#তোমার আমার লাল-নীল সংসার(১ম পর্ব)
Umme Nipa
আম্মুর সাথে সেই লেভেল এর ঝগড়া হয়েছে আজ।নাহ আজ সহ্য করা যাচ্ছেনা। কোথাও পালিয়ে যাব। অনেক দূরে...তখন ফেউ ফেউ করে কাঁন্না করলেও আসবো না।একই ছাঁদ এর নিচে আর থাকবো না।ও সরি বাসার উপর তো টিন, যাক একই টিন এর নিচে আর থাকা সম্ভব নয়।
সিনেমার নাইকার মতন একখানা চিঠি লিখলাম।
"আমি রুবেল এর সাথে চলে গেলাম।রুবেল রিকশাচালক। মা তুমি বলেছিলানা আমার সাথে নাকি রিকশাচালক ও প্রেম করবেনা,দেখো এখন আমি তার কাছেই গেলাম।
আমায় আর খুঁজবে না"।
চিঠিতে এই লিখে ভাবছি কই রাখলে চোখে পরবে।
আম্মুর বেড এর পাশেই একটা টেবিল আছে সেখানেই রাখলাম।চিঠির উপর রিমোর্ট চাপা দিলাম,যাতে চিঠি খুব সহজেই চোখে পরে।
বাসা থেকে হন হন করে বের হয়ে গেলাম।
হাঁটতে হাঁটতে নদীর পারে গেলাম।
ভাবছি কই যাব? পালানোর মতন তো কেউ ই নেই আমার।বাসায় ও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।গেলেই বিলা।
ফোন দিলাম আমাদের ক্যাম্পাস এর বিশ্ব প্রেমিক পুরুষ রে।
ক্যাম্পাস এর এমন কোন মেয়ে নেই যার সাথে প্রেম করতে চায়নি।কয়েক মাস আগে আমায় ও প্রপোজ করেছিল।আমায় বলেছিল সে আর কাউকে প্রপোজ করবেনা।তার দুদিন পর ই আরেকজনরে প্রপোজ। যাক এখন উপায় শুধু সে।
কল দিয়েই হা হয়ে গেলাম...
কলার টিউন, পাংখা পাংখা পাংখা পাংখা হইলো মন....
যেমন সে তেমন তার কলার টিউন...
কিছুক্ষন পর..
ওপাশ থেকে: হ্যালো জুয়েল ইস্পিকিং..
আমি: এই আমি জুই।
জুয়েল: কোন জুই?
আমি: দু দিন আগে যে তোরে ব্লক দিছিল।
জুয়েল: প্রিয়তমা তুমি?আমি জানতাম তুমি আসবে।যদি চাঁদ সূর্য উঠে থাকে তাহলে আমার ভালোবাসাও সত্য।
ফুল ফুটে, ফুল ঝরে তবে জুয়েল এর ভালোবাসা ঝরে পরেনা।
আমি: ঝরার আগেই তেনাইয়া যায়?
জুয়েল: বালিকা হেস না আমায় নিয়ে।মনের পদ্ম দিওনা এমন জনকে যে ফুলে ফুলে..
আমি: চুপ থাক।কথা শোন...
জুয়েল: হুম,চুপ তো থাকবোই,মেহেদী পাতা চিনো? সে চুপ থাকে কিন্তু ভিতর টা আমার মতন রক্তাক্ত।
আমি: তুই মানুষ, ভিতর তো রক্তাক্ত হইবেই।টিকটিকির রক্ত সাদা।তুই তো আর টিকটিকি না।
যাক আমি বাসা থেকে পালিয়ে আসছি।এখন থাকার ব্যবস্থা কর।
জুয়েল: কি কস দোস্ত?
আমি: হুম।ফাইনাল।
জুয়েল:দোস্ত মা বাবা হলো জান্নাত।তাদের কষ্ট দিতে নাই।
যা বাসায় যা।
আমি: উফ!তুই আমার বন্ধু হয়ে মায়ের পক্ষ নেছ?
জুয়েল: ওকা,বজ্জাত মাতারি কি তোরে ঘর দিয়া বাইর কইরা দিছে?
আমি: বজ্জাত কে?
জুয়েল: তোর আম্মা।
আমি: কি?তুই আমার মা কে বজ্জাত বললি?ফোন রাখ,আমার সামনে পরবিনা,পরলেই পাংখা বানাইয়া দিমু।হারামি।
বসে বসে ভাবছি,এখন আমার কি হবে!আমি রুবেল রিকশাচালক রেই বা কই পাবো। এতোক্ষনে হয়তো আমায় বাসায় মুরগী খোজাখুজি শুরু হয়ে গেছে।নাও হতে পারে,আমার যে আম্মা মুরগী শিয়াল নিয়ে গেলেও সে স্টার জলসা দিয়ে চোখ ফেরাবে না।
এর মাঝেই চোখ চলে গেল আমার থেকে একটু দূরে থাকা লোকের দিকে।
সে কতক্ষন যাবত ব্রীজ এর রেলিং বেয়ে উঠছে আবার ব্রীজ এ নামছে।
পাগল ও তোনা বুঝা যাচ্ছে।
গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,এই যে কি সমস্যা?
