বিতর্কে বিনোদন
লেখা: মিশু মনি
.
শুরু হতে যাচ্ছে বিনোদনমুলক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বিতর্কের বিষয় "ফেসবুকে পুরুষ নয়,নারী রাই এগিয়ে". প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন, পক্ষে ফেসবুকের জনপ্রিয় পেজ 'নারী ' পেজের এডমিন গণ এবং বিপক্ষে 'পুরুষ ' পেজের এডমিন গণ।
অনুষ্ঠান টি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড সরাসরি সম্প্রচার করছে।সারাদেশে জনগণ টিভিসেটের সামনে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সকল ফেসবুক ব্যবহার কারীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা।
.
সভাপতি তার বক্তব্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিযোগীতা শুরু করলেন। আমরা চলে যাই মূল প্রতিযোগিতায়।প্রথমেই বক্তব্য রাখবেন 'নারী ' পেজের এডমিন রিদ্ধি জান্নাত।
.
রিদ্ধি জান্নাত : মাননীয় সভাপতি, শ্রদ্ধেয় বিচারক এবং উপস্থিত সকল কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি।আমাদের আজকের বিতর্কের বিষয় "ফেসবুকে পুরুষ নয়,নারী রাই এগিয়ে". পক্ষে বলছি।
মাননীয় সভাপতি, খুব বেশি কথা বলতে হয়না।শুধুমাত্র ফেসবুক একাউন্ট নামই বলে দিবে কারা বেশি এগিয়ে।আমরা মেয়েরা সবসময় ই সুন্দর ও আকর্ষণীয় নাম রাখি আমাদের আইডির।কারন আমরা ফেসবুকে আসিই একটু মানসিক শান্তির জন্য।সকল বাস্তবতার বাইরে ভার্চুয়াল জগতে একটু শান্তির খোজে।কিন্তু ছেলেদের কিছু কুরুচি পূর্ন আইডি নাম ই আমাদের মনে এমন প্রভাব ফেলে যে,শান্তি তার মা সহ দশ মাইল পিছিয়ে যায়।যেখানে মেয়েদের আইডি নাম হয়ে থাকে,রুপকথার রাজকন্যা,মায়াবী পরি,অপ্সরী ইত্যাদি। সেখানে ছেলেদের নাম হয়ে থাকে, বখাটে ছেলে, নেশাখোর বালক,মনে বড় জ্বালা ইত্যাদি। আপনারা ই বলুন কারা বেশি স্মার্ট? মেয়েরা নামের ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেয়।ছেলেদের কিছু নাম আবার এত টাই হাস্যকর যে,আমাদের হারপিক দিয়ে দাত মেজে বত্রিশ টা ঝকঝকে দাতের হাসি দিতে হয়।যেমন,তুখোড় বাতাসে লুঙি আকাশে।আরে মিয়া,তুমি তো নিজের লুঙ্গী ই সামলাইতে পারো না আর ফেসবুক চালাইবা ক্যামনে?
আমরা যারা ছোট খাটো ফেসবুক সেলিব্রেটি, তাদের আইডিতে সর্বদাই ৯০০+ রিকুয়েস্ট ঝুলে থাকে।আবার একজন মেয়ে একটা গ্রুপে পোস্ট দিলেই হাফ সেঞ্চুরি রিকুয়েস্ট চলে আসে।সেখানে মাত্র বিশ পচিশ টা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাইতে চাইলেও একজন ছেলেকে হাজার টা বেগ পোহাতে হয়।কাজেই প্রতীয়মান হয়,ফেসবুকে কারা বেশি এগিয়ে?
ধন্যবাদ মাননীয় সভাপতি,ধন্যবাদ সবাইকে।
দর্শকের তুমুল হাততালি।এবার বিপক্ষে তর্ক উপস্থাপন করবেন পুরুষ পেজের এডমিন Kazi Moitry.
.
Kazi Moitry: ফেসবুক তুমি বড় ই মহান,মনটুর মাকে দান করেছ মোনালিসার সম্মান..
