গল্প: মাস্তানি২ (১ম পর্ব)
লেখা> Abir Hasan Niloy
..
পড়ন্ত বিকেলে ছাদের কর্নারে দাঁড়িয়ে অস্তি যাওয়া সূর্যের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি। এই সূর্যের
রশ্মি খুব একটা চোখে পড়ছে না। তাই নিথর দাড়িয়ে
সেটা দেখছি। মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস বইছে। যার ফলে
কিছু পূরোনো স্মৃতি মনের কোনে উদি দিয়ে উঠছে।
যা আমি চাই না সেগুলো মনে করতে। কিন্তু মানুষের
মন যেমন নরম তেমনি লাগামহীন। চাইলেই সব বাধা, স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলা যায় না। বা না ভেবেও থাকা যায় না।
মনে পড়ছে ৬ মাস আগের কথা। মনে পড়ছে নেহার
বিশ্বাস নিয়ে খেলার কথা। আমি তো চেয়েছিলাম ভালো হতে। কিন্তু নেহা সেটা আর হতে দেয়নি।
চাইলে আমি সেদিনি তাকে মেরে ফেলতে পারতাম। যেদিন জেল থেকে বের হয়েছিলাম।
চাইলে সবার সামনে আমার মাস্তানি দেখাতে
পারতাম। তবে সেটা করিনি। কারন, আজ আমি
অন্যরকম। সমাজের কাছে এক ভয়ংকর কিলার, ও আতংক।
.
- কি মি. কি ভাবছেন এমন উদাস হয়ে? এদিকে যে
সন্ধ্যা নেমে গেছে প্রায়.সে দিকে খেয়াল আছে?
(মিমি)
ছাদের কোনাতে দাঁড়িয়ে উপরের কথাগুলো চুপ করে
ভাবছি। ঠিক তখনি বাড়িওয়ালার মেয়ে মিমি
এসে কথাটি বললো। বিরক্তিকর ভাব নিয়ে ওর
দিকে তাকালাম।
- এই ওভাবে তাকাবেন না মি. নিলয়। আচ্ছা আপনার
নাম এত বড় কেনো? আমি কিন্তু নিলয় বলে ডাকতে
পারবো না। আমি ছোট করে নীল বলে ডাকবো বুঝেছেন?
আমি কোনো কথা না বলে রাগী ভাব নিয়ে আবার
মিমির দিকে তাকালাম। যেদিন থেকে এখানে
এসেছি। সেদিন থেকেই জ্বালিয়ে যাচ্ছে। কোনো
নোটিস ছাড়াই হুট হাট করে চলে এসে বকবক করতেই
তাকে। যেটা আমার মোটেও সহ্য হয় না। এখন
মেয়েদের দেখলেই কোমরে গুজে থাকা পিস্তলটাকে
হাত বুলিয়ে নেই। আর ভাবি এখনি গুলি করে মেরে দিই।.কিন্তু সবার আগে নেহাকে মারবো। তারপর নেহার
পুলিশ টিমকে। এই দেশে.নিলয় এর গ্যাং বানিয়ে
দেবো সব জায়গায়। দেখি নেহা কি করে।
- ও হেলো, হাবার মত চেয়ে আছেন কেনো?
- আচ্ছা প্রবলেমটা কি.আপনার? (আমি)
- নীল আকাশেন নিচে, তুমি আর আমি সাইকেল চালিয়ে ঘুরবো। তুমি চালাবে আর আমি বসে থাকবো।
- কিহহহ..
- না মানে, একটু রোমান্টিক হয়ে গেছিলাম আর কি।
- এই তোর প্রবলেম কিরে?
(আমি)
- এইইই ছেলে এভাবে কথা বলছেন কেন হুমমম? জানেন আমার বাসাতে কেউ আমাকে বকা দেয় না।
- উফফ...
- থাক তোর বাড়ির ছাদে। আমি গেলাম। যত্তসব।
কথাটি বলে চলে আসতে যাবো তখনি। মিমি বললো..