উনি: আসলে সুইসাইড করবো..
আমি: মরবেন,তো লাফ দিন।ওঠেন নামেন কেন?
উনি: আমি মরে যাব তা আপনি একটু বারন ও করবেন না?
আমি: ওমা,আমি বারন করতে যাব কেন?যাবেন যেহেতু পিছু ডাকবো কেন?আমি ধাক্কা দিয়ে দিতে পারি।কি দিবো?
উনি: না না ওতো উপকার লাগবেনা।এমনেতেই ভাবছি পা ভাঙবে কিনা।
আমি: আপনি কি মাথায় আফিম নিয়া ঘুরেন?মরবেন আর ভাবছেন পা ভাঙে কিনা?মিয়া এতো উপর দিয়া পরলে আপনার পা থাকবে ঢাকার সদরঘাট, হাত বরিশাল আর আপনার মাথা মেঘনা নদীর চিপায়।
উনি: তা থাকুক।ভয় আরেকটা আছে।
আমি: কি?
উনি: আসলে আমাদের বাড়ির পাশে এক লোক সুইসাইড করতে গিয়ে মরে নায়,তার উপর খাইছে ৪মামলা।এখন জেল খাটে।
আমি: ৪মামলা কেন?
উনি: ১তলা দিয়া লাফ দিছিলো,পরছে নিচে এক টিনের বাসার উপরে,সেই বাসার মধ্যে এক লোক ঘুমিয়ে ছিল,তার গায়ের উপর পরছে সে হইছে আহত।সে দিছে মামলা,এই হইলো একটা মামলা।ঘরের চাল ইচ্ছাকৃত ভাঙছে তাই আরেক মামলা,নিজেরে শেষ করতে চাইছে তার একটা মামলা।
আমি: ৩টা হইলো আরেক টা?
উনি: পাশের বাসায় একজন স্ট্রোক করছে।সেই মামলা।
আমি:কেন তাতে মামলা কিসের?
উনি: আরেহ উনি ওই শব্দরে ভাবছে বোমা পরছে।তাই ভয়ে স্ট্রোক করছে।
আমি: হি হি হি।
উনি: আমিও যদি মামলা খাই।দেখা গেল পরলাম আর নিচে নৌকা এসে হাজির।তার উপর পরে মামলা খেয়ে কি লাভ।
আমি: থাক মরা লাগবেনা।পরে আবার আপনার কংকাল রে উঠিয়ে ফাঁসি দেয়াবে।আর আমারে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নেক তা চাইনা।
উনি: চলুন সামনে হাঁটি।
দুজন অচেনা মানুষ হাঁটছি।অচেনা তবুও আস্থা পাচ্ছি।কেন পাচ্ছি তা জানিনা।
সে: কি হলো কি ভাবছেন?
আমি: না কিছুনা।
সে: এখানে এলেন কেন?সুইসাইড?
আমি : না বাসা দিয়ে পালিয়ে।
সে: বি এফ আছে?
আমি: না বেলাবোস এর মতন চাকরী পেয়ে কেউ কল দেয়ার নাই।
সে: তাহলে আসলেন কেন?
আমি: আমার বজ্জাত মায়ের জন্য।সে আমায় ভালোবাসেনা।আমি রাত করে গেলেও চিন্তা করেনা।বার বার কল দিয়েও জানতে চায়না আমি আছি কিনা?