মাননীয় সভাপতি ও সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি।বিতর্কের বিষয়, "ফেসবুকে নারী রাই এগিয়ে" কিন্তু মাননীয় সভাপতি, যে ফেসবুকে তারা এগিয়ে গেছে সেটা তো পুরুষের ই আবিষ্কার। তাছাড়া অধিকাংশ নারী ই ফেসবুকের ফ ও জানেনা।তারা ফেসবুক চালানো শিখে পুরুষের কাছে।এবার আসি ক্রাইমের কথায়।ফেসবুকে যতপ্রকার ক্রাইম হয়ে থাকে,সেগুলা পুরুষ রাই করে থাকে।সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে পুরুষের অবদান ই বেশি।ফেসবুক হ্যাকিং,ফেইক আইডি,আজেবাজে লিংক যুক্ত করা,কমেন্ট এ গালিগালাজ এসবের জন্য পুরুষ রাই অধিক পরিচিত। কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না,কারা ফেসবুকে এগিয়ে?
ধন্যবাদ মাননীয় সভাপতি, ধন্যবাদ সবাইকে।
.
আবারো করতালি।এবার বক্তব্য রাখবে পক্ষে দলের হয়ে নারী পেজের এডমিন মানবী।
.
মানবী:
কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি,
প্রেরণা দিয়াছে শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষী নারী..
বিপক্ষ দলের বন্ধুরা,খোজ নিয়ে দেখুন,ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতেও মার্ক জুকারবার্গের পাশে কোনো নারীর সুপ্ত অবদান নিশ্চয় ই আছে।তাছাড়া নারী ছাড়া ফেসবুকের জগতে আনন্দই থাকত না।নারী বিহিন ফেসবুক,ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মত।সবসময় ছেলেরাই মেয়েদের আইডিতে রিকুয়েস্ট দেয়,মেসেজ দেয়।হাত পেতে চায়,আপু আপনার এক টা পিক হবে,আপনার মোবাইল নাম্বার টা দেয়া যাবে? কিন্তু মেয়েরা কখনো এভাবে ছেলেদের কাছে পিক কিংবা নাম্বার চায়না।ফেসবুকে মেয়েরা ভাব নিয়ে,মুড নিয়ে থাকে।কাজেই বোঝা যায়,কারা বেশি এগিয়ে?
ধন্যবাদ সবাইকে।
.
এবার বক্তব্য রাখবে বিপক্ষে দলের পুরুষ পেজের এডমিন Md Zahidul Islam Palash.
.
পলাশ: ধন্যবাদ মাননীয় সভাপতি।
আজকের বিতর্কের বিষয় " ফেসবুকে পুরুষ নয়, নারী রাই এগিয়ে" বিপক্ষে বলছি।ফেসবুকে পুরুষ রাই যে এগিয়ে সেটা আমার আগের বন্ধু বলে গেছেন।আমি আরও কিছু প্রমাণ দেখাচ্ছি।ফেসবুক আইডি নামের ক্ষেত্রে আমরা ছেলেরা নিজেদের অরিজিনাল নাম এবং রিয়েল পিক আপলোড দিই।কিন্তু মেয়েরা তা করেনা।মেয়েরা যত্তসব ভুয়া,আজাইরা, ফেইক নাম ব্যবহার করে।আর ধার করা সৌন্দর্য নিয়ে প্রোফাইল পিক দেয়।তারা নিজেদের পিক দিতে ভয় পায়,কারন প্রোফাইল এ যদি তাদের চেহারা হয় বকের মত তাহলে বাস্তবে তারা হয় কাকের মত।প্রোফাইল পিক যদি হয় ব্রয়লার মুরগি,তবে বাস্তবে দেখা যাবে ব্লাক বেংগল ছাগল।কিন্তু ছেলেরা ফেসবুকে নিজেরা বিভিন্ন পোজ নিয়ে ছবি তুলে, বিভিন্ন স্টাইল এ ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেয়।যা দেখে মেয়েরা ক্রাশ খেয়ে হুমরি খেয়ে পড়ে।আর মেয়েরা নেয় ছলনার আশ্রয়। সবসময় সত্যের জয় হয়।মিথ্যের আশ্রয়ে কিভাবে মেয়েরা এগিয়ে? প্রতিপক্ষ দল উত্তর দিয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
.
দর্শকের তুমুল হাততালি।এবার তর্ক উপস্থাপন করবে পক্ষে দলের নারী পেজের এডমিন Salma Swopna.
.
Salma Swopna: ছেলেরা কিভাবে বিতর্কে আসার সাহস পায় যেখানে মেয়েরাই এঙ্গেল..