- এই আমি তোমাকে তুমি করেই বলবো। ঐসব আপনি
করে বলা আমার ভালো লাগে না।
- যা ইচ্ছে.. (ঝাড়ি দিয়ে)
- ঐ তুমি মাস্তান নাকি?
কথাটি শুনে চমকে উঠলাম। মিমি কি বুঝতে পারলো
নাকি আমার ব্যাপারে কিছু? ঘুরে আবার ওর মুখের
দিকে তাকালাম। মেয়েটি দুষ্টু হাসি হেসেই চলেছে।
- এই মেয়ে কি বললে..?
- আরে বললাম, মাস্তান নাকি তুমি? খালি বকা দাও। কথা বলো, কিন্তু মায়াহীন ভাবে কেমন বিদঘুটে ভাব একটা। চুপচাপ থাকো। কি সব ভাবো। আমি রোজ দেখি হুমম...
-.....
- না মানে বলছিনা তুমি মাস্তান। তুমি মাস্তান হতে যাবে কেনো? আসলে মুভিতে দেখেছি। তারা এমন চুপচাপ থাকে। আর খুন করার প্লানিং করে।
মন চাচ্ছে এখনি গুলি করে মেরে দিই। কিন্তু আমি যে
ইচ্ছে করেছি আগে নেহাকে মারবো। তারপর অন্যকিছু। কিন্তু এখানে কাউকেই বুঝতে দেয়া যাবে না।
আমি সত্যিই মাস্তান। তাহলে এখানেও খারাপ
কিছু হতে পারে। রাগটা একটু বেশিই। সে কারনে হয়ত
মিমিসহ সবাইকে মেরে.ফেলতে পারি।.আর কিছু না বলেই মিমির সামনে থেকে চলে আসলাম। সন্ধ্যা নেমে গেছে সেই কখন। কিন্তু আমার মনে বয়ে
চলেছে কালো রাতের এক দুঃস্বপ্ন। চাইলে অনেক কিছুই করতে পারি। কিন্তু করবো না। নেহাকে মারবো
আসতে আসতে, সে আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলেছে।
আমিও ঠিক সেভাবেই খেলবো। সে আমাকে ভালো
হতে দেয়নি। আমিও তাকে ভালো থাকতে দেবো।
রুমে এসে একটা গরম কফি নিয়ে বেলকনিতে এসে
দাঁড়ালাম। তখনি একটা ফোন আসে..ফোনটা হাতে নিতেই দেখি, সাইমনের কল..
- ভাই, আপনি কোথায়..?
(সাইমন)
- কেনো??
- ভাই নেহা আজ রাতে *** মিশনে যাবে। আপনি খবর
দিতে বলেছিলেন না তাই.দিলাম।
- ওকে...
মিমিদের বাসাতে এসেছি চার মাস এর বেশি হয়ে
গেছে। এখানে থাকি তা কেউ জানেনা। এই ঢাকাতে নতুন গ্যাং হয়েছে। যখন ভালো হতে চেয়েছিলাম।
তখন মানুষগুলো কেমন এড়িয়ে চলতো। আর যখন গ্যাং খুললাম তখন সবাই কেমন যেন কাছে
চলে আসলো। আসলে গ্যাং এ টাকা ছড়াতেই সবাই কেমন আপন হয়ে গেল। আর এরা এতটাই আপন হয় যে, বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে না। এর এদিক দিয়ে ভালোই। যখনি চুপ থাকি, তখনি মনে পড়ে সৎ মায়ের কথা ও.নেহার কথা। তখন মনে হয় সবকিছু তছনছ করে দিই। গ্যাং এর নাম দিয়েছি.unbelievers killers। অবিশ্বাসের খুনি।
..
আজ নেহাতে দেখবো। সেই পুরোনো মুখ। পুরোনো
অভিনয়ের মেয়ে। পুরোনো হাসি। তবে আমি যাবো.অন্যরুপে। এখন যদি সে চিনে ফেলে, তাহলে খেলাটাই তো হবে না। নেহাকে.নিয়ে খেলবো বিশ্বাস ও
ভালোবাসা নামক ব্লু হোয়েল গেম। যেটাতে বুঝিয়ে দেবো যন্ত্রনা কাকে বলে।
.
