āϏোāĻŽāĻŦাāϰ, ā§§ā§Ž āĻĄিāϏেāĻŽ্āĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3952

মায়া,এই মায়া।
'
এলার্মের শব্দে ঘুমটা ভেঙে গেলো।সবাই বলে পাশে বউ থাকলে এলার্মের আর দরকার হয় না।সারাদিন সেটাই বাজতে থাকে।কিন্তু আমার হয়েছে উলটো।
"
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে এলাম।এদিকে প্রায় অফিসের সময় হয়ে গেছে।কিন্তু নাস্তার কোন খবর নেই।আমি রেডি হয়ে এসে দেখি মায়া এখনও ঘুমুচ্ছে।
আমি ফ্রেশ হওয়ার আগে একবার ডেকে গিয়েছিলাম।কিন্তু মহারানীর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই।ইনি এখনও ঘুমে।
আমি এবার মায়াকে একটু জোরেই ডাক দিলাম,
-মায়া,এই মায়া।
মেয়েটা ঘুম জড়ানো কন্ঠেই বললো,
-কি হয়েছে?
-আমি অফিস যাব।
-তো যাও।আমাকে একটু ঘুমুতে দাও।
বলে কি মেয়েটা।আমার চেয়ে ওর ঘুমটাই বড় হয়ে গেলো।আমি আবার বললাম,
-আমার নাস্তা?
-ইস ভুলেই গেছিলাম।তুমি দাড়াও আমি এক্ষুনি করে দিচ্ছি।
কথাটি বলেই মায়া বিছানা থেকে উঠে ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে প্রায় পড়ে গেলো বলে।আমি যদি না ধরতাম তাহলে পড়েই যেত।আমি ওকে এবার বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে বললাম,
-তোমার নাস্তা বানাতে হবে না।আমি অফিসে খেয়ে নেবো।ঘুমাও তুমি।
"
বুঝিনা মেয়েটা এত ঘুম পায় কোথায়।এইতো গত রাতের কথা।আমি খাবার টেবিলে বসে মায়াকে ডাকলাম।মেয়েটা টিভি দেখছে।আমি খাওয়ার কথা বলতেই বললো,তুমি গিয়ে টেবিলে বসো আমি আসছি।কিন্তু এদিকে তার আসার কোন নাম গন্ধই নেই।
"
আমি এবার চেয়ার থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখি মায়া সোফার উপর পা তুলে ঘুমুচ্ছে।এদিকে টিভি চলছেই।
মেয়েটাকে কি বলবো ভেবে পেলাম না।আসলেই পাগলী একটা। তবে এসবের মাঝেও মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসে।
আমি মায়াকে ডেকে আর টেবিলে নিলাম না।প্লেটে সবকিছু এনে ওকে খায়িয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিলাম।মায়াকে খায়িয়ে দেওয়া আমার প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে।
""
অফিসে এসে কিছু খেয়ে কাজে মনোযোগ দিলাম।ওদিকে হয়তো মেয়েটা এখনও ঘুমুচ্ছে।আমি ফোন দিয়ে না বললে সারাদিন ঘুমুবেই।
আমি মায়াকে কয়েকবার ফোন দেওয়ার পর সে রিসিভ করলো।হয়তো এখন ও উঠেনি।আমি কিছু বলার আগেই মায়া বললো,
-ঠিকঠাক ভাবে অফিসে পৌছেছ তো?
