āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ā§­ āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3892 (1)

গল্প:- অনাগত সন্তান ১ম পর্ব।
লেখা:- Umme Nipa

তামিম এর সাথে বিয়ে হলো এই ১বছর ২মাস।পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা হয়েছিল।আমার আলাদা কোন পছন্দ ছিলনা বলে বাসার অমতে যাইনি। বাসার মতেই তামিম আমার ১২বছর এর বড় হওয়া সত্ত্বেও আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম।
বাসার সবাই বলতো বর-বউ এর বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয় ভালোবাসা নাকি ততো বেশি।যদিওবা আমি এ কথার উপর ভরসা করে বিয়েটা করিনি,বিয়ে-সংসার করা দরকার তাই করেছি।ভালোবাসা পাওয়া না পাওয়ার কথা ভাবিনি।সমাজের চোখে বিবাহিত বলার ছিল তাই করেছি।তামিম যে আমার পরিবার এর আশা ভরসা ডুবিয়েছে তা নয়,তামিম ছেলে হিসেবে ১০০এর মাঝে ৮০পায়।বর হিসেবে আমার জায়গায় অন্য মেয়ে হলে ১০০তে ১০০ই দিত।কিন্তু আমার চোখে নিতান্তই একজন বুড়া লোক।
আমি বেরসিক নই তবে রোমান্স বেপার টা কেন যেন আমার সাথে যায়না। সবসময় চাকরী করার দিকে ঝোঁক ছিল বেশি।নিজের পায়ে দাড়ানো,স্বাধীন ভাবে চলার ইচ্ছে ছিল খুব তাই বলে আমি উড়নচণ্ডী ও কখনো ছিলাম না।কারো উপর নির্ভর করার ইচ্ছে ছিলনা কখনই।
বিয়ের আগ থেকেই আমি একটা জব করতাম।যা এখনো করছি।
কয়েকমাস হলো তামিম এর কম্পানি টা বন্ধ হয়ে গেছে।তামিম বলতে গেলে এখন বেকার।
আমি যতই চাকরি করিনা কেন,স্বামীর চাকরি না থাকাটা কষ্টের বেপার।সারাদিন অফিস এ থেকে বিকালে এসে যখন দেখি তামিম বারান্দা সিগারেট এর ধোঁয়ায় আধার করে ফেলেছে তখন আমার ওর জন্য কষ্ট হয়।হোক সে আমার পছন্দের বর না তবু অপছন্দের খাতায় তাকে ফেলা যাবেনা। বছর খানেক কারো সাথে এক ছাদ এর নিচে থাকলে মায়া জন্মাবেই।ইট -পাথরের করা ঘরের প্রতি মায়া জন্মায় তারপর তো রক্ত মাংসের মানুষ তাও আবার বর।
বিয়ের পর থেকে তামিম কে আমি অনেকবার বুড়ো বলে অপমান করেছি তার প্রতিউত্তরে ও কখনই আমাকে কিছু বলেনি।ও বলতে পারতো যে বুড়ো দেখেইতো বিয়ে করেছো, কিন্তু তাও বলেনি।ঝগড়া করতে জানতে হয়।তামিম সে দিক দিয়ে একেবারেই অনভিজ্ঞ।
আজ অফিস থেকে ফিরে দেখি রান্না ঘর এ টুক টাক শব্দ।
আমি:- তামিম,কি করছো ওখানে?
তামিম:- কফি করতেছি,
আমি ব্যাগ রেখেই রান্নাঘর এ গেলাম।পুরুষ এর রান্নাঘর এ আসা আমার কাছে খুব বিরক্তি লাগে।যেসব মেয়েরা বর এর রান্না করা খাবার খেয়ে লুতুপুতু করে আমার কাছে তা ন্যাকা ছাড়া কিছুই মনে হয়না।
আমি:- আচ্ছা তোমার কি কাজ নাই?কফি খাওয়ার ইচ্ছে হলে দোকানে গিয়ে খাও।আমি রোজ এসে করে দেই আজ এতো ইচ্ছে জাগার কারন টা কি বলবা?
তামিম আমার কথার উপর একটা কথা না বলে কাপ দুটো পাশে রেখে চলে গেল।
মেজাজ ঠান্ডা হবার পর যখন দেখি ও আমার জন্য ও কাপ নামিয়েছে তখন খুব মন খারাপ হল ওর জন্য।
আমি কাপে কফি নিয়ে এসে দেখি ও কপালে হাত দিয়ে শুয়ে আছে।
আমি:- তামিম.
তামিম:- হু..
আমি:- নেও কফি এনেছি।আসলে আজ আমার মেজাজ টা খারাপ অনেক,একটু ডাক্তার এর কাছে গিয়েছিলাম তাই আসতে একটু দেড়ি হয়ে গেছে বাসায়।তোমার কফি খাবার সময় যে পার হয়ে গেছে আমি তা খেয়াল করিনি।সরি।