ল্যামপোস্টের নিচে দাড়িয়ে আছি। গায়ে কালো কোট, মুখে কিছুটা দাড়ি। একটা গোঁফ, দুর থেকেই দেখলাম নেহা.নামলো জিপ থেকে। কালো রঙ এর একটি শার্ট পরা। প্যান্টের হাটুতে ছেড়া ছেড়া স্টাইল।
ল্যামপোস্টের মৃদু আলোতে হাটুর ভিতরটা কেমন যেন
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তখনি দেখলাম নেহা সহ কয়েকজন পুলিশ একটা গলির মধ্যে ঢুকলো। তখনি আমি এক পৈশাচিক হাসি দিলাম। কারন আমি
তার আগেই যাকে নেহা ধরতে এসেছে ছিলো তাকে
মেরে দিয়ে ফেলে রেখে।এসেছি একটু আগেই। তখনি
নেহা বের হয়ে আসলো।চারিদিকে একবার তাকালো। আমার দিকে চোখ পড়তেই, দেখলাম সে আমার মাথা থেকে পা অবদি ভালো করে দেখে
নিলো।
- এই যে শুনুন..(নেহা)
কাছে গেলাম আসতে আসতে হেটে।
- জ্বি..
- আপনি কখন থেকে এখানে আছেন? (নেহা)
- কেনো বলুন তো..?
- এখানে একটা খুন হয়েছে। আপনি কি দেখেছেন?
- হুমম..
- কে কে খুন করেছে..?
- তা ঠিক জানিনা..তবে যাওয়ার সময় ওদের গ্যাং এর
একজন নিলয় বলে ডাকছিল। ব্যস এইটুকুই শুনেছি।
- নিলয়....(চমকে উঠল)
- জ্বি..
- নাম কি আপনার...?
- সাইকো...(আমি)
- মানে..
কিছু না বলে নেহার দিকে তাকালাম। অবাক হয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। জানি নেহা এখন কি ভাববে।
ভাববে নিলয়ের কথা। যাকে সে ছমাস আগে
ধরেছিলো প্ল্যানিং করে। তবে সে আর সেই সুযোগ
পাবে না। তার আগেই তাকে পাঠিয়ে দেবো
অপারে। প্যান্টের দুই পকেটে হাত গুজে শুনশান
রাস্তায় হাটছি। তখনি দেখলাম পাশ দিয়ে নেহার
জিপ চলে যাচ্ছে। গাড়ির।জানালা দিয়ে মুখ বের করে
নেহা একবার আমাকে দেখলো..নেহার জিপ দুরে যেতেই..।হা হা করে চিৎকার করে।হেসেসে উঠলাম। হাসিটা ছিলো পৈশাচিক এক হাসি।
(waiting for next part)
গল্প: মাস্তানি২ (২য় পর্ব)
লেখা> Abir Hasan Niloy
..
- এই যে নীল সাহেব?
সকালের উদিয়মান সূর্য এখনো পুব আকাশে উঠেনি। চারিদকে হালকা কুয়াশাতে ঢেকে আছে। এ যেন জানান দিচ্ছে শীত আসতে আর দেরি নেই। সকালে হুট করেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াতে ছাদে উঠে পায়চারি করছি।
তখনি মিমি এসে উপরের কথাটি বললো।
- কি হল মি..? (মিমি)
- কিছুনা।
- এত সকাল সকাল ছাদে কি?
- এমনি।
- আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
(মিমি)
-....
- তোমার জি এফ আছে?
প্রশ্নটি শুনে মিমির দিকে তাকালাম। মুখটা যথা সম্ভব
গম্ভীর করে চেয়ে রইলাম ওর দিকে।
- নাহ মানে, মনে হল আর কি। আচ্ছা তুমি কি করো?
মিমির থেকে চলে এসে ছাদের কর্নারে এসে দাড়ালাম। সাথে সাথে মিমিও এসে দাঁড়ালো। আবার
বললো..
- কি হল বলো..?
- কাজ করি। (আমি)
- কি কাজ..
