#সম্পর্ক
Umme Nipa
রামিম: রাতুল কে একটু ফোনটা দেওনা...
রিমা: ও কি কথা বলতে পারে নাকি?
রামিম: ওই যে আদো গলায় পাপা বলে তাই শুনবো।
রিমা: ওর পাপা নেই।পাপা মরে গেছে।ওর মা ই ওর পাপা।
রাতুল: রিমা আমাদের সম্পর্ক তুমি অস্বীকার করতে
পারো।কিন্তু আমায় আমার বাচ্চার বাবা হিসেবে
অস্বীকার করতে পারোনা।প্লিস ওকে একটু দেও কত দিন
আমি ওকে জড়িয়ে ধরিনা,আমার খুব কষ্ট হয়..
দু মাস হলো রামিম-রিমা আলাদা থাকে..
অবহেলা-ঝগড়া-অভিমান ই সম্পর্ক নড়বড়ে করার জন্য দায়ী।
রাতুল এর বয়স দেড় বছর,ও রিমার কাছে থাকে।
রিমা: তুমি বিয়ে করে নতুনভাবে সংসার শুরু করো।
আমার বা আমার সন্তান এর কথা ভুলে যাও।
রামিম: প্লিস রিমা একবার আমি ওকে দেখতে চাই।
প্রতিররাতে আমি ওর পুতুল কে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েথাকি।তুমি যদি আমায় ছেড়ে দিতে চাও তাহলে দেও
তবে বাচ্চার প্রতি আমার অধিকার তুমি অস্বীকার করতেপারো না।
রিমা: বাচ্চা?হাসালে..এই বাচ্চাই তুমি নিতে চাওনি।
২মাসের সময় ও তুমি আমায় Abortion করতে বলেছিলে,ভুলে গেছো?
কিন্তু আমি পারিনি আমি অনেক কষ্টে রাতুল কে
দুনিয়াতে এনেছি আর এখন তুমি বাবাগিরী ফলাতে
আসছো..??
ওর বাবা যেমন ওকে মারতে চেয়েছিল তেমনি আমার
সন্তান ও তার বাবাকে মেরে ফেলবে।বাবা ছাড়াই বড়
হবে।
রামিম: তখন আমি বাচ্চার দায়িত্ব নিতে ভয় পেয়েছিলাম।
আর তোমার সাথেও Adjustment করতে পারছিলাম না তাই
চাই নি। আমাদের সন্তান অবহেলায় বড় হোক..
রিমা: ওকে ফাইন।ভাববে তোমার সন্তান আসেনি।আর এক
সপ্তাহের মাঝেই ডিভোর্স এর ঝামেলা চুকে যাবে এরপর আর আমায় কল দিবেনা।
রামিম কিছুই বলতে পারলো না,কাঁপা কন্ঠে শুধু বললোরাতুল কি আমাকে খোঁজে?
রিমা ফোন রেখে দিল...
এর মাঝেই ফ্লোর এর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত রাতুলহামাগুড়ি দিচ্ছে আর মুখে পা..পা করছে...
রিমা দৌড়ে এসে রাতুলকে কোলে নিয়ে বলে বাবা,পা
পা নয় মাম্মা বলো..এই বলেই কেঁদে দিল...
অনেক অবহেলা,অনেক জমে থাকা ক্ষোভ লালন করে
আছে রিমা বুকের ভিতর।তার ও স্বপ্ন ছিল সুখী বউ, সুখী
মা হবার।মা হবার স্বাধ পূরন হলেও বউ হওয়া আর হলনা।
এক সপ্তাহ পর রিমা-রামিম ডিভোর্স পেপার এ
সিগনেচার করতে গেল।
দুজন মুখোমুখি..
রাতুলটা আগের মতই স্বাস্থ্যবান আছে শুধু রোগা হয়েগেছে দু প্রান্তের দূ্ুটো মানুষ..
রামিম এর চোখের নিচে কালি জমেছে খুব...
