয়ে, পারলে তোর ভালোবাসার
জোরে বিয়ে ভাঙ্গ দেখি।
--- আপনি এসব কি বলছেন আংকেল। আপনিই
তো রাতে বললেন, আমাকে নিজের পায়ে
দাড়াতে, তার পরে আমাদের বিয়ে দিবেন।
আর এখন এসব কি বলছেন।
-
যা বলছি তোর ভালোর জন্য বলছি। যা ভাগ!
- না আমি অরিন কে ছারা বাঁচবো নাহ্।
-
--- কাল্লু ওই কাল্লু, রহিম, ছলিম। তোরা
কইরে, এই ফকিরের বাচ্চাকে, আমার
সামনে থেকে নিয়ে যা।আর হাত পা সাইজ
করে, হাসপাতালে দিয়ে আয় তো।
-
-- অতঃপর শুরু হলো আমার উপর অমানসিক
নির্যাতন।
-
আজ ৪ তাঃ আজ অরিন আমার সাথে শেষ দেখা
দেখতে এসেছে কিন্তু কাল ওর বিয়ে লোকে কি
বলবে, জানাজানি হলে। বা ওর শ্বশুর বাড়ির
কেউ, জানলে কি হবে?
-
-
-
আজ ৫ তারিখ খুব মনে পরছে, অরিনের কথা
ডাঃ বলেছে আমাকে নাকি আর কিছুক্ষণ
পরে ছেড়ে দিবে কিন্তু আমি এতে মোটেও
খুশি নাহ্। যাকে মন-প্রাণ দিয়ে চেয়েছি,,
সেইতো অন্যের হতে, যাচ্ছে,।যাকে এতো
ভালোবাসলাম সেইতো হারিয়ে যাচ্ছে।
সে আর কিচ্ছুক্ষন পরে হবে অন্যের ঘরের
ঘরনি।
-
-
মনে হলো হাসপাতালের নিচে কোনো গাড়ি
এসে থামলো।
-
-
-
এ আমি কি দেখচ্ছি, অরিন অরিন, বেড
থেকে লাফ দিয়ে উঠে ওর কাছে গেলাম,
কিন্তু ও তো কথা বলতে পারছে না। কেমন
যেনো করছে..
কি হলো অরিন?উঠো উঠো বলছি। কিন্তু না
অরিন আর উঠবে না,অরিন বিষ খেয়েছে।
এখন ও গভির ঘুমে আচ্ছন্ন ওকে হাজার
ডাকলেও আর উঠবে নাহ্। কারন ও চলে
গেছে না ফিরার দেশে। যে খানে গেলে
আর কেউ ফিরে না।
-
অরিন কে মাটি দিয়ে আসলাম মাত্র।
আমারো বাঁচতে ইচ্ছে করছে না। অরিনের
বাবা কে দেখলাম খুব কান্না করতে।
-
আমি এখন দাড়িয়ে আছি, বিন্নাবাড়ির
স্কুলের ছাদে। ভাবছি আত্মহত্যা করবো।
কিন্তু আমার মা বাবার কি হবে?তারা যে
আমাকে এত কষ্ট করে। মানুষ করেছে কি
হবে তাদের আশার, কি হবে তাদের
প্রত্যাশার, না আমি আত্মহত্যা করবো
নাহ্। আমার মা-বাবার জন্য হলেও আমাকে
বাচতে হবে।
-
-
-
আজ ২০৩০ সালের ৬মাসের ৫ তারিখ। আমি,
আয়না, আর আমাদের পিচ্চি মামনি
দাড়িয়ে আছি, অরিনের কবরের পাশে।
-
-
বাবা মার মুখের দিকে, তাকিয়ে। আর
অরিনে বাবার জন্য! বাধ্য হয়ে বিয়ে
করতে, হয়েছে। আয়নাকে,, আয়না অরিনের
ছোট বোন। আমি আজ আয়নার মাঝে অরিন
কে খুজে পাই। এখন আমি সব দুঃখ কস্ট ভুলে,
নতুন করে জিবন শুরু করেছি,।
-
-
-
আমি এখন বিশ্বাস করি। আমার মা বাবা
কে। আর ভালো বাসি আয়না কে আর আমার
পিচ্ছি মামনিকে।
-
-
বিদ্রঃ যে যাবার সে যাবেই, থাকে ভেবে
কখনো নিজের জিবন থামিয়ে রাখবেন না।
আর জিবন কখনো থেমে থাকার বস্তু নয়। সে
তার আপন গতিতে চলবে।
-
-
আর আপনাকে এগুতে হবে। আপনার গতিতে,
দমিয়ে গেলে হবে না। আপনার সামনে
রয়েছে সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ।
-
-
চলুন আপন গতিতে, নিজের পথ ধরে- হলেও হতে পারে - আপনার জিবন আলোকিতো
জোনাকির মত!!
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļāύিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
633
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Ģā§Ŧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