আবার বন্ধুদের সাথে কথা বললেও সন্দেহ করেনা যে আমি প্রেম করি কিনা।
মাঝে মাঝে চাই সে আমায় সন্দেহ করুক কিন্তু করেনা।
আমায় একা একাই ছেড়ে দেয়।
সে: এটা তো তিনি আপনার উপর আস্থা রাখেন খুব।ভরসা রাখেন যে আপনি তাকে কষ্ট দিবেন না।
আর আমার এর বিপরীত আমার মা আস্থা রাখেনা।খুব সন্দেহ করে।
আমি: এখনো মা?এখন তো বউ সন্দেহ করার সময়।
সে: তা যা বলেছেন।মায়ের সন্দেহেই সুইসাইড বউ করলে হয়তো পাগল হতাম।
বাসায় চলে জান।আপনার মা বাবা ভাববে।
আমি: না,গেলেই বুড়ার সাথে বিয়ে ঠিক করবে।ঝগড়া লাগছেই তো সেই নিয়া।আমার চেয়ে ৮বছরের বুড়া লোকরে আমার উপর গছানোর ধান্দা।
সে: বুড়া রা তো বউকে ভালোবাসে।
আমি: কোথায় আমি ভাবলাম,বিয়ের পর বরের সাথে ছবি তুলে ক্যাপশন দিবো, বেঁচে থাকার প্রার্থনাতে বৃদ্ধ হতে চাই তোমার সাথে।কিন্তু এ তো অলরেডি বুড়া।
বিয়ে করে তার সাথে আমার আর বুড়া হওয়া হবেনা।
সে: তখন দিবেন,বৃদ্ধা হতে চাই,তোমার কুঁজো হবার সাথে,হা হা হা
আমি: ধূর!আচ্ছা আমি গেলাম.
সে: কই?
আমি: বাসায়।ভাল্লাগছেনা।এই সময় আমি আম্মুর সাথে বসে চা খাই।আর চা টা করিও আমি।
সে: দেখছেন,আসলে আপনি এর জন্যই তার ভরসা পেয়েছেন।
আমি: চিঠি লিখে আসছিলাম,জানি তাও পড়েনি।
ওনাকে রেখেই আমি আমার বাসার দিকে হাঁটা দিলাম।
জানি আর হয়তো একই পৃথিবীর মাঝে থেকেও আমাদের দেখা হবেনা।হঠাৎ ই পিছন থেকে ডাক দিল....
চলবে...
#তোমার আমার লাল -নীল সংসার(শেষ পর্ব)
Umme Nipa
পিছনে তাকিয়ে দেখি লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি: হুম বলুন.
সে: এফ.বি আইডি কি জানতে পারি?
আসলে ইচ্ছে থাকবে জানার বুড়োকে বিয়ে করলেন কিনা।
অন্য সময় হলে আমি এভয়েড করতে পারতাম।কিন্তু এখন পারছিনা।পারছিনা বললে ভুল হবে চাইছিনা।
আমি: এঙ্গেল জুই।
সে: আমার নাম তুষার।
আমি হাসি দিয়ে চলে এলাম।বাসায় এসে দেখি আমার চিঠি টা মা পড়া তো ভালো খুলেও দেখেনি।
ভাজগুলি যেমন দিয়ে গেছিলাম তেমন ই আছে।
আমি রেগে গিয়ে বললাম,আমি চিঠি দিয়ে গেছি দেখোনায় কেন?
মা:কিসের চিঠি?
আমি: আমি পালিয়ে গেছি তার।
মা: পালিয়ে গেলে আবার এখানে কেন?
ধূর এখানে থাকলে আরো ঝগড়া হবে।
আমার রুম এ গিয়ে ফেবুতে গেলাম,হয়তো সেই একজন এর রিকোয়েস্ট পাবার আশায়।
কিন্তু না সে তো দিচ্ছেনা।
জানিনা খারাপ লাগছে কেন?তবে অনুভব করছি খারাপ লাগছে।
তুষার নামে সার্চ দিয়ে হাজারো তুষার আসে কিন্তু আমি যাকে খুঁজি তাকে পাইনা।
হঠাৎ রাতে দেখি তার রিকোয়েষ্ট।আমার মন আমার অজান্তেই খুশি হয়ে গেলো। কি যে পেয়েছি আর কিসের জন্যই বা খুশি হচ্ছি আমার মন তা আমায় কইফিয়ত দেয়না।তবে মন যে অনেক আনন্দে ভরে গেছে তা বার বার জানান দেয়।
আমি একটুও অপেক্ষা না করে রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলাম।
বার বার তার মেসেজ অপশন চেক করছি,কতক্ষন আগে সে একটিভ ছিল।অনেকটা তার মেসেজ এর অপেক্ষাও।কিন্তু আমি তবুও মেসেজ দিচ্ছিনা।
অত:পর সে মেসেজ দিলো, কি বাসায় গিয়েছেন?
আমি: হুম।
তুষার : বুড়া কি রিজেক্টেড হয়েছে?
আমি: না ঝুলন্ত অবস্থায়।
তুষার : বেশিক্ষন ঝুলিয়ে রাখবেন না,শত হলেও বুড়া মানুষ। মরে যাবে।
কিছুক্ষন আমাদের কথা চলতে থাকলো। মানুষটার সাথে কথা বলতে মন্দ লাগছেনা।
এর মাঝেই মা আমার রুম এ আসলো।
মা: সারাদিন অকাজের ফোন না টিপে বিয়ে করে ফেল।তুষার ছেলেটা খারাপ না।
আমি মেসেজিং রেখে আম্মুর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।
-কি নাম?