তামিম উঠে চিন্তিত হয়ে বলতেছে,কি হয়েছে?হঠাৎ ডাক্তার এর কাছে?আমাকে তো জানালেনা।
আমি:- আর বলোনা,আমিকি জানতাম নাকি?অফিস এ কাজ করার সময় অজ্ঞান হয়ে যাই, সুলতানা আপা আর মাসুদ ভাই নিয়ে গেছে ডাক্তার এর কাছে।
তামিম:- প্রেসার ফল করেছে নাকি?
ডাক্তার কি বললো?
আমি:- কফি নেও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
তামিম কফি নিয়ে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে?
আমি:-আসলে তামিম,আমি প্রেগন্যান্ট।
তামিম:- কি?তুমি এই খবর টা এতো মলীন মুখে দিচ্ছো?
আমি:- আজব,এখানে ছাগলের বাচ্চার মতন লাফালাফি করে খবর দেয়ার মতন কিছু আমি পাইনি।
তামিম:- এই শিমু তোমার মাথা ঠিক আছে?আরে আমি বাবা হব,আর তুমি মা।
এর চেয়ে সুখের খবর একজন দম্পতির কাছে কি হতে পারে?
আমি:- শোন তামিম,বিয়ে আমাদের সবে ১বছর হল,এর মাঝে বাচ্চা-কাচ্চা নেয়া,খুব ঝামেলার।৩-৪বছর পর ভেবে দেখবো।
তামিম:- এটা আল্লাহর দান।তুমি আমি ভেবে দেখার কিছুনা।দেখো যেহেতু সন্তান আজ না হয় কাল আসবেই সেহেতু আজ নিলে ক্ষতির কিছুনাই।
আচ্ছা একজন সন্তান কে কেন্দ্র করেও স্বামী -স্ত্রী এর মাঝে সম্পর্ক গভীর হয় তা জানো?
আমি:- এতো জ্ঞান দিওনাতো,ভাল্লাগেনা এতো জ্ঞান শুনতে।এটা বাস্তব এটা মুভি নয় যে আমি মা হতেছি বলে তোমার কোলে ঝাপিয়ে পরবো আর তুমি খুশি হয়ে চিৎকার দিয়ে আমায় আমায় কোলে তুলে নিবে।এটা বাস্তব।আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আমাদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যেতে পারে।
তামিম চুপ হয়ে আমার মুখ এর দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি:- আর আমাকে অফিস করতে হয়।অফিস করে বাচ্চা পালা পসিবল নয়।
তামিম:- অফিস ছেড়ে দেও?
আমি খুব ক্ষেপে গেলাম,আমার কাছে অফিস টা আমার খুব পছন্দের জায়গা।
আহ!অফিস ছেড়ে দেও,মামা বাড়ির আবদার যেন, আমি অফিস ছাড়ি, আর নিজের তো ইনকাম বলে এক পাই ও নাই,খাব কি তখন?
যা ইচ্ছা বললেই হয়।
তামিম ধীর গলায় বলছে, আমার স্ত্রী আমার সন্তান ভরন পোষন এর দায়িত্ব আমার।আমি ঠিক কাজ পেয়ে যাব।
আমি:- ও এতোদিন বউ পালার কথা মাথায় আসেনি।এখন বাচ্চার কথা শুনেই বউ এর প্রতি দরদ উতলে উঠছে।
তামিম,আমার বিয়ের আগেই আমি তোমাকে জানিয়ে রেখেছিলাম যে আমি জব করবো আর আমি তোমার উপর নির্বরশীল হতে পারবো না,সো এই নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই।
তামিম:- আচ্ছা তুমি জব করো,দরকার হলে আমার মাকে আনবো, আমি আর আমার মা মিলে বাচ্চা দেখবো।
আমার রাগ আরো বেড়ে গেল,উফ!চুপ করবা?আমার কাজ কি শুধু বাচ্চা জন্ম দেয়া?
তামিম:- শিমু,এ আমাদের প্রথম সন্তান,আমাদের নতুন জীবনের পথ এর শুরু আমাদের সন্তান।আমাদের ওকে খুব দরকার।সত্যিই খুব দরকার।
আমি:- তোমার দরকার হতে পারে,তবে আমার না।তুমিতো বয়সের ৩ভাগ এর ২ভাগ ই শেষ করেছো তাই তোমার এখন বাচ্চা পালার শখ হতেই পারে, কদিন পর হয়তো বলবে নাতি পালার শখ হচ্ছে।কিন্তু আমার বয়স হয়নি বাচ্চা পালার।বিবাহিত জীবন কাটাতে পারলাম না এর মাঝে বাচ্চা কাচ্চা।উফ ভাবতেই পারছিনা।
