" চৈতীর ছুটি আজ বেশ দেরীতে হয়েছে । এমনেতে ১০.৩০ এ ছুটি হয়ে যাই তবে আজ ১২ টা বেজে গেছে । চৈতী একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতেই পড়ে, ফাইনাল ইয়ারেই , কয়েকজন বান্ধবীদের সাথে বেচেলোরই থাকে তার পাশাপাশি একটা পার্ট টাইম জব এই আরকি । যাইহোক অফিস থেকে বের হয়ে তার ভাড়া করা রিক্সাওয়ালাকে ফোন দিলো
- রফিক চাচ্চু, তুমি কোথায় ?
- এইতো আম্মাজান ১০ মিনিটেই আইতেসি
.. রফিক চাচ্চু তার পাশের গলির কলোণীর এক বস্তিতেই থাকে । প্রতিদিন ভাড়া দিতে হয় না, ২০০০ টাকা মাসে নিয়ে নে । আর যদি দরকার হয় তাহলে চৈতীকে বলে, চৈতী তার সাধ্যমত চেষ্টা করে উপকার করার । ১০ মিনিট পর রফিক চাচা আসলো
- আম্মাজান, আজ এতো দেরী হলো যে ?
- ( রিক্সায় উঠতে উঠতে) আর বলিও না, সামনে অফিসে এক বড় প্রোগ্রাম তাই একটু মিটিং হয়েছে
- ও আচ্ছা
... রিক্সা চালাতে শুরু করলো, কিছুদূর গিয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো সেই সাথে ধমকা হাওয়া দিচ্ছিলো
- আজ আকাশের অবস্থা মেলা খারাপ
- হুম সেটাই তো দেখছি
... কিছুদূর যাওয়ার পর এক মাতাল এসে রিক্সা থামালো , মাতালটা দেখতে এতোটা খারাপ না, চোখে চশমা দেখে বেশ ভদ্র ঘরের সন্তানই মনে হচ্ছে, অফিস থেকে ফিরার পথে ড্রিংকস করেছে সেটাও আন্তাজ করা যাচ্ছে । মাতাল লোকটি বললো
- এই যে শুনছেন আমাকে একটু বাসায় পৌছে দিবেন ?
.. চৈতী সাথে সাথেই বলে উঠলো
- রফিক চাচা, থামলে কেন ? জোড়ে চালাও রিক্সা ।
- আম্মাজান, সাহেবরে আমি চিনি, খুব ভালো ঘরের পোলা । সাহেবের আব্বারে আমি আগে আপনার মত অফিস থেইকা নিয়া আইতাম ।
- হ্যা, তা তো দেখিতেই পারছি কত ভালো ঘরের ছেলে, যা বলছি তা করো চালাও
... মাতাল লোকটি বলে উঠলো
- প্লিজ, আমি বাসার রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি, মনে পড়ছে না কিছুই ।
... রফিক চাচ্চু বলে উঠলো
- আম্মাজান, আপনি চিন্তা কইরেন না , আমি তো আছিই । আপনার বাসা যাওয়ার পথেই উনাগো বাসা । আজ রাতে খুব বৃষ্টি হইবো, উনারে একা ফেলে যাইতে মন চাইতেসে না । বিশ্বাস করেন সাহেব খুব ভালা মানুষ, আজ রাইতে কি না কি খাইসে ।
.. চৈতী কিছুক্ষণ ভেবে বললো
- আচ্ছা ঠিকাছে , উনাকে উঠতে বলুন
.. মাতাল লোকটার রিক্সাতেও উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, রফিক চাচা অনেক কষ্ট করে ঠেলে ঠেলে রিক্সায় তুললেন, এদিক খুব জোড়ে বৃষ্টি হতে শুরু করলো । মাতাল লোকটি বার বার তার মাথাটা চৈতীর দিকে হেলে দিচ্ছিলো, চৈতী চেঁচিয়ে বললো
- এই যে আপনার সমস্যা কি
- একটু মাথাটা রাখি, খুব ঘুম পাচ্ছে ।
- মগের মুল্লুক, আমি কি আপনার বিবাহিতা স্ত্রী ? মাথা অন্যদিকে দিন, নাহলে আমি আপনাকে নামিয়ে দিবো এখন ।
... চৈতী যতই বলা বলি করুক না কেন, নেশার ঘোরে মাথাটা বার বার চৈতীর দিকে চলে আসছিলো । বাসার সামনে এসে রিক্সা থামলো । মাতাল লোকটির মা অশ্রুসিক্ত নয়নে ছাতা নিয়ে এগিয়ে আসলো । বাসার দাড়োয়ান এসে মাতাল লোকটিকে ঘরে নিয়ে গেল । তারপর তার মা চৈতীকে বললো
- তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মামুণী , সেই সাথে খুবই দুঃখিত এবং লজ্জিত
- ঠিকাছে, আমি আসছি
- মা বলছি কি, এতোরাতে তাছাড়া
খুব বৃষ্টি, আর ওদিকের এলাকাটাও এতো ভালো না । তোমার যদি আপত্তি না থাকে আমাদের বাসায় থেকে যাও
- না না রফিক চাচা আছে ।
.. রফিক চাচা বলে উঠলো
- আম্মাজান, আজ আফামণির বাসায় থাইক্কা যান । খুব বৃষ্টি, পানি উঠবো হাটুসমান । আমারো ঠানতে কষ্ট হইবো, আমি গ্যারেজে আজ কাটায় দিমু । আপনি আফামণির কাছে থাকেন, আফায় খুব ভালা
...মাতাল লোকটির মা বলে উঠলো
- গ্যারেজে কেন যাবেন রফিক ভাই, আপনি আমাদের দাড়োয়ানের সাথেই থেকে যান
- ঠিক আছে আফা
... চৈতী থাকতে রাজি হলো । চৈতীকে রুমের ভিতর নিয়ে আসলো লোকটির মা । তারপর লোকটির ছোট বোনকে ডাক দিয়ে তার রুমে পাঠিয়ে দিলো । কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে এসে চৈতীকে লোকটির বোন জিজ্ঞেস করলো
- Dinner করেছো আপু ?
- হুম, করেছি । তোমার নাম কি ?
- আমার নাম জারিন আর আপনি যেই দেবদাসকে নিয়ে এসেছেন উনি আমার বড় ভাইয়া নাম অভ্র ।
- তোমার ভাইয়া দেবদাস ? তাই মাতলামি করছিলো ?
- হুম, খুব ভালোবাসতো একটা আপুকে । শেষমেশ আপুটাও ভাইয়ার লাইফ থেকে সরে যাই আর ভাইয়াও এই আরকি
- হুম বুজলাম । বাসায় কেউ কিছু বলতে পারো না ?
- কে কি বলবো, ভাইয়াই তো আমাদেরকে চালায়, আব্বু চলে যাওয়ার পর থেকে
- বিয়া করিয়ে দিতে পারো না উনাকে ? একটা সুন্দরী মেয়ে দেখে বিয়ে দিয়ে দাও দেখবে ঠিক হয়ে গেছে সব
- যদি বলি তুমিও কম সুন্দরী না
? (কিঞ্চিত হেসে) তবে এইরকম মাতালকে কে বিয়ে করতে চাইবে ? তুমিও নিশ্চয় চাইবে না ?
- ( মৃদু হেসে) তুমি তো খুব দুষ্টু দেখছি । তা আগেও কি তোমার ভাইয়াকে কোন আপু আমার মত বাসায় দিতে এসেছিলো ?
- বাসায় দিতে আসেনি, তবে জেলখানায় দিয়ে এসেছিলো । তারপর আম্মু গিয়ে ছাড়িয়ে আনে । তুমি ঠিকসময়ে না আসলে আম্মু জেলখানায় চলে যেত slightsmile emoticon
- আহারে, উনি কি রোজ মাতলামি করে এইরকম
- আরে না, যখনই মন খারাপ হয়, অতীত স্মৃতি মনে পড়ে তখনই মদ পান করে, আর সেদিনই কারো না কারো ১২ টা বাজায় ছাড়ে, দুর্ভাগ্যক্রমে আজকে সেই ব্যাক্তিটি আপনি slightsmile emoticon
... জমে উঠলো তাদের আড্ডা । জারিনকে চৈতী তার ফোন নম্বরটি দিলো । এইভাবে কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লো । পরেরদিন সকালে উঠে চৈতী অভ্রদের বাসার ডাইনিং রুমের টেবিলে গিয়ে বসলো । তাদের ডাইনিং টা বেশ গুছানো ছিলো । ওয়ালে শুভ্রের ভার্সিটি লাইফের কিছু ছবি আর সেই সাথে পরিবারের সাথে কিছু ছবি ছিলো । অভ্রের হাসিটা খুবই মিষ্টি দেখাচ্ছিলো ছবিতে । টেবিলে একটা পেপার ছিলো, চৈতী সেটা নিয়ে পড়ছিলো । অভ্র দাতের ব্রাশ করতে করতে ডাইনিং এর দিকে আসছিলো, চৈতীকে দেখে জিজ্ঞেস করলো
- Excuse me, আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না ?