মা: তুষার।
আমি: মা,ওনার ছবি আছে?
মা: হুম,ড্রয়ার এ।
আমি তড়িঘড়ি করে ড্রয়ার এ খুঁজতে গেলাম।
মা হয়তো আমায় বিয়ে পাগলি ভাবছে, ভাবুক তাতে সমস্যা নেই।
ছবি হাতে নিয়ে আমার মাথায় তো সাত আসমানের মাঝে যেই আসমান সবচেয়ে ভাড়ি সেটা পরছে।
যার সাথে আজ আমি সারাসকাল কাটালাম সেই লোক ই কিনা আমার পাত্র।
লজ্জা লাগছে,কত কিনা তাকে বলেছি....
ফোন এ গিয়ে মেসেজ দিলাম,
-জানেন,পাত্রকে না দেখেই রিজেক্ট করে দিছি।অন্য পাত্রকে বিয়ে করবো।
উনি মেসেজ সিন করে রিপ্লাই দিচ্ছেন না।
এর মাঝেই অচেনা নম্বর থেকে কল।
মনে হয় জুয়েল হারামি।
কেটে দিচ্ছি আবার কল।
রিসিভ করার সাথে সাথেই ওপাশ থেকে গান গাচ্ছে....
"নম্বরটা আমি পেয়ে গেছি জুই শুনিছো?
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা।
সমন্ধটা এই ভাবে তুমি ভেস্তে দিতে পারোনা..
মাকে বলে দেও বুড়াকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করছোনা...
এটাকি,১৯৮০০২৯? জুই তুমি পারছোকি শুনতে?
দশ-বারো বার সুইসাইড এর মিথ্যা অভিনয় করে পেয়েছি..
দিবনা,কিছুতে হারাতে...
হ্যালো,১৯৮০০২৯ জুই তুমি পারছো কি শুনতে?
মিনিট যাচ্ছে কেটে,কেনা টকটাইমে,জরুরী খুব জরুরী দরকার।
আমি: কে?তুষার?
সে:কি করে চিনলে?
আমি: সববুঝি আমি।নম্বর পেলেন কই?
তুষার : মা দিয়েছে।
আমি: এতো অভিনয় করার কি ছিল?
তুষার : বুড়ারাও পারে তাই বুঝালাম আরকি।
আমি: সকালে আমি যে নদীর পাড়ে যাব তা জানলেন কি করে?
তুষার: তোমার মা চিঠি দেখে আমায় কল দিয়ে তোমায় অনুসরন করতে বলেছিল।
যাক, আমার বেঁচে থাকার প্রার্থনাতে মাই ডে হবা আমার মেসেঞ্জার এ?
আমি: হা হা হাস্যকর..এতো কিছু থাকতে মাই ডে?
তুষার : হুম প্রতিদিন ই মাই ডে চায়, ভাবলাম বিয়ে করে বউরে মাই ডে বানিয়ে দিব।
আমি: বেঁচে থাকার প্রার্থনাতে চাঁদ দেখতে চাই আপনার সাথে...
তুষার : কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,হুম চলো আজ থেকেই দেখি
দুজন মিলে চাঁদ দেখছি।
তুষার : জুই দেখো চাঁদ থেকে দু ধরনের আলো বের হচ্ছে।
আমি: কই নাতো?
তুষার : আরে হুম,খেয়াল করে দেখো,নীল আলো আর লাল আলো...
নীল হলো বাচ্চা আলো যেটা তুমি।
লাল হলো বুড়া আলো যা আমি।
আমি: আমি বাচ্চা?
তুষার : হুম,নাদান বাচ্চা।
আমি: আমিও গান গেতে পারি।
তুষার : শুনাও তো..
আমি:আর কিছুদিন তারপর আমি মুক্তি..
বুড়ার সাথে নীল দেয়ালের ঘর...
সাদা-কালো এই জঞ্জাল ভরা মিথ্যে কথার শহরে...
বুড়োর -আমার লাল নীল সংসার...
#মায়েরা সব বুঝতে পারে।সন্তান কার কাছে সুখি হবে তাও বুঝতে পারে।সন্তান ও তা অনুভব করে,কেউ একটু আগে আর কেউ একটু পরে।
অত:পর জুই-তুষার এর নীল দেয়ালের সংসার বেশ রঙিন ই চলতে থাকলো।
আকাশে চাঁদ উঠলেই দু জন সারারাত লাল-নীল আলোয় নিজেদের ম্লান করে।
এই বুঝি লাল-নীল আলোর মাঝে ছোট্ট একটা বেগুনী আলো তাদের সংসারে এসে কড়া নাড়ে,দুজন তার ই অপেক্ষায়....
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