আর রিমার মুখ মলীন..
সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে মনের প্রভাব না দেখা গেলেওশরীর এর উপর তার প্রভাব স্পষ্ট।
উকিল সব বেপারে কথা বলার পর রামিম কে
বললো,রামিম সাহেব এর পর আপনি বিয়ে করে যত সন্তানএর ই বাবা হন না কেন রাতুল এর দায়িত্ব কিন্তুআপনাকেই নিতে হবে।
ভুলে যাবেন না এই আপনার প্রথম সন্তান।বাবা হিসেবেআপনাকেই সব ক্ষেত্রে পরিচয় দিতে হবে।আমাদের আইন
স্বামী -স্ত্রী কে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে কিন্তু এমন আইন
নেই বাবা-ছেলেকে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।
রিমা নিচের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে..
এমন অবস্থা ওর জীবনে না আসলে কি হত এই ভেবে..
রামিম রাতুলকে কোলে নিয়ে বলছে এমন কোন আইন
আছে যে আইনে আমি ২৪ঘন্টা ই আমার বাচ্চাকে আমার
বুকে রাখতে পারি?
এমন কোন আইন আছে যাতে আমি আমার বাচ্চার কাছে
থাকতে পারি?
এমন কোন আইন আছে যার ব্যবস্থা নিলে জীবনে স্বামি-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হবেনা।
এডভোকেট আর রিমা দুজন ই রামিম এর দিকে তাকিয়ে
আছে।আর রাতুল বাবার ঠোঁটে হাত ছোঁয়াচ্ছে আর পা..পা
বলে ডাকছে...
এডভোকেট: আপনি চাইলে যে কোন সময়ে বাচ্চার সাথে
দেখা করতে পারবেন।কিন্তু মা না চাইলে এখন ই নিজের
কাছে নিয়ে যেতে পারবেন না...
আর রিমা আপনি নতুন করে সংসার শুরু করলে এই ভেবে
করবেন যাতে বাচ্চার অসুবিধা না হয়।
রিমা: আমার সংসার বলতে শুধুই রাতুল।
রামিল: প্রথম বিয়ে,২য় বিয়ে যত বিয়েই আসুক না কেন
কখনো প্রথম বাবা-২য় বাবা এমন ভাবা যায়না। আর আমারও এই প্রথম সন্তান এর জায়গা রাতুল ই থাকবে।যেমনি ভাবে
রিমার জায়গা রিমার ই।
আমি বিয়ে বিচ্ছেদ চাইনা বলে উঠে দাড়ালো..
আমি শুধু বাচ্চার এক হাত ধরে হাঁটতে চাই আর বাচ্চার অপর হাতে অবশ্যই রিমার হাত দেখতে চাই।
আমি প্রতি রাতে বাচ্চার মাকে আর বাচ্চাকে একসাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে চাই।আমি চাই বাচ্চা আর বাচ্চার মা আমার অপেক্ষা করে দরজার দিকে তাকিয়ে থাক।অফিস থেকে এসেই বাচ্চা কোলে বাচ্চার মাকে দেখতে চাই।আমি আর কিছুই চাইনা বলে কাঁদতে লাগলো।
এডভোকেট : ভাই ঘরের ঝামেলা ঘরেই মিটান না শুধু শুধুকেন পাব্লিক প্লেসে?
রিমা: এসব কি রামিম?
রামিম রিমার হাত ধরে বললো,আর কথা না বাড়ি চলো...
এভাবেই একটি বাচ্চা অনেক নড়বড়ে সম্পর্ক কে জোড়া
দেয় কিন্তু কিছু কিছু অনিশ্চিত -বেপরোয়া সম্পর্কের
মাঝে একটি বাচ্চা এসে শুধুই অবহেলিত হয়।তখন বাচ্চার
বাবা জীবিত থাকলেও আদো-আদো পা..পা শোনার মতবাবার মন থাকেনা।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