- আমি চৈতী
- চৈতী ? কোন চৈতী
- আপনার বোনের বান্ধবী
- মশকরা করছেন, আমার বোন ইন্টারে পড়ে আর আপনাকে দেখেতো তা মনে হয় না
- ও হ্যা, তাই তো । তাহলে ধরে নিন, নতুন একজন অতিথি
.. অভ্র মাকে ডাক দিলো কিন্তু সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, চৈতী বললো
- আপনার মা বাজারে গিয়েছেন সম্ভবত । বড় হয়েছেন মাতলামি না করে, মায়ের কষ্ট বুজতে শিখুন
- ( গরম হয়ে) আমি মাতলামি করবো নাকি করবো না সেটা আমার ব্যাপার, আপনি কোথা থেকে এসেছেন, বেরিয়ে যান বলছি, দাড়োয়ান চাচা
- উহু, উত্তেজিত হবেন না । আমি নিজেই বেরিয়ে যাচ্ছি
..... তারপর চৈতী রফিক চাচাকে ফোন দিয়ে বেরিয়ে পড়লো । কিছুক্ষণ পর অভ্রের মা বাসায় আসলো, চৈতীকে খুজতে শুরু করলো । দাড়োয়ানের কাছ থেকে জানতে পারে অভ্র দুর্ব্যবহার করে চৈতীকে চলে যেতে বলেছে । অভ্রের সামনে গিয়ে
- মেয়েটার সাথে এমন দুর্ব্যবহার করলি কেন ?
- যাচ্ছে তাই বলছিলো আমাকে, মেয়েটা কে ?
- ও তোকে কালকে বাসায় নিয়ে এসেছিলো । খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো কালকে । তুই রাস্তায় মাতলামি করছিলি, মেয়েটাই তোকে বাসায় পৌছে দিয়েছে । ও না থাকলে কালকে তোর কি হতো কি জানি। মেয়েটার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসবি । মেয়েটার বাসা আমি চিনি না তবে রফিক চাচার রিক্সা করেই আসে এটা জানি ।
... মায়ের কাছ থেকে কথা গুলো শুনার পর অভ্রের ভীষণ অনুশোচনা হলো । কালকে এতই নেশা করেছিলো যে কিছুই মনে করতে পারছিলো না শুধু যেই রাস্তায় মাতলামি করেছিলো সেটা আফচা আফচা মনে পড়ছিলো । যাইহোক সেদিন সন্ধ্যা থেকে অভ্র, চৈতীর জন্য সেই রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলো । রাত ১০ টায় চৈতী, রফিক চাচার রিক্সা দিয়ে বাসায় ফিরছিলো । অভ্র দেখতে পেয়ে সামনে গিয়ে রিক্সা থামালো । চৈতী বলে উঠলো
- আরে মিস্টার অভ্র যে, আজকেও লোড নাকি ?
- ( মাথা নীচু করে ) জি, না
- তাহলে পথ আটকালেন কেন ?
- ক্ষমা চাইতে এসেছি
- আপনার কোন ক্ষমা নেই । যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না সে কৃতগ্ন । রফিক চাচা রিক্সা চালাও
.. রিক্সা চলতে শুরু করলো, রিক্সার তালে তালে অভ্র দৌড়াতে লাগলো আর বললো
- প্লিজ আমায় ক্ষমা করুন । কালকে রাতে এতো নেশা করেছি যে কিছুই মনে করতে পারছিলাম না ।
- ( চৈতী নিশ্চুপ )
- কি হলো কিছু একটা তো বলুন
- ( চৈতী নিশ্চুপ )
- ঠিকাছে, আপনি যতদিন আমায় ক্ষমা করবেন না । আমি রাস্তায় আপনার জন্য প্রতিদি অপেক্ষা করবো ।
.. রিক্সা চলে যাওয়াটা অভ্র দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলো । বাসায় ফিরে অভ্র, তার ছোট বোন জারিনের কাছে গেল..
- জারিন, তোর কাছে চৈতী আপুর নাম্বার আছে ?
- হুম আছে তো
- দে তো একটু
- উমম, দিবো তবে একটা শর্তে
- বলেন দেখি আপনার শর্তটা কি ?