-হুম ভালভাবেই এসেছি।কিন্তু তুমি তো এখনও ঘুমে।
-এইতো উঠতেছি।
-উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও।
-আচ্ছা ঠিক আছে।তুমি তাড়াতাড়ি বাসায় এসো।
-হুম।উঠো এখন।
-লাভ ইউ।
-লাভ ইউ টু।
উফ এখন কাজে মনোযোগ দেওয়া যাবে। মেয়েটাকে নিয়ে যে কি করি।নিজের খেয়াল ও রাখে না।
"
অফিস থেকে বের হতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।এই শীতের দিনে আবার বৃষ্টি।যে বৃষ্টি শুরু হইছে থামার কোন চিহ্নই দেখতে পাচ্ছি না।
এখন ভিজে ভিজেই বাসায় যেতে হবে।আর ভিজলে তো জ্বর এসে যাবে এটা শিওর।এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে বাসার সামনে এসে পড়েছি সে খেয়ালই নেই।ভিজে একদম যা তা অবস্থা।
আমি কলিং বেল বাজাতেই মায়া দরজা খুলে দিয়ে আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো।মনে হচ্ছে রেগে গেছে।আমি ভেতরে ঢুকতেই মায়া বললো,
-ভিজলে না তোমার জ্বর আসে।
-হুম কিন্তু....
-কিন্তু কি।বৃষ্টি থামলে আসা যেতো না।এখন যদি জ্বর এসে যায় তাহলে কি হবে।
মায়ার কথায় আমি আর কিছু বললাম না।বেশ রেগে গেছে।তোয়ালে এনে নিজেই মাথা মুছে দিয়ে বললো,
-যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।আমি চা নিয়ে আসছি।
আমি কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়িয়ে চলে আসলাম।উফ এরই মাঝে হাচি দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।শরীরটাও ভাল লাগছে না।আমি ফ্রেশ হয়ে এসে চা না খেয়েই শুয়ে পড়লাম।বেশ শীত শীত লাগছে।একটু ঘুমানো দরকার।
"
মুখের উপর পানি পড়তেই ঘুমটা ভেঙে গেলো।শরীরটাও কেমন যেন ব্যাথা ব্যাথা লাগছে।জ্বরটা বেশ ভালভাবেই এসেছে মনে হচ্ছে।
আমি চোখ খুলে তাকাতেই দেখি মায়া আমার পাশে বসে কাঁদছে।আর আমার মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে।
এদিকে মায়ার চোখের পানিই আমার মুখে পড়ছে।আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই মায়া কান্না জড়িত কন্ঠে বললো,
-চুপ একটা কথাও বলবা না।জ্বরে একদম গা পুড়ে যাচ্ছে।কত বার বলেছি বৃষ্টিতে ভিজবা না।কে শোনে কার কথা।
মায়া এবার আমাকে শক্ত করে ধরে বললো,
-দেখি উঠো।কিছু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নাও।
আমি উঠে বসতে বসতে বললাম,
-কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না।খাবো না।
-খাবিনা মানে,তুই খাবি সাথে তোর বউও খাবে।
মায়ার কথায় আমি আর কিছু বললাম না।যে মেয়েটার ঘুমে এখন কাদা হয়ে যাওয়ার কথা সে আজ জেগে আছে।আমার জন্যে জেগে আছে।মেয়েটা সত্যি ই আমাকে খুব বেশীই ভালবাসে।
"
খাওয়া শেষে মায়া আমাকে ওষুধ খায়িয়ে দিয়ে বললো,
-চুপচাপ শুয়ে পড়ো।
-তোমার আজ ঘুম পায়নি?
আমার কথায় মায়া কেমন করে যেন তাকালো।তবে ওর চোখের টলমল করা পানি আমার চোখ এড়ালো না।
"
দুইটা কম্বল নিয়েছি তবুও যেন শীত কমছে না।আমার এ অবস্থা দেখে মায়া আমার পাশেই শুয়ে আমাকে শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে রাখলো।মায়ার কোমল স্পর্শে শীতটা প্রায় কমেই গেলো।
আমিও মায়াকে শক্ত করেই জড়িয়ে ধরলাম।আমি যেন আবার নতুন করে ওর ভালবাসার বাধনে আটকে গেলাম।ভালবাসার বাঁধন।
-------------------------------------
(মায়ার বাঁধন)
"
Abdul Ahad(অলস বালক)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