তামিম:- প্লিস..
আমি কফির কাপ টা ছুড়ে ফ্লোর এ ফেললাম,চিৎকার দিয়ে বলছি আমি না বলছি কানে যায়না?
অসহ্য, আমার জীবনটা একেবারে শেষ করে দিল।বলেই আমি ও রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
ছাদ এ গিয়ে দাড়িয়ে আছি।
মনে মনে ভাবছি তামিম এর সাথে এতো টা খারাপ ব্যবহার না করলেও পারতাম,ছোটবেলা থেকেই রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারিনা আমি। তবে আজ রাগ এর পিছনে যুক্তি ছিল।হঠাৎ করে পিছন থেকে আমার নাম ধরে ডাক দিল।
পিছনে তাকিয়ে দেখি তামিম।
আমি:- হুম বলো?
তামিম:- বাসায় চলো,তুমি দুপুরে এখনো খাওনি,চলো।
আমি:- আমার ক্ষিদে নেই,তুমি খেয়ে নেও।
তামিম:- আচ্ছা আমার খাবার দিতে হলেও চলো.
তুমিতো রান্নাঘর এ যাওয়া পছন্দ করো না।
আমার কথার প্যাচে আমায় ফেলে দিল।না গিয়েও উপায় নাই।
বাসায় গিয়ে খেতে বসলাম।
তামিম খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে আর কি যেন ভাবছে,
আমি:- খাচ্ছ না কেন?
তামিম শুনছেনা..
আমি একটু চেচিয়েই বললাম,কি হল?
তামিম:- হুম।
আমি:- কি হুম?
তামিম:- খাচ্ছি।
সন্ধ্যা হলেই তামিম বের হয় বাইরে।কিন্তু আজ বের হচ্ছে না।আমার সাথে তেমন কথাও বলছেনা।
কাল শুক্রবার,তাই আজ একটু রাত করেই ঘুমাচ্ছি।কাল পরশু অফিস নেই।তামিম সেই বিকাল এর পর থেকে কথাই বলছেনা কোন।ও চুপচাপ স্বভাব এর তবে ও গোমড়া নয়।তবে আজ বিকেল থেকেই ও কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে।
আমি ওটায় মনযোগ না দিয়ে খবর এর কাগজ পড়ছি, পড়তে পড়তে চোখ লেগে এলো।
বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।
বিছানায় দেখি তামিম নেই।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ২.৪৫।আমার মনের ভিতর কেমন যেন করলো।মানুষ টাকে আমি চোখ এ হারাইনা তবে চোখ এর আড়াল হলে ভয় যে হয়না তা নয়।বিকেলে অতো কিছু বলেছি তাই অভিমান করে চলে গেলনাতো!অনেক কিছু মনে ভেসে আসলো,তাই বিছানা থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে দেখি বারান্দার দরজা খোলা।বারান্দায় পাশে গিয়ে দেখি,তামিম মোবাইল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি গিয়ে বললাম,কি বেপার বারান্দায় দাড়িয়ে আছো এতো রাতে?
বাইরে বৃষ্টি দেখছোনা?
তামিম মোবাইল টা এ হাত থেকে ও হাতে নিল।
আমি ওর ভাব ভঙ্গি ভালো না দেখে ওর মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি,বাচ্চাদের হাসির ভিডিও দেখছে।
আমি অনেকক্ষন চুপ করে থেকে রুম এ চলে আসলাম।
তামিম ও কিছুক্ষন পর রুম এ আসলো।
আমি:- আচ্ছা তোমার সমস্যা কি বলবা?
তামিম কোন কথাই বলছেনা।
মেজাজ তখন আরো খারাপ হলো।
আমি বললাম আচ্ছা আমার কথা কানে যায়না?
বাচ্চার ভুত এ পাইছে তোমায়?
শোন কাল আমি মা এর কাছে যাব।
তামিম:- কেন?
আমি:- কেন মানে কি..যাব তো যাব। সারাজীবন তোমার বুয়াগিরী করবো নাকি?
তামিম:- আচ্ছা এতো রাতে কি শুরু করলা?
আমি:- ও আমি ই শুরু করি?
তামিম শুয়ে চোখ বুজে আছে।ঝগড়ার সময় প্রতিপক্ষের নিষ্ক্রিয় থাকা গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয়।
চলবে....
নিপার লেখাগুচ্ছ

