"বিয়ে নিয়ে ইয়ে"
লেখক : মিশু মনি(ডেঞ্জামাইস)
.
আজ আমার বিয়ে।
বিয়ে ব্যাপার টা অনেক মজার।
কিন্তু আমার বিয়ে টা খুব যন্ত্রণাদায়ক। বগলের তলে বিষফোড়ার মত।কারন বিয়ে নিয়ে দারুণ ঝামেলা বেধেছে।
আমার পাত্র সিফাত চৌধুরীকে এক মেয়ের বাবা তুলে নিয়ে গিয়েছে তার মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য।এখন আমি কারে বিয়া করবো? আজ বুঝি আমার বিয়ে করাই হবেনা।
তাছাড়া হবু বরকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলাম।বিয়ের পর ওর মাথা ন্যাড়া করে ওর ঘাড়ের উপর বসে ন্যাড়া মাথায় ডুগডুগি বাজাতাম। আমার সব প্লান ভেস্তে যেতে বসেছে।
ভাইয়ার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করতে হবে।ভাইয়া নিশ্চয় ই সিফাতকে উদ্ধার করতে পারবে।কিন্তু আমার মোটেও কান্না আসছে না।কি করা যায়?
ভেবে চিন্তে মুখ থেকে থুথু বের করে গালে দিলাম।তারপর মনির ভাইয়াকে ডাকতে ডাকতে ওর রুমে আসলাম।
ভাইয়া আমাকে দেখে বলল,কিরে বোন?
আমি ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অভিনয় করে বললাম,ভাইয়া ভাইয়া আমার কি আজ বিয়ে হবেনা?
- হবে রে বোন।তুই চিন্তা করিস না।আমি বিকেলের মধ্যেই পাত্র জোগার করে ফেলবো।
- নু ভাইয়া,
- তাহলে?
- আমি ওই সিফু টাকেই বিয়ে করবো,সিফু টাকেই বিয়ে করবো।
- কি ফু?
- সিফু,
- এটা আবার কোন ফু?
- আরে সিফাত চৌধুরি,আমার সিফ।আমি ওকে ই বিয়ে করবো ভাইয়া।
- কিন্তু ওকে নাকি কারা তুলে নিয়ে গেছে?
- হ্যা,লিছা নামের একটা মেয়ে সিফকে পছন্দ করে।ওর বাবা সিফকে তুলে নিয়ে গেছে লিছার সাথে বিয়ে দেবার জন্য।তুমি ওকে উদ্ধার করে আনো ভাইয়া।
মনির ভাই আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল,আমি দেখছি কি করা যায়।
- নু ভাইয়া।আমি সিফুকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি।তুমি তাড়াতাড়ি ওকে উদ্ধার করে আনো। কিছুক্ষণ পরেই আমার বান্ধবীরা চলে আসবে।ওরা যদি জানতে পারে পাত্র নিখোজ তাহলে খুব কেমন হয়ে যাবে।আমার প্রেস্টিজ আছে একটা।
- ব্যবস্থা করছি বোন।তুই কাদিস না।
- আমিতো কাঁদছি না ভাইয়া।
- তাহলে চোখে জল কেন?
- এ তো জল নয় ভাইয়া।এটা তো আমার মুখের...
- তোর মুখের কি?
- আমার মুখের ফেস টাই এমন ভাইয়া।দেখলেই মনে হয় কাঁদছি।সে যাই হোক,তুমি সিফ কে উদ্ধার করো।নয়ত আমি কিন্তু রেল লাইনে দড়ি দিয়ে মরে যাবো হুম।
- আমি যাচ্ছি বোন,দেখি কি করা যায়।তুই কিচ্ছু ভাবিস না কেমন।
.
আমি মাথা নেড়ে জানালাম কিচ্ছু ভাব্ব না।ভাইয়া হেসে বেড়িয়ে গেলো।
আমার মোটেও চিন্তা হচ্ছে না।বরং বেশ উপভোগ করছি ব্যাপার টা। দেখবো এবার সিফাত চৌধুরি কি করে?
আচ্ছা সিফাত এখন কি অবস্থায় আছে?
ভাবতে ভাবতে ললিপপ খেতে লাগলাম। আমার যখন খুব টেনশন হয়,তখন আমি ললিপপ খাই।এখন টেনশন হচ্ছে।আজ বুঝি আমার কপালে বিয়ে নেই।
.
বসে বসে ললিপপ খাচ্ছিলাম। অলরেডি তিন টা খেয়ে ফেলেছি।এখন কি হবে সেটাই ভাবছি।ভাইয়া যদি সিফাতকে উদ্ধার করতে না পারে,তাহলে নিশ্চয় ই কোনো ছেলেকে ধরে নিয়ে এসে বিয়ে পড়িয়ে দিবে।কারন অনেক ধুমধাম করে বিয়ে হচ্ছে।অনেক টাকা খরচ করে বিয়ের আয়োজন করেছে,বিয়ে দিয়েই ছাড়বে।
.