- আপুকে আমার ভাবী বানাতে হবে
- হেই, পাগল নাকি । ভালো করেই চিনলামই তো না
- কিন্তু আমি চিনেছি, উনার সাথে কাল রাতে অনেক কথা বলেছি , আপুটা খুব ভালো । তোমার আগেরটার মতো ছ্যাছড়া না
- না বাজি, আমি জাস্ট ক্ষমা চাইবো
- উহু, তাহলে দিবো না
- ( কিঞ্চিত হেসে) আগে তো নাম্বার টা দে, কথা না বললে তোর ভাবী বানাবো কেমনে ?
- এই না হলো আমার ভাই ।
... জারিনের কাছ থেকে নাম্বারটা নিয়ে অভ্র চৈতীকে ফোন করলো তখন বাজে রাত প্রায় ২ টা
- হ্যালো, কে বলছেন ?
- আমি অভ্র, মাতাল লোকটি
- এত্তোরাতে আমার ঘুম ভেংগে দিলেন কেন ? কালকে আমার ভার্সিটিতে ক্লাশ আছে
- আগে ক্ষমা করেছেন কি না বলুন
- কখনোই না, নাহ নাহ নাহ
... এই কথা বলে ফোনের সুইচ অফ করে দিলো চৈতী । পরেরদিন অফিস থেকে ফিরার পথে অভ্রকে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখলো চৈতী । চৈতী রিক্সা না থামিয়ে ঠেনে নিয়ে যেতে বললো । এইভাবে বেশ কয়েকদিন অভ্র দাড়িয়ে ছিলো কিন্তু চৈতী তা এড়িয়ে গেল । একদিন রাতে চৈতী, অভ্রের কথা ভাবতে লাগলো। মানুষটার এইভাবে প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকা দেখে মনে একটু সহানুভূতি জাগলো । ডায়েল নাম্বার থেকে অভ্রের নাম্বারটা খুজে বের করলো । খুজতে বেশি সময় লাগলো না, রাত ২ টার সময় এই অধম ছাড়া আর কেউ ফোন দেয় নি আগে । ফোন দিয়ে
- হ্যালো, মিস্টার অভ্র ?
- জি মিসেস চৈতী, আমিই অভ্র
- আপনার সমস্যাটা কি ?
- আমায় ক্ষমা করেছেন ?
- উমমম, হ্যা করেছি । কালকে থেকে ওভাবে আর দাড়িয়ে থাকতে যাতে আর না দেখি । ঝড় বাদলের দিন পাগল একটা ।
- তুমি করে বলি, আপনাকে ?
- বলতে পারেন
- কালকে দেখা করতে পারি আমরা ?
- কেন ?
- কিছু কথা বলার ছিলো তোমাকে
- ঠিকাছে, বলুন কোথায় আসতে হবে
... পরেরদিন সকালে তারা দেখা করলো । একসাথে ঘুরতে বের হলো । চৈতীকে তার অতীতের সব কথা শেয়ার করলো । সবকিছু শুনে চৈতী, অভ্রকে বললো
- সব শেষই কিন্তু শেষ না । কিছু শেষ নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে । আর শুনুন আপনাকে যাতে আর ওভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে না দেখি ।
.. এইভাবে কিছুদিন যেতে লাগলো অভ্র-চৈতী রোজ দেখা করতো । খুব কাছেই চলে এসেছিলো তারা । আপনি থেকে তুমিতে চলে এলো পরস্পর । একদিন রাতে খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো, অফিস থেকে ফেরার পথে চৈতী দেখলো অভ্র রাস্তায় দাড়িয়ে আছে, রিক্সা থামাতে বললো
- কি হলো অভ্র, তুমি এখানে এতো বৃষ্টিতে ?
- তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছি
- কি কথা ?
- সন্ধ্যা ৬ টা থেকে এখানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মশার কামড় খাচ্ছিলাম । চিকনগুনিয়া হবে মনে হয়
- এই কথা বলার জন্য তুমি এখানে দাড়িয়েছো ?
- না মানে, চৈতী I LOVE YOU, WILL YOU MARRY ME ?
.. কিছুক্ষণ ভেবে চৈতী রফিক চাচাকে রিক্সা চালাতে বললো, অভ্র মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিলো । রিক্সা কিছুদুর গিয়ে থামলো তারপর চৈতী বললো
- I LOVE YOU TO... তবে এখানেও শর্ত আছে ?
- ( উৎফুল্ল হাসিতে ) আরে বলে ফেল কি চাও ?
- আমার জন্য রোজ এখানে দাড়িয়ে মশার কামড় খেতে হবে , চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া যাই হোক না কেন ?