#অনাগত সন্তান ২য় পর্ব
লেখা:- Umme Nipa

ওর নিষ্ক্রিয় থাকা আজ নতুন নয়।এর আগে অনেক এমন হয়েছে আমি বক বক করে গলা ফাটিয়েছি আর ও ঘুম।জেদ আমার যত বেশি ওর ততো
কম।তাই আর ব্যর্থ চেষ্টা না করে আমিও শুয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষন পর তামিম বললো,
মা কে এই খবর টা দিও আশা করি সে তোমাকে বুঝাবেন।সে মা সে জানেন মা হবার খুশি কি?
আমি:- উফ! খবরদার,মাকে এই বেপার এ কিছু বলবেনা।আসলে
আমার তোমাকেই বলা উচিৎ হয়নি।
তামিম:- হেসে দিল।
আমি:- হাসলে যে?
তামিম:- হাসবো না?আমার সন্তান পৃথিবীতে আসবে আর তা
আমাকে জানানো হবেনা?হাস্যকর।আমি মনে হয় এ দুনিয়াতে এই
প্রথম বাবা যার তার সন্তান সম্পর্কে শোনার-বলার অধিকার নাই।
আমি আর ওর উপর কোন কথা বলতে পারলাম না।
মাঝে মাঝে প্রচণ্ড রাগ তামিম এক কথায় ভেনিশ করে দিতে পারে।আগুনে পানি দেয়ার মতন।এই ১বছরে ঝগড়া হলেও কখনো ৩০মিনিট কথা না বলে থাকতে পারিনি।ও ঠিক কথা বলিয়ে নেয়।