ভাবনা এগোচ্ছে না।কিন্তু সময় এগিয়ে চলেছে।বাসায় মেহমান বেড়ে চলেছে।আজ যে কি আছে কপালে!
মোবাইল টা বেজে উঠল- আতি নালে চিকিলাকা চিকিতা চিকিচিকিচিকিচিকি...
তাকিয়ে দেখি সিফাতের ছবি ভাসছে।রিসিভ করে বললাম,হ্যালো।
- মিশুউউউউউ..
- সিফুউউউউউ..
- বাবু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
- কেন বাবু?
- আমাকে ওরা রুমে বন্দি করে রেখেছে।মোবাইল টাও কেড়ে নিয়েছিল। এখন জেদ করে নিলাম।
- ভালো করেছ।চিন্তায় আমার প্রেশার বাড়ছে সিফ।ললিপপ খেতে খেতে জিহ্বায় ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে।
- বাবু আর ললিপপ খেও না।পিলিজ..
- ওকে বাবু।তুমি ঠিক আছো তো?
- হ্যা মিশু আমি ঠিক আছি।তুমি?
- আমি তো উলটা পাল্টা বকছি তুমি কিডন্যাপড হয়েছ শুনার পর থেকে।আচ্ছা তোমরা পুলিশ কেন ডাকছ না?
- ওরা বাবাকে বলেছে বাবা যদি পুলিশ ডাকে তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে।আর আমি যদি পুলিশে জানাই তাহলে বাবাকে মেরে ফেলবে।
আমি চিন্তিত হয়ে বললাম,এখন কি অবস্থায় আছো?
- ওরা কাজী ডাকতে গেছে মিশু।
- সেকি কেন?
- বিয়ে পড়িয়ে দিবে লিছার সাথে।
- হায় হায়! আমার কি হবে? তুমি কি ওই মেয়ে টাকে বিয়ে করবা সিফ?
- পাগল নাকি? ওই মুটিকে বিয়ে করতে আমার বয়েই গেছে।আমি মরে গেলেও ওকে বিয়ে করবো না।
- তাহলে? কি হবে এখন?
- লিছার বাবার হাতে একটা বন্দুক দেখলাম। হয়ত বন্দুক তাক করে বলবে,কবুল বল।
- তুমি কি কবুল বলবা?
- আরে নাহ।আমি তো বললাম মরে গেলেও কবুল বলবো না।আমি শুধু তোমায় লাভ করি মিশু।
- আই লাভিউ ঠু সিফু।যদি তুমি ওকে বিয়ে করো তাহলে আমি রেল লাইনে দড়ি দিয়ে মরে যাবো।
- ওটা হবে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাবো।
- বললাম না আমি উলটা পাল্টা বকছি? আমি শেষ হয়ে যাবো সিফ।
- আহারে! বাবু পাগলামো করেনা।আমি আছি তো, আমি থাকতে তোমার কোনো ভরসা নাই।
আমি অবাক হয়ে বললাম,ভরসা নাই!?
- সরি,আমিও ভুলভাল বকছি।ওটা হবে,আমি থাকতে তোমার কোনো চিন্তা নাই।
- হু হু হু,
- কাঁদছ কেন পাগলী? এই আমি এখন রাখি,কে যেন আসছে।
বলেই সিফাত কল কেটে দিলো।
আমার খুব মজা লাগছে।এইবার বেশ জমবে!
.
পার্লারের বিউটিশিয়ান এসেছে।আমাকে এবার বউ সাজানো হবে।আমি চুপচাপ বসে পরলাম।
মেয়েটি অবাক হয়ে বলল,আপনি ললিপপ খাচ্ছেন!
- হ্যা।
- আজ আপনার বিয়ে।
- বিয়ের দিন ললিপপ খাওয়া যাবেনা?
- যাবে কিন্তু এটা তো বাচ্চারা খায়।
- আমি কি বুড়ি হয়ে গেছি?
মেয়েটি আর কথা না বাড়িয়ে আমাকে সাজাতে আরম্ভ করলো।
আমি খুব নড়াচড়া করছি দেখে মেয়েটি জব্দ হয়ে বলল,এত নড়ছেন কেন? কাজ করতে দিন।
- আমি নড়ব, আপনাকে এভাবেই সাজাতে হবে।
- মেকাপ করার সময় নড়াচড়া করলে মেকাপ করবো কিভাবে?
- এভাবেই করবেন। আমি মুখে ললিপপ দিয়েই বসে থাকবো, আপনি মেকাপ করুন।
- আজব মেয়ে আপনি! মেকাপ ভালো না হলে বিশ্রী দেখাবে।
- বিশ্রী দেখালে টাকা পাবেন না।
- কি বলেন! আমার পারিশ্রমিক দিবেন না?