গাছে কাঠাল,গোফে তেল..
ধন্যবাদ মাননীয় সভাপতি, আমাকে সুযোগ দেয়ার জন্য।উপস্থিত সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আজকের বিতর্কের বিষয় " ফেসবুকে পুরুষ নয়,নারী রাই এগিয়ে"। কথা টি কতখানি সত্য তার যৌক্তিকতা আমি প্রমাণ করে যাবো।
প্রতিপক্ষ দল আপনারা প্রশ্ন রেখেছেন,ফেসবুকে মেয়েরা ধার করা পিক দেয়।প্রতিপক্ষ বন্ধুরা,মেয়েদের আইডি তো চালান নি তাই ধারনাও নেই।একটা মেয়ের আইডিতে এমনি তেই যত ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়,নিজের অরিজিনাল পিক দিলে তো ফেসবুক চালানো টা মেয়েদের জন্য রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে।আর আপনারা নিজের ছবি দেন মানছি,তবে মেয়েরা আপনাদের উপর ক্রাশ খেয়ে হুমরি খেয়ে পড়ে এটা মিথ্যে কথা।কারন, মেয়েরা জানে,যত স্টাইল ই করুন, ছবি সুন্দর হয়েছে DSLR ক্যামেরার গুনে।এই ক্যামেরায় ছবি তুল্লে গোবরের ছবি ও চকোলেট কেকের মত লাগে।কাজেই এর মাঝে কোনো সার্থকতা নেই।আর আপনারা মেয়েদের কাছে যেভাবে ছবি চান,তা মেয়েদের দাম কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়।কাজেই প্রতীয়মান হয়,ফেসবুকে মেয়েরাই এগিয়ে।
.
এবার শেষ তর্ক উপস্থাপন করবেন বিপক্ষ দলের পুরুষ পেজের এডমিন দিপংকর মল্লিক দিপু।
.
দিপংকর: সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য রাখছি।
আজকের বিতর্কের বিষয় যা,তা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই।ফেসবুকে যে পুরুষ রাই এগিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।মেয়েরা যতসব হাবিজাবি জিনিস পোস্ট করে,যেমন আজ আমার মন খারাপ,এই ছেলে বিএফ হবা,এই ছেলে চুরি কিনে দিবা? ইত্যাদি।
এসব স্ট্যাটাস নিম্নরুচির পরিচয় দেয়।কিন্তু ছেলেরা সবসময় বুঝার মত কিছু স্ট্যাটাস দেয়।যদিও মেয়েদের পোস্ট এ লাইক কমেন্ট বেশি পড়ে। কিন্তু ছেলেদের টায় পড়ে না।কারন ভালো জিনিস মানুষ পছন্দ করে কম।আর মেয়েদের এত ভাব নেয়ার সুযোগ আমরাই দিচ্ছি।ছেলেরা আছে বলেই মেয়েরা ভাব নিতে পারে।আইডি হ্যাকিং এর মত কাজ গুলা ছেলেরাই করে,যেকোনো ফেসবুক সংক্রান্ত কাজে ছেলেরাই দক্ষ,মেয়েরা নয়।সুতরাং প্রতীয়মান হয়,ছেলেরাই এগিয়ে।মেয়েরা নয়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
.
তুমুল করতালি।
এবার বক্তব্য রাখবেন মাননীয় সভাপতি।
.
সভাপতি : আসলে ফেসবুকে নারী পুরুষ উভয়ের ই অবদান আছে।নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।উভয়ের অবদানেই ফেসবুক সমৃদ্ধ।কারা বেশি এগিয়ে সেটা বিষয় নয়,আসলে আমরা চেয়েছি বিতর্কের মাধ্যমে সবাইকে একটু আনন্দ দিতে।কাজেই নারী পুরুষ উভয় দল ই আজকের বিজয়ী দল।এখানে কাউকে জিতিয়ে,কাউকে হারিয়ে আমরা লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহার কারীদের আঘাত করতে চাইনা।দুই পক্ষ ই জয়ী,দুই পক্ষের জন্যই থাকছে পুরস্কার।
আজকের বিতর্ক এ পর্যন্তই।
.
লেখাটি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য,কাউকে ক্ষেপানোর জন্য নয়।ধন্যবাদ সবাইকে।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3931
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧧⧍:ā§Šā§§ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