- মানুষ খুন করার কাজ।
- হাহাহাহাহাহাহাহা...হিহিহিহিহিহিহি...
- হাসছো কেনো?
- তুমি মানুষখুন করো?? এটা.বিশ্বাস করতে হবে??
হাহাহাহাহা,,শোনো ছেলে, আমি মেয়ে তবে বোকা না। গাধীও না।
- কেন আমি পারি না খুন করতে??
- নাহ পারো না,,তোমার মত বোকাসোকা.দেখতে টাইপ ছেলে খালি.কথা বলে কিন্তু এমন.কাজ কখনই পারে না। আর.তুমি তো পারবেই না।.
কথাটি শুনে মুচকি হেসে.উঠলাম। সেই হাসিতে
কেমন যেন মজা পাচ্ছি। মনে মনে বললাম, আমি যে কতটা ভয়ংকর সেটা তো জানো না,জানলে তোমার হাসিও বন্ধ হয়ে.যাবে।.আর কিছু না বলে সেখান
থেকে রুমে চলে.আসলাম। মাথায় শুধু একটাই.চিন্তা নেহাকে মারতেই.হবে। চাইলে সামনে যেয়ে তাকে গুলি করে মেরে দিতে পারি।.পিস্তলের একটা গুলিই তার
জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আমি যে তাকে একটা গুলিতে মারবো না। মারবো পিস্তলের সব কয়টা গুলি দিয়ে।
(রাতের বেলাতে)
..
বড় রাস্তার পাঁচিলের উপর বসে আছি। জানি এ সময় এই রাস্তা দিয়ে নেহা একাই বাসায় যাবে। মিমিদের
বাড়ি থেকে এই রাস্তাটা অনেকদুর। চারিদকে নিরাবতা,
মাঝে মাঝে গাড়ির শব্দ আসছে। দুর থেকে তখনি
দেখি নেহা আসছে.. কেমন যেন রাগ উঠে গেল। তবে কন্ট্রোল করলাম। কারন, এখনি তো।খেলার সময়। নেহা পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। তখনি।নেমে নেহার পাশে গেলাম...
- নেহা..(আমি)
আমার কথা শুনেই নেহা চমকে উঠল। হুট করে দাঁড়িয়ে আশে পাশে তাকালো একবার। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো..
- তুমি...?
- ভয় পাচ্ছো..?
- নাহ..
- হুমমস গুড..চলো হাটতে হাটতে কথা বলি।
- কি?
- কেমন আছো? (আমি)
- কোথায় থাকছো?
- কেনো, পুলিশ নিয়ে যাবে নাকি?
- নিলয়, তোমাকে একটা কথা
বলি? (নেহা)
- অবশ্যই..?
- আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি।
এবার আমি চমকে উঠলাম। নেহার মুখের দিকে
তাকালাম। আমার দিকে, অপলক চেয়ে আছে। তবে
ওর মুখে লেগে আছে এক ফাঁদ। যে ফাদে আগে পা দিয়েছি। কিন্তু এবার না।
- হাহাহাহাহা....তাই।নাকি? (আমি)
- সত্যিই নিলয়. আমি তোমাকে ভালোবাসি।
- ঠাসসসস..ছি, তোমার লজ্বা করে না এমন কথা বলতে? তুমি কি ভুলে গেছো আগের কথা।গুলো?
- নাহ ভুলিনি, আমি যা।করেছি সেটা দায়িত্ব।ছিলো। আমি।তোমাকে সত্যিই।ভালোবাসি।
- দায়িত্বা?? ভালোবাসা??।ফাসি থেকে বেচে আছি।।যদি ফাঁসি হত তাহলে।ভালোবাসা কই থাকতো?
-.......... (নেহা)
- তো তোমার আংটি।পরানো হাজবেন্ড এর কি।খবর?
এবার নেহা চমকে উঠল। কদিন আগে ওর বিয়ের
আংটি পরিয়ে গেছে একটা।ছেলে। খবর নিয়ে
জানতে পারলাম ছেলেটা।চাকরি করে।
- তুমি জানো কিভাবে?