- পারিশ্রমিক পেতে চাইলে পরিশ্রম করতে হবে।তাই আমি ললিপপ মুখে দিয়ে মুখে দিয়ে বসে থাকবো। ললিপপ শেষ হলে চুইংগাম চিবাবো।আর আপনি এভাবেই মেকাপ করবেন।
মেয়েটি কাজ বন্ধ করে হা করে তাকিয়ে আছে।আমার খুব হাসি পাচ্ছে! অনেক জব্দ করা গেলো।
.
এবার শান্ত হয়ে বললাম,ভালো করে সাজান।মেকাপ করলে আমাকে দিপিকার মত লাগেনা?
মেয়েটি হা করে তাকালো।
আমি বললাম,এত হা করছেন কেন? মেকাপে আমাকে কার মত লাগে? বলুন।
- জ্বি,দিপিকার মত।
- উহু হয়নি।মেকাপে আমাকে কিরণমালার মত লাগে।কার মত?
মেয়েটি হা করেই বলল,কিরণমালার মত।
আমি মনে মনে হাসছি।সে নিশ্চয় ই আমার মত মেয়ে আর তিন টা দেখেনি।তাই খুব অবাক হয়েছে।
.
মা এসে বলল পাশের রুমে ভাইয়া ডাকছে।
আমি সাজুগুজু বন্ধ করতে বললে মেয়েটি বলল,এখুনি ছেড়ে দেয়া যাবেনা।চোখের মেকাপ টা করতে হয় ভালো ভাবে।
- রাখেন আপনার মেকাপ।আগে তো পাত্রের খোজ খবর শুনে আসি।পাত্র পাওয়া না গেলে কারে বিয়া করবো?
মেয়েটি হয়ত বুঝতে পারেনি।অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি লেহেঙ্গা উপরে তুলে ছুটে পাশের রুমে এলাম।
এসে দেখি ভাইয়া আর একটা মোটা মেয়ে বসে আছে।এ আবার কে! একেবারে ছোটখাটো হাতি!
ভাইয়া বলল,এই মেয়েকে চিনিস?
- নু ভাইয়া।Who is he?
- he নয়,she. এটা হচ্ছে সেই মেয়ে যার বাবা সিফাতকে তুলে নিয়ে গেছে।
আমি অবাক হয়ে বললাম,এটা ই লিছা?
- হ্যা,লিছার বাপ সিফাতকে তুলে নিয়ে গেছে।আমি লিছাকে তুলে নিয়ে এসেছি।এবার দেখি ওরা সিফাতকে কার সাথে বিয়ে দেয়?
.
আমি আনন্দে হাত তালি দিয়ে বললাম,ভারি মজা।
লিছা রাগে ফুঁসছে।
ভাইয়াকে বললাম,কিভাবে তুললি একে?
- পরে শুনিস।এখন কাজ আছে আমার।
বলেই ভাইয়া বেড়িয়ে গেলো।
.
আমি ভ্যা ভ্যা করে কেদে লিছার দিকে এগিয়ে আসলাম।
লিছা বলল,এই মেয়ে কাঁদছ কেন?
- সিফুর জন্য কাদছি।তুমি যে মোটা,তুমি ওকে একটা থাপ্পড় দিলে সিফুর সব দাত পড়ে যাবে।আমার সিফু টা চিকণ চাকুন চিকনী চামেলি,আর তুমি তো ছোট খাটো হাতি।কি করে ভাবো ওকে বিয়ে করার কথা?
লিছা রেগে বলল,আর তুমি কি? খাটো একটা মেয়ে।সিফাতের চেয়ে এক ফুট খাটো তুমি,হাফ টিকিট কোথাকার।
আমি ভ্যা ভ্যা করে কেদে বললাম,আমি হাফ টিকিট? তোমাকে শুক্রবারের হাটে বিক্রি করে দিবো বলে দিলাম।
কিছু বুঝে উঠার আগেই লিছা আমার গালে কষে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।
আমি চোখে অন্ধকার দেখলাম, পিছন দিকে চেয়ারের উপর বসে পড়ে চেয়ার শুদ্ধ উলটে পড়লাম। একি মেয়ে নাকি অন্যকিছু? আফ্রিকার জংগলের হাতি।এত শক্তিরে বাবাহ!
আমার চিৎকার শুনে আম্মু এসে আমাকে মেঝে থেকে টেনে তুলে বলল,এই রাক্ষসীর সাহস তো কম না।আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলেছে।ওর ঠ্যাং ভেঙে ঠোংগায় তুলে হাতে ধরিয়ে দিবো।
বাহ! আম্মু দারুণ ডায়ালগ দিয়েছে।তারমানে দারুণ জমে গেছে!