- দরকার হলে মশারী জড়িয়ে দাড়িয়ে থাকবো
- সত্যি, তা ওখানে দাড়িয়ে কেন । উঠে পড়ো রিক্সায়... কে আছেন বৃষ্টির দিনের বেকগ্রাউন্ড রোমেন্টিক মিউজিকটা ছেড়ে দিন
...... সমাপ্তি.... "
লিখাঃ দিবাকর বড়ুয়া শুভ
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ā§§ā§§ āĻāĻāϏ্āĻ, ⧍ā§Ļā§§ā§
693

692
এক্সকিউজ মি!!
.
মেয়েটি ঘুরে তাকায়..
-আপনার নামটা জানতে পারি?
-অপরিচিতদের নাম বলি না..
-তাহলে পরিচিতদের বলেন??
মেয়েটি চোখ বড় করে কপাল কুচকে তাকায়.. আমি অপলক চেয়ে থাকি..
-সমস্যাটা কোথায়? প্রায় একমাস যাবৎ আমার পিছু ঘুর ঘুর করছেন!
- কোথায়! আমি তো আপনার সামনেই দাড়িয়ে!
-হ্যা। আজ মেবি আপনার সাহসটা বেশীই বেড়ে গেছে..!
-ওয়াও! আইমিন আপনিও আমাকে ফলো করেন??
-আপনাকে আমি ফলো করতে যাব কেন?
-নয়তো কি!! বুঝলেন কি করে যে আমি আপনার পিছু নেই?
-এমনিই..
-হাহাহা..
-আজিব! হাসতেছেন কেন?
-এমনিই। তবে একটা জিনিস খুবই অদ্ভুত লাগছে..
-কোনটা?
-এইযে এতক্ষণ এখানে দাড়িয়ে আমাকে সময় দিচ্ছেন, কথা বলছেন! কিন্তুু নামটা বলছেন না!
-এই যে হ্যালো! মুখ সামলিয়ে কথা বলেন। আমি মোটেও আপনার জন্য ওয়েট করছি না। আমার কলেজ বাসটা এখনো আসে নাই। তাই দাড়িয়ে আছি..
-আচ্ছা ঠিক আছে। রিক্সা ডেকে দিব?
-পটানোর চেষ্টা হচ্ছে??
-আপনাকে পটাবো আমি?? হাহাহা। আপনি তো এমনিতেই পটে আছেন..
-আপনি কিন্তুু বেশ বাড়াবাড়ি করছেন!!
-আমি এমনই.. ঐ রিক্সা যাবা?
.
মেয়েটি রিক্সায় উঠে একবারের জন্যও আমার দিকে তাকালো না। ফিস ফিসিয়ে কি যেনো বলতে বলতে চলে গেল। খুব রেগে আছে মেবি!
.
ভয় পেয়ে পরের ১মাস মেয়েটির সামনে দাড়াই নি। আড়াল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে যেতাম। এর মাঝে একদিন খেয়াল করলাম মেয়েটি কি যেনো খুজতে খুজতে যাচ্ছে। এবং সেদিন থেকে প্রতিদিন..
.
দূর থেকে দেখতে পেলাম মেয়েটি সেই আধা ঘন্টা যাবৎ বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে আছে। তাই সুযোগটা কাজে লাগালাম! প্রায় দেড় মাস পর মেয়েটির সামনে গিয়ে দাড়ালাম। এতদিনে হয়তো বা আমার ফেসটা ওর কাছে অচেনা হয়ে গেছে! এই জন্য বুকে একটু আধটু সাহস জন্মিয়েছে..
.
-খুক! খুক!
-আপনি আবার এসছেন?
-ওয়াও! আমাকে আপনি চিনেন?
-চিনব না কেন! আপনি সেই ইডিয়টটা না? যে আমাকে ঐদিন যাচ্ছে তাই বলেছিলেন!
-নাতো!
-চুপ! আপনি একটা কুফা। আপনি যেদিন আসেন সেদিনই আমার কলেজ বাস আসে না..
-জ্বি না। আপনি এখানে বাস না পেয়ে একা দাড়িয়ে থাকেন.. আর ঐ ছেলেগুলো আপনাকে ডিস্টার্ব করতে থাকে। তাই আসি..
-আমার সাথে ফ্লার্ট করা হচ্ছে?
-হুহ.. ফ্লার্ট করার আর মানুষ খুজে পাই না!! রিক্সা ডেকে দিব?
-একটা কাজই তো পারেন! ডাকেন..
-ঐ মামা!!
.
মেয়েটিকে রিক্সায় উঠিয়ে সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম। একটু পরে পেছন থেকে মেয়েলি কন্ঠ শুনতে পেলাম "হ্যালো মিঃ! " তাকিয়ে দেখি মেয়েটি রিক্সায় বসে আমাকে ডাকছে..