- হাহাহাহা,,,,বেঁচে গেলে।তোমার জন্য
পিস্তলটা রেখে আসলাম। না।হলে ভালোবাসি আবার
বলার সাথে সাথেই তোমাকে এখানেই খুন
করতাম।।আর শোনো, আজ থেকে এই
ঢাকা শহরে মাস্তানির গ্যাং হবে। দেখি তোমার কোন পুলিশ আমাকে থামাতে পারে।।
কথাটি বলে চলে আসা আগে একটা জোরে
থাপ্পড় দিয়ে চলে আসলাম। নিরবে হেটে নেহার থেকে দুরে চলে আসলাম। নেহাকে মারবো না, তবে
মারার মত করে রাখবো।
..
- আকাশ দেখছো বুঝি?
(মিমি)
নেহার থেকে চলে এসে ছাদে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। তখনি মিমি এসে কথাটি বললো..
- আচ্ছা, তুমি কি হা বলোতো? আমি যখনি আসি
তুমিও।আসো ব্যাপারটা কি?
- তোমাকে আমার খুব ভালো
লাগে।
- মানে??
- মানে তুমি সবার থেকে।আলাদা। সবার থেকে।অন্যরকম। তোমার মাথা ভর্তি চুলে তোমাকে বোকা বোকা লাগে। তোমাকে রাগাতে ভালো লাগে। তাই আসি।
- আর আসবে না। আমি মোটেও বোকা না।
- এ মা তাই..তা কি করো।শুনি??
-.......
- এই ছেলে শোনো, তুমি আমাকে যায় বলো না কেনো, তোমাকে রাগাতে আমার বেশ লাগে। সো তুমি মানা করলেও আসবো।
- ধ্যাত...
- হিহিহিহি
কিছু না বলেই চলে আসলাম সেখান থেকে। রুমে
এসে দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিলাম। আজ আব্বুর
কথা মনে পড়ছে আবারো খুব। আর মনে পড়ছে
বিষাক্ত নারী রুপিদের মুখ। যারা বাইরে থেকে কতটা পবিত্র। কিন্তু ভিতরে বিষে ভরপুর। সৎ মাকে যখন ব্লেড দিয়ে গলার মাঝে টান।দিয়েছিলাম সেদিন একটুও হাত কাপেনি। সেদিন ভয়।করেনি। সেদিন কষ্টও হয়নি।
তবে নেহাকে।বিশ্বাস করার পর আমার সাথে খেলা করেছিল। সেদিন কষ্ট হয়েছিলো। সেদিন কেপে
উঠেছিলো আমার শরীর..তবে সে বেঁচে।আছে। তাকে মারবো না।।মানবো তার অহংকারকে।
..
(পরেরদিন)
বিকালে ছাদে বসে আছি। তখনি মিমি এসে পাশে বসে পড়লো।
- এই যে নীল দেখো, আগামী
তিন দিন পর।সেরা পুলিশের লোক নেহা।আহমেদ এর বিয়ে। কথাটি শুনেই উঠে দাড়ালাম। হাত থেকে
পত্রিকাটা টেনে নিয়ে পড়তে লাগলাম। হেড লাইন করে বড় বড় করে লেখা আছে কথাটি। কিন্চিৎ হেসে
উঠলাম। তবে সেই হাসিটা।মিমির কাছে ধরা পড়েছে।
- কি ব্যাপার তুমি হাসছো
কেনো? (মিমি)
- বুঝবেনা।
- আমাকে বুঝিয়ে বলো...
- কাল বলবো..
কিছু না বলেই আবার চলে আসলাম মিমির থেকে।
ওদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার গ্যাং এর
সবাইকে কল দিলাম। কোনো এক গোপন
জায়গাতে দেখা করে সব প্ল্যান করে নিলাম। প্ল্যান সব ঠিক আছে। খেলাম মজা তো হবে নেহার বিয়ের পর। তবে এখানে মিমিদের বাড়ি থেকে চলে আসতে হবে এইবার। সময় যে আর নেই। কিন্তু কেমন যানি মনটা করে উঠল, কেন জানি মিমির মুখটা বারবার মনে
পড়তে লাগলো।
(waiting for next part)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