আমাকে থাপ্পড় দিয়েছে,এইবার মজা বুঝবে লিছা বেগম।
.
আমি আমার রুমে এসে আবারো বসে পরলাম।বিউটিশিয়ান আমাকে সাজানো শুরু করলো।
বললাম,আমাকে সাজানোর পর পাশের রুমে গিয়ে একটা আফ্রিকান হাতিকে সাজাবেন।
- হাতি!
- এত হা করেন কেন বারবার? চুপচাপ সাজান,আমার গাল ব্যাথা করছে কিন্তু।আর কথা বলতে পারবোনা।
.
এরপর চুপচাপ রইলাম।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আয়নায় তাকিয়ে দেখি আমাকে একদম বউদের মত দেখাচ্ছে! লজ্জায় আমার মেকাপ ও লাল হয়ে গেলো।
লেহেঙ্গা উপরে তুলে সারা বাড়ি ছুটে বেড়াতে লাগলাম।
বান্ধবীরা এসেছে।আমাকে দেখে প্রশংসা করলো অনেক।
আমি হেসে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালাম।
.
মোবাইল বেজে উঠল- আতি নালে চিকিলাকা চিকিতা চিকিচিকিচিকিচিকি..
রিসিভ করে বললাম,সিফুউউউউউ...
- মিশুউউউউ...
- হ্যা সিফ বলো।
- আমি বাসায়,বর সাজতেছি।
- সত্যিই! কিভাবে ছাড়া পেলে?
- আরে ওই লিছা কল দিয়ে ওর বাবাকে বলল সিফাতকে অক্ষত অবস্থায় সসম্মানে বাসায় পৌছিয়ে দাও।আমি ওকে বিয়ে করবো না।তারপর ওরা আমাকে বাসায় রেখে গেলো। কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব হলো বুঝতেই পারলাম না।
- এটা মিশুর কেরামতি।
- মানে!
- লিছা এখন আমার রুমে।ওকে বন্দি করে রেখেছি।ওর গলায় ছুড়ি ধরে বলেছি,যা বলবো তাই করো নয়ত মেরে ফেলবো। তারপর ও ভয়ে ভয়ে সব কথা শুনলো।আগে বিয়ে পরানো হয়ে যাক,তারপর লিছাকে ছেড়ে দিবো।
- ওহ মিশু,তুমি জিনিয়াস।
- থাংকু বাবু।এবার দাও।
- এই পাশে আব্বু আছে এখন দিতে পারবো না।
- আরে বাবা ফোন রেখে দাও।রেখে দিতে বলেছি।
- ওহ আচ্ছা।আমি বর সাজতেছি মিশু।
- সাজো,আমিও বউ সেজেছি।আমাকে কিরণমালার মত লাগছে।
- হা হা হা।ওকে জানু মনু,এবার রাখি।বিয়ের আসরে দেখা হবে।
.
অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেলো। সিফ কে কি যে মিষ্টি দেখাচ্ছে!
বিয়ের পর লিছাকে ছেড়ে দেয়া হলো।লিছা চলে যাওয়ার পর আমাদের বিদায় দেয়া হলো।
বিদায়ের সময় অনেক চেষ্টা করেও কান্না নিয়ে আসতে পারলাম না।কিছুতেই আমার কান্না পায়না।কিন্তু বিদায়ের একটা ফর্মালিটি আছে,না কাদলে কেমন দেখায়।কিন্তু খুব চেষ্টা করেও চোখে পানি আসলো না।বিয়ে ব্যাপার টাই তো মজার।অনেক আনন্দ,নতুন পরিবার, নতুন নতুন অফার,শাড়ি গয়না,হানিমুন আরো কত কি! তাহলে খুশি না হয়ে কাঁদবো কেন?
অবশ্য আম্মু অনেক কেঁদে সিফাতের হাতে আমার হাত তুলে দিলো।
আমি বললাম,আম্মু কেদোনা।আমিতো খুব সুখে থাকবো। কাঁদছ কেন?
- পাগলী, তুই এটা বুঝবি না।
- হু,তাড়াতাড়ি বিদায় দাও।
সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আবার দিকে তাকালো।
অনেকেই বলাবলি করছে, মিশু টা বাচ্চাই থেকে গেলো।
আমি গাড়িতে উঠে বসে আছি।মিশু টা বাচ্চাই থেকে গেলো কথা টার অর্থ বোধগম্য হচ্ছেনা।
যাই হোক,সব কথা বুঝতে হয়না।না হয় মিশুটা অবুঝ ই থেকে গেলো।আমি খুব ভালো আছি।
গাড়ি ছেড়ে দিলো।খুব আনন্দ হচ্ছে।শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি,আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!!
(সমাপ্ত)
.
লেখিকা : মিশু মনি
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