.
-আমার একটা নাম আছে। ওকে?
-হ্যা আছে তো। আচ্ছা বলেন আপনার নাম কি?
-জেএএইচ আইডিএইচএএসএএনএন
-থামুন! থামুন! এইসব কি?
-আরে এটা আমার নামের স্পেলিং! (JAHID HASAN)
-হইছে.. হইছে.. এখন রিক্সায় উঠুন!
-রিক্সায় কেন?
-কলেজের সামনে কিছু ছেলে পেলে আমাকে ডিস্টার্ব করে! ওদের আজ কিছু একটা বলবেন..
-আমি কি এ এলাকার নেতা নাকি?
-আপনি উঠবেন??
-উঠছি.. উঠছি..
.
রিক্সায় উঠে ভয়ে আমার বুক ধুরু ধুরু। আজ কি হয় আল্লাহ জানে!!
.
-আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিন তো!
-আবার আমার নাম্বার দিয়ে কি করবেন?
-যেদিন কলেজ বাস পাব না ঐ দিন রিক্সা ডেকে দেওয়ার জন্য ফোন দিব..
.
মেয়েটি হাসছে আর আমি কাপতে কাপতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ভাবছি.."কলেজের সামনের ছেলেগুলো মেবি এই মেয়ে থেকেও ডেঞ্জারাস। তা না হলে এমন মেয়েকেও কেউ ডিস্টার্ব করে!! বাচাও খোদা.. "
COLLECTED

691{3}
#বাবার_বিয়ে
Jedny Hasan
- বাবা রাত ১.২৫ বাজে। ঘুমাতে যাবা না?
-- আমার তো এখন সকালে কোন কাজ নেই। রাত জাগলে সমস্যা কি?
- সমস্যা তো কিছু না। বড় সমস্যা হলো তোমার শরীর খারাপ করবে। এই
বুড়া বয়সে শরীর খারাপ করলে তো বিয়ে করে বেশিদুর যেতে পারবা না। ব্রেক করতে করতে একসময় গিয়ারে দম থাকবে না আর হার্ড ব্রেক হয়ে যাবে।
-- সমস্যাই দেখলি খালি রাত জাগা নিয়ে। সুবিধা আছে সেটা দেখিস না কেন?
- কি সুবিধা শুনি?
-- নতুন বরদের রাত জাগার অভ্যাস করতে হয় এইটা জানিস না?
- তুমি নতুন বর এইটা কিভাবে ভাবছো?? বিয়ে তো এর আগেও একটা করেছিলে তাইনা? সেদিক থেকে হলেও তুমি অতটা নির্ভেজাল না।
-- মাঝে তো ২৫ বছরের ব্রেক ছিলো। এতে করে আবার নতুন বরের মর্যাদা পেয়ে যাবো তুই চিন্তা করিস না। হ্যা রে পাত্রী দেখতে কেমন?
- তোমার পছন্দমতই পাত্রী ঠিক করেছি আমরা।
-- আমরা মানে কি? আমরা কে?
- আমি আর রাইসা।
-- আমার পছন্দ মত পাইলি কই? আমার পছন্দ তুই জানিস?
- খুব ভালো করেই জানি বাবা। তোমার ছেলে না তাই বলে তোমার পছন্দ অপছন্দ আমি বুঝবো না সে তো আর হয়না বাবা। নাহার আন্টির সাথে তোমার প্রেম ছিলো সেটা জানতে হলে আনষ্টাইন হতে হয়না। বলেছিলে না যে বাবারা সব বুঝে? আসলেই বুঝে। তবে বাবারাও অনেক সময় ছেলেকে বুঝে না বাবা। ছেলের কাছেও অনেক সময় বাবারা হেরে যায়। আচ্ছা বাবা আমি তো তোমার ভাইয়ের ছেলে তাইনা? যদিও কাগজে কলমে আমি তোমার ছেলে কেননা বাবা মারা যাবার পর তুমি মা কে বিয়ে করেছিলে তাও মাত্র ২৬ দিনের জন্য। আমি জন্ম নেবার সময় মা যদি মারা না যেত তাহলে কি তুমি মা কে নাহার আন্টির মতই ভালবাসতে পারতে? হয়তো পারতে হয়তো পারতে না। তুমি আমার মুখের দিকে চেয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছো। নাহার আন্টিকে বিলিয়ে দিয়েছো নিজের জীবন থেকে। বিলিয়ে দেয়া জীবনে কিছু সুখ যদি আমি আর