ঘুম আসছেনা,কিসের চিন্তা আমায় ঘুমোতে দিচ্চেনা।
আমি সন্তান চাই তবে তা সঠিক সময়ে।
আমার বাচ্চা কোন খারাপ পরিবেশ পাক তা আমি চাইনা।তামিম এর জব
নেই,ও চাইলেই আমার বাচ্চাকে সুস্থ পরিবেশ দিতে পারবেনা।
আমার জব টা ও আমি ছাড়তে পারবো না।ওটা আমার অনেক কষ্টে
পাওয়া।
সংসার গুছিয়ে নেবার আগেই যদি মা হই তাহলে এতো কিছু সামাল
দিতে পারবো না।আমার ফ্রেন্ড রাও কেউ বাচ্চা নেয়নি এখনো।
যার ভবিষ্যৎ আমি নিশ্চিন্ত করতে পারবো না
তাকে অযথা পৃথিবীতে এনে কি লাভ?
না!শেষ সিদ্ধান্ত আমি এ সন্তান নিব না।

সকালে উঠতে উঠতে ১০টা বেজে গেল,উঠে দেখি তামিম
বেড এ নেই।না বলে কই গেল,ও জানে আমি মায়ের কাছে যাব
তাও না বলে চলে গেছে।
দরজা সামনে থেকে লক করে গেছে,কি অদ্ভুত মানুষ আমার
কপালে জুটেছে।

কিছুক্ষন বাদে আমি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি আমার রুম এর
সারা দেয়াল বাচ্চাদের ছবিতে ভরে ফেলেছে।বিছানার পাশে
দোলনা,ফ্লোর এ রকমারি বাচ্চাদের খেলনা।
আর তামিম আমার ড্রেশিং টেবিল থেকে আমার সাজ প্রসাধনী সব
নামিয়ে সেখানে পুতুল রাখতেছে।
আমি:- এসব এর মানে কি?
তামিম:- শিমু রুমটা সুন্দর লাগছেনা?
আমি:- আচ্ছা তুমি কি আমার পাকাপাকি যাবার ব্যবস্থা করছো?
তামিম:- মানে?
আমি:- মায়ের বাসায় তো আজ একদিন এর জন্য যাব
বলেছিলাম,তুমি কি চাও আমি আর না ফিরি?
তামিম আমার দিকে তাকিয়ে বললো আচ্ছা তুমি না ফিরলে
কেমনে হবে?
আমি:- এ বাসায় কি আমার থাকার মতন রেখেছো?
মনে হচ্ছে সিনেমার কোন শুটিং হবে,দম বন্ধ হয়ে আসছে।
তামিম মুখটা মলীন করে বলতেছে শিমু ভেবেছি এসব দেখে তোমার মা হবার স্বাদ
জাগবে,তাই ঘুম থেকে উঠেই আমি এগুলো আনতে
গিয়েছিলাম।
আমি:- অদ্ভুত কথা বলতেছ,বিয়ে যখন করেছি আমি জানি মা ও একদিন হতে হবে।কিন্তু
বিয়ের পর পর ই যে আমার মা হতে হবে এটা আমায় আগে
বললে পারতে?আমি বিয়ে করতাম না।
তামিম এখনো কথা বলছেনা।
আমি:- আচ্ছা যেখানে সিগারেট এর প্যাকেট ও আমি কিনে দেই
সেখানে এসব কেনার টাকা কই পেলে?
তামিম:- গিটার বিক্রি করে দিছি।
আমি:- ওটা তোমার কলেজ লাইফ এর গিটার ছিল তামিম।
এখনকি ঘরের সব কিছু বিক্রি করে দিবে?সংসার কি পুতুল খেলা
পেয়েছো?
তামিম:- কলেজ লাইফ এর জিনিস আমার সন্তান এর চেয়ে বেশি
নয়।
আমি:- উফ!সন্তান সন্তান করে মাথা খেয়ে ফেলছে,বাচ্চা পালার
যোগ্যতা নাই আসছে সন্তান দেখাতে।
রেগে গিয়ে রুম এর দেয়াল থেকে সব ছবি খুললাম আর সবকিছু বারান্দায়
রেখে আসলাম।
তামিম কালকের মাঝেই যেন আমি এগুলো এখানে না দেখি।
মনটাই খারাপ করে দিল,দিনতাই ঝগড়া দিয়ে শুরু হলো জানিনা সারাদিন কি
হয়।