রাইসা ধার করি তাহলে কি খুব অন্যায় কিছু হবে? একবার ভাবো তো বাবা নাহার আন্টি তোমার কথা ভেবেই আজও বিয়ে করেনি। তোমার কথা নাহয় বাদই দিলাম। নাহার আন্টির সাথে কি অন্যায় করা হচ্ছে না? তুমি চাইলেই মা মারা যাবার পরে নাহার আন্টিকে বিয়ে করতে পারতে। কিন্তু করোনি। কেন করনি তা আমি জানি। সম্পর্কটা অনেক পেচিয়ে যাবে এই ভয়ে। আমি বলবো না যে নাহার আন্টির সাথে তুমি অবিচার করেছো। আবার এও বলবো না যে যা করেছো তা খুব ভালো করেছো। কিছু কথা যুক্তি তর্কের উপরে থাকাটাই ভালো। সমাজ যাতে আমাকে এতিম না বলতে পারে তার সুন্দর ব্যবস্থা তুমি করেছিলে আমার মাকে বিয়ে করে। আর সমাজকে পাশ কাটিয়ে যার হাত ধরার কথা ছিলো তাকে তুমি দূরে ঠেলে দিয়েছো। আর কত দূরে ঠেলবে বাবা? বাদ দাও সেসব কথা। আগামী শুক্রবার তোমার বিয়ে। প্রস্তুত থেকো।
এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে খুব দ্রুত গতীতে বারান্দা থেকে বিদায় নিলো গালিব। বাবার চেহারাটা দেখার মত শক্তি গালিবের নেই। চোখ থেকে চশমা টা খুলে ফতুয়ার কোনে হাসি মুখে মুছতে লাগলো আকবর সাহেব। স্মৃতি সবসময়ই রঙ্গিন থাকে। আর বর্তমান থাকে ঘোলাটে। কিছু সম্পর্ক থাকে অস্পষ্ট কিন্তু অনেক গভীর। এতই গভীর যে ডুবে যাওয়া যায়না। আবার ভেসেও থাকা যায়না। ভেসে থাকতে গেলেও খড়কুটার মত কিছু লাগে। জলি বেগমের হাতটা হয়তো খড়কুটাই ছিলো তবে সেই হাত ধরার মত শক্তি আকবর সাহেবের ছিলো না। কেননা সেই হাত ছিলো অন্যের অদৃশ্য হাতের সাথে আবদ্ধ। আর নিজের হাতটাই ছিলো একবারে শুন্য। সেই শুন্য হাতে ছোট্ট গালিবকে তুলে নেবার কথা ভাবলে আজো কেন জানি নিজেকে অনেক সুখী মনে হয় আকবর সাহেবকে। নাহ ছেলেটা আসলেই অনেক সমঝদার হয়েছে। নিজের বিয়ের কথা চিন্তা না করে বাবার বিয়ের কথা চিন্তা করতেছে। আর রাইসাও ওর সাথে তাল মিলাচ্ছে। নাহ এই দুই বান্দর বান্দরনিকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে খুব দ্রুতই।
-- কিরে বসে আছিস কেন? ঘুমাস না?
- ঘুম আসতেছে না।
-- ঘুম না আসার কারন কি? শুক্রবার আমার বিয়ে আর তুই না ঘুমিয়ে রাত কাটাচ্ছিস। কথায় আছে না “যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নাই”
- আহ!! বাবা এতরাতে জ্ঞান দিওনা তো।
-- আচ্ছা আমার শেরওয়ানি কই? আমার কিন্তু লাল শেরওয়ানি লাগবে। একদম টকটকা লাল। বলতে পারি টমেটোর মত লাল।
- কাচা টমেটো নাকি পাকা টমেটো বাবা?
-- পাকা টমেটো।
- বুড়া বয়সে বিয়ে করতেছো তাতেও তোমার ভীমরতি গেলো না তাইনা?
-- বিয়ে তো বিয়েই। বুড়া আর জোয়ানের কি আছে রে?
- আচ্ছা। আর কি কি লাগবে শুনি।
-- ঘোড়ার গাড়ি আর পালকির ব্যবস্থা কর।
- এইগুলা কিসের জন্য?
-- বিয়ে যখন করবোই তাহলে ভালো মত করি।
- আমাকে পথের ফকির বানানোর ইচ্ছা পোষন করছো মনে হয়?
-- যা কিছুই লাগবে না। কাজী ডেকে খালি কবুল বললেই হবে। ঠিক আছে?