ভাবলাম আজ আর মায়ের কাছে যাবনা।
রান্নাবান্না করার পর নিজে না খেয়ে তামিম এর জন্য খাবার টেবিলে
রেখে আমি শুয়ে পরলাম,শরীর ভালো লাগছেনা আর
খেতেও ইচ্ছে হচ্ছেনা।
কিছুক্ষন পর শুয়ে থাকতেও ভালো লাগছেনা,
বারান্দায় গেলাম।বারান্দায় আগে আসলেই পোড়া সিগারেট
দেখতাম ফ্লোর ভরে গেছে,আজ একটাও দেখছিনা।
কি বেপার,ও কি সিগারেট খায়নি।নাকি শেষ হয়ে গেছে?ওর
কাছে কি টাকা নেই?
আচ্ছা ও কি আমার কথায় কষ্ট পেয়ে সিগারেট খাচ্ছেনা?
রুম এ গিয়ে তামিম কে জিজ্ঞেস করলাম,এই তোমার সিগারেট
শেষ হয়ে গিয়েছে?
তামিম:- আমি সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি।
আমি হেসে দিলাম,কলেজ থেকে যে সিগারেট খায় সে নাকি
সিগারেট ছেড়ে দিয়েছে।
আমার ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে কিনে এনো।
তামিম উঠেই ওর প্যান্ট এর পকেট থেকে নতুন সিগারেট এর
প্যাকেট এনে আমার হাতে দিয়ে বললো,দেখো গতকাল কিনে
এনেছিলাম,সব রয়ে গেছে।
আমি:- হঠাৎ এতো উন্নতি?
তামিম একটু থেমে বলতেছে,তুমি জানো না,বাচ্চাদের বাবার সিগারেট খেতে নেই।

আমার চোখে পানি চলে এলো, জানিনা কেন এলো।
চোখগুলি মাঝে মাঝে এমন ই বেখায়ালি হয়ে যায়। অকারনে
পানিতে ভরে যায় যার কারন হয়তো যার চোখ তার ও অজানাই থেকে যায়।

আমার সন্তান আসার পাগলামি তামিম কে চেপে বসেছে,এই
পাগলামিকে সায় দেয়া আমার বোকামী হবে তাই চোখের পানি
কৌশল এ আড়াল করে তামিম কে জিজ্ঞেস করলাম,খেয়েছো
তুমি?
তামিম:- না।
আমি:- কেন?খাবার দিয়ে গেলাম তো।
তামিম:- তুমি চলো,এসময় না খেয়ে থাকা উচিৎ নয়।
মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে হয়,তামিম কিসের তৈরী?
ওর কি রাগ অভিমান বলে কিছু নেই।নাকি স্বামীদের রাগতে নেই?
আচ্ছা সব স্বামীরা কি এমন হয়?
নাকি তামিম সবার থেকে আলাদা।
ধূর কি যে ভাবছি,আলাদা কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা আমার করা খাটেনা,কিছু
পাওয়ার ইচ্ছে হলে কিছু দিতে হয় যা আমি কখনই তামিম কে দিতে
পারিনি।অতিরিক্ত কিছু আমি দেখাতে পারিনা।নিজেকে প্রকাশ ও করতে পারিনা।হয়তো চিরটাকাল তামিম এর কাছে বাজে বউ হিসেবেই রয়ে যাব।নিজেকে ভালো হিসেবে তুলে ধরার ও ইচ্ছে জাগেনা আমার।সব বউ ভালো হতে পারেনা।
জানি বাজে হলেও তামিম ঠিক তামিম এর মতন ই রয়ে যাবে.....

চলবে.........
নিপার লেখাগুচ্ছ

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