- বাবা বাচ্চাদের মত করো না। আর কি কি লাগবে বলো।
-- আর তেমন কিছুই না। শুধু একটা বড় সাইজের রুমাল কিনে আনিস লাল রঙ এর।
- বড় সাইজের কেন?
-- যাতে মুখের সাথে মাঝে মাঝে চেহারাটাও ঢেকে সবাইকে বুঝাতে পারি
আমি লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছি।
- আমার লাল তোয়ালে টা হলে ভালো হয়না বাবা?
-- যাহ তোর কিছুই লাগবে না। খালি কাজী ডেকে কবুল বললেই হবে। ঠিক আছে?
- উফফফ বাবা!! আচ্ছা সব হবে। আপাতত তুমি রেডি থেকো তাহলেই হবে।
-- একটা চিন্তা আমার মাথায় এসেছে। শুনবি?
- কি চিন্তা শুনি।
-- পৃথীবিতে কোথাও শুনেছিস বাবা ছেলের একসাথে বিয়ে হতে? আমি চাচ্ছিলাম সেইরকম কিছু করতে।
- কি বুঝাতে চাচ্ছো??
-- যা বুঝাতে চাচ্ছি তাতো বুঝতেই পারছিস।
- তাও তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই। খুলে বলো।
-- বিয়ে আমার হবে। সাথে তোর ও হবে। একই অনুষ্ঠানে একই দিনে
একই সময়ে।
- এ কি হয় নাকি বাবা? বাচ্চাদের মত কথা বলো না প্লিজ।
-- বাচ্চাদের মতন না। আমি জেনে বুঝেই বলছি। একটু আগে বলেছিলি না যে বাবারা অনেক সময় হেরে যায়? কথাটা ভুল। বাবারা কখনো হারে না। বাবারা হারার ভান করে। তুই কি মনে করেছিস? তোর জন্ম আমি দেইনি তা ঠিক তবে তোকে হাতের তালুর মাঝে নিয়ে বড় করেছি। এখন তোর ওজন ৭৭ কেজি। কিন্তু তোর যখন ওজন ৫ কেজি ছিলো তখন থেকে তুই আমার এই কাধে থেকে বড় হয়েছিস। তোর হিসু হাগুও আমার কাধে পরম নির্ভরতায় ছেড়েছিস আর আমিও তা হাসি মুখে বরন করেছি। তুই কিছু ভাবার আগে তা আমার মাথায় চলে আসে রে গালিব। এইটা যে বাবাদের একটা বিশেষ গুন। নাহারের সাথে যে আমার বিয়ের কথা ভাবছিস এবং বিয়ে ঠিক ও করে ফেলেছিস তা আমি আগেই বুঝেছিলাম। কিন্তু আমি চুপ করে ছিলাম। কেননা আমি জানতাম তোকে যেটা মানা করা হবে সেটা তুই বেশি করে করবি তাই আর বাধা দেইনি। তুই যেমন আমার অগোচরে নাহারের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিস। ঠিক তেমনি তোর অগোচরে রাইসার সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছি। তাও সেটা আমি আর তোর নাহার আন্টি মিলেই। যাক সেসব কথা। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। আর শোন। আমার কিছুই লাগবে না। সব তোর জন্যই বলেছি। আমার মুখটা আছে খালি যা দিয়ে শুধু কবুল বললেই হবে। আমার ছোট্ট ছেলে বিয়ের সাজে সাজবে তা দেখতেও সকল বাবাদের একটা গোপন ইচ্ছা থাকে। আমারো আছে তাই তোর জন্যই সব কিনে ফেল। আমি খালি তোকে জামাই সাজে দেখতে চাই। রাত হয়েছে এখন ঘুমা।
মাথাটা নিচু করে বসে রইলো গালিব। চোখের কোনে জমে থাকা পানি দেখলে বাবা মজা করবে। তাই লুকিয়ে রাখাটাই ভালো। আসলেই বাবারা হারে না। হারার ভান করে।
আজ শুক্রবার... লজ্জায় আকবর সাহেবের মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে। পাগল ছেলে সব দুইটা দুইটা করে নিয়ে এসেছে। দুইটা ঘোড়া নিয়ে এসেছে। একটা নিজের জন্য আরেকটা আকবর সাহেবের জন্য। আবার দুইটা লাল টকটকে শেরওয়ানীও এনেছে। মানা করলে মানবে না ছেলেটা। থাক মানা করে লাভ নেই। ছেলের সুখের জন্য লজ্জা পেতেও সমস্যা নেই। যাক বাবা ও ছেলের বিয়েটা তাহলে একই দিনে একই মঞ্চে হচ্ছে।
সমাপ্ত
